সফটওয়্যার কি? কত প্রকার, কিভাবে তৈরি করে (বিস্তারিত জানুন)

সফটওয়্যার নামটি হয়তো কমবেশি সকলেই শুনেছেন। সফটওয়্যার মানে কি বা সফটওয়্যার কি এই সম্পর্কে সামান্য ধারণা হয়তো অনেকেরই আছে।বর্তমান যুগ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ। আমরা এখন অনেকেই স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার এবং ডেক্সটপ এই সকল প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করে থাকি।

আর এই সকল প্রযুক্তিগুলো সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।তাই সফটওয়্যার সম্পর্কে আমাদের ভেতরে সঠিক জ্ঞান থাকাটা জরুরী। আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে সফটওয়্যার কি, সফটওয়্যার কিভাবে বানায় এবং সরকারের প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করবো।

সফটওয়্যার কি /What is software

আপনি অনলাইনে যে কাজই করুন না কেন কোন না কোন সফটওয়ারের মাধ্যমে আপনাকে সেটি করতে হয়। ধরুন আপনি এখন আর্টিকেল পড়ছেন এটাও কিন্তু আপনি কোন না কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করে পড়ছেন। এই ক্ষেত্রে আপনি যদি ওয়েব ব্রাউজার থেকে আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে এর সফটওয়্যার হচ্ছে ওয়েব ব্রাউজার।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, সফটওয়্যার হলো কিছু ডাটা এবং কম্পিউটারের নির্দেশের সংগৃহীত মিশ্রণ যেটা সাধারণত একটি প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পিউটারকে যেকোনো কাজের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে থাকে।

অর্থাৎ এই সফটওয়্যারে কোন কম্পিউটারকে সে কিভাবে কাজ করবে তার নির্দেশ দিয়ে থাকে। আর এই সফটওয়্যার গুলো বিভিন্ন ধরনের কার্যপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে।কম্পিউটার সফটওয়্যার বিহীন কোন কাজ নিজে থেকে করতে পারবেনা। এককথায় সফটওয়্যার বাদে কম্পিউটার হচ্ছে অচল।আশা করি সফটওয়্যার কি বা সফটওয়্যার কাকে বলে বা সফটওয়্যার মানে কি সেই সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন।
সফটওয়্যার কেন দেখা যায় না/What is software in bangla

সাধারণত আপনারা কোন সময় সফটওয়্যার চোখে দেখতে পারবেন না বা হাতে স্পর্শ করতে পারবেন না। কেননা সফটওয়্যার তৈরি করা হয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের কোড এবং কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে।

তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে কোড বা কম্পিউটারে ল্যাঙ্গুয়েজ এর কোনো শারীরিক গঠন হয় না। তবে সফটওয়্যার তৈরি করার ক্ষেত্রে যেসব কোডগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা যায়। আর এর কারণেই সফটওয়্যার বানানো সম্ভব হয়।

আরও দেখুন: 

সফটওয়্যার এর কাজ কি (What is the function of software)

সাধারণত সফটওয়ারের কাজ কি বলতে বোঝানো হয়ে থাকে আপনি কোন কাজে সফটয়্যার টিকে ব্যবহার করছেন তার ওপর। যেমন কম্পিউটারের ক্ষেত্রে যে কোন কাজ করার জন্য অবশ্যই সফটওয়ারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কেননা কম্পিউটার সম্পূর্ণ ভাবেই সফটওয়্যার এর উপর নির্ভরশীল।

একটি কম্পিউটারের ভেতর অসংখ্য ধরনের সফটওয়্যার থাকে। আর এখানে প্রযুক্তি সফটওয়্যার কোন না কোন নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে তাই কাজের প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে সফটওয়ারের কাজ ভিন্নতর হতে পারে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে সফটওয়ারের কাজ হচ্ছে মূলত বিভিন্ন ধরনের জোট এ কাজগুলোকে সহজ করে তোলা।

সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার এর মধ্যে সম্পর্ক

সফটওয়্যার কি সে সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আপনাদের এতক্ষণে হয়ে গিয়েছে। এবার জানবেন হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার এর মধ্যে সম্পর্ক কেমন।

কম্পিউটার সিস্টেমকে যদি সঠিকভাবে কাজ করতে হয় তাহলে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়ার্ক গুলো কে একসাথে অর্থাৎ তালে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। কম্পিউটার শুধুমাত্র সফটওয়্যার এর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে পারবে না যদি না সেটি হার্ডওয়ার এর সাথে সংযুক্ত থাকে।

তাই কোন নির্দিষ্ট কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে থাকা হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার একে অপরের উপযোগী হয়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরী। যদি কম্পিউটারের ভিতরে থাকা সফটওয়্যার গুলো পরিবর্তন করে দেয়া হয় তাহলে হার্ডওয়ারগুলো অন্য রকম কাজ করবে।

সফটওয়্যার কত প্রকার? (How many types of software?)

প্রকারভেদ এর দিক থেকে যদি হিসাব করা যায় তাহলে সফটওয়্যার মূলত দুই ধরনের।

১.সিস্টেম সফটওয়্যার

২.এপ্লিকেশন সফটওয়্যার

সাধারণত সফটওয়্যার কে এই প্রধান দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এরমধ্যে থেকে অনেক ধরনের সফটওয়্যার এর উৎপত্তি বর্তমানে হচ্ছে।

সিস্টেম সফটওয়্যার কি?

সাধারণত এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো কম্পিউটারের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম এবং হার্ডওয়ার চালানোর জন্য সাধারণত ডিজাইন করা হয়ে থাকে।সিস্টেম সফটওয়্যার হল কম্পিউটারের ব্যবহার করা এমন এক ধরনের সফটওয়্যার যার মাধ্যমে কম্পিউটারের হার্ডওয়ার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে ইন্টারফেস তৈরি করে।

সিস্টেম সফটওয়্যার হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার এর কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সহজভাবে বলতে গেলে,এটি কম্পিউটার হার্ডওয়ার এর কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং অন্যান্য সকল ধরনের সফটওয়্যার এর কাজ করার জন্য একটি পরিবেশ বা প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়ে থাকে।আশাকরি সিস্টেম সফটওয়্যার কি আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন।

তাছাড়া কার্যকলাপ হিসেবে দেখতে গেলে সিস্টেম সফটওয়্যার এর বিভিন্ন প্রকার এবং ভাগ রয়েছে। এই দিক থেকে বিবেচনা করলে সিস্টেম সফটওয়্যার কে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যেমনঃ

➡️কম্পিউটার ম্যানেজমেন্ট এর ক্ষেত্রে

➡️ডেভলপিং সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে

তাহলে চলুন এবার এই দুটি ভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

১.Computer management sofotware

কম্পিউটারের বিভিন্ন কার্যকারিতা ম্যানেজ, অপটিমাইজ এবং মনিটর করার ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার কাজ করে থাকে যাতে এর কার্যক্ষমতা অপটিমাইজ করা যেতে পারে।এই দিক থেকে হিসেব করলে কম্পিউটার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার কে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

➡️Operating System

➡️Utility software

➡️Device Driver

Operating System

সাধারণত অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ হল কম্পিউটারকে ম্যানেজ করা। কম্পিউটার কোন কাজ করবে,কোন ডাটা কোথায় ম্যানেজ করবে, কোন ডাটা কোথায় সেভ করবে, কোন প্রোগ্রাম চলবে এবং কোনটা চলবে না এবং প্রোগ্রামগুলো কিভাবে কাজ করবে এই গুলো দেখভাল করে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেমের কাজ হচ্ছে হার্ডওয়ার ও কম্পিউটারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন ইউজারদেরকে হার্ডওয়ার ব্যবহার করতে সাহায্য করা।

সাধারণত একটি সম্পূর্ণ কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য যে সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হয় সেটি হচ্ছে operating system software.

আর এই ক্ষেত্রে Os এর দ্বারা কম্পিউটার হার্ডওয়ার এর মাঝে একটি ইন্টারফেস তৈরি করা হয় যার মাধ্যমে দুজনই পরস্পর যুক্ত হয়ে কাজগুলো করতে পারে।

অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার যদি না থাকে তাহলে কোন ভাবে কম্পিউটার চালানো সম্ভব নয়। কেননা কম্পিউটার যখন চালু হবে তারপর থেকেই কম্পিউটারে থাকা অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন ধরনের কাজ শুরু করে দেয়।যেগুলো কাজ না করলে কম্পিউটার চালানো সম্ভব নয়।অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার এর কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলোঃ-

★Windows Os

★mac os

★Android

★Liniux

তাহলে এতক্ষণে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার কি বা কাকে বলে।

Device Driver Software

সাধারণত এটি একটি হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার এর মাঝে অনুবাদক হিসেবে কাজ করে থাকে।ডিভাইস ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে ডিভাইস এবং সফটওয়্যার এর মাঝে একটি অন্তর্বর্তী হিসাবে device driver মূলত কাজ করে থাকে।

ধরুন আপনি আপনার কম্পিউটারে একটি নতুন প্রিন্টার প্রথমবারের জন্য সংযোজন করছেন তাহলে আপনার এই ক্ষেত্রে প্রিন্টার এর সাথে cd/dvd যে ডিভাইসটির দেয়া হয় সেটি হচ্ছে device Driver.

তাছাড়া কম্পিউটারের কিবোর্ড, মাউস, স্পিকার, প্রিন্টার, ইত্যাদি যেকোনো হার্ডওয়ার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে device driver সফটওয়ারের প্রয়োজন হয়ে থাকে।

Utility software

কম্পিউটারকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি এড়াতে এবং এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য utility software এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর কিছু সিস্টেম ইউলিটি সাধারণত কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের সাথে দেওয়া হয়ে থাকে।

আর অন্যান্য যেসকল ইউটিলিটি সফটওয়্যার রয়েছে সেগুলো আমাদের আলাদা ভাবে কম্পিউটারে যোগ করতে হয়। এর মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম এবং ডাটাগুলোর কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নিতে পারি।আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য নিচে কয়েকটি সিস্টেম সফটওয়্যার এর উদাহরণ দেওয়া হলো:-

antiviras utiliteies

Disk compression software

Disk cleaner

Backup utility

Network management utility software

আরও দেখতে পারেন:

২. Developing Software

ডেভলপিং সফটওয়্যার সাধারণত কম্পিউটারে থাকা অন্যান্য সফটওয়্যার গুলোর উন্নয়নের জন্য কাজ করে থাকে। আর এই ডেভোলপিং সফটওয়্যার গুলো কে সাধারনত চারভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে।যেমন:-

★programing launguage

★Translator

★Linker

★Loader

ডেভলপিং সফটওয়্যার কে এই চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তাই ডেভলপিং সফটওয়্যার সম্পর্কে যদি সঠিক ধারণা নিতে চান তাহলে এই চারটি ভাগ সম্পর্কে ধারণা নেওয়া জরুরি।

Programing language

যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন তারা অনেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কি সে সম্পর্কে মোটামুটি জানেন। কম্পিউটারের প্রোগ্রাম গুলো লেখার ক্ষেত্রে যে ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বলা হয়ে থাকে।

সাধারণত এইসব ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে কম্পিউটারকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে কম্পিউটার তাই করে।প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ গুলোতে কিছু হাই লেভেলের ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনঃ-

★Basic

★Cobol

★C+++

★Java

★Python

তাছাড়া এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো কেউ আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।যেমনঃ-

১. Machine language

২.Assembly Language

৩.High level language

Translator

সাধারণত এই সফটওয়্যার গুলো কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে হাই লেভেল ল্যাংগুয়েজ এবং অ্যাসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজ এর লেখা প্রোগ্রামগুলোকে একটি ধরনে রূপান্তরিত করতে যাতে করে কম্পিউটারের লেখাগুলো খুব সহজেই বুঝতে পারে। আবার এই সফটওয়্যার গুলোকেও তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ-

১.Assembler

২.Compiler

৩.Interpreter

Linker software

সাধারণত বিভিন্ন আলাদা আলাদা অবজেক্ট মডিউলেস এবং libraries একটি সিঙ্গেল প্রোগ্রামের সাথে লিঙ্ক করার কাজ করে থাকে এই linker softwaresoftware.তাহলে এতক্ষণে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে লিংকার সফটওয়্যার কাকে বলে।

Loader software

লোডার সফটওয়্যার গুলো সাধারণত exectuble প্রোগ্রামগুলোকে মেইন মেমরিতে লোড বা রিলোড করার কাজ করে থাকে।আর লোডার সফটওয়ারের কাজই হচ্ছে মূলত এটা।

What Is application software/এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি

এপ্লিকেশন সফটওয়্যার হল মূলত এক ধরনের কম্পিউটার সফটওয়্যার প্যাকেজ যা ব্যবহারকারীর জন্য বা কিছু ক্ষেত্রে অন্য অ্যাপ্লিকেশনের জন্য একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে থাকে।

সহজভাবে বলতে গেলে, যে সফটওয়্যার গুলো সাধারনত বিশেষ ধরনের নির্দিষ্ট এবং সিঙ্গেল কাজ তৈরি করার জন্যই মূলত তৈরি করা হয়ে থাকে তাকে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়।অর্থাৎ যেকোন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়ে থাকে।উদাহরণস্বরূপ যদি বলা যায়:-ধরুন আধুনিক কম্পিউটারের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করার জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড বা ইনস্টল করেছেন।এই ক্ষেত্রে আপনি যে অ্যাপটি ইন্সটল করছেন বা ডাউনলোড করছেন সেটি হচ্ছে এক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার।

এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:-

➡️Photoshop

➡️Media player

➡️firebox,Safari,Chrome

➡️Ms Office

➡️Windows media player

আশাকরি এতক্ষণে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি কি বা এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কাকে বলে এই সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

সফটওয়্যার কিভাবে বানানো হয়/সফটওয়্যার কিভাবে তৈরি করে

আপনারা এতক্ষণের সফটওয়্যার কি ও কত প্রকার এই সম্পর্কে মোটামুটি জেনে গিয়েছেন।কম্পিউটার সফটওয়্যার যারা তৈরি করে থাকেন তাদেরকে প্রোগ্রামার বলে থাকে। তারা বিশেষ কিছু ভাষা ব্যবহার করে সফটওয়্যার তৈরি করে থাকেন। আর এই ভাষাকে বলা হয়ে থাকে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বা কম্পিউটারের ভাষা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটারের ভাষায় একটি সেই সম্পর্কেঃ-

কম্পিউটারের ভাষা কি?

আমরা এটা সকলেই জানি আমাদের সবারই নিজস্ব ভাষা রয়েছে।কম্পিউটারেরও এই ক্ষেত্রে নিজস্ব ভাষা রয়েছে যাকে বলা হয়ে থাকে কোডিং বা কম্পিউটারের ভাষা। সাধারণত কম্পিউটার ০-১ এই সংখ্যা দুইটির ছাড়া কোন কিছুই বোঝেনা। একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার বিভিন্ন সংখ্যা দিয়ে তৈরি করা হয় যেমন ০-১ প্রজন্ত আর এই সংখ্যাগুলো কে বলা হয়ে থাকে বাইনারি কোড।

আর এই কারনেই কম্পিউটার সিস্টেম সাধারণত বাইনারি কোড গুলোর মাধ্যমে দেওয়ার নির্দেশ বুঝতে পারে।তাছাড়া যারা সফটওয়্যার ডেভলপার রয়েছে তারা যখন সফটওয়্যার টা তৈরি করে থাকেন তারা বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করেন।

অর্থাৎ যারা বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে সফটওয়্যার তৈরি করে থাকেন তাদেরকে বলা হয়ে থাকে সফটওয়্যার ডেভেলপার বা প্রোগ্রামার।

বাইনারি কোড থেকে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ অনেক সহজ। তাই সফটওয়্যার ডেভেলপ করার ক্ষেত্রে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ টা কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। কম্পিউটারে থাকা প্রতিটি সফটওয়্যার কম্পিউটারের নির্দেশ দেওয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কাজ করাতে সাহায্য করে থাকে।অর্থাৎ কম্পিউটারের যে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সফট্ওয়ারে নির্দেশনা নেওয়া লাগে।

সফটওয়্যার এর গুরুত্ব কতটা/Importance of Software

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ চালানোর জন্য সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়ে থাকে। কেননা সফটওয়্যারই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে নির্দেশনা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে।

অর্থাৎ সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার কোন ধরনের কাজই করতে পারেনা। আমাদের দেহের সাথে মস্তিষ্কের যেমন সম্পর্ক কম্পিউটারের সাথেও ঠিক সেই সম্পর্ক।যার কারণে কম্পিউটারের যেকোন ধরনের কাজের জন্যই সফটওয়ারের নির্দেশ নেওয়া লাগে।

তাহলে আর হয়তো বলা লাগবে না যে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ চালানোর ক্ষেত্রে সফটওয়্যার গুলোর ঠিক কতটা গুরুত্ব রয়েছে বা কতটা গুরুত্ব বহন করে থাকে।

সফটওয়্যার কিভাবে ডাউনলোড করে/সফটওয়্যার ডাউনলোড করার উপায়

আমাদের যখন যে সফটওয়্যারটি প্রয়োজন হয়ে থাকে তখন সেই সফটওয়ারটি অবশ্যই ডাউনলোড করতে হয়। ধরুন আপনার কম্পিউটার রয়েছে এবং আপনার কম্পিউটারে একটি বিশেষ কাজ করার জন্য কোন একটি সফটওয়্যার প্রয়োজন তাহলে সেটিকে আগে ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড হয়ে গেলে সেটি আপনার মেমোরিতে আসবে এবং পরবর্তীতে আপনি ইন্সটল করে সেই কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারবেন।

তাই অনেকেই এই প্রশ্নটা করে থাকেন কিভাবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন। তাহলে চলুন এবার সেই উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-

কম্পিউটার মাধ্যমে সফটওয়্যার ডাউনলোড করার উপায়

আমাদের কম্পিউটারের জন্য সফটওয়্যার দরকার হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করা লাগে। আমরা যখন এই সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করতে চাই আমাদের কোন না কোন ওয়েবসাইট থেকে এই সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড করতে হয়।

আপনি যদি কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সফটওয়্যার ডাউনলোড না করেন তাহলে সরাসরি গুগল প্লে স্টোর এর মাধ্যমে সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিতে পারেন। তবে আপনার কাঙ্খিত সফটওয়ারটির যদি গুগোল প্লেস্টরে না থেকে থাকে তাহলে এই সকল জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোর শরণাপন্ন হতে হয়।নিচের সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সেরা কয়েকটি ওয়েব সাইটের নাম দেওয়া হলো:-

১.FileHippo.com

২.Zdnet download

৩.Tucows.com

৪.Softpedia.com

৫.Soft32

যারা কম্পিউটারের জন্য সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে চান তারা চাইলে এই সকল জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলো থেকে সরাসরি আপনার প্রয়োজনীয় উক্ত সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা,

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে সফটওয়্যার কি বা সফটওয়্যার কাকে বলে এবং সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ সম্পর্কে আপনারা সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

আজকের এই পোস্টে আমি সফটওয়্যার সম্পর্কিত সকল বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তার পরেও যদি আপনাদের সফটওয়্যার সম্বন্ধে আর কোন প্রশ্ন থাকে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা আপনার প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।

আর আমাদের পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে শেয়ার করার মাধ্যমে অন্যদেরকে দেখার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top