ইউটিউব এসইও: YouTube ভিডিও #1 এ নিয়ে আসুন

আপনি সঠিকভাবে ইউটিউবে এসইও করতে পারলেই আপনার ভিডিও তো অর্গানিক ভিউ আসবে এবং আপনার ইউটিউব ভিডিওটি ভাইরাল হবে। আপনি যদি সঠিকভাবে ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন (YouTube Video Optimaization) করতে পারেন, তাহলে ইউটিউব নিজেই আপনার ভিডিও প্রমোট করে দেবে। যার দরুন আপনার ইউটিউব ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিউ আসবে।

যখনি আপনার ইউটিউব ভিডিওতে বেশি ভিউ আসা শুরু করবে তখন অটোমেটিক আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারসহ ইউটিউব চ্যানেলে ইনকামও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

আপনাকে অবশ্যই YouTube এসইও জানতেই হবে। যদি আপনি ২০২৩ সালে ভিডিও ভাইরাল করতে চান বা অর্গানিক ভিউয়ার্স আপনার চ্যানেলে আনতে চান।

আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনার সাথে আলোচনা করব কিভাবে আপনি ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন ও ভিডিও দর্শকদের জন্য আপনার ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন করবেন। যার জন্য ইউটিউব বিনা পয়সায় আপনার ইউটিউব ভিডিও বা ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট করবে। আর আপনি বসে বসে ইউটিউব ভিউ পাবেন।

আপনি যদি একজন ইউটিউব ভিডিও এসইও এক্সপার্ট হতে চান বা আপনি ইউটিউব ভিডিও এসইও তে একদমই নতুন তাহলে এই “YouTube SEO Tutorial Bangla” আপনাকে অনেক হেল্প করবে।

আপনার কাছে অনলাইন ইনকাম বিডি এর পক্ষ থেকে অনুরোধ। ইউটিউব এসইও (YouTube SEO) পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। এবং ভাললাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

আর্টিকেলে যা যা আছেঃ

এসইও কি? (What Is SEO?)

যেহেতু আমি এই আর্টিকেলে ইউটিউব ভিডিও এসইও নিয়ে আলোচনা করব। তার জন্যই আমাদেরকে এসইও সম্পর্কে একটু জানা জরুরী।

এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন কিওয়ার্ড বা শব্দগুচ্ছকে সার্চ ইঞ্জিন এর ফলাফল পেজে রেঙ্ক করানোর মাধ্যমে ওয়েবসাইট অর্গানিক বা ফ্রি টার্গেট ভিজিটর নিয়ে আসা। একটি ওয়েবসাইটকে বা ওয়েবপেজকে টার্গেটের ভিজিটরের কাছে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই এসইও করতেই হবে।

ইউটিউব এসইও আসলে কি? (What Is YouTube SEO?)

ইউটিউব এসইও হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলের ভিতর ও বাহিরে যে কাজগুলো করার মাধ্যমে ইউটিউব ভিডিও বা ইউটিউব চ্যানেল কে সার্চ রেজাল্টে (Search Engine Result Page) শীর্ষে নিয়ে আসা হয়। সহজ ভাষায়, ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ভিডিওতে যে কাজগুলো করা হয় তাকে ইউটিউব এসইও বলে।

ইউটিউব এসইও করার আগে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন আসলে কাজ করে। যদি পরিপূর্ণভাবে বলতে যাই তাহলে পোস্টটি অনেক বড় হয়ে যাবে। সেজন্য অল্প-পরিসরে বুঝানোর চেষ্টা করব।

কিভাবে ইউটিউব সার্চ ইন্জিন এলগরদিগম কাজ করে

ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন এলগরদিগম ২টি নিয়মে কাজ করে থাকে।

ভিডিও টাইটেল ও ভিডিও কনটেন্ট কতটা সামঞ্জস্য ব্যবহারকারীর সার্চ কোয়ারীর (কিওয়ার্ড) সাথে।

আর একটি হল ব্যবহারকারীর এই সার্চ কোয়ারীর ভিডিও এর সর্বাধিক এনগেজমেন্ট।

অবশ্যই কিওয়ার্ডগুলি আপনার ভিডিও এর ভিতরে ও ভিডিও বাইরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিওয়ার্ডগুলি ভিডিও এর ভিতরে ও বাইরে থাকার চাইতে ভিডিও এর এনগেজমেন্ট বেশি প্রধান্য দিয়ে থাকে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল বা রেঙ্ক এর হ্মেত্রে।

ইউটিউব ভিডিও এনগেজমেন্ট হচ্ছে একজন লোক দেখার জন্য ক্লিক করছে, ভিউয়ার শতকরা কত পার্সেন্ট ভিডিওটি দেখছে এবং শতকরা কতজন লোক এই ভিডিওটি লাইক, শেয়ার, কমেন্ট করছে তার হিসাব।

Pro Tips: গুগল যেহেতু আগে থেকে এখন পযন্ত ব্যবহারকারীর সিগন্যালকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে র্রে কিং এর হ্মেত্রে। সেজন্য আমাদেরকে ইউটিউব ভিডিও এর  অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর জন্য ভিডিও এর এনগেজমেন্ট বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

ইউটিউব ভিডিও কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন

ইউটিউব ভিডিও এসইও শুরু হয় কিওয়ার্ড রিসার্চ দিয়ে। আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার ইউটিউব ভিডিও এর কী-ওয়ার্ড রিসার্চ না করতে পারেন তাহলে আপনার ইউটিউব ভিডিও রেঙ্ক করার সম্ভাবনা খুবই কম থাকবে।

আমার মতে, কিওয়ার্ড রিসার্চ ছাড়া ইউটিউব ভিডিও রেংক করতে চাওয়া আর অন্ধকারে কোন লক্ষ্যবস্তুতে ঢিল মারা সমান কথা। সেই ডিল লক্ষ্যবস্তুতে লাগতেও পারে নাও লাগতে পারে। তবে না লাগার সম্ভাবনা বেশি।

তাই আপনার ভিডিও ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্ট ও রিলেটেড ভিডিও এর টপে নিয়ে আসতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কিওয়ার্ড সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে।

ইউটিউব ভিডিও কিওয়ার্ড রিসার্চ হচ্ছে, আপনি যে বিষয়ের উপরে ভিডিও বানাবেন, সেই ভিডিও সর্ম্পকৃত ভিডিও কিওয়ার্ড এর ধারণা আগে থেকেই রাখা।

যেমন: সেই ভিডিও টপিক কতজন সার্চ ইঞ্জিনে খুজছে, কোন দেশের লোকজন এটি খুজতেছে, তারা এই টপিকের বিকল্প কোন কীওয়ার্ডগুলি ব্যবহার করতেছে খোঁজার জন্য, কারা এই টপিকের উপর সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করে রয়েছে, যারা রেঙ্ক করেছে তারা কি কি পন্থা অবলম্বন করেছে, কম্পিটিটরের কি কি দুর্বলতা রয়েছে, আরো অনেক কিছু।

তার আগে জেনে আসি “কিওয়ার্ড” আসলে কি?

আপনার জন্য আর পোস্ট: 



কিওয়ার্ড কি? (What Is Keyword?)

কিওয়ার্ড হচ্ছে এমন একটি শব্দ যে শব্দ একটি ওয়েব পেজ বা ইউটিউব ভিডিও কে বর্ণনা করে। সহজভাবে বলতে গেলে, গুগলে বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে যা সার্চ করা হয় করা হয় তাই হল কিওয়ার্ড।

যেমন: আপনি হয়তো গুগল থেকে আমার এই ওয়েব পেজে ” ইউটিউব এসইও” লিখে রেজাল্ট পেজে ক্লিক করি এসেছেন। আপনি যে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ” ইউটিউব এসইও” লিখেছেন তাই হল একটি কিওয়ার্ড।

তো চলুন এবার কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন তা দেখি।

কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?

চলুন এবার ইউটিউব এসইও শুরু করি।

আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ ২টি মাধ্যমে করতে পারবেন।

  1.   YouTube (ম্যানুয়ালি)
  2. এসইও টুলস (ফ্রি ও পেইড)

YouTube এর মাধ্যমে Keyword Reserch

আপনি সরাসরি ইউটিউব সার্চ বক্সে সার্চ করার মাধ্যমে আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ডের তথ্য পেতে পারেন। এবং সেই সাথে রিলেভেন্ট একই ওয়ার্ডের তথ্য পেতে পারবেন।

যেমন আপনি যদি ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করেন “ইউটিউব এসইও

তাহলে আপনি দেখতে পাবেন ইউটিউব ভিউয়ার রা এই টপিকটি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আর কোন কোন কিওয়ার্ড দিয়ে খুজতেছে।

যেমন:

  • ইউটিউব এসইও
  • ইউটিউব এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল
  • ইউটিউব ভিডিও এসইও
  • ইউটিউব চ্যানেল এসইও

এভাবে আপনি রিলেটেড কিওয়ার্ড খুজে বের করতে পারেন।

সেই সাথে আপনি আর জানতে পারবেন, সেই ভিডিও গুলিতে কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে, তাদের টাইটেল ও ডিসক্রিপশন মেইন কিওয়ার্ড কোনটি, তাদের ভিডিও কত মিনিট লম্বা, লাইক, কমেন্ট, আরো অনেক কিছু।

ProTips: তবে আপনাকে মেন একটি কিওয়ার্ড কে বেছে নিতে হবে  কনটেন্ট অপটিমাইজেশন করার জন্য। তবে পাশাপাশি আপনি রিলেটেড কিওয়ার্ড কনটেন্ট এর ভিতরে ও বাইরে ব্যবহার করতে পারেন।

এসইও টুলস এর মাধ্যমে কিওয়ার্ড রিসার্চ

আপনি যদি অ্যাডভান্স লেভেলের কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এসইওর টুলস ব্যবহার করতে হবে।

এসইও টুলস ছাড়া আপনি আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম দেখতে পারবেন না।

সার্চ ভলিয়ম বলতে একটি কিওয়ার্ড সার্চ ইঞ্জিনে কতজন মানুষ প্রতি মাসে খুজছে তার হিসাব। সেজন্য অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলসের সহায়তা নিতে হবে।

আবার এসইও টুলস এর ক্ষেত্রে ফ্রি ও পেইড ভার্সন রয়েছে।

অনলাইনে অনেক ইউটিউব ভিডিও কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস রয়েছে। তাদের ভিতর থেকে কয়েকটি জনপ্রিয় টুলস আমি উল্লেখ করে দিচ্ছি।

  • Google Keyword Planner (Free)
  • Google Trends (Free)
  • TubeBuddy (Chrome Extendsion) (Freemium)
  • Ahrefs Keywords Explorer (Paid)
  • Semrush (Paid)
  • keywordtool.io (Free)

ProTips: কিওয়ার্ড নির্বাচনের বেলায় আপনাকে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যাতে আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ডের কম্পিটিশন কম থাকে  এবং সেইসাথে সার্চ ভলিউম বেশি থাকে।

 যেহেতু কিওয়ার্ড রিসার্চ দিয়ে ইউটিউব ভিডিও এসইও শুরু হবে, সেজন্য কিওয়ার্ড রিসার্চের বেশি সময় দিতে হবে যাতে কিওয়ার্ড রিসার্চের কোন ভুল না হয়।

কিওর্য়াড অনুসন্ধানকারীকে বুঝুন

আপনাকে ভিডিও তৈরি করার আগে থেকেই বুঝতে হবে যে, ব্যবহারকারীর কেন বা কোন উদ্দেশ্য আপনার ভিডিওটি সার্চ ইন্জিনে খুজবে। যেটি এসইও এর পরিভাষায় “Search Intent” বলে। সেই অনুযায়ী আপনাকে আপনার ভিডিওটি তৈরি করতে হবে।

ProTips: ভিওয়াররা কেন বা কোন উদ্দেশ্য ভিডিওটি দেখছে তা জানতে  সেই টপিকের বেশি ভিউ এর ভিডিওগুলো ও বা কমেন্টগুলো দেখতে পারেন।

হাই এনগেজমেন্ট ভিডিও তৈরি করুন

ইউটিউব এর উদ্দেশ্য হলো তাদের প্লাটফর্মে ব্যবহারকারীদের বেশি সময় ধরে রাখা। এই কাজে যে ইউটিউব ভিডিও বা ইউটিউব চ্যানেল তাদেরকে সাহায্য করবে, তাদেরকে ইউটিউব ফ্রিতে প্রমোট করবে।

আমি এর আগেও বলেছি,  ভিডিও এংগেজমেন্ট হচ্ছে আপনার ভিডিওটি শতকরা কতজন লোক দেখার জন্য ক্লিক করছে, কতক্ষণ সময় ধরে দেখছে, কতজন লাইক, শেয়ার কমেন্ট করছে তার হিসাব।

আপনি যদি ইউটিউব ভিডিও টপে নিয়ে আসতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ভিডিওটি হাই এংগেজমেন্ট হতে হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে হাই এনগেজমেন্ট ইউটিউব ভিডিও তৈরি করবেন? চিন্তা করবেন না এখন আমি এই বিষয়ে সহজ ভাবে আপনাকে বুঝিয়ে দেবো।

# লম্বা ভিডিও প্রকাশ করুন

আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিওতে আপনার কম্পিটিটির এর চাইতে বেশিক্ষণ সময় আপনার ভিডিওতে ভিউআর কে ধরে রাখতে পারেন তবেই আপনার ইউটিউব ভিডিও ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করবে।

এজন্যই বেশিক্ষণ ভিডিওতে ভিউআর কে ধরে রাখার জন্য লম্বা ভিডিও প্রকাশ করা খুবই জরুরী।

উদাহরণস্বরূপ: আপনি একটি ভিডিও ১০ মিনিটের প্রকাশ করলেন, এবং আপনার কম্পিটিটর একটি ভিডিও ৫ মিনিটে প্রকাশ করল।

ধরুন, এই দু্ইটি ভিডিও ভিউয়াররা ২০ পার্সেন্ট করে দেখলো। তাহলে হিসাব গিয়ে দাঁড়ালো আপনার ভিডিও ভিউয়াররা ২ মিনিটি দেখলো এবং আপনার কম্পিটিটর এর ভিডিও ১ মিনিটি দেখল।

এখন প্রশ্ন হলো, কোন ভিডিওটি YouTube সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করবে?

অবশ্যই আপনার ইউটিউব ভিডিওটি রেংক করবে। কেননা আপনার ইউটিউব ভিডিওর ওয়াচ টাইম আপনার কম্পিউটার এর ওয়াচ টাইম বেশি।

আপনার ইউটিউব ভিডিওর ওয়াচ টাইম বেশি হওয়ায় গুগোল খুব সহজেই বুঝে নিবে যে আপনার ভিডিওতে ভালো কিছু রয়েছে। আর সেজন্যই কম্পিটিটর এর চাইতে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে ভিউয়াররা বেশি সময় দিচ্ছে।

আর দেখতে পারেন: 

#ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে বলুন

ইউটিউব ভিডিও দেখার সময় দর্শকরা যখন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে, তখন ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে একটি পজেটিভ সিগন্যাল যায়। যা ইউটিউব ইউটিউব এসইও তে ভালো কাজে দেয়।

এটি খুব একটি সহজ ব্যাপার ইউটিউব এর কাছে একজন দর্শকের কাছে যখন ভালো লাগে বা তার চাহিদা পুরন হয় তখন ঐ তারা ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে। ইউটিউব এটি খুব ভালো করে বুঝতে পারে যে একজন ভিওয়ার কিসের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল টা সাবস্ক্রাইব করে।

আপনি যদি আপনার দর্শকদের ভালো কিছু দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার কথা আপনার দর্শকরা শুনবে। সবাই না শুনলেও কিছু লোক হলেও শুনবে। তাই আপনার ইউটিউব ভিডিওতে আপনার ইউটিউব চ্যানেল কে সাবস্ক্রাইব করতে বলুন।

যখন আপনার দর্শকরা আপনার ইউটিউব ভিডিও দেখার সময় চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে,  তখন এই এংগেজমেন্টের কারণে ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনের কাছে একটি বার্তা যাবে যে, এই ইউটিউব ভিডিওটি ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এই কারণে আপনার ইউটিউব ভিডিওটি ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

#লাইক ও শেয়ার করতে বলুন

ইউটিউব ভিডিও এর লাইক, শেয়ার সরাসরি ইউটিউব ভিডিও রেঙ্কিং এর অন্যতম কারণ।

লাইক ও শেয়ার করার মাধ্যমে বুঝা যায় আপনার ইউটিউব ভিডিওটি ব্যবহারকারীদের কাছে কতটা ভালো লেগেছে।

আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আপনার ছোট ভাই যদি আপনার কাছে টাকা না চাই তাহলে আপনানি টাকা দেন?

দুই-একদিন হয়তোবা দিতে পারেন কিন্তু অবশ্যই সবসময় না।

সেই ভাবে আপনাকেও আপনার ইউটিউব ভিডিও কে আপনার দর্শকে বলতে হবে যে তারা যেন আপনার ইউটিউব ভিডিওটি লাইক ও শেয়ার করে দেয়।

আপনি যদি ইউটিউবে বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল গুলি দেখেন তাদের ইউটিউব ভিডিওতে আপনি দেখতে পাবেন, তারা তাদের দর্শকদের তাদের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওটিতে লাইক ও শেয়ার দিতে বলতেছে।

আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিওতে আপনার দর্শকদের কাছে লাইক ও শেয়ার চান, তাহলে আপনার ভিডিওতে লাইক ও শেয়ার পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যাবে।

তাই লজ্জা নয় আপনার ইউটিউব ভিডিও রেঙ্ক করতে চাইলে আপনাকে কাজ করে যেতেই হবে।

#ভিডিওতে কমেন্ট করতে বলুন

যখন ইউটিউব ভিডিওতে কমেন্ট আসে তখন ইউটিউব বুঝতে পারে যে, এই ইউটিউব ভিডিওটি দর্শকরা উপভোগ করতেছে বা ভালো এংগেজমেন্ট রয়েছে এই ভিডিওটির।

আমি ইউটিউব ভিডিও এসইও নিয়ে রিচার্জ করার সময় অনেক এসইও এক্সপার্ট দের ব্লগ ভিজিট করেছি। আমি তাদের ব্লগে দেখেছি যে তারা সরাসরি উল্লেখ করেছে ইউটিউব ভিডিওতে কমেন্ট সরাসরি রেঙ্কিং (Ranking) এর প্রভাব ফেলে।

তাই আপনার অডিয়েন্সদের কে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে কমেন্ট করতে বলুন।

ProTips: ইউটিউব ভিডিওতে কমেন্ট এর নিয়ে আসার জন্য আপনি আপনার অডিয়েন্স দেরকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারেন আপনার ইউটিউব ভিডিওতে বা তাদের মতামত জানতে চাইতে পারেন। এতে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে কমেন্ট করার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যাবে।

#CTR অপটিমাইজেশন করুন

CTR হচ্ছে আপনার ইউটিউব ভিডিওটি সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্টে বা সাজেস্টেড ভিডিও এ ইউটিউব কতৃক ভিউয়ারদের দেখানোর পর ক্লিক করার শতকরা হিসাব।

আপনার ইউটিউব ভিডিওতে যদি ক্লিক করার হার কম থাকে আপনার কম্পিটিটর এর তুলনায়, তাহলে কোনভাবেই আপনার ভিডিও আপনি ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনে বা ইউটিউব সাজেস্টেড ভিডিও এর টপে নিয়ে আসতে পারবেন না।

ইউটিউব ভিডিও CTR হচ্ছে অন্যতম একটি র‌্যাকিং ফেক্টর ইউটিউব ভিডিও রেঙ্ক করার জন্য। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার ইউটিউব ভিডিও ক্লিক করার হার (CTR) অপটিমাইজেশন করতে হবে খুব সতর্কতার সাথে এবং বেশি সময় নিয়ে।

আপনি ইউটিউব ভিডিও Click Through Rate (CTR) দুই ভাবে অপটিমাইজেশন করতে পারেন।

  1. আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ব্যবহার করে
  2. আকর্ষণীয় টাইটেল দিয়ে

আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ব্যবহার করে

একজন দর্শকে ইউটিউব ভিডিওটি দেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করে ইউটিউব ভিডিওর থাম্বনেইল। এবং একটি থাম্বনেইল একটি ইউটিউব ভিডিও সম্পর্কে ধারণা দিয়ে দেয় দর্শককে ভিডিও দেখার আগে থেকেই।

অবশ্যই ইউটিউব ভিডিওতে স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি Click Trough Rate (CTR) নিয়ে আসতে চাইলে ভিডিও টপিক অনুযায়ী একটি আকর্ষণীয় ইউটিউব ভিডিও থাম্বেল তৈরি করতে হবে।

আপনি যদি আকর্ষণীয় থামনেল তৈরি করতে না পারেন, তাহলে আপনি অভিজ্ঞ কোন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে হায়ার করতে পারেন আপনার ইউটিউব ভিডিও এর থাম্বনেইল তৈরি করার জন্য।

তাছাড়াও আপনি ইউটিউব ভিডিও এর থাম্বনেইল অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েবসাইট Canva.com এর মাধ্যমে খুব সহজেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে প্রফেশনাল ভাবে ইউটিউব ভিডিও এর থাম্বনেইল তৈরি করতে পারবেন। ইউটিউবে সার্চ করে বিগেনার লেভেলের ক্যানভা এর ভিডিও দেখতে পারেন।

Note: আর অবশ্যই ইউটিউব ভিডিও এর থাম্বনেইল ব্যবহার করার সময় উল্টা-পাল্টা ছবি ব্যবহার করা যাবে না বা অবাঞ্চিত কোন কথা থাম্বনেইল এর ভেতরে লেখা যাবে না।

আকর্ষণীয় টাইটেল দিয়ে

একজন দর্শক সবার আগে ইউটিউব ভিডিও এর যে জিনিসটি দেখে ইউটিউব ভিডিওতে ক্লিক করে তা হচ্ছে ইউটিউব ভিডিও টাইটেল। আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে ব্যবহারকারীকে বুঝে ইউটিউব ভিডিও টাইটেল অপটিমাইজেশন করতে হবে।

ইউটিউব ভিডিও এর টাইটেলে দেওয়ার পূর্বে আপনাকে আপনার ভিডিও এর সর্ম্পকিত যে ভিডিওগুলি ইতোমধ্যে ইউটিউব সার্চ ইন্জিনে র‌্যাংক করে আছে সেগুলি দেখতে হবে, যে তারা কিভাবে তাদের টাইটেল লিখেছে।

টাইটেলে আপনি সেরা, জনপ্রিয়, বা সাল উল্লেখ্য করতে পারেন এতে ক্লিক করার সম্ভবনা বেড়ে যায়। নিচে আমরা আর টাইটেল নিয়ে আলোচনা করেছি।

সঠিকভাবে ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন করুন

ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন মানে হচ্ছে আপনার ভিডিও সম্পর্কে ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনকে স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া। ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনকে বুঝিয়ে দিতে হবে ইউটিউব এর যত সম্পর্কিত ভিডিও আছে তার মধ্যে আপনার ইউটিউব ভিডিওটি সবচেয়ে ভালো।

নিচে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি কিভাবে আপনাকে ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন করতে হবে। ভালো করে নিচে দেখুন।

ভিডিও ফাইল রি-নেইম করুন

আমরা যখন একটি ভিডিও তৈরি করি তখন সাধারণত video1234.MP4, V12123.avi এরকম ডিফল্ট নামে থাকে। এভাবে ভিডিও ফাইল নেম দিয়ে যদি আপনি ইউটিউব ভিডিও আপলোড করেন তাহলে আপনার ইউটিউব ভিডিও এসইও ফ্রেন্ডলি আপলোড হবে না। এতে আপনার ইউটিউব ভিডিওটির ফাইল নেম ইউটিউব এসইওতে নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলবে।

আপনাকে আপনার ইউটিউব ভিডিও আপলোড করার পূর্বে আপনার ইউটিউব ভিডিওর ফাইল নামটি আপনার টার্গেট কিওয়ার্ড দ্বারা রিনেম (Rename) করতে হবে। নিচে দেখুন কেমন হবে।

video1234.MP4, V12123.avi হবে, আপনার-কিওর্য়াড.MP4, আপনার-কিওর্য়াড.avi

আকর্ষণীয় ভাবে শুরু করুন

একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ইউটিউব ভিডিওতে প্রথম ১০ সেকেন্ডর ভিতরেই শতকরা ২০ জন দর্শক ভিডিও স্কিপ করে চলে যায়।

এজন্য আপনাকে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে আকর্ষণীয় কিছু বলতে হবে বা উল্লেখ করতে হবে যাতে দর্শকরা ভিডিওটি দেখার জন্য আগ্রহী হয়।

ProTips: আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিওর গুরুত্বপূর্ণ অংশটি কার্ট করে ভিডিওর শুরুতে দিতে পারেন।  তাহলে খুব সহজেই দর্শকরা বুঝতে পারবে আপনার ভিডিওতে কি রয়েছে বা আপনার ইউটিউব ভিডিওটি কাদের জন্য।

ভিডিও টাইটেল

আবারো বলছি ইউটিউব ভিডিও রেঙ্ক করার জন্য ইউটিউব ভিডিও টাইটেল সঠিকভাবে অপটিমাইজেশন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আপনার ভিডিওতে কেউ যদি ক্লিকই না করে তাহলে দেখবে কে?

আমি শতভাগ নিশ্চিত দিয়ে বলতে পারি যদি আপনি সঠিকভাবে আপনার ইউটিউব ভিডিও টাইটেল অপটিমাইজেশন না করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ভিডিওর আশানুরূপ ভিউ পাবেন না।

ভিডিও টাইটেল অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি আপনার মাথায় রাখতে হবে, সেটি হচ্ছে আপনার ভিডিও এর ফোকাস কিওয়ার্ড। অর্থাৎ আপনি যে কিওয়ার্ড এর উপর নির্ভর করে আপনার ইউটিউব ভিডিওটি তৈরি করেছেন সেটি আপনার ভিডিও এর টাইটেল এর শুরুতে রাখুন।

নিচের ছবিতে ৪জন ইউটিউব ভিডিও এসইও এক্সপার্টদের ভিডিও টাইটেল দেখুন, সেখানে ০৩জন তাদের টার্গেট কিওর্য়াড তাদের ভিডিও এর টাইটেলের শুরুতে ব্যবহার করেছে।

ইউটিউব এসইও কিওর্য়াড
টাইটেলে কিওর্য়াড ব্যবহার

ভিডিও এর টাইটেল কমপক্ষে পাঁচটি শব্দের বেশি লিখবেন। সেইসাথে সাবলীল ভাষায় গুছিয়ে লিখবেন যাতে দর্শকরা আপনার ভিডিও দেখার পূর্বে টাইটেল দেখে সহজে আপনার ভিডিও সম্বন্ধে একটি ধারণা অর্জন করতে পারে ও আপনার ভিডিওটি দেখার জন্য আগ্রহ তৈরি হয়।

ভিডিও ডিসক্রিপশন

আপনার ইউটিউব ভিডিও ডেসক্রিপশন ইউটিউব ভিডিও রেঙ্কিং এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইউটিউব ভিডিও ডেসক্রিপশন ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন কি বুঝতে সহায়তা করে আপনার ইউটিউব ভিডিওটি কোন বিষয়ে তৈরি করা হয়েছে বা কাদের আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিওটি দেখাতে চাচ্ছেন।

সেজন্য আপনাকে খুব গুরুত্ব সহকারে সময় দিয়ে আপনার ইউটিউব ভিডিও ডিস্ক্রিপশন অপটিমাইজেশন করতে হবে।

  • প্রথম ২৫ শব্দের ভেতরে আপনার টার্গেট কিওয়ার্ড রাখতে হবে।
  • কমপক্ষে ভিডিও এর ২৫০ শব্দের ডিসক্রিপশন লিখতে হবে।
  • ২-৫ বার আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ড ডিসক্রিপশন এ ব্যবহার করুন।
  • আপনার ভিডিও সম্পর্কিত রিলেটেড কিওয়ার্ডও ব্যবহার করতে পারেন।

Note: ভিডিও ডিসক্রিপশন এ বারবার টার্গেটের কিবোর্ড ব্যবহার করা যাবে না তাহলে আপনার ইউটিউব ডিসক্রিপশন টি স্প্যাম এর আওতায় চলে যাবে। এতে লাভ হওয়ার চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ট্যাগ

ইউটিউব ভিডিও ট্যাগ ইউটিউব ভিডিও এসইওতে ওতটা বেশি কার্যকরী নয়। তবে ইউটিউব ভিডিও রেঙ্কিং এর ক্ষেত্রে কিছুটা সহায়তা করে থাকে।

নিচে দেখুন ইউটিউব ভিডিও ট্যাগ অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে আপনাকে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে:

  • প্রথম ট্যাগ এর ভিতর আপনার টার্গেট কিওয়ার্ড রাখুন যেমন: যদি আপনার ইউটিউব ভিডিও হয় ইউটিউব এসইও তাহলে আপনার প্রথম ট্যাগটি হবে ” ইউটিউব এসইও”
  • ঘুরিয়ে পেচিয়ে আরো ট্যাগ গুলিতে আপনার টার্গেটড কিওয়ার্ড কে ব্যবহার করুন যেমন: ” ইউটিউব ভিডিও এসইও করার নিয়ম” ” ইউটিউব ভিডিও এসইও ২০২২”
  • আপনার ভিডিওর সাথে সম্পর্কিত আরো কিছু কিওয়ার্ড আপনার ইউটিউব ভিডিও ট্যাগে ব্যবহার করুন। যেমন: “YouTube SEO Bangla Tutorial” “YouTube SEO Bangla”

ইউটিউব ভিডিও ট্যাগ শুধুমাত্র ইউটিউব ভিডিও রেঙ্কিং হেল্প করেনা, তাছাড়াও ইউটিউব ভিডিও সাজেস্টেড লিস্টে আসতে সহায়তা করে।

আমরা ইউটিউবে যে ভাইরাল ভিডিওগুলি দেখি, সেগুলির বেশিরভাগ ভিউস আসে সাজেস্টেড ভিডিও থেকে। তাই আপনাকে আপনার ভিডিও ভাইরাল করার জন্য সঠিকভাবে আপনার কম্পিটিটরের ইউটিউব ভিডিও এর ট্যাগ ব্যবহার জানতে হবে।

আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিওতে কম্পিটিটরের ব্যবহৃত ট্যাগগুলি ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভয় পাবার কিছু নেই।

আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিওতে কম্পিটিটর (Competitor’s) এর ভিডিওগুলি ট্যাগ (Tag) সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে যখন ইউটিউবে দর্শকেরা আপনার কম্পিউটিটরের এর ভিডিও গুলো দেখবে, সেসময় ইউটিউব তাদের সাজেস্টেড ইউটিউব ভিডিওতে আপনার ইউটিউব ভিডিওটি দেখাবে।

ProTips: কম্পিটিটরের ইউটিউব ভিডিও এর  Tag দেখার জন্য “Tubebuddy Extension” টি আপনার ব্রাউজারে অ্যাড করে নিতে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার ইউটিউব ভিডিওর জন্য ট্যাগ জেনারেট করাসহ দেখতেও পাবেন।

ভিডিও প্রকাশের সঠিক সময় নির্বাচন করুন

আপনার ইউটিউব ভিডিও আপলোড করার শুরুর সময়টা অনেক গুরত্বপূর্ণ আপনার ইউটিউব ভিডিও রেঙ্ক করার ক্ষেত্রে। তাই আপনাকে বুঝে শুনে আপনার ইউটিউব ভিডিও আপলোড করতে হবে আপনার অডিয়েন্সের সময় বুঝে।

যেমন ধরুন আপনি বাংলাদেশ টার্গেট করে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করেন। এখন যদি আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিও রাত ১:০০ সময় আপলোড করেন তাহলে কেমন হবে?

তাহলে অবশ্যই আপনার টার্গেট অডিয়েন্স সঠিকভাবে অনলাইনে আপনি পাবেন না। আর আপনি যদি আপনার সন্ধ্যা ০৭ টার দিকে আপলোড করেন তাহলে কেমন হবে?

তাহলে অবশ্যই আপনার টার্গেট অডিয়েন্স বেশি পাওয়ার সম্ভবণা থাকবে। তারা যখন আপলোড হওয়ার শুরুতে আপনার ভিডিও লম্বা সময় দেখবেন, লাইক, শেয়ার করবেন তখন আপনার ইউটিউব ভিডিওতে ইউটিউব এসইও এর ভালো প্রভাব পড়বে। আপনার ভিডিওতে বেশি ভিউ আসার পাশাপাশি ভাইরাল হবার সম্ভবনা বেড়ে যাবে।

ইউটিউব ভিডিও শেয়ার করুন

আবারও বলি, ইউটিউব ভিডিও শেয়ার ইউটিউব ভিডিও এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার সম্ভাবনা তৈরি করে। যখন একটি ইউটিউব ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হয় তখন ইউটিউব খুব সহজে বুঝতে পারে যে এই ভিডিওটি কোয়ালিটি সম্পন্ন এবং দর্শকদের ভালো লাগতেছে।

তখন অটোমেটিক ভিডিওটিকে ইউটিউব রেঙ্কিয়ে এগিয়ে নিয়ে আসে। এজন্য আপনাকে শুরুতে আপনার ভিডিও আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধদের কে বলুন আপনার ভিডিও শেয়ার করতে বা আপনার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্টে শেয়ার করুন।

শূন্য সাবস্কাইবারে কিভাবে ইউটিউব ভিডিও প্রমোট করবেন

প্রায় সকল ইউটিউব চ্যানেল এর শুরুতে তেমন একটা ভিউ তাদের ইউটিউব ভিডিওতে নিয়ে আসতে পারে না। কারন শুরুতে তাদের চ্যানেলে সাস্কাইবার কম থাকার পাশাপাশি তেমন পরিচিতি থাকেনা।

এই কথা মাথায় রেখে এখানে আমি কিছু টিপ্স শেয়ার করব, যে কিভাবে আপনি অনেক কম সাবস্কাইবার থাকা সত্বেও আপনার ভিডিওটি প্রমোট করে ভিউস নিয়ে আসবেন।

ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করে

আমি যখন ২০১৭ সালে ইউটিউবিং শুরু করি তখন আমি এই কাজটি করতাম। আমি ২টি ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করার মাধ্যমে আমি আমার নতুন ইউটিউব ভিডিওতে ১ম দিনে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ ভিউস নিয়ে আসতাম।

ফেসবুক গ্রুপে ইউটিউব ভিডিও শেয়ার করার মাধ্যমে ভিউস নিয়ে আসতে চাইলে আপনাকে ফেসবুকে যে সকল গ্রুপে ভিডিও পোস্ট করলে এপ্রুভ করেছে সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এবং সেখানে গিয়ে খুব ভালোভাবে ভিডিওর বর্ণনা দিয়ে ভিডিওটি শেয়ার করতে হবে।

একটু সহজ ভাবে বলি,

আপনি যদি ৫ টি গ্রুপ খুঁজে বের করতে পারেন এবং প্রত্যেক গ্রুপ থেকে ১০ টা করে ভিউস নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে আপনার একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও এর ভিউস কোথায় গিয়ে দাড়াবে?

একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেলের জন্য এই ভিউ অনেক কাজে দিবে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ProTips: তাছাড়াও আরো অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনার ইউটিউব ভিডিও লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে ইউটিউব ভিডিও ভিউ বাড়াতে ও সাবস্ক্রাইবার পেতে পারেন। যেমন: টুইটার, লিংকডিন, ইনস্টাগ্রাম,পিন্টারেস্টসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

ইউটিউব ভিডিও এসইও এর সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে ভিডিও কোয়ালিটি। আপনার ইউটিউব ভিডিও যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন না হয় তাহলে আপনি ইউটিউব ভিডিওতে যতই এর বাহিরে এসইও করেন না কেন কোন কাজ হবে না।

আমি অনেক ইউটিউব ভিডিও দেখেছি যেগুলোতে এসইও পরিপূর্ণভাবে এপ্লাই না করা সত্ত্বেও, ভিডিও ভাইরাল হয়েছে শুধুমাত্র কোয়ালিটি ভিডিও এর কারণে অর্থাৎ ওই ভিডিওগুলি ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম ছিল।

তাই একজন ইউটিউবার হিসেবে সবার আগে কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি করার ব্যাপারে মনোনিবেশ করা উচিত।

শেষ কথা, 

“ইউটিউব ভিডিও এসইও” সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার যদি “YouTube Video SEO Bangla” সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনি আমাদেরকে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান।

আর অবশ্যই আমাদের পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং অনলাইনে ইনকাম করে প্রার্থীদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনাদের মন্তব্য ও শেয়ার আমাদের কাজ করাকে অনুপ্রাণিত করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top