অনলাইনে আর্টিকেল লিখে আয় করার পূনার্ঙ্গ গাইডলাইন ২০২৩

এই ২০২৩ সালে এসে অনলাইন থেকে আয়ের ব্যাপারটা সবাই জানি। অনলাইন থেকে আয়ের প্রতি দিন দিন মানুষের আগ্রহ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেমন হয় যদি আপনার শখের কাজটি করেই আপনি অনলাইন থেকে ভালো অংকের টাকা আয় করতে পারেন? আমাদের অনেকেই আছে যারা লিখালিখি করতে পছন্দ করে খুব।

কিন্তু আপনি কি জানেন শুধু লিখালিখির মাধ্যমেও বর্তমানে মানুষ হাজার হাজার ডলার আয় করছে? আজকের আমাদের এই পোস্টে লিখালিখা করে আয় কিংবা আর্টিকেল লিখে আয় নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হবে। তাই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ুন। 

আর্টিকেল লিখে আয় পেমেন্ট বিকাশ এমন কোন তথ্যও আমরা দিই নি এই পোস্টে, কারণ এগুলো কোন লং-টার্ম প্রোসেস না আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করার। আমরা চাই আপনি কোয়ালিটি আর্টিকেল রাইটিং শিখে অনলাইনে ভালো পরিমান টাকা ও দীর্ঘস্থায়ী ইনকাম করুন। 

অনলাইনে আর্টিকেল লিখে আয়
অনলাইনে আর্টিকেল লিখে আয়

লেখালিখি করে আয় করা যায় ব্যাপারটা হয়ত নতুন না অনেক আগে থেকেই মানুষ লেখালিখি করে আয় কর আসছে কিন্তু লেখালিখি করে আয়ের মাধ্যমটির ব্যাপক বিবর্তন এসেছে বর্তমানে। আগেকার দিনে একজন লেখকের আয়ের মাধ্যম ছিল পত্রিকায় লিখে কিংবা বই লিখে এখনো এই মাধ্যমটা সচল আছে লেখকদের জন্য কিন্তু এখন আরো অনেক সহজ মাধ্যম রয়েছে। 

বই বা পত্রিকায় লিখে আয় করার জন্য একজন লেখককে যেমন অনেক সুপরিচিত হতে হয় সকলের কাছে তেমনি অনেক বেশি অভিজ্ঞ হতে হয়। কিন্তু এমন অনেক অনলাইন প্ল্যালফর্ম আছে যেখানে আপনার মোটামুটি অভিজ্ঞতা থাকলেই আপনি ভালো অংকের টাকা আয় করতে পারেন।

চলুন প্রথমেই জেনো নিই আজকের পোস্টে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। 

  • আর্টিকেল রাইটিং কি?
  • আর্টিকেল লেখার উপায় নিয়ে প্রাথমিক ধারণা।
  • আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করার মাধ্যম সমূহ।
  • আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করার ওয়েবসাইট সমূহ।

আর্টিকেল রাইটিং কি? (What is Article Writting?)

আর্টিকেল হলো একটি লিখা যেখানো কোন একটি বিষয় নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকবে। যখন কোন ব্যাক্তি একটি বিষয় নিয়ে রিসার্চ করে সেই বিষয়েরস উপর পূর্ন ধারণা নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখে তাকেই আর্টিকেল রাইটিং বলে।

একটা সময় আর্টিকেল ছিল শুধু মাত্র পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে কিন্তু এখন এখন সব ডিজিটাল হচ্ছে তার ধারাবাহিকতায় এখন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফোরাম, ফেইসবুক পেইজ/গ্রুপ, অনলাইন পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে।

একটা সময় আর্টিকেল লিখা হতো কাগজ আর কলম দিয়ে আর এখন মোবাইল বা কম্পিউটারে টাইপ করে। কালের বিবর্তনে আর্টিকেল রাইটিং হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় একটি পেশা। 

অবশ্যই দেখবেন:  



আর্টিকেল লেখার উপায় (Ways to write articles)

একটা সময় কোন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখতে হলে প্রথমেই সেই বিষয়টা নিয়ে অনেক বই পড়ে ভালো ধারণা নিতে হতো তার কারন হলো আর্টিকেলের মূল উদ্দেশ্য হলো কোন একটি বিষয়ের উপর পাঠককে পূর্ন ধারণা দেওয়া কিন্তু যদি লেখকেরই সেই বিষয়ে ধারনা না থাকে তাহলে কিভাবে দিবে ধারনা?

তাই লেখকেরা বই পড়ে ধারনা নিতো কিন্তু বর্তমানে গুগোল লেখকদের মুক্তি দিয়েছে বিশাল বিশাল বই পড়া থেকে। এখন যে বিষয়ে আপনি আর্টিকেল লিখবেন তা গুগোলে সার্চ দিলেই আপনি সে বিষয়ে বিস্তারিত সব কিছুই জানতে পারবেন।

কিন্তু একটি আর্টিকেল লিখার পূর্বশর্ত হলো অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়ে অনেক ভালো ধারণা থাকতে হবে। তাই লিখা শুরু করার আগে আপনাকে সময় দিতে হবে ঐ বিষয়ে রিসার্চের জন্য।

আর্টিকেল প্রধানত ৩ প্রকারঃ-

  • ইনফরমেটিভ বা টিউটোরিয়াল আর্টিকেল 
  • রিভিউ আর্টিকেল 
  • নিউজ আর্টিকেল 

ইনফরমেটিভ বা টিউটোরিয়াল আর্টিকেল 

ইনফরমেটিভ আর্টিকেল মানেই বুঝতেই পারছেন এমন একটি আর্টিকেল যেটিতে কোন বিষয় নিয়ে ইনফরমেশন দেওয়া হয়। যেমন আপনি একটি আর্টিকেল লিখবেন iphone 10 নিয়ে।

তাহলে প্রথমেই আপনি ধারণা নিবেন এটি নিয়ে তারপরে আর্টিকেল লিখবেন যেখানে iphone 10 কখন বাজারে এসেছে, জনপ্রিয়তা কেমন এটিতে কোন প্রসেসর কত জিবি রেম, কোন ক্যামেরা ইত্যাদি তথ্য দিবেন। একটু লক্ষ্য করুন এখানে আপনি শুধু iphone 10 নিয়ে যত তথ্য রয়েছে সেগুলোই দিয়েছেন।

এভাবেই শুধু কোন একটি বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিয়ে ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লেখা হয়। এ ধরনের আর্টিকেলের মূল উদ্দেশ্যই হলো মানুষ যেন এই আর্টিকেল পড়ে কোন বিষয়ের তথ্য পায়।

আবার যদি আপনি একটি আর্টিকেল লিখেন “কিভাবে ফেইসবুক আইডি খুলবেন ” এই বিষয়ে তাহলে এটি হবে একটি টিউটোরিয়াল আর্টিকেল। টিউটোরিয়াল এবং ইনফরমেটিভ আর্টিকেলে উদ্দেশ্যই হলো মানুষকে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। তাই এই দুটিকেই আর্টিকেলে শ্রেণীবিভাগে একই সাথেই রাখা যায়।

একটি ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লিখতে হলে আপনাকে আগে যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন সেই বিষয়ে অনেক তথ্য নিতে হবে তারপরে তা একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রদর্শন করবেন।

টিউটোরিয়াল আর্টিকেল লিখার জন্য যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন সেই বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে কারন কোন বিষয়ের উপর যদি আপনার দক্ষতা না থাকে তাহলে সেই বিষয়টির টিউটোরিয়াল তৈরি করা আপনার পক্ষে সম্ভব না।

রিভিউ আর্টিকেল 

বর্তমান যুগে রিভিউ আর্টিকেল খুব জনপ্রিয়। রিভিউ আর্টিকেল মানে হলো কোন পণ্য সম্পর্কিত এমন একটি লিখা যেটিতে ঐ পণ্যের ভালো খারাপ দিক তুলে ধরা হয়। রিভিউ আর্টিকেলের প্রধান উদ্দেশ্য হলো কোন পণ্য বা সার্ভিসের ভালো খারাপ দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করে ক্রেতাকে পণ্য ক্রয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা।

যেমন আপনি একটি আর্টিকেল লিখলেন iphone 10 নিয়ে ঐ আর্টিকেলে আপনাকে iphone 10 এর ভালো খারাপ দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে উল্লেখ করতে হবে কাদের জন্য iphone 10 ভালো হবে কাদের জন্য হবে না, এটির ক্যামেরা কেমন, প্রসেসর কেমন, অভারঅল পারফরমেন্স কেমন এসব নিয়ে আলোচনা করবেন যাতে ক্রেতা আপনার আর্টিকেল পড়ে একটি সুস্পষ্ট ধারনা পায় যে তার মোবাইলটি কেনা উচিত নাকি উচিত না।

এখন হয়ত আপনার মনে হতে পারে আপনি একটা পণ্য বা সার্ভিস ব্যবহার না করে কেমনে সেটির রিভিউ দিবেন। আপনাকে ঐ পণ্য বা সার্ভিস রিলেটেড অনেক রিভিউ পড়তে হবে গুগোল এবং ইউটিউব থেকে রিভিউ ভিডিও দেখতে হবে৷ এবং যদি কোন পণ্যের রিভিউ লুখতে চান তাহলে amazon, Ali Express থেকে ঐ পণ্যের কাস্টমারস রিভিউ দেখে নিজের মতো সাজিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে।

নিউজ আর্টিকেল 

আমরা সবাই পত্রিকা পড়েছি। পত্রিকায় অনেক বিষয় ছোট ছোট আর্টিকেল থাকে যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার বর্ণনা থাকে। এগুলোকেই নিউজ আর্টিকেল বলে। বর্তমানে অনলাইন নিউজ পোর্টালে মানুষ বেশি খবর পড়ে। তাই পত্রিকার আর্টিকেল গুলো তারা এখন ওয়েবসাইটে পাবলিস করে।

নিউজ আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ঘটনার সঠিক তথ্য বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে হবে। বর্তমানে আমাদের দেশে অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলো নানা মিথ্যা তথ্য দিয়ে আর্টিকেল লিখছেন যার ফল-প্রসূত তারা হারাচ্ছে পাঠকদের আস্থা তাই নিউজ আর্টিকেল লেখার জন্য একজন লেখককে সবসময় সঠিক ভুল তথ্য প্রকাশ না হওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

ভালো আর্টিকেল লেখার ৫ টি টিপস 

  • ছোট এবং আকর্ষণীয় টাইটেলঃ- আপনার আর্টিকেলের টাইটেলই পাঠককে বলে দেয় আপনার আর্টিকেল সম্পর্কে। তাই টাইটেলকে করতে হবে আকর্ষণীয় যাতে মানুষের টাইটেল দেখে পুরো আর্টিকেল পড়ার আগ্রহ জন্মে। এবং টাইটেল যতটুকু সম্ভব ছোট করার চেষ্টা করবেন। যাদি টাইটেল অনেক বড় হয় তাহলে মানুষ টাইটেল পড়েই বিরক্ত হবে। 
  • ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করাঃ- যখন আমাদের সামনে অনেক বড় একটি আর্টিকেল আসে আমরা তখন সেটি পড়তে বিরক্ত বোধ করি। কিন্তু পুরো আর্টিকেলের প্রতিটা টপিককে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফে ভাগ করে নিলে মানুষ তা পড়তে স্বাছন্দ বোধ করে। তাই চেষ্টা করবেন পুরো আর্টিকেল একসাথে না লিখে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ হিসেবে রাখা।
  • হেডিং ব্যবহার করাঃ- একটি আর্টিকেলের মধ্যে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় যদি প্রতিটা বিষয় নিয়ে একটি ছোট প্যারাগ্রাফ হয় তাহলে প্রতিটা প্যারাগ্রাফের একটি হেডিং থাকা জরুরি যা ঐ প্যারাগ্রাফে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা প্রেজেন্ট করবে।
  • ছবি ব্যবহার করাঃ- মানুষ একাধারে লেখা পড়তে পছন্দ করে না তাই লেখার মাঝে মাঝে ছবি ব্যবহার করুন। কিন্তু ছবি অবশ্যই আপনার টপিক আর্টিকেল হতে হবে।

আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায়

আর্টিকেল লিখে বর্তমানে মানুষ ঘরে বসেই অনেক মোটা অংকের টাকা আয় করছে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়।

আপনার জন্য আর: 

ব্লগিং করে আয় 

বর্তমান তরুনদের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি আয়ের মাধ্যম হলো ব্লগিং। আপনি যদি এমন কোন বিষয়ের উপর এক্সপার্ট হন তাহলে ঐ বিষয় নিয়ে একটি ব্লগ সাইট ক্রিয়েট করে সেখানে গুগোল এডসেন্সের এড বসিয়ে আয় করতে পারেন।

এক্ষেত্রে অনেকেই ইংরেজিতে তেমন এক্সপার্ট না তারা চাইলে বাংলায়ও নিজেদের ব্লগ সাইট খুলতে পারে। ফ্রিতে কিভাবে ব্লগ সাইট খুলবেন তা জানার জন্য এই পোস্টটি পড়ুন “ব্লগিং কি? কিভাবে ব্লগিং করে অনলাইনে আয় করবেন?” । 

কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আয়

পৃথিবীতে ভালো মানের কন্টেন্টের অনেক দাম রয়েছে। মানুষ হাজার হাজার টাকা দিয়ে কন্টেন্ট রাইটার হারায় করছে ভালো কন্টেন্টের জন্য।

আপনি যদি অনেক ভালো ইংরেজি কন্টেন্ট লিখতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে মানুষের কাছে আপনার সার্ভিস বিক্রি করতে পারেন। 

ই-বুক লিখে আয়

পোস্টের শুরুতেই বলেছিলাম আগে লেখকেরা বই লিখে আয় করত এখনও লেখকেরা বই লিখে আয় করছে। যেহেতু মানুষ এখন বই থেকেও ই-বুক পড়তে পছন্দ করে তাই আপনি একটি ই-বুক লিখে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ই-বুক মার্কেট এমাজন কিন্ডেলে আপলোড দিতে পারেন।

মজার ব্যাপার হলো আগে পরিচিত লেখদের বই বেশি বিক্রি হতো কিন্তু বর্তমানে যদি আপনি আপনার ই-বুকের সঠিক মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে সেটিও অনেক ভালো বিক্রি হবে।

কিন্তু একটি ই-বুক লেখার জন্য আপনাকে কোন বিষয়ে এক্সপার্ট হতে হবে এবং ইংরেজি আর্টিকেল লিখতে পারতে হবে।

আর্টিকেল রিরাইট করে আয় 

আর্টিকেল রিরাইট বলতে বোঝায় আপনাকে আপনার ক্লায়েন্ট একটি আর্টিকেল দিয়ে দিবে সেটি পড়ে সেখান থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে আপনাকে আরেকটি আর্টিকেল লিখতে হবে। বিভিন্ন ফ্রিলেন্সিং মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক কাজ পাওয়া যায়। 

এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

আর্টিকেল রাইটিং ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি আয়ের সুযোগ রয়েছে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে। আপনি যদি ভালো রিভিউ আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে এমাজনের কোন পণ্যের রিভিউ লিখে ঐ পণ্য কেনার লিংক দিয়ে আপনি এমাজন এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারেন।

এমন আরো অনেক এ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেগুলো থেকে মানুষ হাজার হাজার ডলার আয় করছে। এ্যাফিলিয়েটের জন্য ওয়েবসাইট দরকার হয় না বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ায় ও আপনি আপনার রিভিউ আর্টিকেল পাবলিসের মাধ্যমে মানুষকে আপনার পণ্য কেনার জন্য আগ্রহী করে তুলতে পারেন।

 

ট্রান্সলেশন করে আয়  

যদি বলেন আর্টিকেল লিখে আয় করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম কোনটি তাহলে আমি বলব ট্রান্সলেশন করে আয় করা। এখানে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি অডিও ফাইল দিয়ে দিবে আপনি সেই অডিও শুনে তাকে একটি আর্টিকেলে রুপ দিয়ে ক্লায়েন্টকে দিবেন এবং তার জন্য আপনাকে অনেক ভালো অংকের টাকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।

গেস্ট পোস্টিং করে আয়

এমন অনেক ব্লগার আছেন যাদের ব্লগ সাইটে লিখার জন্য তারা সময় পায় না। তাই তারা তাদের সাইটে অন্যদের দিয়ে লিখায় এবং প্রতি আর্টিকেলে যত আয় হয় তার ৫০% সাইটের এডমিন এবং ৫০% রাইটার পেয়ে থাকেন।

আপনি গুগোলে বা ফেইসবুক এমন গেস্ট পোস্টিং সাইটের সন্ধান করলে পেয়ে যাবেন ভালো ভালো গেস্ট পোস্টিং সাইট তবে বড় বড় গেস্ট পোস্টিং সাইটের জন্য আপনার আর্টিকেল কোয়ালিটি ভালো হতে হবে।

আর্টিকেল লিখে আয় করা যায় এমন কিছু ওয়েবসাইট 

ফাইবার 

ফাইবার হলো বিশ্বের জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি আপনার সার্ভিস রিলেটেড গিগ ক্রিয়েট করে রাখবেন। তারপর ক্লায়েন্টরা এসে আপনার সার্ভিসটি কিনবেন। এখানে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং, ট্রান্সলেশন, আর্টিকেল রিরাইট এসব বিষয়ে গিগ খুলতে পারেন। এবং এসব গিগ অনেক বেশি সেল হয় ফাইবারে। 

ফাইবার

ফ্রিলেন্সার 

ফ্রিলেন্সার হলো আরেকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। এখানে ক্লায়েন্টরা তাদের কাজের বর্ণনা দিয়ে জব পোস্ট করে এবং ফ্রিলেন্সাররা কাজে বিড করার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট থেকে কাজ নেয়৷ এখানে একটি কাজে হাজার হাজার বিড পরে তার মধ্যে সবচেয়ে সেরা বিডকারীকেই কাজ দেওয়া হয়। তাই এই মার্কেটপ্লেসে আসার আগে প্রোফেশনাল ভাবে বিড করার নিয়ম জেনে আসবেন। এই মার্কেটপ্লেসের আরেকটি অপশন রয়েছে কন্টেস্ট এর মাধ্যমে কাজ পাওয়ার তবে কন্টেন্ট রাইটিংয়ের কাজ গুলোর কনটেস্ট খুব কম হয়।

ফ্রিলেন্সার

আপওয়ার্ক 

এটি সবচেয়ে হাইরেটের ফ্রিলেন্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে অনেক বেশি দামের কাজ পাওয়া যায়। এবং এখানে কাজ করতে হলে অনেক বেশি এক্সপার্ট হতে হয়। তাই যদি আপনি মনে করেন আপনি অনেক ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে এই সাইটে একাউন্ট খুলতে পারেন।

আপওয়ার্ক 

Hire Writer 

এই ওয়েবসাইটি মূলত রাইটারদের জন্যই এখানে আপনি একজন রাইটার হিসেবে একাউন্ট করবেন তারপর যাদের রাইটার প্রয়োজন তারা এসে আপনার রেট দেখে আপনাকে হায়ার করবে। এমন আরো অনেক ওয়েবসাইট আছে কিন্তু hire writer সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত।

Hire Writer 

শেষ কথা 

আর্টিকেল লিখে বর্তমানে অনেকে অনেক টাকা আয় করছে। আপনিও হতে পারেন তাদের মতো একজন কিন্তু তার জন্য আপনাকে করতে হবে অনেক পরিশ্রম এবং নুজের স্কিলকে ডেভেলপ করতে হবে আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো ধৈর্য কেউ কখনো একদিনে লাখপতি হতে পারেনা।

আমাদের এই পোস্টটি এতক্ষণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের কমেন্ট করে জানান কোন মেথডটি আপনি পছন্দ করেছেন আর্টিকেল লিখে আয় করার। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top