মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় ২০২৩ আর্টিকেলে আপনাকে সুস্বাগতম। আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়, ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়?, ইত্যাদি।
আজকের এই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় আর্টিকেলের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। এজন্য আপনি অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং (mobile diye freelancing) আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে না পড়েন আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মিস করবেন। সে জন্য আমি শুরুতে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। যাতে আপনি মনোযোগ সহকারে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং আর্টিকেলটি পড়েন।
সবার আগে চলুন, ফ্রিল্যান্সিং কি বা ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে কাকে বলে এই সম্পর্কে জানি।
ফ্রিল্যান্সিং কি? (What Is Freelancing?)
আপনি যখন অনলাইনে কোন কোম্পানির কাজ বা কারো ব্যক্তিগত কাজ করে দিয়ে অনলাইন অর্থ উপার্জন করবেন, এটি কেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। সহজে বললে, ফ্রিল্যান্সিং কাজটা আসলে অনলাইনে সম্পন্ন হয়ে থাকে। অনলাইনে অন্যের কাজ অর্থের বিনিময়ে যে সম্পাদন করা হয় এই প্রক্রিয়াটিকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।
অবশ্যই দেখবেন:
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ তালিকা ২০২৩ (সেরা কাজগুলি দেখুন)
- ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি ২০২৩ (কেন শিখবেন/না!)
- অনলাইন জব ২০২৩: ঘরে বসে টাকা ইনকাম করুন
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কি? (What Is Mobile Freelancing?)
আমার মনে হয় আপনি বুঝতে পেরেছেন মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং কি, যদি বুঝে না থাকেন সমস্যা নাই।
মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে অন্যের কাজ করে যে অর্থ উপার্জন করা হয় এই প্রক্রিয়াটিকে মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং বলে। অর্থাৎ মোবাইলের মাধ্যমে যে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা হয়। আশা করি আপনি বুঝেছেন মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং কি।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কি করা যাবে?
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কি করা যাবে এর প্রশ্নের উত্তর খুবই সোজা। অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে। বাংলাদেশের অনেকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং করে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে কিছু কাজ রয়েছে যে কাজগুলো মোবাইল ব্যবহার করে মোটামুটি ভালোভাবে সম্পাদন করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোর ওই সকল কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব।
তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আপনি কিন্তু কম্পিউটার মতো সুবিধা পাবেন না। কেননা ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রফেশনাল কাজ করতে গেলে অবশ্যই কাজ অনুযায়ী আপনার একটি ভালো মানের কম্পিউটার প্রয়োজন।
তবে আমি আগেই বলেছি যে, কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল ফোন দিয়ে করা সম্ভব। আর সকল কাজগুলো করেই কিন্তু আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আরো দেখতে পারেন:
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কারা করতে পারবে?
সবাই কিন্তু মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে না! কেননা আমরা সবাই জানি সকল কাজ সবাইকে দিয়ে হয় না। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা মোটেও একদম সহজ কাজ নয়। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কারা করতে পারবেন নিচে একটু বোঝানোর চেষ্টা করলাম।
তীব্র আকাঙ্ক্ষা
যার মধ্যে তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার তার মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে সফলতার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কেননা আপনার মধ্যে যদি আকাঙ্ক্ষা না থাকে ইচ্ছা না থাকে আপনি কিভাবে সেই কাজে সফল হবেন।
কারণ এই কাজটিতে আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সফল হতে পারবেন না। আপনাকে একটি লম্বা সময় পাড়ি দিয়ে অনেক কষ্ট বিসর্জন দিয়ে একটা সময় গিয়ে সফলতার আলো দেখতে পাবেন। এজন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা খুবই প্রয়োজন ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার ক্ষেত্রে।
যারা হতাশ হয় না
আমাদের সমাজে অল্পসংখ্যক লোক রয়েছে যারা হতাশ হয় না। যারা হতাশ হয়ে পড়ে তারা কিন্তু অল্পতে থেমে যায়। আপনি যদি যারা হতাশ হয় নাই এই তালিকায় থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
আপনি যখন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন, শুরুর দিকে তেমন কোন ইনকাম হবে না। সে সময় যদি আপনি হতাশ হয়ে যান তাহলে কিন্তু আপনি এগোতে পারবেন না। আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা কিন্তু সেখানেই শেষ হয়ে যাবে। এজন্য সফলতার জন্য কোনভাবেই হতাশ হওয়া যাবে না।
যাদের কাজ শিখতে ভালো লাগে
যাদের কাজ শিখতে ভালো লাগে তারা কিন্তু একটি কাজ খুব সহজে শিখতে পারে। সহজে শিখতে পারা কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনাকে এগিয়ে রাখবে সফলতার জন্য।
যেহেতু আপনাকে একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য। সেজন্য অবশ্যই আপনার মধ্যে কাজ শেখার একটি আগ্রহ থাকতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আসলে দক্ষতার মূল্যায়ন করা হয়। আর দক্ষতা অর্জনের জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে একটি কাজ মনোযোগ সহকারে শিখতে হবে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগে?
এখন আসল কথায় আসি, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার যা যা লাগবে।
১. একটি ভাল মানের মোবাইল।
আপনি যেহেতু মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করবেন অনলাইনে। সে জন্য অবশ্যই আপনার একটি ভালো মানের মোবাইল লাগবে। যেটির মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ গুলো ভালোভাবে করতে পারবেন।
আমরা সবাই জানি যে কাজের জিনিস ভালো না হলে কাজ করে কিন্তু আগানো যায় না বা মজা পাওয়া যায় না। এজন্য ভালোভাবে কাজ করার জন্য অবশ্যই একটি ভালো মানের মোবাইল ডিভাইস আপনার লাগবে।
২. ভালো ইন্টারনেট সংযোগ
যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং কাজটি আপনাকে অনলাইনে করতে হবে। সেজন্য আপনার অবশ্যই ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে। ইন্টারনেট সংযোগ ভালো না হলে আপনার ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বা কাজ জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন।
এজন্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে এটা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে একটি ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায়
আমরা পোস্টের মূল বিন্দুতে চলে এসেছি। এখন আমি আপনার সঙ্গে আলোচনা করব মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবেন। আমি নিচে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু কাজ উল্লেখ করে দেবো যে কাজগুলো আপনি মোবাইল দিয়ে করে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
১.আর্টিকেল রাইটিং
বর্তমান সময়ে আর্টিকেল রাইটিং টা কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে। কেননা আমার অনেক পরিচিত লোক রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে শুধুমাত্র আর্টিকেল রাইটিং করে।
আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং হচ্ছে কোন ব্লক বা ওয়েবসাইটের জন্য লিখা। যেমন আপনি আমার ওয়েবসাইটে এসে যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং পোস্ট পড়তেছেন, এটি একটি আর্টিকেল বা কনটেন্ট।
আপনি এইভাবে আর্টিকেল লিখে খুব সহজে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আমার পরিচিত অনেকেই রয়েছে যারা মোবাইল ব্যবহার করে আর্টিকেল রাইটিং করে ফ্রিল্যান্সিং করতেছে। আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
২. ট্রান্সলেশন
ট্রান্সলেশন হচ্ছে একটা ভাষা থেকে অন্য একটি ভাষাতে অনুবাদ করে দেওয়া। আপনি যদি কোন ভাষাতে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এ ট্রান্সলেশন ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে ট্রান্সলেশন এর টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সারদের ইনকাম দেখেন, তাহলে আপনার চোখ মাথায় উঠে যাবে। একজন দক্ষ ট্রান্সলেটর অনেক ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে অনলাইন মার্কেটগুলো থেকে। এজন্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ট্রান্সলেট গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।
৩. লোগো ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে লোগো ডিজাইন অন্যতম একটি কাজ। লোগো ডিজাইন করে অনলাইন মার্কেট গুলো থেকে বাংলাদেশে অনেক ফ্রিল্যান্সার ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে আসতেছে।
এই লোগো ডিজাইন কাজটি কিন্তু মোবাইল দ্বারা করা সম্ভব। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বলতেছি, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আপনি লোগো ডিজাইন টা ব্যবহার করতে পারেন। এই লোগো ডিজাইন গ্রাফিক্সের কাজ করে ভালো পরিমাণ অর্থ অনলাইন থেকে উপার্জন করা সম্ভব। আপনার যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে, ফ্রিল্যান্স মার্কেট গুলো থেকে টপ রেটেড লোগো ডিজাইনার ইনকাম দেখতে পারেন।
৪. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
অনলাইনে মানুষ নিজের কাজের চাপ কমানোর জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রেখে থাকে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হচ্ছে, অন্যের কাজে সহযোগী হিসেবে কাজ করা। অনলাইনে কিন্তু ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রচুর পরিমাণে নিয়োগ হয়ে থাকে।
বর্তমান এই অনলাইনের দুনিয়ায় অনেক লোক রয়েছে যার হাতে অসংখ্য কাজ থাকে। ওই কাজগুলো একা করা সম্ভব নয়। তাদের প্রয়োজন হয় ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। এই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যমে তাদের যে কাজের চাপ/বা বেশি কাজ তারা সম্পন্ন করে থাকে।
ভার্চুয়াল সিস্টেম ফ্রিল্যান্সিং পোস্ট অনলাইন মার্কেটগুলোতে প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে। সেখানে আপনার কাজ অনুযায়ী ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে অনলাইন মার্কেটগুলোতে কাজের বিট করে আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন।
৫.সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
আপনি যদি অনলাইনে ফেসবুক থেকে ড্রেস কিনতে চান। সাধারণত তাহলে কিন্তু আপনাকে মেসেজ করতে হয় ড্রেস কেনার জন্য। মেসেজে আপনাকে লিখতে হয় যে আমি এড্রেস নিতে চাই বা অন্য কিছু ড্রেস কিনা সম্পর্কিত বিষয়ে। তারপর কিন্তু আপনাকে রিপ্লে করে তারা জানায় আপনার প্রশ্নের উত্তর।
আপনাকে যে এই প্রশ্নের উত্তর জানানো হলো এটি কিন্তু হয়নি কোন রোবট বা এমনিতেই হয়নি। এটি একজন মানুষ আপনাকে উত্তরটি প্রদান করেছে। আর এই মানুষটিকে যে ওই কোম্পানি রেখেছে এর জন্য কিন্তু তাকে তারা বেতন প্রদান করে থাকে।
আপনি কিন্তু ফ্রিল্যান্সার হিসেবে এই কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন। একটি ভাল মানের কোম্পানিতে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার পদে চাকরি পেলে ভালো পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়। এজন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো একটি কোম্পানিতে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিতে হবে।
আপনি যদি অনলাইন মার্কেটগুলোতে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে চাকরি খুঁজেন, তাহলে আপনি অসংখ্য পোস্ট পেয়ে যাবেন।
ওয়েব ডিজাইন এর কাজ
বর্তমানে অনলাইনে কোন কিছু শুরু করতে গেলে এই ওয়েবসাইটে প্রয়োজন হয়। আর একটি ওয়েবসাইটকে প্রফেশনাল লোক দেয়ার জন্য ওয়েব ডিজাইনার প্রয়োজন হয়। আপনি কিন্তু মোবাইল ফোন দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
অনলাইন মার্কেটগুলোতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ওয়েব ডিজাইনের পোস্ট আউটসোর্স যারা করে তারা করে থাকে। আপনি যদি ভালোভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন তাহলে মোবাইল দিয়েই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে প্রত্যেক মাসে ভালো পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।
আমি অনেক ভালো মানের ওয়েব ডিজাইনার কে চিনি যারা ওয়েব ডিজাইন সার্ভিস ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে সার্ভিস দিয়ে প্রত্যেক মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতেছে। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে ওয়েব ডিজাইন কাজ মোবাইল দ্বারা করে ভালো অর্থ উপার্জন করা যায়।
এতক্ষণ তো আমরা অনেক কিছু জানলাম যেমন: ফ্রিল্যান্সিং কি, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কি, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগবে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ, ইত্যাদি।
এখন আমি আপনার সাথে শেয়ার করব কিভাবে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন। এটি একটি বিশাল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন? (How To Learn Freelancing With Mobile?)
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে সবার আগে আপনাকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে। তো চলুন জানি কিভাবে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন ২০২৩ সালে।
১. ইউটিউব থেকে
বর্তমান সময়ে ইউটিউব থেকে এমন কোন কাজ নাই যে শেখা যায় না। আপনি খুব সহজেই ইউটিউব থেকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
তবে তার আগে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি কোন কাজটি শিখতে চান মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য। তারপর সেই কাজগুলো ইউটিউবে সার্চ করতে হবে। সার্চ করার পর আপনি যে ফলাফল গুলো দেখতে পাবেন সেখান থেকে আপনাকে কয়েকটি দক্ষ ইউটিউব চ্যানেল নির্বাচন করতে হবে কাজ শিখার জন্য।
২. ওয়েবসাইট থেকে
বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয় ব্লগার ওয়েবসাইট রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার জন্য। তবে তার আগে আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি কোন কাজটি শিখতে চান ফ্রিল্যান্সিং করতে। তারপর সেই কাজটি গুগলে সার্চ করলে আপনি অসংখ্য অথরিটি ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। সেই অথরিটি ওয়েবসাইট গুলোর গাইডলাইন ফলো করে আপনি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
৩. কোর্স করে
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার জনপ্রিয় যে মাধ্যমগুলো রয়েছে এর প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স রয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে সেই কোর্সগুলো শিখে ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিতে পারেন। তবে কোর্স করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতার সাথে ভালো মানের কোর্স নির্বাচন করতে হবে।
এজন্য অবশ্যই আপনি অনলাইনে ঘাটাঘাটি করবেন বা আপনি যে কাজটি শিখতে চান সেই সম্পর্কিত ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেও আপনি ভালো মানের কোর্স অনুসন্ধান করতে পারেন।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাবেন
এখন কথা হচ্ছে আপনি যে পর্যন্ত কাজ না করবেন সে পর্যন্ত কিন্তু আপনার কোন অর্থ ইনকাম হবে না। শুধু আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখলেই হবে না। আপনাকে অবশ্যই কাজ খুঁজে পেতে হবে তাহলে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।
১. ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে গিয়ে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইলটি তৈরি করতে হবে প্রফেশনাল ভাবে। অর্থাৎ যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ দিয়ে থাকে যখন তারা আপনার প্রোফাইলটি দেখবে তাদের যাতে মনে হয় আপনি একজন প্রফেশনাল লোক। আপনি যে কাজটি দিয়ে থাকেন সেই কাজে আপনি অনেক দক্ষ একজন ব্যক্তি।
২. কাজের জন্য বিট করুন
আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে নিজের একাউন্ট তৈরি করবেন, তখন আপনি যে কাজ অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট তৈরি করছেন সেই কাজের পোস্ট আপনার ফিডে দেখতে পাবেন। আপনার ফিডে যখন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে কাজ দেখতে পারেন তখন আপনার সেই কাজে বিট করতে হবে। যাতে যারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে কাজের পোস্ট করে তারা আপনাকে কাজ দেয়।
শেষ কথা,
আমি আপনাকে আর্টিকেল এর মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করছি আপনি কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করবেন। আশা করি আপনি আমি আপনাকে ভালোভাবে বুঝাতে পেরেছি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ২০২৩ সম্পর্কিত।
আপনি যদি নিয়মিত বাংলাদেশের অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত আর্টিকেল বা প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল পড়তে চান, তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত আসতে পারেন। আমরা নিয়মিত বাংলাতে প্রযুক্তি বিষয়ক ও অনলাইন ইনকাম বিষয় পোস্ট করি।
