ওয়েব ডিজাইন কি?: ওয়েব ডিজাইন শেখার পূনার্ঙ্গ গাইডলাইন

ওয়েব ডিজাইন কি? কিভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখবেন?:  অনলাইনে একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা বলে শেষ করা যাবে না। আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে অনলাইনে আপনার কাজে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

এই কথা বলতে পারি, একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনারের টাকার পেছনে ঘুরতে হয়না টাকা তার পেছনে ঘুরে।

তাই আপনার জন্য আমার কথা, আপনি যদি অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে চান আর ওয়েবসাইট সর্ম্পকে আপনার ঘাটা-ঘাটি করতে ভালো লাগে। তাহলে ওয়েব ডিজাইনার হতে মনোনিবেশ করতে পারেন।

আজকে আমরা ওয়েব ডিজাইন সর্ম্পকে জানার পাশাপাশি কিভাবে আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়বেন সে সম্পর্কে আলোচনা করব।

ওয়েব ডিজাইন কি ওয়েব ডিজাইন শেখার পূনার্ঙ্গ গাইডলাইন
ওয়েব ডিজাইন কি? ওয়েব ডিজাইন শেখার পূনার্ঙ্গ গাইডলাইন

আর্টিকেলে যা যা আছেঃ

ওয়েব ডিজাইন কি?

বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকের কথা চিন্তা করুন।

আপনি যদি ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুকে ঢুকেন তা ডেস্কটপ বা মোবাইল যেখান থেকে হোক না কেন আপনি প্রথমে দেখতে পান হোমপেজ। হোমপেজে আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড এর বিভিন্ন রকম ফেসবুক পোস্ট এবং আপনার লাইক করা পেজের ফিড দেখতে পান।

একদম উপরের দিকে থাকে মেসেজ অপশন এবং তার বাম দিকে থাকে সেন্ট রিকোয়েস্ট অথবা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট। আর মেসেজের ডান পাশে থাকে নোটিফিকেশন। 

ফেসবুকের পেজ ডিজাইন এর মূল রঙ কিন্তু শুধু নীল এবং সাদা রঙ এর কম্বিনেশন। ফেসবুকের লোগোও নীল এবং সাদা রঙ এর কম্বিনেশন। 

আপনার ফেসবুক খুলতেই আপনার হোমপেজে আসে এবং হোমপেজ থেকে বিভিন্ন পেজ এ যেতে পারেন। এই যে পেজের স্ট্রাকচার, কালার কম্বিনেশন, পেজের মধ্যে বিদ্যমান ফাকা জায়গা তৈরি করা এবং যেভাবে তৈরি করা হয়েছে পুরোটাই অন্তর্ভুক্ত ওয়েব ডিজাইনিং এর।

সুতরাং ওয়েব ডিজাইন কি এর জবাবে আমরা বলতে পারি, একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য ওয়েবসাইটের লেআউট, রঙ এর কম্বিনেশন, ফন্ট, টাইপোগ্রাফি ইত্যাদি সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করে ওয়েবসাইট কে একটি সুপরিকল্পিত রূপ দেওয়ার যে ব্যবস্থা তাই হচ্ছে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং।

আরো সহজ করে বলতে গেলে একটি ওয়েবসাইটকে ডিজাইন করে তাকে একটি স্ট্রাকচার্ড রূপ দেওয়া হলো ওয়েব ডিজাইনিং।

আর দেখুন: 

ওয়েব ডিজাইন শেখার উপকারিতাঃ

বর্তমানে বিশ্বের প্রায় 2 বিলিয়ন এর কাছাকাছি ওয়েবসাইট আছে। প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে এবং পুরাতন ওয়েবসাইটগুলোকে আপডেটের দরকার হচ্ছে।

অর্থাৎ প্রতিদিন এই ওয়েবসাইটের শুধু ডিজাইন এর জন্যই কত নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন কাজে যেমন ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ব্লগিং, পোর্টফোলিও এর জন্য প্রতিদিন ওয়েবসাইট গুলো খোলা হচ্ছে। 

এই যে এসব কাজের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়েবসাইট খোলা হচ্ছে এই ওয়েবসাইট গুলোর প্রতিটির দরকার সুন্দর ডিজাইন। একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন এর উপর নির্ভর করে ওয়েবসাইটে একজন ভিজিটর আসলে সে ওয়েবসাইট সর্ম্পকে কি ধারণা নিয়ে যাবে।

কোন ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট যদি খুব ভাল হয় কিন্তু ওয়েবসাইট এর ডিজাইনিং যদি ভালো না হয় তাহলে আসলে লাভ হবে না। কারণ ওয়েবসাইটের ডিজাইন যদি ভালো না হয় তাহলে ভিজিটর এর চোখে দৃষ্টি কটু লাগবে।

ফলে ওয়েবসাইট এ সে বেশিক্ষণ থাকা অথবা স্ক্রল করার আগ্রহ পাবে না এবং ওয়েবপেইজ থেকে চলে যাবে। 

আবার ওয়েবসাইট ডিজাইন যদি এমন করে করা হয় যে পেজ লোড হতেই অনেক সময় লাগে, তাহলে অনেকই বিরক্ত হয়ে হবে। তাই ওয়েবসাইট এর ডিজাইনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ যার উপর ভিজিটর দের ইম্প্রেশন নির্ভর করে।

পাশাপাশি ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখলে কর্মক্ষেত্রের অভাব হবে না ইনশা আল্লাহ। এই সেক্টর এ আছে ব্যাপক কর্মক্ষেত্র।

পাশাপাশি ব্লগিং বা পোর্টফোলিও বা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কেউ নিজের ওয়েবসাইট খুললে তার ডিজাইন সে নিজেই তৈরি করতে পারবে।

ফলে ডিজাইন যেমন সে তার ওয়েবসাইটে র কন্টেন্ট এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করতে পারে পাশাপাশি তার টাকাও সেভ হবে।

সুতরাং, ওয়েব ডিজাইনিং জানাটা যেমন কর্ম ক্ষেত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাশাপাশি নিজের জন্য কোন ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রেও তা কাজে লাগে। আমরা ওয়েবসাইটের কর্মক্ষেত্র নিয়ে পরে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ। 

ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে কি কি লাগেঃ

ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য আপনার প্রথমেই যা লাগবে তা হচ্ছে ল্যাপটপ বা পিসি এবং একটি দ্রুতগতির ইন্টারনেট কানেকশন। 

ইন্টারনেট কানেকশন যত দ্রুতগতির হবে ততো আপনার জন্য ভালো হবে। 

ইন্টারনেট কানেকশন দ্রুত গতি সম্পন্ন এজন্যও প্রয়োজন যে কিছু ওয়েব সাইট অথবা সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজে যেগুলো অনেক বেশি সময় নেয় লোড হতে। আপনি যদি দ্রুত গতির ইন্টারনেট কানেকশন ব্যাবহার করেন তবে এগুলো খুব দ্রুত লোড হবে।

ফলে আপনার সময় বাঁচবে পাশাপাশি কাজের গতি ও দ্রুততর হবে।

ওয়েবসাইট ডিজাইনের জন্য আপনার বাজেট ভাল থাকলে ল্যাপটপ কিনার পরামর্শ দিব। কেন্না ল্যাপটপ কিনে আপনি বিভিন্ন জায়গায় তা সহজে বহন করে নিয়ে যেতে পারবেন পাশাপাশি তা বিদ্যুৎ এর বিলও অনেক বাচাবে আপনার।

আপনার যদি বাজেট কম থাকে তবে আমি আপনাকে পিসি কেনার পরামর্শ দিব। ল্যাপটপ এর সাথে পিসি বা পার্সোনাল কম্পিউটার এর বেশ কিছু পার্থক্য আছে। 

যেমন একটি পিসির দাম তুলনামূলক কম হয়ে একই কনফিগারেশন এর ল্যাপটপ এর তুলনায়।

ল্যাপটপ আকারে ছোট হলেও একটা পিসি আকারে অনেক বড় হয়। 

পিসি এর যন্ত্রাংশগুলো তুলনামূলকভাবে বড় থাকে ফলে দাম কিছুটা কম হয়ে থাকে। ল্যাপটপের যন্ত্র গুলো অনেক ছোট হয়ে থাকে এবং সবচাইতে আধুনিক টেকনোলজির হয়ে থাকে ফলে দাম বেশি হয়ে থাকে।

ল্যাপটপ এ আপনার বিদ্যুৎ চলে গেলেও তা কাজ করতে সক্ষম হবে। আর পিসি তে বিদ্যুৎ চলে গেলে তা চালানোর জন্য আলাদা করে ইউপিএস কিনতে হবে আপনাকে।

এসব সুবিধা অসুবিধা বিবেচনা করে ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য কিনে নিন একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার যা আপনার বাজেটের মধ্যে সম্ভব।

এছাড়াও বাজারে অল্প দামে অনেক সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ বা পিসি পাওয়া যায়। আপনি অল্প দামে এগুলো কিনতে পারেন। 

আপনার প্রসেসর কেনার সময় কমপক্ষে আই ফাইভ এর নিচে প্রসেসর কেনা উচিত না। বিশেষ করে আপনি ইন্টেল, বা  এমডি রাইজেন এর কোর আই থ্রি ধরনের প্রসেসর গুলো কিনবেন না। 

কারণ ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য বিশেষ করে ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য যেখানে আপনার বিভিন্ন রকম সফটওয়্যার সংগ্রহ করা, ছবি জুড়ে দেওয়া, ভিডিও জুড়ে দেওয়া ইত্যাদির প্রয়োজন হয় সেগুলোর জন্য কোর আই থ্রি প্রসেসর মোটেই যথেষ্ট নয়। 

আপনি যত উন্নত প্রসেসর কিনবেন ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য তা ভালো হবে। 

কনফিগারেশন এর ক্ষেত্রে আপনি আরও যা করতে পারেন তা হল এইচডিডি এর বদলে এসএসডি লাগিয়ে নিবেন বা এসএসডি কিনবেন। এসএসডি লাগানোর ফলে কম্পিউটারের গতি দ্রুত হবে এবং গ্রাফিক্স কার্ড নিলেও তা ওয়েব ডিজাইন এর জন্য ভাল হবে।

অবশ্যই দেখুন: 

ওয়েবসাইট ডিজাইন যেভাবে করা হয়ঃ

তারপর আপনি কোন ধরনের ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে চান তা বেছে নিতে পারেন। যেমন একটি সহজ উপায় হল টেমপ্লেট। 

টেম্পলেট দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করা খুবই সহজ কাজ। টেম্পলেটে এ বলেন বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন দেওয়াই থাকে যেখানে আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট ওই টেম্পলেটে বসিয়ে দিলেই ওয়েবসাইট ডিজাইন হয়ে যাবে। 

যেমন ধরুন একটি ওয়েবসাইটের হোম, কালেকশন, পলিসি, সার্চ ইত্যাদি কোথায় থাকবে তা একটি দিয়ে একটি টেম্পলেট বানানো আছে। এখন আপনার আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট ওইখানে বসাতে হবে শুধু।

টেম্পলেটে খুব সহজ অল্প পরিশ্রমে আপনি একটি ওয়েবসাইট এর প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন। কিন্তু কিছু সমস্যাও আছে টেম্পলেট দিয়ে ডিজাইন এর ক্ষেত্রে।

তার মধ্যে একটি হলো আপনি নতুন করে কোন ওয়েবসাইট এর মাঝে ডিজাইন এড করতে পারবেন না। ওয়েবসাইটের টেম্পলেটে যতটুকু ডিজাইন আছে তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। 

টেম্পলেট ছাড়াও আপনি থিম দিয়ে ওয়েব ডিজাইনিং করতে পারেন। অনেক ধরণের থিম আছে যেগুলো দিয়ে আপনি ওয়েব ডিজাইন করতে পারেন।

থিম দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন এ আপনি অনেক বেশি কাজ করার স্বাধীনতা পাবেন টেম্পলেট এর তুলনায়। ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট গুলো নিজের মত সাজাতে পারবেন।

যারা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেমন পাইথন বা সি++ জানেন না তাদের কে আমি ওয়েবসাইট ডিজাইন এর জন্য থিম ব্যবহারের পরামর্শ দিব। 

বিভিন্ন থিম এর বিভিন্ন রকম সুবিধা আছে।

যেমন নিভ থিম এর ফলে ওয়েবসাইট এর ডিজাইন খুবই সুন্দর হবে।

আবার এস্ট্রা থিম ব্যবহার করলে পেজ লোড হ এ তাড়াতাড়ি। এভাবে থিম ব্যবহার করে ওয়েব ডিজাইন এর জন্য কাজ করা যায়।

তবে ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য আপনি যদি  এইচটিএমএল এবং সিএসএস শিখেন তাহলে সবচাইতে ভাল হয়। তখন আপনি ওয়েব ডিজাইন এর পাশাপাশি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও করতে পারবেন এসব ল্যাংগুয়েজ শিখার ফলে।

এইচটিএমএল এবং সিএসএস শিখার ফলে আপনার ইচ্ছামত আপনার যখন যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেভাবে আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন।

সুতরাং আমি বলব আপনি যদি ওয়েবসাইট ডিজাইনার প্রফেশনাল লেভেলে হতে চান  তবে আপনার এইচটিএমএল সিএসএস ভাষা এবং থিম সম্পর্কে অন্ততপক্ষে প্রাথমিক কিছু জ্ঞান আহরণ করা উচিত। 

আর আপনি যদি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য করতে চান তবে থিম এর সাহায্য নিয়ে আপনি খুব সহজে অল্প সময়ে ভাল ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন ইনশা আল্লাহ।

আর দেখুন: 

ওয়েবসাইট ডিজাইনিং কোথা থেকে শিখবেনঃ

আপনারা এই লেখাটি পড়ে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং সম্পর্কে অনেক কিছু জানলেন। এখন ওয়েবসাইট ডিজাইন কিভাবে শিখা যায় তার জন্য আমি আপনাদেরকে একটি বিস্তারিত গাইড লাইন দিব।

এখানে ফ্রী কোর্স থেকে পেইড কোর্স থেকে শুরু করে বই থেকে ওয়েব ডিজাইন শেখা ইত্যাদি সবরকম ব্যবস্থা সম্পর্কে বর্ণনা থাকবে ইনশা আল্লাহ। 

 বাংলাদেশি ওয়েব ডিজাইনার দের থেকে শেখাঃ

বাংলাদেশে অনেক ভাল ওয়েব ডিজাইনার আছে যারা অর্থের বিনিময়ে ওয়েব ডিজাইন শিখিয়ে থাকেন। আপনি তাদের ওয়েবসাইট থেকে ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন।

এটা হল ওয়েব ডিজাইনিং শেখার জন্য বাংলাদেশে সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি৷ তবে আপনি যার কাছ থেকে ওয়েব ডিজাইনিং শিখবেন তার যোগ্যতা যাচাই করে নিবেন।

ওয়েব ডিজাইন কোর্সঃ

Udemy, Udacity মত বিভিন্ন অনলাইন একাডেমি আছে যেখান থেকে আপনি থেকে অল্প কিছু অর্থের বিনিময়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখতে পারেন। 

এখানে বিভিন্ন পেইড কোর্স থাকে এবং ওয়েবসাইটে প্রথমে আপনাকে ক্লাস করতে হবে। ওয়েব ডিজাইন কিভাবে করতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন এই কোর্স গুলো করলে ইনশা আল্লাহ।

এখানে ক্লাস গুলো করার পর আপনি যদি এই কোর্সগুলোর সার্টিফিকেট নিতে চান তবে আপনাকে এটার উপর একটি সুনির্দিষ্ট পরীক্ষা দিতে হবে।

অনলাইনে এসব পেড কোর্স করতে আপনাকে অনেক টাকা খরচ করতে হবে। কিন্তু এর বিনিময়ে আপনি যদি পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেটে নেন তবে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন।

যেমন আপনি আপনার সার্টিফিকেটের কলি লিংনকড ইন বা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এ আপনার বায়োগ্রাফির সাথে এড করে রাখলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজ বা চাকরি খুব সহজে পেয়ে যেতে পারেন।

ফ্রি ওয়েব ডিজাইন কোর্সঃ

courseera হল udemy, udacity র মতএকটি প্রতিষ্ঠান যেখানে বিভিন্ন পেইড কোর্স আছে। 

coursera থেকে আমি যা উপকার পেয়েছি আমি আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করতে চায় যেন আপনারা সহজেই ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন।

আমি যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আমার নাম কমনওয়েলথ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য রেফার করেন।

তারপর বাংলাদেশ মিনিস্ট্রি অফ কমার্স আমার সেই নাম টি কমনওয়েলথ এর মাধ্যমে আমি coursera তে ৫০০০ ফ্রি কোর্স করার অনুমতি পাই।

অর্থাৎ এই দুই মাসে ওয়েব ডিজাইনিং সহ আমি যে কোন কোর্স ইচ্ছা বেছে নিতে পারব আলহামদুলিল্লাহ। আপনারা যদি মিনিস্ট্রি অগ এডুকেশন এ খোজ নেন তবে এরকম courseera থেকে ফ্রি তে কোর্স করার সুযোগ পেতে পারেন আপনারাও।

এর সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ইউনিভার্সিটি অফ ইলিয়নয়িস এ অনলাইনে ফ্রি ক্লাস করার পাশাপাশি তাদের কাছে থেকে কোর্সটি শেষ করে পরীক্ষা দেবার পর সার্টিফিকেট ও পাবেন। 

এসব সার্টিফিকেট আপনার কর্মজীবনে ওয়েব ডিজাইনিং এ বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে সহায়তা করবে।

আপনি যদি টাকা দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং না শিখতে চান কিন্তু আপনি যদি একাডেমিক সার্টিফিকেট চান তবে আপনার জন্য আমি coursera রিকমেন্ড করব।

কিন্তু এখানে আপনাকে বলে রাখি যে এইটা করার জন্য আপনাকে অনেক ধরনের একটি ডকুমেন্টস ও লাগবে। যেমন আপনার বাংলাদেশ ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া আপনাকে courseera থেকে সার্টিফিকেট দিবে না। 

পাশাপাশি মিনিস্ট্রি অফ এডুকেশন থেকে দরখাস্ত সহ বিভিন্ন রকম ডকুমেন্টস প্রোভাইড করা লাগবে। সুতরাং coursera.org থেকে এভাবে আপনি খুব সহজেই আপনি বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন এবং অবশ্যই কোর্স করা শেষে আপনার পরীক্ষা দিয়ে সার্টিফিকেট নেওয়া উচিত।

Udemy, Udacity অথবা coursera আপনি এই দুইটি ওয়েবসাইট থেকে যেই ওয়েবসাইট পছন্দ করেন না কেন আপনার মাথায় রাখতে হবে এগুলো বিশ্বের বিখ্যাত ওয়েবসাইট।

এখানে থেকে সার্টিফিকেট পেতে হলে আপনাকে কোর্স নিয়ে ভাল করে পড়তে হবে।

এবং সার্টিফিকেট পাওয়ার পর আপনার সুবিধা হবে বিশ্বব্যাপী অর্থাৎ আপনি যদি আমেরিকার কোন প্রতিষ্ঠান জব করতে চান তবে আপনি এগুলো সার্টিফিকেট দেখিয়ে রিমোট জব করতে পারেন।

আর দেখুন: 

ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট টিউটোরিয়াল

ওয়েবসাইট ডিজাইন শিখতে পারেন বাংলা ভাষায়। এজন্য আপনি প্রথম পদ্ধতিটা তথা বাংলাদেশের বিখ্যাত কোন ওয়েবসাইট ডিজাইনার এর থেকে শিখতে পারেন।

এছাড়া ওয়েবসাইট ডিজাইন শেখার জন্য আপনি একটি কমন মাধ্যম ইউটিউব যেমন ব্যবহার করতে পারেন 

আপনি বাংলাতে অনলাইনে এবং অফলাইনে কোর্স করার অন্যতম সুবিধা হল আপনি বাংলাদেশের মার্কেটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যাপার হাতে কলমে শিখতে পারবেন।

পাশাপাশি বাংলাদেশ পেমেন্ট মেথড কিভাবে কাজ করে, কাজ পাওয়ার উপায়, কিভাবে প্রোফাইল বিল্ড আপ করতে হবে বাংলাদেশ থেকে, কিভাবে বিদেশের কোম্পানিতে জব করা যায় এসব বিষয় আপনি বুঝতে পারবেন।

আপনি ইউটিউবে বাংলা ভাষার টিউটোরিয়াল দেখে আপনার জ্ঞান কে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন ওয়েব ডিজাইনিং এর ক্ষেত্রে। ইউটিউব এ বাংলা ভাষায় প্রচুর টিউটোরিয়াল পাবেন সার্চ দিলেই।

তবে ইউটিউবে ভিডিও দেখে শেখার একটা বড় সমস্যা হচ্ছে প্রশ্ন করা যায় না। এজন্য ইউটিউব থেকে শিখলেও ওয়ান টু ওয়ান কমিউনেকেট করা জরুরী।

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েব ডিজাইনিং শেখাঃ

বাংলাদেশ একাডেমিকভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখতে চাইলে আপনার উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই ডিপার্টমেন্টে পড়া।

এই ডিপার্টমেন্টের পড়লে আপনি ওয়েব ডিজাইনিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মৌলিক বিষয় জানার পাশাপাশি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইনিং এর জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন এইচটিএমএল, সি প্লাস প্লাস, জাভা ইত্যাদি ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে পারবেন।

আপনি যদি একজন চাকুরীজীবি হন তবে আপনি ইউনিভার্সিটি তে সান্ধ্যকালীন বিভিন্ন সিএসইর কোর্স করা যায় যেগুলো করতে পারেন। এগুলো কোর্স প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে করানো হয়। 

আপনি এগুলো সান্ধ্যকালীন কোর্স করেও ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইনের বইঃ

ওয়েব ডিজাইনের জন্য নতুন পুরাতন বই পাওয়া যায়। আপনি যদি পুরাতন বই খুঁজতে চান তবে আপনি নীলক্ষেতে যেতে পারেন যেখানে আপনি ওয়েব ডিজাইনের জন্য প্রয়োজনীয় পুরাতন অনেক বইপত্র পাবেন।

বইয়ের আসল দাম এর অর্ধেক বা তারও কম দামে পাবেন ওয়েব ডিজাইন এর উপর এই পুরাতন বইগুলো। তবে পুরাতন বই কিনলেও আপনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন যে নতুন সংস্করণ এর বইগুলো কেনার। 

কারণ পুরাতন বই গুলোতে ওয়েব ডিজাইনিং এর এমন অনেক বিষয় থাকবে যা এখন আর ব্যবহার করা হয় না যা শুধু শুধু আপনার সময় নষ্ট করবে।

আর নতুন বইতে বলাবাহুল্য বাজারে অনেক আছে। তার মধ্যে একদম বিগিনার লেভেলে যদি আপনি শুরু করতে চান তবে সিএসসি স্টুডেন্টরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য যে বইগুলো পড়ে সেগুলো দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন।

অথবা আপনি যদি একদমই কিছু না জানেন তাহলে কম্পিউটার সম্পর্কে তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক বইটি যা বাংলাদেশের শিক্ষা পাঠ্যক্রমে নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই বইটি পড়ে এই সম্পর্কে বেসিক ধারণা নিতে পারেন। 

ওয়েব ডিজাইন শেখার বই PDF:

ওয়েব ডিজাইন এর জন্য অনেক ফ্রী পিডিএফ  বই পাওয়া যায়। আপনি google-এ সার্চ করে এসব ফ্রী পিডিএফ বই পড়তে পারেন।

তবে আমি আপনাকে পড়াশোনা পরামর্শ দিব যে আপনি সেই ফ্রী বইগুলোই নিবেন যেগুলো যোগ্য লেখকদের দ্বারা লেখা হয়েছে।

যেমন মনে করেন কোন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর অথবা ওয়েব ডিজাইনিং লাইনে কেউ বিখ্যাত কোন ব্যক্তি এসব ব্যক্তিদের দ্বারা লিখিত অনেক বই। 

তারা অনলাইনে বা তাদের ওয়েবসাইটে এগুলো ফ্রি পিডিএফ হিসেবে ছেড়ে থাকেন। আপনি এগুলো বই খুব সহজেই সংগ্রহ করে পিডিএফ থেকে পড়তে পারেন। 

আপনার কোন পয়সা খরচ হবে না পাশাপাশি এসব বই, পিডিএফ পড়ে আপনি এমন অনেক কিছুই জানতে পারবেন যেগুলো ভিডিও দেখে আপনি জানতে পারবেন না। কারণ বই হচ্ছে সমস্ত জ্ঞানের আধার যেখানে খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয়ে লেখা থাকে।

তবে বই পড়ে ওয়েব ডিজাইন শেখার আরেকটি সমস্যা হল আপনি লেখককে কোন প্রশ্ন করতে পারবেন না।

এলইডিপি নামক প্রকল্প থেকে ওয়েব ডিজাইন শিখাঃ

বাংলাদেশ সরকারের এলইডিপি নামক একটি প্রকল্প আছে।

এই প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার শিক্ষার্থীদের কে বিনা মূল্যে ওয়েব ডিজাইনিং সহ বিভিন্ন আইসিটি সম্পর্কিত কোর্স ফি প্রদান করে থাকে-যেন তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারে।

এলইডিপি তে যারা ক্লাস নেন তারা সাধারণত এই বিষয়ে দক্ষ ইনস্ট্রাক্টর হন এবং তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকে অনেক বছরের। এলইডিপির কোন কোর্সে ফ্রী তে ভর্তি হয়ে আপনি ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন।

আমরা ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আলোচনা করলাম। প্রতিটি পদ্ধতির সুবিধা অসুবিধা আছে।

আপনার যদি যথেষ্ট টাকা পয়সা থাকে তবে আপনি udemy, udacity থেকে পেইড কোর্স করাই ভাল আমি বলব।

তবে আপনি যদি টাকা খরচ করতে না চান প্রথম পর্যায়ে তবে আমি ফ্রী পিডিএফ সংগ্রহ, বাংলা টিউটোরিয়াল ইউটিউবে যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো থেকে আপনি ভিডিও দেখতে পারেন।

আপনি এক বা একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করেও ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন। 

যেমন ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখার পাশাপাশি আপনি কারো লেখা বই পড়ে ওয়েব ডিজাইনিং শিখলেন। এভাবে একাধিক পদ্ধতির সমন্বয় এও আপনি ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন।

তবে আপনি যেভাবে শিখেন না কেন আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে এসব শেখার জন্য। আপনাকে প্রতিদিন ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে হবে।

প্রতিদিন আপনি নতুন নতুন যেগুলো কাজ শিখবেন সেগুলো এপ্লাই করতে হবে। এভাবে আপনি ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য ওয়েবসাইটঃ

ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য কিছু ওয়েব সাইট আছে যেখান থেকে আপনি ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র পাবেন।

ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক সামগ্রী পাবেন এই সকল ওয়েবসাইট গুলো থেকে।

ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর ক্ষেত্রে আমি প্রথমেই যে ওয়েবসাইট এর নাম বলতে চাই তা হচ্ছে https://www.wix.com এই ওয়েবসাইট এর বিজ্ঞাপন আপনি ইউটিউবে দেখে থাকবেন।

এই ওয়েবসাইটে আছে টেমপ্লেট সহ ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ছবি ভিডিও সহ সকল ধরনের উপাদান। এটি মূলত একটি পেইড ওয়েবসাইট।

তবে এখানে ১৪ দিনের জন্য ফ্রিতে ট্রায়াল দেওয়ার সুযোগ আছে।

আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার হন তবে আপনার জন্য বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনার জন্য প্রয়োজনীয় ওয়েব ডিজাইনিং এর সমস্ত উপকরণ পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।

একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন এর জন্য ছবি, ভিডিও তারপর এগুলো কে এডিটিং করার ও প্রয়োজন হয়। 

ছবি, ভিডিও এর ক্ষেত্রে একটি সমস্যা হল এখানে কপিরাইট এর বিষয় থাকে। অর্থাৎ আপনি যে কোন ছবি আপনার ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারবেন না।

কিন্তু পিক্সেল, ক্যানভার মত ওয়েবসাইট গুলোতে কপিরাইট ছাড়া অনেক ছবি, ভিডিও আছে যেগুলো আপনি ওয়েব ডিজাইন এর কাজে নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারেন।

বলা বাহুল্য, ওয়েবসাইট ডিজাইন এর ক্ষেত্রে ছবি র প্রয়োজন অনেক। একটা ছবির মাধ্যমে একটা ওয়েবসাইট এর বিষয়বস্তু কে সহজে ফুটিয়ে তোলা যায়। 

ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্টঃ

ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট দুটো শব্দ প্রায় একই অর্থে ব্যবহার হলেও এই দুটোর মাঝে কিন্তু বিস্তর পার্থক্য আছে। আমরা এখন ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর পার্থক্য আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ। 

ওয়েব ডিজাইন বলতে মূলত বুঝানো হয় যে কোন ওয়েবসাইটকে ডিজাইন করা। 

একজন ওয়েব ডিজাইনার ওয়েবসাইট ডিজাইন করে থাকেন টেমপ্লেট দিয়ে, থিম দিয়ে এবং খুব অল্প ওয়েব ডিজাইনার ওয়েবসাইট ডিজাইন করার কাজে কম্পিউটার এর বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ  যেমন এইচটিএমএল বা সিএসএস ব্যবহার করে থাকেন। 

একজন ওয়েব ডিজাইনার এর এইচটিএমএল, সিএসএস সম্পর্কিত জ্ঞান থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।

আর একজন ওয়েব ডেভেলপার এর মূল কাজ হচ্ছে সে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ফাংশন কে ডেভেলপ করবে। 

ওয়েব সাইটের বিভিন্ন রকমের ফাংশন কে ডেভেলপ করার জন্য তার অবশ্যই অবশ্যই এইচটিএমএল, সিএসএস এর জ্ঞান থাকতে হবে পাশাপাশি যদি সে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন সি প্লাস প্লাস জানে তাহলে তার জন্য খুবই ভালো হয়।

সুতরাং, বলা যায়, একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার শুধু ওয়েবসাইট ডিজাইন করে থাকেন। আর এই ওয়েবসাইট এর অভ্যন্তরে বিভিন্ন ফাংশন ডেভেলপ করা ওয়েব ডেভেলপার এর কাজ।

অনেক সময় দেখা যায় একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর পাশাপাশি ওয়েবসাইট ডেভেলপিং ও করে থাকেন। ওয়েবসাইট ডিজাইনার এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপার এই দুই জনেরই আছে সুনির্দিষ্ট আলাদা আলাদা কর্মক্ষেত্র।

আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইনার নাকি ওয়েব সাইট ডেভলপার হতে চান নাকি দুটি কাজই একসাথে করতে চান তা কাজ শুরু করার আগেই নির্ধারণ করে নিলে সবচাইতে ভালো হয়।

ওয়েব ডিজাইন নাকি গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ

ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য আছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে আমরা আমাদের একটি পূর্ববর্তী পোস্ট এর ব্যাপক আলোচনা করেছি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন হল কোন ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও এবং বার্তা ব্যবহার করে কোন বার্তা জনগণের কাছে পৌছানোর যে সিস্টেম।

ওয়েব ডিজাইনের জন্য ব্যবহার করা হয় টেম্পলেট, থিম, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি।

আর গ্রাফিক্স ডিজাইন এ ব্যবহার করা হয় ফটোশপ, এনিমেশন, ভিডিও ইত্যাদি। 

ওয়েবসাইট ডিজাইন এর লক্ষ্য থাকে একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করা। আর গ্রাফিক্স ডিজাইনার কিছু কন্টেন্ট তার গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কিল ব্যবহার করে তৈরী করে।

ওয়েবসাইট ডিজাইন এর ক্ষেত্র ও পরিধি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ক্ষেত্র ও পরিধির থেকে অনেক বিশাল।

আপনার যদি ছবি, ভিডিও এডিটিং স্কিল বা এনিমেশন তৈরিতে দক্ষতা থাকে তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে আপনার জন্য বেশি ভাল হবে।

আর ওয়েবসাইট ডিজাইন যদিও ফ্রি তে টেম্পলেট দিয়েও করা যায় তবু ভাল ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে টেম্পলেট এর ব্যবহার, প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এসব জানতে হবে। 

সুতরাং, ওয়েব ডিজাইন নাকি গ্রাফিক্স ডিজাইন এই প্রশ্নের জবাবে এটা পুরোটাই আপনার উপরে নির্ভর করে।

আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ গুলো যেমন ছবি, ভিডিও এসব এডিটিং করা বেশি পছন্দ হলে বা বেশি দক্ষ হলে গ্রাফিএক্স ডিজাইনার হওয়া ভাল।

আর থিম, টেম্পলেট, প্রোগ্রামিং এসব বেশি পছন্দ হলে বা দক্ষ হলে ওয়েব ডিজাইনার হওয়া ভাল। 

আর ওয়েব ডিজাইনিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর মধ্যে আপনি যেকোন টি বেছে নেন না কেন আপনি মাথায় রাখবেন যে দুটোরই বর্তমানে খুব চাহিদা আছে এবং এক্ষেত্রে আমি বলব আপনার পছন্দ কে মূল্যায়ন করতে।

ওয়েব ডিজাইন এর ক্যারিয়ারঃ

শুরুতেই বলেছিলাম যে পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় 2 বিলিয়ন এর কাছাকাছি ওয়েবসাইট আছে। আর বর্তমানে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা 7 বিলিয়ন এর কিছু বেশি।

অর্থাৎ প্রায় প্রতি চারজন মানুষের জন্য একটি করে ওয়েবসাইট আছে। এই ওয়েবসাইট গুলোর সবার ওয়েব ডিজাইনার এর দরকার।

টেম্পলেট দিয়ে ফ্রি তে কিছু ডিজাইন করা যায়। কিন্তু প্রফেশনাল লেভেলে কাজ করতে হলে ওয়েব ডিজাইনার কে ছাড়া ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর কোন বিকল্প নাই।

আমরা এখানে ওয়েব ডিজাইনিং করে ফ্রিল্যান্সিং জব, রিমোট জব, পার্টটাইম জব, এর মত ওয়েবসাইট ডিজাইনিং থেকে বিভিন্ন ক্যারিয়ার করার সম্ভাবনা আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ।

ওয়েব ডিজাইনিং ফ্রিল্যান্সিং জবঃ

আমরা জানি ফ্রীলান্সিং জব হল মূলত চুক্তিভিত্তিক জব। 

যেমন ওয়েব ডিজাইনারদের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং জব হতে পারে কোন ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দেওয়া বা ওয়েব ডেভলপারদের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং জব হতে পারে ওয়েবসাইটের ফাংশনগুলো প্রোগ্রামিং করে দেওয়া।

ওয়েব ডিজাইনারদের ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুযোগ অনেক বেশি কারণ প্রতিদিনই নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। 

এখন এই নতুন ওয়েবসাইট গুলো ডিজাইনিং করার জন্য অনেকেই এই ফ্রিল্যান্সার ওয়েব ডিজাইনারদের খুঁজে থাকেন অর্থাৎ ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দেওয়ার বিনিময়ে তারা সুনির্দিষ্ট অংকের অর্থ পাবে।

বাংলাদেশ আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনিং এর জন্য ফ্রিল্যান্সিং জব খুজতে চান তবে আপনার জন্য সবচাইতে ভালো হলো আপনি ফেসবুকে ওয়েব ডিজাইনারদের ফ্রীলান্সিং গ্রুপে এড হতে হবে। 

তারপর গ্রুপগুলো তে একটিভ থাকতে হবে নিয়মিত। এখানে অনেক নতুন ওয়েবসাইটের মালিক যারা নতুন নতুন ওয়েবসাইট খুলেছে ওয়েব ডিজাইনারদের চেয়ে বিভিন্ন রকম পোস্ট দিয়ে থাকেন। 

আপনি আপনার কাজের স্যাম্পল তাদেরকে পাঠিয়ে তাদের ওয়েব ডিজাইনিং এর ফ্রীলান্স জব বাংলাদেশ পেতে পারেন 

আর আপনি যদি বিদেশে ওয়েব ডিজাইনিং এর ফ্রিল্যান্সিং জব করতে চান তবে আমি আপনাকে তিনটি বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ফাইবার,আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার এর নাম রিকমেন্ড করব।

এখানে ওয়েবসাইট ডিজাইনের জন্য ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ক্লায়েন্টরা ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইট ডিজাইনারদের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। এখানে আপনি গিগ খুলে এবং আপনার কাজের স্যাম্পল জমা দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজ পেতে পারেন। 

ওয়েবসাইট ডিজাইনারদের বাংলাদেশ চাকরির সুযোগঃ

বাংলাদেশে অনেক ওয়েব ডিজাইনিং ওয়েব ডেভলপমেন্ট এইসব ফার্ম গড়ে উঠেছে ইদানীং। 

এসব ওয়েব ডিজাইনিং এবং ডেভেলপমেন্ট ফার্ম  বড় বড় ক্লায়েন্টদের থেকে অনেক কাজ নিয়ে থাকে এবং এটার জন্য তারা ওয়েব ডিজাইনারদের হায়ার করে থাকে।

 আপনি এরকম বাংলাদেশি ফার্মে কাজ করে ওয়েব ডিজাইনিং থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন সহজেই।

ওয়েব ডিজাইনার দের পার্ট টাইম জবঃ

ওয়েব ডিজাইনাররা বিভিন্ন পার্ট টাইম জব করতে পারেন। এ পার্ট টাইম জব তিন থেকে চার ঘণ্টার হয়ে থাকে। 

অনেক ওয়েব ডিজাইনারই ফুলটাইম জব করার পাশাপাশি পার্টটাইম জব করে থাকেন তাদের ইনকাম এবং এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি করার জন্য।

ওয়েব ডিজাইনারদের রিমোট জবঃ

রিমোট জব বলতে বোঝানো হয় যে জব আপনার ঘরে বসেই করা যায়।

 আপনি এই ধরনের চাকরি দুনিয়া যে প্রান্তেই থাকুন না কেন আপনার কাছে যদি পিসি বা ল্যাপটপ এবং একটি ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তবে আপনি এই রিমোট জব করতে পারবেন।

রিমোট জব করার সবচাইতে বড় সুবিধা হলো আপনি যে দেশেই রিমোট জব করেন না কেন আপনি ওই দেশের কারেন্সি তেই আপনার বেতন পাবেন।

যেমন কেউ বাংলাদেশে বসে যদি আমেরিকান কোন কোম্পানির ফুল টাইম ওয়েব ডিজাইনার এর রিমোট জব করেন তবে তার সর্বনিম্ন বেতন হবে তিন থেকে চার হাজার ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত। আপনি এভাবে ওয়েব ডিজাইনার হয়ে রিমোট জব করে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন এ কি কি শিখতে হয়ঃ

ওয়েব ডিজাইনিং করার সময় আপনার মাথায় কিছু বিষয় এর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। এসব ওয়েব ডিজাইন শেখার সময় আপনার লক্ষ্য রাখলে ওয়েব ডিজাইন শেখা সহজ হবে আপনার জন্য।

সাবজেক্ট এর সাথে মানানসই এমন রঙ এর ব্যবহারঃ

ধরুন আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইনিং করছেন মেয়েদের বিউটি প্রোডাক্ট এর জন্য। এখন আপনি যদি এখানে কড়া লাল রং দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করেন তবে তা দৃষ্টিকটু হবে।

কিন্তু আপনি যদি মেয়েদের পছন্দের রং যেমন হালকা গোলাপি ব্যবহার করেন তবে তা সাবজেক্ট এর সাথে মানানসই হবে। 

কোন ধরণের ওয়েবসাইটঃ

ওয়েবসাইট ডিজাইন করার সময় আপনার মাথায় রাখতে হবে ওয়েব সাইটের ধরণ  কি। যেমন ওয়েবসাইট টি কি ব্লগিং ওয়েবসাইট নাকি ই-কমার্স ওয়েবসাইট নাকি কারো ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট নাকি কোন নিউজপেপার ওয়েবসাইট ওয়েবসাইট হবে তা আগে লক্ষ্য করতে হবে।

কারণ বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট এর ডিজাইন বিভিন্ন রকম ভাবে করতে হয়। 

টার্গেটেড অডিয়েন্সঃ

ওয়েবসাইট ডিজাইনিং করার সময় আপনার আরও খেয়াল রাখতে হবে যে ওয়েবসাইটের টার্গেটেড অডিয়েন্স কারা? কাদের কে লক্ষ্য করে এই ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হয়েছে। 

যেমন ধরুন এমন কোন ওয়েবসাইট যেখানে বিভিন্ন রকম পশু পাখির বিবরণ এবং ছবি সহ তাদের জীবন যাপন পদ্ধতির বর্ণনা দেওয়া হয়। এরকম ওয়েবসাইট এর ডিজাইন অন্য ধরণের ওয়েবসাইট যেমন ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোর ডিজাইন থেকে একদমই আলাদা হবে।

ওয়েবসাইট ডিজাইন করার সময় আপনার এর কনটেন্ট এর সাথে যেন ডিজাইন এর সামঞ্জস্যতা থাকে তা মাথায় রাখতে হবে।

পেজ লোড হবার ক্ষমতাঃ

ধরুন আপনি একটি ওয়েবসাইট খুব সুন্দর করে ডিজাইন করলেন। কিন্তু ওয়েব সাইট লোড হতে যদি অনেক সময় নাই তবে আপনার এত সুন্দর ডিজাইনের মূল্য অনেক কমে যাবে।

অনেক ভিজিটর লোডিং টাইম বেশি দেখে ওয়েব সাইটের কনটেন্ট যতই ভালো থাকুক না কেন ওয়েবসাইটের দ্বিতীয়বার ভিজিট করার ইচ্ছা চলে যাবে। 

কাজেই ওয়েবসাইট ডিজাইনিং করার সময় আপনি লোড হওয়ার সময় অবশ্যই মাথায় রাখবেন এবং যেন তাড়াতাড়ি লোড হয় এভাবে ডিজাইন করবেন।

রঙ এর ব্যবহারঃ

ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর সময় আপনার রঙের বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত রঙের ব্যবহার আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন কে নষ্ট করে দিতে। 

যেমন বিশ্বের সবচাইতে বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের কথাই চিন্তা করুন না কেন যেখানে মাত্র অল্প কয়েকটি রং এর সমন্বয়ে কি সুন্দর একটি হোম পেজ তৈরি করা হয়েছে।

কিছু মানুষের ধারণা যে অতিরিক্ত রঙের ব্যবহার করলেই হয়ত ওয়েবসাইট ডিজাইনিং সুন্দর হবে। কিন্তু এই ধারণা টি ঠিক নয়।

আপনি যদি বিখ্যাত বিখ্যাত ওয়েবসাইট গুলো দেখেন তবে দেখবেন যে তারা খুব অল্প কয়েকটি রং দুটি বা সর্বোচ্চ তিনটি রঙের সমন্বয় করে অসাধারণ সব ওয়েবসাইট ডিজাইনিং করেছে।

সুতরাং ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর সময়ে রং এর যথার্থ ব্যবহারের বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

হোয়াইট স্পেস এর জন্য জায়গাঃ

একটি ওয়েব পেজের লেখা বাদে যে ফাঁকা সাদা জায়গাগুলো থাকে তাকে ওয়েবসাইটের হোয়াইট স্পেস বলে।

অনেক ওয়েব সাইটে দেখা যায় যে তারা তাদের ওয়েব পেজ কন্টেন্ট দিয়ে এত ভর্তি করে ফেলে যে হোয়াইট স্পেস এর সংখ্যা কমে যায়। ফলে তা ভিজিটর এর চোখে দৃষ্টিকটু লাগে। 

একটি সুন্দর ওয়েব ডিজাইনিং এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাতে অনেক হোয়াইট স্পেস থাকবে। অন্তত এতটুকু হোয়াইট স্পেস থাকা উচিত যেন ওয়েবসাইটে ভিজিটর ভিজিট করার সময় বা ওয়েব পেজ পড়ার সময় সে যেন লেখাগুলো পড়তে পারে কোন বাধা ছাড়াই।

ওয়েবসাইটের ফন্টঃ

ওয়েবসাইটের ফন্ট নির্বাচন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি ওয়েবসাইটে লেখাগুলো কারসিভ ভঙ্গিতে লেখে তবে তা ব্যবহারকারীর জন্য পড়তে সমস্যা হবে কারণ এ লেখাটি স্টাইলিশ হলেও ব্যবহারকারীরা এই ধরনের ফন্টে লেখা পড়ে অভ্যস্ত নয়।

এমন ধরনের ফন্ট নির্বাচন করতে হবে যার সাথে সাধারণ ব্যবহার কারী রা অভ্যস্ত। 

স্টাইলিশ ফন্ট টাইটেল,হেডিং এসব জায়গায় দেওয়া যায়। তবে সাধারণ লেখাগুলো টাইমস নিউ রোমান, এরিয়াল এরকম ফন্ট ব্যবহারকারীরা পড়ে অভ্যস্ত সেগুলোই দেওয়া উচিত।

শেষ কথা, 

এতক্ষণ আমরা ওয়েব ডিজাইনিং এর আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জানলাম। ওয়েব ডিজাইনিং সম্পর্কে আমাদের লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে লাইক কমেন্ট শেয়ার করতে ভুলবেন না।

ওয়েব ডিজাইনিং সম্পর্কে আপনার যদি যেকোন প্রশ্ন থেকে থাকে অথবা আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এর কোন বিষয় আরো বিস্তারিত জানতে চান তবে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

আমরা মূলত লেখাটি লিখেছি যারা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং সম্পর্কে জানতে চান তারা যেন ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারেন। আশা করি আমাদের লেখাটা আপনাদের উপকারে আসবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top