অফ পেজ এসইও কি? OFF-Page SEO করার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন ২০২৩

অফ পেজ এসইও কি? কিভাবে OFF-Page SEO করবেন: আমার মনে হয়, ওয়েবসাইট থেকে যে টাকা ইনকাম করা যায় এ বিষয়টা আপনি জানেন। আর জেনে না থাকলেও সমস্যা নাই, আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার আর্টিকেল রয়েছে। আর্টিকেলটি পড়লে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করে।

একটা ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে, অবশ্যই সেই ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিনের অবস্থান ভালো থাকতে হবে। সার্চ ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে অর্গানিক ভিজিটর আসবে। আর এই অর্গানিক ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে বেশি আসলেই আপনি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আর একটি কথা, সার্চ ইঞ্জিনে রেংঙ্ক করার জন্য দুটি উপায় আছে একটি হলো PPC (pay per click) এড আরেকটি হলো অর্গানিকলি রেংঙ্ক করা বা প্রোপার এসইও করে রেংঙ্ক করা।

আজকে আমরা সেই এসইও’র একটি মূল্যবান বিষয় অফ পেজ এসইও (OFF-Page SEO) নিয়ে কথা বলব। চলুন অফ পেজ এসইও (Off-Page SEO Bangla) নিয়ে কথা বলার আগে প্রথমেই এসইও কি তা জেনে নিই।

অফপেজ এসইও কি? অফপেজ এসইও করার নিয়ম
অফ পেজ এসইও কি? অফ পেজ এসইও করার নিয়ম

এসইও কি? (What Is SEO Bangla)

এসইও(SEO) এর পূর্ণরূপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)। গুগল সহ আমরা যে সার্চ ইঞ্জিন গুলো ব্যবহার করি। এ সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে আমরা যে রেজাল্ট দেখতে পাই। এর রেজাল্ট দেখানোর পেছনে সার্চ ইঞ্জিনের এলগোরিদম কাজ করে।

যেসব ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের এলগোরিদম গুলো ভালোভাবে মেনে অপটিমাইজ করে তারাই রেংঙ্কিয়ে আগে থাকবে। তারাই সার্চ ইঞ্জিনে ভালো পজিশন পাই। আর এসব এলগোরিদম অনুযায়ী নিজের ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজড করে রেংঙ্কিয়ে পাওয়াটাকেই এসইও বলে বা ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর নিয়ে আসাকে এসইও বলে।

এই এসইও (SEO) অনেক গভীর একটি বিষয়। এখন আমরা এসইও’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় অফ পেজ এসইও নিয়ে কথা বলব। তো চলুন আসল বিষয়ে চলে যায়…

অফ পেজ এসইও কি? (What is Off-Page SEO Bangla)

আমি কিন্তু একটু আগে বলেছি, কোন ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের এলগোরিদম অনুযায়ী অপটিমাইজ করাকে এসইও বলে। এই অপটিমাইজেশন করতে গেলে আপনার ওয়েবসাইট কে দুই ধরনের অপটিমাইজেশন করতে হবে।

প্রথমটি হলো অন পেজ (On Page SEO) দ্বিতীয়টি হলো অফ পেজ (OFF Page SEO)। 

আসলে অফপেজ এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিনিয়ারিং এ আসার জন্য ওয়েবসাইটের বাহিরে যে কাজগুলো করা হয়। তাকে অফ পেজ এসইও বলে।

অফ পেজ এসইও’র অনেক নিয়ম আছে। একটু পরেই আমরা অফ পেজ এসইও’র নিয়ম গুলো স্টেপ বাই স্টেপ বিস্তারিত আলোচনা করব। তার আগে আমরা জেনে আসি অফ পেজ এসইও ও অনপেজ এসইও এর মধ্যে আসলে পার্থক্য কি কি?

আপনি নিচের পোস্টগুলো অবশ্যই দেখবেন



অফ পেজ এসইও ও অনপেজ এসইও এর মধ্যে পার্থক্য 

অন পেজ এসইও করা হয় মূলত আর্টিকেলে,আর্টিকেল লিংকে, আর অফ পেজ এসইও করা হয় ডোমেইন,ওয়েবসাইট ইন্টাফেস এবং অন্যান্য প্লাটফর্ম গুলোতে। অর্থাৎ অন পেজ এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

অনপেজ এসইও’র মূল লক্ষ্য থাকে কন্টেন্ট ইউজার ফ্রেন্ডলি করা আর অফ পেজ এসইও’র লক্ষ্য থাকে ডোমেইন অথরিটি বৃদ্ধি, এবং কন্টেন্ট সঠিকভাবে মার্কেটিং করা।

অনপেজ এসইওতে তেমন কোন টেকনিক্যাল বিষয় নেই কিন্তু অফ পেজ এসইও তে প্রচুর টেকনিক্যাল বিষয় রয়েছে। এই বিষয় গুলো মূলত কিছু বেসিক অফ পেজ এসইও ও অনপেজ এসইও এর পার্থক্য।

এখন হয়ত আপনার মনে প্রশ্ন এসেছে কেন আপনার এই অফ পেজ এসইও করতে হবে বা অফপেজ এসইও’র উপকারিতা কি। চলুন জেনে আসি। 

অফ পেজ এসইও কেন করতে হবে?

২০২৩ সালে অফপেজ এসইও একটি ওয়েবসাইট রেংঙ্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অফ পেজ এসইও ছাড়া কোন ওয়েবসাইটের এসইও সম্পূর্ণ হবে না। অফ পেজ এসইও সার্চ ইঞ্জিনকে বলে আপনার ওয়েবসাইটই অন্য সব ওয়েবসাইট থেকে কেন ভাল র‍্যাঙ্ক দিবে।

যদি অফপেজ এসইও না থাকত তাহলে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারত না যদিও বিষয়টা সম্পূর্ণ অফ পেজ এসইও’র উপর নির্ভর করে তা না কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনপেজ এসইও দেখেও সার্চ ইঞ্জিন রেংঙ্ক দেয়।

কিন্তু সবচেয়ে শক্তিশালী এসইও হলো অফ পেজ এসইও। কারন যদি আপনার অনপেজ এসইও না থাকে শুধু অফ পেজ এসইও থাকে এবং হাই অথরিটি ডোমেইন থাকে তাহলে আপনি সার্চ ইঞ্জিনে সহজেই ভালো রেংঙ্ক (Rank) এ আসতে পারবেন না।

আবার যদি যদি অফ পেজ এসইও না করে শুধু অনপেজ এসইও করেন তাহলে রেংঙ্ক পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাড়াবে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন, অফ পেজ এসইও কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো পজিশনে নিয়ে আসতে।

কোন ওয়েবসাইটের জন্য অফ পেজ এসইও বেশি দরকার?

অফ পেজ এসইও সবার জন্যই দরকার কিন্তু কিছু স্পেসিফিক ওয়েবসাইটের জন্য অফ পেজ এসইও অনেক বেশি দরকারী হয়ে থাকে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোর কথা একবার ভাবুন। ই-কমার্স ওয়েবসাইটের অনপেজ এসইও করার সুযোগ খুবই কম। সেজন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট রেংঙ্ক করার জন্য অফ পেজ এসইও করতেই হবে শুধু করলেই হবে না অনেক ভালো করে অফ পেজ এসইও করতে হবে।

তেমনি অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে আছে শুধু একটি পেজের আবার কিছু কিছু টুল ওয়েবসাইট ও আছে যেখানে অনপেজ এসইও করার তেমন কোন সুযোগ নেই।

 অন্যদিকে অনেক নতুন ওয়েবসাইট আছে যাদের কন্টেন্ট পরিমান অনেক কম তাদের জন্যও অফ পেজ এসইও খুব দরকার। কারন তাদের ও অনপেজ এসইও করার সুযোগ কম। তাই যদি কম কন্টেন্ট দিয়ে ২০২৩ সালে google এ রেংঙ্ক করতে চাই অবশ্যই অফ পেজ এসইও অনেক ভালোভাবে করতে হবে।

আরও দেখতে পারেন: 



কিভাবে অফ পেজ এসইও করতে হয়?

অফ পেজ এসইও মূলত কয়েকটি বিষয়কে কেন্দ্র করে করা হয়। বিষয গুলো হলোঃ-

  1. Link Building. (লিংক বিল্ডিং)
  2. Social authority.(সোশিয়াল অথরিটি)
  3. E-A-T (ই-এ-টি)

চলুন বিষয়গুলো নিয়ে আরো ভালোভাবে জেনে নিই।

Link Building 

Link building বা অনেকে Backlink বলে থাকে তাহলে প্রথমেই জেন নিই, 

Backlink বা Link building আসলে কি?

আমার দৃষ্টিকোণ থেকে, বিষয়টি যদিও অনেক জটিল। শুধুমাত্র link building বা ব্যাকলিংক নিয়ে অনায়াসে একটি আর্টিকেল লিখা যাবে। 

একটু সহজ করে বলি অন্য কোন ওয়েবসাইট থোকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য লিংক নেওয়াটাকেই ব্যাকলিংক বা Link building বলে। সেটি হতে পারে আপনার হোম পেজের জন্য ব্যাংকলিংক না হয় কোন স্পেসিফিক কন্টেন্টের জন্য ব্যাকলিংক। 

এখন আপনি হয়ত ভাবছেন কেন ব্যাকলিংক করবেন?

ধরুন আপনি মার্কেটে গিয়েছেন কিছু জিনিস কিনতে তাহলে আপনি অবশ্যই অবশ্যই মার্কেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় দোকানটিতেই যাবেন যেই দোকানটিকে সবাই চিনে বা যে দোকানটি অনেক বিশ্বস্ত। 

আপনি কখনো এমন কোন দোকানে যাবেন না যেটি সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না। তেমনি আপনি যখন অন্যান্য সাইটে লিংক বিল্ডিং করবেন তখন ঐসব সাইটে ভিজিট করা মানুষগুলো আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আপনার ওয়েবসাইট সবার কাছে পরিচিতি লাভ করবে।

অফ পেজ এসইও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো লিংক বিল্ডিং (Link Building)। লিংক বিল্ডিং প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য অত্যন্ত দরকার। কিন্তু লিংক বিল্ডিং বিষয়টি সম্পর্কে প্রথমে যথাযথ জ্ঞান থাকতে হয়। 

যদি না বুঝেই লিংক বিল্ডিং শুরু করে দেন তাহলে ওয়েবসাইটের ভালো হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় বেশি থাকবে। এটি এসইও’র জন্য খুবই মূল্যবান বিষয় কারন এই লিংক বিল্ডিং এর উপর আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি নির্ভর করবে আর ডোমেইন অথরিটির উপর রেংঙ্ক নির্ভর করবে।

পৃথিবীতে বড় বড় এসইও এক্সপার্টরা ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের পরে দ্বিতীয় মূল্যবান বিষয বলেছেন লিংক বিল্ডিংকে। লিংক বিল্ডিং আপনি কয়েকভাবে করতে পারবেন।

  • Natural link:- যদি আপনার আর্টিকেল অনেক ইনফরমেটিভ হয় তাহলে অন্য কেউ আপনার আর্টিকেল পড়ে প্রাপ্ত ইনফরমেশন শেয়ার করার সময় সোর্স হিসেবে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিতে পারে সেটি হবে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ন্যাচারাল ব্যাকলিংক। অর্থাৎ যে লিংক মানুষ নিজ থেকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য তৈরি করবে সেটিই ন্যাচারাল লিংক। ন্যাচারাল ব্যাকলিংক গুগল অনেক পছন্দ করে। 
  • Manually build link:- যদি আপনি কোন হাই অথরিটি ওয়েবসাইটকে টাকা দিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড আর্টিকেল দিয়ে সেই আর্টিকেল থেকে আপনার ওয়েবসাইট লিংক করান সেটি হবে manually build link। তবে বর্তমানে এই পদ্ধতিটি অনেকেই অনুসরণ করে ওয়েবসাইটকে ভালো অথরিটি সম্পন্ন করেছে।
  • Self-created link:- যদি আপনি বিভিন্ন গেস্ট পোস্ট, ফোরাম পোস্ট, ব্লগ কমেন্টিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক তৈরি করেন তাহলে সেটি হবে self created link। অথরিটি বৃদ্ধিতে আপনাকে কিছু নিজে নিজে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে।

প্রত্যেকেরই উচিত ন্যাচারাল লিংক বিল্ডিং এর উপর ফোকাস করা। আর যদি আপনি বেশি বেশি ন্যাচারাল লিংক পেতে চান তাহলে আপনার কন্টেন্টের মান অনেক বেশি উন্নত করতে হবে। ন্যাচারাল ব্যাকলিংক পেতে আপনাকে কনটেন্টের দিকে বেশি ফোকাস দিতে হবে। অনেক তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে।

লিংক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে কোয়ান্টিটি থেকে কোয়ালিটিকে বেশি মূল্যায়ন দিবেন। কারন আপনি যদি অনেক বেশি স্প্যাম স্কোর কোন ওয়েবসাইট থেকে লিংক নেন কিংবা কোন স্প্যামি ওয়েবসাইট থেকে লিংক নেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটেরও স্প্যাম স্কোর বেড়ে যাবে আর যেটা রেংঙ্কিয়ে আসতে উপকারের চাইতে ক্ষতি বেশি করবে।

আর অবশ্যই আপনার টপিক বা নিশ রিলেটেড ওয়েবসাইটেই ব্যাক লিঙ্ক নিয়ে আসবেন। একদিনে অনেক বেশি লিংক তৈরি করবেন না। বরং আপনাকে সময় নিয়ে লিংক বিল্ডিং করতে হবে। যদি আপনি একদিনেই অনেক লিংক বিল্ডিং করেন, তাহলে আপনার ডোমেইনের স্প্যাম স্কোর বেড়ে যেতে পারে। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে আপনার ওয়েবসাইট ব্ল্যাক লিস্টেডও হয়ে যেতে পারে।

তাই অবশ্যই অবশ্যই লিংক বিল্ডিং সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান নিয়ে তবেই এই কাজটি শুরু করবেন। একটি আর্টিকেল হয়ত যথেষ্ট নয় লিংক বিল্ডিং শিখাতে। লিংক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেগুলো দেখে আসি। 

১) ডোমেইন অথরিটি/ ডিএ 

ডোমেইন অথরিটি বা ডিএ হলো মোজ (MOZ) কর্তৃক দেওয়া ওয়েবসাইটের জন্য একটি স্কোর। একটি ওয়েবসাইটের অভারঅল পারফরমেন্স নিয়ে এই স্কোর দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত একটি ওয়েবসাইটের এসইও স্ট্যাটাস যত ভালো তার ডিএ তত বেশি হয়ে থাকে। একটি ওয়েবসাইটের ডিএ সর্বোচ্চ ১০০ পর্যন্ত হতে পারে।

আবার যদি একটি হাই ডিএ ওয়েবসাইট যদি আরেকটি লো ডিএ ওয়েবসাইটকে ডুফলো ব্যাকলিঙ্ক দেওয়ার মাধ্যমে তার ডোমেইন অথরিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। এজন্য আপনার উচিত লিংক তৈরির সময় হাই ডিএ ওয়েবসাইট গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া। কিন্তু হাই ডিএ ওয়েবসাইট ছাড়া লিংক তৈরি করা যাবে না এমনটাও না। হাই ডিএ ওয়েবসাইট গুলোর ব্যাকলিঙ্ক খুব ইফেকটিভ হবে আরকি।

২) রিলেভেন্সি(relevance)

শুধুই কি হাই অথরিটি সাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিলে হবে? না। আপনি যে ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিবেন তার নিশ আপনার ওয়েবসাইটের নিশ একই হতে হবে। তারপরে আপনার ব্যাকলিঙ্কটি আরো বেশি কার্যকর হবে। অন্য বিষয়ে ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক নিয়ে আসলে গুগল এটি পছন্দ করে না। এজন্য অবশ্যই ব্যাক লিংকে রিলিফেন্সি খেয়াল রাখতে হবে।

৩)সাইট ট্রাফিক 

অবশ্যই আপনি যে ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিচ্ছেন আগে সেই ওয়েবসাইটের ট্রাফিক চেক করুন। কারন যদি সেই ওয়েবসাইটে ট্রাফিকই না থাকে তাহলে ব্যাকলিঙ্ক নিয়ে কোন লাভ নেই। যদি ব্যাকলিংকের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরি না আসে তাহলে সেই ব্যাক লিংকের কোন ভ্যালু নেই গুগল এর কাছে।

৪)লিংকের ধরণ( link type)

আপনি যখন কোন ওয়েবসাইটে লিংক তৈরি করেন তখন দেখবেন ২ ধরনের লিংক থাকে একটি হলো ডুফলো (Do Follow) আরেকটি হলো নোফলো(Nofollow)। চলুন এই ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানি। 

ডুফলো লিংক (Dofollow link):– এটি হলো লিংকের ডিফল্ট ধরণ। ডুফলো লিংক বলতে ঐ সকল লিংককে বোঝায় যেগুলো ডেসটিনেশন লিংকে অথোরিটি পাস করার মাধ্যমে এসইওতে সাহায্য করে থাকে। ডু-ফ্লো ব্যাক লি অথরিটি পাস করাকে link juice পাস করাও বলা হয়। এই ডুফলো লিংক গুলো ওয়েবসাইটের অথরিটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো পজিশনে আসতে সাহায্য করে।

নোফলো লিংক (Nofollow link):– এগুলো হলো এমন লিংক যেগুলো অথরিটি পাস হতে দেয় না। ওয়েব স্প্যাম বন্ধ করার জন্যই নোফলো লিংক গুলো চালু হয়েছিল। এসব লিংক এসইওতে তেমন কোন প্রভাব ফেলে না। 

আমাদের লিংক বিল্ডিং এর সময় অবশ্যই ডুফলো(Dofollow) লিংক তৈরি করতে হবে তা না হলে আমাদের এসইওতে তেমন প্রভাব পড়বে না লিংক গুলো। 

তবে যদি এমন হয় যে একটি ওয়েবসাইটে নো-ফলো ব্যাকলিং তৈরি করলে সেই ওয়েবসাইটের ব্যাক লিংক দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে, তাহলে আপনি নো-ফলো ব্যাক লিংক ও তৈরি করতে পারেন। কেননা একটি ওয়েবসাইটের ভিজিটর আসলে সেটি অবশ্যই একটি ভালো দিক।

কিভাবে লিংক বিল্ডিং করবেন?

চলুন আমরা জেনে আসি কিভাবে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক (High Quality Backlink) বা লিংক বিল্ডিং করবেন।

  • প্রাইভেট ব্লগ নেটওয়ার্ক(PBN) লিংকঃ-

ওয়েবসাইট লিংক বিল্ডিং করে দ্রুত রেংঙ্ক করাতে পিবিএন খুব জনপ্রিয় একটি উপায়। যদিও অনেকে পিবিএনকে ব্ল্যাক হ্যাট বা গ্রে হেট এসইও বলে থাকে। পিবিএন কি সেটা একটু বুঝার চেষ্টা করি আমরা এতক্ষণ তো জানলাম অন্য ওয়েবসাইট থেকে লিংক পেলে ওয়েবসাইটের রেংঙ্কিয়ে ইম্প্রুভ হয় তাই আমরা নানা ওয়েবসাইটে আমাদের ওয়েবসাইটের লিংক দিতে চায়।

কিন্তু যদি আমরাই আমাদের নিশ রিলেটেড আরো কয়েকটা ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকে আমাদের মেইন ওয়েবসাইটকে ( যেটাকে রেংঙ্ক করাতে চাচ্ছেন) ব্যাক লিংক দিই তাহলে আমাদের আর কষ্ট করে অন্য ওয়েবসাইট এডমিনদের টাকা দিয়ে লিংক তৈরি করানো লাগবে না।

এভাবে একটি ওয়েবসাইটকে রেংঙ্ক করানোর জন্য সেই নিশে আরো কয়েকটি ওয়েবসাইট রেডি করে লিংক বিল্ডিংটাই হলো পিবিএন বা পার্সোনাল ব্লগ নেটওয়ার্ক (Personal Blog Network)। পিবিএন দিয়ে খুব সহজে রেংঙ্ক করা যায় কিন্তু পিবিএন খুব ব্যায়বহুল একটি পদ্ধতি। চলুন জেনে নিই কিভাবে নিজের একটি পিবিএন তৈরি করবেন। 

ডোমেইন কেনাঃ- পিবিএনের(PBN) জন্য প্রথমে আমাদের ডোমেইন কিনতে হবে অন্য ওয়েবসাইট গুলোর জন্য। আমরা জানি হাই অথরিটি ডোমেইন থেকে ব্যাকলিংক পেলে আমাদের সার্চ ইঞ্জিনে অবস্থান দ্রুত এগোতে থাকবে। তাই যদি আমাদের বাকি ডোমেইন গুলো (যেগুলো থেকে লিংক নিব) হাই অথরিটি হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।

সেজন্য আমরা ফ্রেশ ডোমেইন না নিয়ে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন (Expired Domain) নিব। এক্সপায়ার্ড ডোমেইন নিয়ে আমাদের একটি পোস্ট আছে সেটি আপনি পড়তে পারেন।

 আর এক্সপায়ার্ড ডোমেইন নিলে অবশ্যই ডিএ ১৫ এর বেশি ডোমেইন নিতে হবে। ডোমেইন গুলো সব একই নামে না নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি থেকে ভিন্ন ভিন্ন নামে নিবেন এতে গুগল বুঝতে পারবে না যে সকল ডোমেইন আপনার।

ওয়েবসাইট তৈরি এবং কন্টেন্ট পাবলিশঃ- 

ওয়েবসাইট তৈরির সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেনো সব ডোমেইনের আইপি একই না থাকে। ভিন্ন ভিন্ন হোস্টিং ব্যবহার করবেন সব ডোমেইনের জন্য। তারপরে কয়েকটি কন্টেন্ট পাবলিশ করে অন পেজ এসইও ভালোভাবে করুন।

লিংক বিল্ডিংঃ- 

এবার বলব লিংক বিল্ডিং এর ব্যাপার। প্রথমেই বলেছিলাম এই উপায়টিকে অনেক জন ব্ল্যাক বা গ্রে হেট এসইও বলে তার কারন হলো অনেকেই পিবিএন থেকে প্রতিদিন ইচ্ছা মতো লিংক নিতে থাকেন। এটি করে আপনি রেংঙ্ক পেলেও বেশি দিন এই রেংকিং ধরে রাখতে পারবেন না। এটা অনেক রিস্কি হয়ে যায়।

যদি রেংঙ্ক ধরে রাখতে চান তাহলে আপনাকে এমন ভাবে লিংক বিল্ডিং করতে হবে যেনো এটি ন্যাচারাল মনে হয়। প্রতিদিন ১/২ লিংক নিবেন। একদিনে একই ডোমেইন থেকে বেশি লিংক নেওয়া যাবে না। কোন ডোমেইন থেকে একটা লিংক নেওয়ার কয়েকদিন পরে আরেকটি লিংক নিবেন।এভাবে পুরো ব্যাপারটা যেনো ন্যাচারাল মনে হয় সেভাবে লিংক বিল্ডিং করতে হবে সময় নিয়ে।

  • Web 2.0ঃ-

 কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা সবাইকে মুক্ত ভাবে তাদের সাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করতে দেয়। আবার কোন কোন সাইট তাদের সাবডোমেইন নিয়েও কাজ করার সুযোগ দেয় যেমন blogger, wordpress। এমন ফ্রি ওয়েবসাইট গুলোতে কন্টেন্ট পাবলিশ করে লিংক তৈরি করাকে Web 2.0 বলে।

এটি মূলত পিবিএন এর মতোই কিছুটা কিন্তু এটি আরো বেশি সহজ এবং সম্পূর্ণ ফ্রিতেই আপনি এই মেথডটা ইমপ্লিমেন্ট করতে পারবেন। ওয়েব ২.০ করার জন্য প্রথমে আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন জিমেইল দিয়ে এসব ফ্রি সাইটে নিজের সাইট বানাতে হবে। তারপরে সেখানে কন্টেন্ট পাবলিশ করে অন পেজ এসইও করে নিবেন যেমনটা করেছিলেন পিবিএনে। 

  • ডকুমেন্ট শেয়ারিংঃ- 

অনলাইনে এমন কিছু কিছু সাইট আছে যারা আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে যেকোন ডকুমেন্ট পাবলিশ করার সুযোগ দিবে। এসব ওয়েবসাইট থেকেও আপনি চাইলে নিজের সাইটের জন্য ভালো ব্যাক লিংক তৈরি করতে পারেন। ব্যাকলিংক তৈরির জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের নিশ রিলেটেড কোন ডকুমেন্ট ( স্লাইড, পিডিএফ, ভিডিও) তৈরি করতে হবে।

তারপরে ঐসব সাইটে গিয়ে আপনার একাউন্ট তৈরি করে আপনার ডকুমেন্টটি আপলোড দিবেন৷ সুন্দর একটি ডেসক্রিপশন দিবেন এবং সাথে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিবেন। ব্যাস আপনি পেয়ে গেলেন একটি লিংক। এসব ডকুমেন্টস শেয়ারিং সাইট গুলোর অথরিটি হাই থাকে তাই এসব সাইটের ব্যাকলিংক গুলো খুব উপকারী। 

  • প্রশ্ন উত্তর সাইটঃ- 

বর্তমানে আরেকটি জনপ্রিয় লিংক বিল্ডিংয়ের উপায় হলো প্রশ্ন উত্তর সাইট। এসব সাইটে মানুষ এসে নানা প্রশ্ন করে তাদের নানা সমস্যার সমাধান চায়। আপনার আর্টিকেল যেসব মানুষদের সমস্যা সমাধান করতে পারবে ঐ সব মানুষদের প্রশ্ন খুজুন তারপরে উত্তর দিয়ে লাস্টে আপনার ওয়েবসাইটের লিংকটি যুক্ত করে দিন।

একটি জনপ্রিয় প্রশ্ন উত্তর সাইট হলো  quora.com। আপনাকে প্রথমেই এসব সাইটে গিয়ে নিজের একটা একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং নিজের প্রোফাইল সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে সাজাতে হবে। চেষ্টা করবেন ২/৩ টা প্রশ্নের উত্তর লিংক ছাড়া দিতে তারপরে একটি উত্তরে লিংক দিতে অর্থাৎ প্রতি ২/৩ টা প্রশ্নের উত্তরের পর পর একটা উত্তরে লিংক ব্যবহার করবেন। যদি সব উত্তরেই লিংক ব্যাবহার করেন তাহলে ওয়েবসাইট গুলো আপনাকে ব্যান করে দিবে। এনব প্রশ্ন উত্তর সাইট থেকে শুধু লিংকই না আপনি অনেক টার্গেটেড ট্রাফিকও পাবেন। তাই সব সময় এমন প্রশ্ন উত্তর সাইট গুলোই একটিভ থাকার চেষ্টা করুন। 

  • সোশ্যাল বুকমার্ক:-

বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট আছে যেমন ফেসবুক, গুগল, পিন্টেরেস্ট, লিংকডিন ইত্যাদি। এসব ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করাকেই সোশ্যাল বুকমার্কিং বলে।

সোশ্যাল বুকমার্কিং এর মাধ্যমে আপনি একদিকে যেমন প্রচুর ভিজিটরস পাবেন এসব ওয়েবসাইট থেকে অন্যদিকে আপনার ওয়েবসাইটটি আস্তে আস্তে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হবে। আপনি গুগোলে সার্চ দিলে অনেক বুকমার্কিং সাইট খুজে পাবেন৷ 

  • ফোরাম সাবমিশন:- 

সোশ্যাল বুকমার্ক হলো অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে লিংক যুক্ত করা ঠিক তেমনি ফোরাম সাবমিশন হলো অনেক জনপ্রিয় কিছু ফোরামে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করা।

কিন্তু ফোরামে যদি লিংক যুক্ত করতে হয় প্রথমে আপনাকে আপনার নিশ রিলেটেড ফোরাম খুজে নিতে হবে তারপরে সেখানে মানুষ নানা সমস্যার কথা বলবে আপনি সেসব সমস্যার সমাধান দিবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করবেন। ঠিক যেমনটা প্রশ্ন উত্তর সাইটে করতে হয়। এসব ফোরাম থেকে আপনি প্রচুর ভিজিটরস পাবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি বাড়বে।

  • ইমেজ ওয়েবসাইট:-

অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে যেকোন ছবি আপলোড দেওয়ার সুযোগ দিবে। আপনি আপনার নিশ রিলেটেড একটি ছবি তৈরি করে এসব ওয়েবসাইটে আপলোড দিবেন। এবং মজার বিষয় হলো এসব ওয়েবসাইট আপনাকে ছবির সাথে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করারও সুযোগ দেয়। যার ফলে খুব সহজেই আপনি ব্যাকলিংক নিতে পারবেন। এমন পরিচিত একটি ইমেজ ওয়েবসাইট হলো পিনটেরেস্ট.কম। 

Brand Signals

একটি ওয়েবসাইটের জন্য ব্র্যান্ড সিগনাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লিংক বিল্ডিং এর পরে সোম্যাল অথরিটিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয় অফ পেজ এসইওতে।

Brand Signals কি?

আপনি যদি এখন একটি জনপ্রিয় তারকার নাম গুগলে সার্চ দেন তাহলে কি হবে? দেখবেন ঐ তারকার ছবি, সোশ্যাল একাউন্ট, জন্ম সব কিছু বিস্তারিত চলে আসবে। আবার আপনি যদি গুগোলে টুইটার লিখে সার্চ দেন তাহলেও টুইটারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং তাদের ব্যাপারে সব কিছু চলে আসবে ইন ডিটেইলস।

এমনটা কেন হলো? তার কারন হলো ঐ তারকা এবং টুইটার নিজেদেরকে একটি ব্র্যান্ড বানিয়ে ফেলেছে। আপনাকে ঠিক এমন ভাবে নিজের ওয়েবসাইটকে ব্র্যান্ড বানিয়ে ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াতে হবে৷ 

ব্র্যান্ড সিগনালের প্রয়োজনীয়তা

ব্র্যান্ড সিগনাল বা সোশ্যাল সিগনাল এর প্রয়োজনীয়তা কি? এটি করে কি খুব সহজে রেংঙ্ক করা যাবে? সোজা উত্তর হলো ব্র্যান্ড বা সোশ্যাল সিগনাল এর কোন প্রভাব এসইওতে নেই। যদি এটির প্রভাব এসইওতে থাকতো তাহলে হয়ত এসইও করা খুব সহজ হতো কারন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় তো লাইক কমেন্ট কিনতে পাওয়া যায়। যে কেউ তার সোশ্যাল প্রোফাইল গুলোর লাইক কমেন্ট বাড়িয়ে ভালো ব্র্যান্ড সিগন্যাল পেতে পারে। 

অফপেজ এসইও

তাহলে কেন আমরা ব্র্যান্ড সিগনাল নিয়ে কাজ করব? আপনাকে যদি জিজ্ঞেসা করা হয় আপনি কেন আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করছেন? তাহলে আপনি বলবেন যাতে ভালো ভিজিটরস পেতে পারি তাই এসইও করছি।

হ্যাঁ যদি আপনি আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াতে পারেন তাহলে আপনিও ভালো পরিমান ভিজিটরস পাবে। মানুষ আপনার ওয়েবসাইটের নাম সার্চ দিয়ে আপনাকে খুজে নিবো যদি আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল ভালো থাকে। এছাড়াও ব্র্যান্ড সিগনাল সরাসরি এসইওতে প্রভাব না ফেললেও অন্যভাবে প্রভাব ফেলে তা নিয়ে একটু পরেই আলোচনা করব। 

কিভাবে ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াবেন?

কিভাবে ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াবেন সেটি জানার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল এখন কত। কিভাবে জানবেন এটি? আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখে সার্চ করুন (যেমনঃ- আমাদের ওয়েবসাইটের নাম অনলাইন ইনকাম বিডি)। দেখুন আপনার ওয়েবসাইটের নামটির সার্চ ভলিউম কত। সার্চ ভলিউম যত বেশি আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল তত বেশি। পৃথিবীতে যত বড় ব্র্যান্ড আছে সবারই অনেক বেশি সার্চ ভলিউম আছে। এবার আসুন জেনো নিই কিভাবে ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াবেন? 

কিভাবে ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়াবেন? 

ব্র্যান্ড সিগনাল বাড়ানোর অনেকে উপায় আছে চলুন সমস্ত উপায়গুলো নিয়ে একটু বিস্তারিত জানি। 

ব্র্যান্ড সিগনাল উইথ সোশ্যাল মিডিয়া

আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল তখনই বৃদ্ধি পাবে যখন মানুষ আপনাকে অথবা আপনার ওয়েবসাইটকে চিনবে। আর মানুষের সাথে পরিচিত হওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো সোশ্যাল মিডিয়া। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইটকে প্রমোট বা ব্র্যান্ডিং করা সহজ হবে। 

  • ইউটিউব(YouTube)

যখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্র্যান্ডিংয়ের কথা আসছে তখন সবার আগে যেই সোশ্যাল মিডিয়ার নাম নিতে হবে সেটি হলো ইউটিউব। ইউটিউবে প্রতিনিয়ত মানুষ ভিডিও দেখছে এবং ইউটিউবের মাধ্যমে অনেক অনেক ব্র্যান্ড নিজেদের প্রমোট করছে।

উদাহরণ যদি দিতেই হয় তাহলে নেইল পেটেলের উদাহরণ উৎকৃষ্ট হবে। তিনি একজন এসইও এক্সপার্ট। প্রথমে তিনি ইউটিউবে এসইও রিলেটেড নানা ভিডিও দিতেন এবং বর্তমানে তার ওয়েবসাইট নেইলপেটেল ডট কম একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে।

আমরা কি-ওয়ার্ড রিসার্চের জন্য উবারসাজেস্ট হয়ত কম বেশি সবাই ব্যবহার করেছি। নেইল পেটেল সেই উবার সাজেস্ট এর মালিক। তাহলে ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মকে কেন আপনি ব্যবহার করছেন না? আপনার ওয়েবসাইটের নামে একটি চ্যানেল খুলে আপনার ওয়েবসাইটের টপিক রিলেটেড কন্টেন্ট তৈরি করে শুরু করে দিন ব্র্যান্ডিং। 

  • ফেসবুক(Facebook)

বর্তমানের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হলো ফেসবুক। আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে ওয়েবসাইট লিংক যুক্ত করবেন। এবং নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন।

  • লিংকড-ইন(Linkedin)

লিংকড-ইন মূলত জব খোজার একটি প্ল্যাটফর্ম তবে লিংকড-ইনে আর্টিকেল সাবমিট করার একটি ফিচার আছে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নামে প্রোফাইল তৈরি করে আর্টিকেল সাবমিট করতে পারবেন।

  • মিডিয়াম(Medium) 

মিডিয়াম হলো ফ্রী কন্টেন্ট পাবলিশিং ওয়েবসাইট। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলো মিডিয়ামে আপলোড করতে পারবেন। মিডিয়ামে অনেক ইউজার থাকায় আপনি ভালো ট্রাফিকও পাবেন। 

  • টুইটার(twitter)

বিশ্বে যত ছোট বড় কোম্পানি আছে তাদের সবারই মূলত একটি করে টুইটার একাউন্ট আছে। আপনার ওয়েবসাইটটি যেহেতু একটি কোম্পানির মতো কাজ করবে তাই আপনাকেও একটি টুইটার একাউন্ট খুলতে হবে। 

  • পিনটেরেস্ট( Pinterest)

বর্তমানে পিনটেরেস্ট অনেক জনপ্রিয় একটি ইমেজ শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে বেশি ভিজিটরস আসে ইউএসএ থেকে। আপনার ওয়েবসাইট যদি ইউএসএ বেসড হয় প্রচুর ভিজিটরস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। শুধু আর্টিকেল রিলেটেড ছবি তৈরি করে আর্টিকেল লিংক সহ এখানে সাবমিট করতে পারবেন। 

  • ইনস্টাগ্রাম(Instagram) 

আরেকটি জনপ্রিয় ইমেজ শেয়ারিং ওয়েবসাইট হল ইনস্টাগ্রাম। এখানে ইমেজ, ভিডিও এবং লাইভ ও করা যায়৷ ফেসবুকের মতো একটি বিজনেস পেজ খুলে আপনি ইনস্টাগ্রামেও আপনার ওয়েবসাইটের প্রচারনা করতে পারবেন। 

এমন আরো অনেক সোশ্যাল মিডিয়া আছে তবে যেগুলো শেয়ার করেছি সেগুলো খুব দরকারি এবং জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া। আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পোস্ট এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন। আস্তে আস্তে যখন আপনার সোশ্যাল প্রোফাইল গুলোর এনগেজমেন্ট বাড়বে। অনেক লাইক কমেন্ট আসবে তখন আপনার ওয়েবসাইটের সোশ্যাল অথরিটি বাড়বে।

যদি চান তাহলে এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় পেইড মার্কেটিং করে এনগেজমেন্ট বাড়াতে পারবেন। এভাবেই মূলত সোশ্যাল অথরিটি বাড়াবেন আপনার ওয়েবসাইটের। 

ব্র্যান্ড সিগনাল উইথ ফোরাম

বর্তমানে পৃথিবীতে বিভিন্ন নিশ রিলেটেড ফোরাম আছে যেখানে অনেক আলোচনা হয়। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন কিউএনএ সাইট যেখানে মানুষ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করে এবং উত্তর দেয়।

আপনি আপনার ওয়েবসাইটের নামে ওসব ফোরাম গুলোই একাউন্ট খুলে মানুষের সাথে আলোচনা করুন এবং সবাইকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে উপকার করুন।

যার ফলে সবার মধ্যে আপনি একটি জনপ্রিয়তা পেয়ে যাবেন যেটা আপনার ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ড সিগনাল অনেক বাড়াবে। কোরা, রেডিট এসব ওয়েবসাইটে বেশি বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকবেন দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা বাড়বে। 

রাইট রিসার্চ বেসড আর্টিকেল 

আপনি যদি নিজে কোন সার্ভে বা রিসার্চ করে একটি আর্টিকেল লিখেন তাহলে কিন্তু সেটা আপনার ব্র্যান্ড সিগনাল অনেক বৃদ্ধি করবে। কিন্তু অবশ্যই অবশ্যই আপনার রিসার্চটি মানুষের উপকারে আসে বা ইন্টারেসটিং হতে হবে। তারপর আপনার সেই রিসার্চ নিয়ে যখন কেউ কথা বলবে অবশ্যই তখন তারা আপনার ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করবে কারন রিসার্চটি আপনি করেছেন।

যেমন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন রিসার্চ নিয়ে কথা বললে আমরা অবশ্যই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করব। এমন রিসার্চ বেসড আর্টিকেল লেখা হয়ত সবার দ্বারা সম্ভব না। তাই অনেকে ইনফোগ্রাফিও তৈরি করে কোন সার্ভে বা রিসার্চ এর উপর বেসড করে। এবং ইনফোগ্রাফিতে ওয়েবসাইটের নাম লিখে দেয়। যখন কেউ এই ইনফোগ্রাফি অন্যকে শেয়ার করবে তখন ঐ ওয়েবসাইটের ব্রেন্ডিং হয়ে যায়। 

E-A-T

অফ পেজ এসইও এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি টার্মস হলো E-A-T। বর্তমান সময়ে ব্লগিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচুর কম্পিটিশন চলে আসায় এই E-A-T টার্মসটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আমরা অনেকেই এটি সম্পর্কে জানি না চলুন একটি বিস্তারিত জানি। 

E-A-T কি?

E=Expertise/ দক্ষতা, A=Authoritativeness/প্রামাণ্য, T=Trustworthiness/বিশ্বাসযোগ্যতা। 

কি কিছু বুঝতে পারছেন না? গুগল সেসব ওয়েবসাইটকে রেংঙ্ক করাবে যাদের কন্টেন্টের মধ্যে দক্ষতা, প্রামাণ্য বা সঠিক প্রমাণ এবং বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে।

যেমন ধরুন হেল্থ রিলেটেড একটা ব্লগ তৈরি করতে আপনার কোন মেডিকেল সাইন্সের উপর ডিগ্রি লাগবে না। আপনি হেল্থ রিলেটেড আর্টিকেলও লিখতে পারবেন।

আবার আরেকজন ডাক্তারও হেল্থ রিলেটেড আর্টিকেল লিখতে পারবে কিন্তু স্বাভাবিক মানুষ ডাক্তারের আর্টিকেলটাই পড়বে কারন তার আর্টিকেলের মধ্যে দক্ষতা, প্রামাণ্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে।

ঠিক তেমনি গুগলও চাই তার অডিয়েন্স এমন আর্টিকেল গুলোই পড়ুক যেগুলোর মধ্যে উপরোক্ত ৩ টি বিষয় থাকবে। তাহলে কি আমাদের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ডিগ্রি অর্জন করতে হবে? না তেমনটা না আপনাকে এমন কিছু করতে হবে যাতে গুগোল আপনার মধ্যে উপরোক্ত বিষয়গুলো খুজে পায়। তাহলে চলুন জেনে আসি E-A-T কিভাবে বৃদ্ধি করব?

কিভাবে E-A-T বৃদ্ধি করবেন?

আমরা যখন এর ব্র্যান্ড সিগনাল নিয়ে কথা বলছিলাম তখন বলেছিলাম ব্র্যান্ড সিগনাল ইনডিরেকলি এসইওতে প্রভাব ফেলে। হ্যাঁ ব্র্যান্ড সিগনাল আপনার E-A-T বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

কারন আপনি যখন একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হবেন তখন মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করবে। আপনার লেখা পড়তে চাইবে যেমন ধরুন নেইল প্যাটেল। সে নিজেকে একটি ব্র্যান্ডে পরিনত করছে অনেক বেশি ব্র্যান্ড সিগন্যাল রয়েছে তার। এখন যদি সে আপনাকে এসইও এর কোন ট্রিকস শেয়ার করে আপনি সেই ট্রিকসটা অবশ্যই ফলো করবেন।

কারন তার একটি বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে আর সেটি অর্জনের জন্য তাকে ডিগ্রি নিতে হয়নি শুধু নিজের ব্র্যান্ড সিগনেল বাড়িয়েছেন। তাই ব্র্যান্ড সিগনাল আপনার E-A-T তে প্রভাব ফেলবে আর E-A-T অফ পেজ এসইও তে। চলুন E-A-T বৃদ্ধির আরো কিছু নিয়ম জেনে নিই। 

লোকাল নিউজ পোর্টাল

আপনি যে লোকেশন টার্গেট করে ওয়েবসাইট বানাচ্ছেন সেই লোকেশনের যদি কোন জনপ্রিয় লোকাল নিউজ পোর্টাল থাকে তাহলে তাদের সাথে কথা বলে আপনার ওয়েবসাইট নিয়ে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করতে বলুন। যদিও এটি ব্যায়বহুল তবে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অনেক বেশি উপকার হবে।

ওয়েবসাইট রিভিউ সাইট

অনলাইনে নানা ওয়েবসাইট রিভিউ সাইট আছে যেখানে শুধু অন্য ওয়েবসাইট নিয়ে রিভিউ দেওয়া হয়। ওসব ওয়েবসাইট থেকে ভালো রিভিউ নেওয়া। কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা অডিয়েন্সদের থেকে রিভিউ নিয়ে রেটিং দেই (যেমনঃ- ট্রাস্ট পাইলট) ।

আপনার ওয়েবসাইটের অডিয়েন্সদের বলতে পারেন ওসব সাইটে গিয়ে পজিটিভ রিভিউ দিতে। আবার কেউ কেউ নিজেরা রিভিউ লিখে সেক্ষেত্রে তাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনার ওয়েবসাইটের একটি পজিটিভ রিভিউ লেখান।

চেষ্টা করবেন হাই অথরিটি সাইট থেকে রিভিউ নিতে। ফোরামগুলোতে আপনার ওয়েবসাইট নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করুন। 

শেষকথা 

আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে অফ পেজ এসইও নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। হয়ত এই একটি আর্টিকেলই যথেষ্ট নয় পুরো অপপেজ এসইও বোঝার জন্য। কারন অফ পেজ এসইও অনেক গভীর একটি বিষয়৷ কোন কিছু না বুঝলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top