টেকনিক্যাল এসইও কি? টেকনিক্যাল এসইও করার গাইডলাইন

টেকনিক্যাল এসইও কি?: আমরা যারা ব্লগিং করি তারা সবাই কমবেশি এসইও সম্পর্কে জানি। এছাড়াও এসইও এমন একটি স্কিল যেটি ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায়।

আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে এসইওর একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ টেকনিক্যাল এসইও নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের আলোচনা গুলো হবে একদম বেসিক লেভেলের।

তাই যদি আপনি এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনও হয়ে থাকেন তাহলেও এই পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আমি আগে আপনাকে বলে রাখছি, অবশ্যই আপনি আমাদের এই আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়বেন। কেননা আপনি যদি শেষ পর্যন্ত না পড়েন তাহলে এই পোস্টের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারবেন না। এজন্য অবশ্যই মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত টেকনিক্যাল এসইও পোস্ট পড়বেন।

টেকনিক্যাল এসইও জানার আগে আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে এসইও কি সেটা জেনে নিই।

এসইও কি? 

এসইও(SEO) এর পূর্ণরূপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search engine optimization)। সহজ ভাষায় বলতে গেলে সার্চ ইঞ্জিনের সকল এলগোরিদম মেনে কোন ওয়েবসাইটকে রেংকিং এর জন্য অপটিমাইজ করাকেই এসইও বলে। এসইও প্রধানত তিন প্রকারঃ- 

  • অন পেজ এসইও। 
  • অফ পেজ এসইও। 
  • টেকনিক্যাল এসইও। 

টেকনিক্যাল এসইও কি?

 backlinko.com এর মতে, টেকনিক্যাল এসইও হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের অর্গানিক রেংকিংয়ের উন্নতির জন্য প্রযুক্তিগত সকল প্রয়োজন নিশ্চিত করা হয়।

আবার yoast.com এর মতে, ওয়েবসাইটের রেংকিংয় বৃদ্ধির জন্য টেকনিক্যাল দিকগুলোকে উন্নত করাই হলো টেকনিক্যাল এসইও।  

উপরোক্ত সঙ্গা গুলো পড়ে হয়ত কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন টেকনিক্যাল এসইও কি।

মূলত এসইও করার সময় আমরা অনেক ধরনের টেকনিক্যাল টার্মের মুখোমুখি হয় এগুলোকেই টেকনিক্যাল এসইও বলে যেমনঃ- Crawling and indexing, XML sitemaps,Duplicate content,Structured data ইত্যাদি। 

টেকনিক্যাল এসইও কেন গুরুত্বপূর্ন? 

আপনার কাছে যদি অনেক ভালো মানের কন্টেন্ট থাকে এবং ভালো ওয়েবসাইট থাকে কিন্তু টেকনিক্যাল এসইও না থাকে ওয়েবসাইটে তাহলে কখনোই আপনার ওয়েবসাইট বা কন্টেন্ট রেংক করতে পারবে না।

কারন আপনার ওয়েবসাইট তখনই রেংক করবে যখন সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানবে আর টেকনিক্যাল এসইও সার্চ ইঞ্জিনকে ওয়েবসাইট crawl করতে সাহায্য করে এবং ওয়েবসাইটকে ইনডেক্স করতে সাহায্য করে। শুধু এইটুকুতেই শেষ না যদি কোন ইউজার আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তখন ইউজার কতক্ষন আপনার ওয়েবসাইটে থাকবে সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্ভর করে আপনার ওয়েবসাইট ইউআই( ইউজার ইন্টারফেইস) এর উপর।

আর টেকনিক্যাল এসইও ওয়েবসাইট ফাস্ট লোডিং এবং মোবাইল অপটিমাইজড করার মাধ্যমে ইউজার এক্সপেরিমেন্ট বাড়াতে সাহায্য করে৷ যার ফলে ইউজার বেশিক্ষণ আপনার ওয়েবসাইটে থাকবে। এছাড়া ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট রেংকিং এর জন্য একটি অনেক বড় বাধা যেটি অতিক্রম করতে টেকনিক্যাল এসইও সাহায্য করবে।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে হয়ত বুঝতে পারছেন টেকনিক্যাল এসইও কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়েবসাইট রেংকিং এর জন্য। কিন্তু শুধু মাত্র টেকনিক্যাল এসইও করেই কোন ওয়েবসাইট রেংকিং সম্ভব নয়।

বলে রাখি, টেকনিক্যাল এসইও’র পাশাপাশি অফ পেজ এবং অন পেজ এসইও করতে হবে তবেই আপনার ওয়েবসাইটের রেংকিং ইমপ্রুভ হবে। 

আপনার জন্য আরও পোস্ট: 



টেকনিক্যাল এসইও করার নিয়ম 

টেকনিক্যাল এসইও কি এবং এটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ তা তো জানলাম তাহলে আসুন এখন জেনে নিই কিভাবে টেকনিক্যাল এসইও করবেন। 

Site structure:- 

টেকনিক্যাল এসইও’র প্রথম বিষয় হলো সাইট স্ট্রাকচার। সাইট তৈরির সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত যেন সাইটের স্ট্রাকচার সমান এবং সাজানো হয়। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে সাজানো এবং সমান সাইট স্ট্রাকচার মানে কি?  আপনাকে নিচে একটি ছবি দিচ্ছি সেটি একটু লক্ষ্য করুন। 

টেকনিক্যাল এসইও ২

এখানে হোম পেইজের সাথে প্রতিটি পেইজই খুব সুন্দর এবং সমান ভাবে সাজানো আছে। হোম পেজ থেকে বাকি পেজ গুলোর দুরত্ব তেমন বেশি নেই এটি হলো একটি সমান এবং সাজানো ওয়েবসাইট স্ট্রাকচার। অন্যদিকে আরেকটি ছবি দেখুন। 

টেকনিক্যাল এসইও ৩

এখানে দেখতেই পাচ্ছেন কিছু কিছু পেজ হোম পেজ থেকে অনেক দূরে এবং পুরো স্ট্রাকচারটিই এলোমেলো। বুঝতেই পারছেন ছবি দুটির পার্থক্য।

এই সমান এবং সাজানো সাইট স্ট্রাকচার সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ওয়েবসাইট ভালোভাবে crawl করতে সাহায্য করবে। যদি আপনার সাইট স্ট্রাকচার এলোমেলো হয় তাহলে সেখানে এমন কোন পেইজ থাকার সম্ভাবনা আছে যেটি অন্যকোন পেইজের সাথে ইন্টারলিংকড নয়। এবং এমন পেজের কারনে আপনার সাইটের ইনডেক্সিংয়ে সমস্যা হতে পারে।

আর যদি এমন এলোমেলো স্ট্রাকচার হয় তাহলে ঐ সকল ইন্টারলিংক মুক্ত পেইজ খুজে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়বে। তাই চেষ্টা করুন উপরে দেখানো সাইট স্ট্রাকচারটি ফলো করতে। সাধারণ কোন ব্লগ বা নিশ সাইটে এমন স্ট্রাকচার মেইনটেইন করা তেমন জটিল বিষয় না কিন্তু যদি কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইট হয় তাহলে এমন স্ট্রাকচার মেইনটেইন করা খব কঠিন হয়ে পড়বে। 

আপনার সাইট স্ট্রাকচার দেখতে Ahref এর site audit ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পেজগুলোর একটি ভিজুয়াল লুক পেতে চান তাহলে Visual site mapper টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি একটি ফ্রী টুল এবং এটির মাধ্যমে আপনি খব সহজে বুঝতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের পেজ গুলো কিভাবে এটি অপরটির সাথে লিংকড আছে। 

Url Structure:-

ইউআরএল স্ট্রাকচার বলতে আপনার সাইটের পেজ গুলোর লিংক এর গঠন কেমন হবে সেটি।

মনে করুন আপনি একটি পোস্ট লিখবেন টেকনিক্যাল এসইও নিয়ে তাহলে আপনার পোস্টটি এসইও নামক ক্যাটাগরির মধ্যে থাকবে অবশ্যই। সেক্ষেত্রে পোস্টটির ইউআরএল হওয়া উচিত www.yourdomain.com/seo/technical-seo

এখানে ডোমেইনের নামের পরে প্রথমে ক্যাটাগরির নাম তারপরে পোস্ট টাইটেল ব্যবহার করতে হবে। এটি করলে কি লাভ হয়?

প্রথমত পোস্ট টাইটেল ইউআরএলের মধ্যে থাকলে আপনার রেংক করতে সাহায্য করবে এটি।

আবার ক্যাটাগরির নাম থাকারও আরেকটি সুবিধা আছে সেটি হলো মনে করুন কেউ টেকনিক্যাল এসইও লিখে সার্চ দিল তার মানে অবশ্যই সে এসইও শিখতে চায় এবং এসইও শিখতে আগ্রহী সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে যেহেতু এই মানুষ টেকনিক্যাল এসইও নিয়ে আগ্রহী তাহলে টেকনিক্যাল এসইও যে ক্যাটাগরির মধ্যে (SEO) আছে সেই ক্যাটাগরির অন্যান্য পোস্ট গুলো পড়তেও এই মানুষ আগ্রহী হবে তাই সার্চ ইঞ্জিন টেকনিক্যাল এসইও’র পোস্টটি রেংক দেওয়ার পাশাপাশি এসইও ক্যাটাগরির বাকি পোস্ট গুলোকে রেংক দিবে।

নিচের ছবিতে দেখুন একটি আদর্শ লিংক স্ট্রাকচার। 

টেকনিক্যাল এসইও১

নিচে backlinco ওয়েবসাইটের একটি উদাহরণ দেওয়া হলো এখানে লক্ষ্য করুন।  এখানে SEO Marketing hub পোস্টটি রেংক করার পাশাপাশি hub ক্যাটাগরির বাকি পোস্ট গুলোও রেংক করেছে। 

টেকনিক্যাল এসইও ৪

Fix indexing issue 

সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হওয়া একটি ওয়েবসাইটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারন যদি ইনডেক্সই না হয় তাহলে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারবে না আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে। তাই ইনডেক্স হওয়াটা খুবই দরকার।

তাই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের যত ইনডেক্সিং ইসু আছে তা ফিক্স করতে হবে। দেখতে হবে কোন পেজ ইনডেক্স হয়নি এবং কেন হয়নি৷ আপনার ইনডেক্স ইসু গুলো চেক করার ৩ টি নিয়ম রয়েছে। 

  1. Google Search Console 

আমাদের বেশিরভাগ ওয়েবসাইট আমরা গুগলেই ইনডেক্স করে থাকি কারন গুগল হলো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট সাবমিট করার পরে বাম পাশের Coverage অপশনটিতে ক্লিক করলে আপনি coverage রিপোর্ট দেখতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটের কোন পেজ গুলো গুগল ইনডেক্স করতে পারেনি এবং কি কি error রয়েছে তা এই রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারবেন৷

  • Screaming Frog

যদি আপনি গুগল সার্চ কনসোলের ইরোর গুলো ফিক্স করে ফেলেন তাহলে screaming frog নামক ওয়েবসাইটে গিয়ে আবার ক্রলিং করা শুরু করুন। এখানের ক্রলিং রিপোর্ট থেকেও বুঝতে পারবেন আপনার ইনডেক্সিং এর কোন সমস্যা আছে কিনা।

  1. Ahref 

Ahref টুলটিতে Seo site audit নামক একটি ফিচার আছে। যেখানে সাইটের ইনডেক্সিং ইসু, সাইটের হেল্থ এবং পেজ স্পিড সহ কমপ্লিট একটি রিপোর্ট দেখানো হয়। এটি দেখে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন সাইটের ইরোর গুলো কোথায় কোথায় আছে৷ কিন্তু Aherf প্রিমিয়ামেই শুধু ফিচারটি এভেইলএবেল। 

Validate your sitemaps

আমরা সাইট ম্যাপ কেন সাবমিট করি?

সাইটম্যাপ সাবমিট করি যাতে সার্চ ইঞ্জিন আমাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানে।

আমরা সব সময়ই চাই সার্চ ইঞ্জিন আমাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো কিছু জানুক যার ফলে আমরা রেংকিং পাব বাট যদি আপনার দেওয়া সাইটম্যাপে ডেড লিংক থাকে তাহলে সার্চ ইঞ্জিন সেই ডেড লিংক দেখে আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে খারাপ ধারণা করতে পারে।

তাই আপনার সাইটম্যাপ ভেলিডেট করতে হবে যে সেখানে কোন ডেড বা ব্রোকেন লিংক আছে কিনা। কিভাবে করবেন? sitemaps validator এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আমরা সাইাটম্যাপটি দিন তারপরে তারা আপনাকে দেখাবে আপনার সাইটম্যাপে কোন কোন লিংক আছে।

Identify Duplicate Content 

ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট একটি ওয়েবসাইটের রেংকিংয়ের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট গুগলের কাছে খুবই অপছন্দনীয়। তাই যদি আপনার সাইটে কোন প্রকার ডুপ্লিকেট থাকে তাহলে রেংক করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। ডুপ্লিকেট প্রথমেই খুজতে হবে।

আমরা অনেকেই ইচ্ছাকৃত ভাবে অন্য সাইট থেকে কন্টেন্ট কপি করে আনি। সেক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই জানি কোন কন্টেন্টটি ডুপ্লিকেট।

কিন্তু আমরা যদি নিজেরাই কন্টেন্ট লিখা তাহলেও দেখা যায় অনিচ্ছাকৃত ভাবে কিছু কিছু ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট থেকেই যায়। যেহেতু অনিচ্ছাকৃত ভাবে কন্টেন্ট গুলো ডুপ্লিকেট হয়ে যায় তাই আমরা বুঝি না কোন কন্টেন্ট টি ডুপ্লিকেট।

এখন আমরা ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট আইডেন্টিফাই করা শিখব। কিন্ত ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট নিয়ে আমাদের প্রচলিত ভুর ধারণা আছে। অনেকেই মনে করে যদি আমাদের সাইট থেকে কেউ কন্টেন্ট কপি করে পাবলিশ করে তাহলে আমাদের কন্টেন্ট ডুপ্লিকেট হয় যাবে।

আসলে না যেই কন্টেন্ট টি আগে পাবলিশ হয়েছে গুগলের কাছে সেটিই রিয়েল কন্টেন্ট আর বাকি গুলো ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট। চলুন জেনে নিই কিভাবে ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট খুজে বের করব।

  • Ahref 

Ahref এর সাইট অডিটের মধ্যে ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট একটি ফিচার রয়েছে যার মাধ্যমে টুল আপনার ওয়েবসাইটের ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট গুলোর লিংক গুলো খুজে বের করবে এবং কোন লাইনটি ডুপ্লিকেট তা খুজে বের করবে। 

  • Copyscape 

Copyscape নামক আরেকটি ফ্রী টুল রয়েছে যেটির মাধ্যমে আপনি ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট বের করতে পারবেন। ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিলেই সব ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট সামনে চলে আসবে। তবে এই টুলটির রেজাল্ট কতটুকু সত্যি তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে আসলে প্রকৃতপক্ষে কোন টুলসই সঠিক রেজাল্ট দেখাতে পারে না। 

আমরা তো পেয়ে গেলাম আমাদের ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট গুলো। কিন্তু এখন কি করব আমরা এসব কন্টেন্টের। প্রথমত বলে নি আপনার ওয়েবসাইটের ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট গুলো তখনই আপনার ক্ষতি করবে যখন সেগুলো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করা থাকবে। যদি ইনডেক্স করা না থাকে তাহলে কোন প্রকার ক্ষতি হবে না।

আপনি এই ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট কে হয় ডিলেট করে দিতে পারেন তা না হলে কন্টেন্টটি ইডিট করতে পারেন আবার ডিলেট করে দিরে এক্সট্রা একটি ব্রোকেন লিংক তৈরি হবে যেটি আপনার সাইটের জন্য ক্ষতিকর।

এখন যদি আপনি ডিলিট বা ইডিট কোনটিই করতে না চান তাহলে এটিকে সার্চ ইঞ্জিন থেকে রিমুভ করতে হবে। আপনার ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট যে পেজে আছে সেখানে <meta name=”robots” content=” noindex, follow” /> এই টেগটি ব্যবহার ব্যবহার করুন। যদি টেগটি সঠিক মতো প্লেস হয় তাহলে আপনার পেজটি নন ইনডেক্স হয়ে যাবে৷ নন ইনডেক্স হয়েছে কিনা সার্চ কনসোলে গিয়ে চেক করে দেখুন। 

আরও দেখতে পারেন: 

Use SSL

SSL-Secure Sockets Layer হলো আপনার ডোমেইনকে সিকিউর করার একটা উপায়। এই এসএসএল যদি আপনার ডোমেইনের সাথে সংযুক্ত থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করা অডিয়েন্সের সকল ডাটা নিরাপদে থাকবে। এটির মাধ্যমে অডিয়েন্সের মধ্যে একটি ট্রাস্ট বিল্ড হবে। অনেকেই এসএসএল ছাড়া ওয়েবসাইটে ভিসিট করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। তাই আজই আপনার ডোমেইনের সাথে এসএসএল যুক্ত করে ফেলুন। 

Make your site mobile friendly 

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই ইন্টারনেট ব্রাউজ করে মোবাইল দিয়ে। কিন্তু যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইটে মোবাইল দিয়ে ভিসিট করবে তখন যদি দেখে সাইটটি মোবাইল অপটিমাইজড না তাহলে সে থাকবে না বেশিক্ষণ সাইটে।

এখন হয়তো ভাবছেন মোবাইল অপটিমাইজড মানে কি? মোবাইল অপটিমাইজড মানে হলো মোবাইল দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের সকল কন্টেন্ট সঠিক ভাবে দেখা যাবে এবং ঠিকঠাক স্পিড থাকবে।

যদি একটি ওয়েবসাইট মোবাইল অপটিমাইজড না হয় তাহলে তার কন্টেন্ট গুলো মোবাইল দিয়ে ঠিক ভাবে দেখা যাবে না যার ফলে ইউজার খুবই বিরক্ত হয়। একটি ওয়েবসাইটে মোবাইল থেকেই ভিসিটর আসার সম্ভাবনা যেহেতু সবচেয়ে বেশি তাই আপনি নিশ্চিত করুন আপনর ওয়েবসাইটটি মোবাইল অপটিমাইজড আছে কিনা। 

নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা চেক করে নিতে পারেন।

https://search.google.com/test/mobile-friendly

Use AMP

বর্তমানে এএমপি খুবই জনপ্রিয় একটি বিষয়। এখন অনেক নতুন নতুন ওয়েবসাইটও এএমপি দিয়ে খুব সহজে রেংক করছে।

চলুন, প্রথমে জানি AMP কি?

AMP হলো এমন এক ধরনের কোড যা আপনার ওয়েবসাইটকে আরো বেশি স্পিড এবং মোবাইল অপটিমাইজড করে তুলবে।

আমরা সবাই তো ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের কথা শুনেছি।ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে ফেসবুকে থাকা ওয়েবসাইট লিংক গুলো যেমন খুব দ্রুত লোড হয় গুগলের এই এএমপি ফিচারটির মাধ্যমেও ওয়েবসাইট খুব দ্রুত লোড হয়।

তবে এই ফিচারটি শুধু মোবাইল ইউজারদের জন্যই। এই ফিচারের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কোড গুলোকে অনেক বেশি সিমপ্লিফাই করে ফেলা হয়।

অনেকের মতে এডসেন্স নির্ভর ওয়েবসাইট গুলোতে এএমপি ব্যবহার করলে আর্নিং কম হয়। কিছুটা অপকারীতা থাকলেও এই ফিচারটি অনেক বেশি উপকার করে। তাই আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। 

Website Speed

টেকনিক্যাল এসইও এর আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ওয়েবসাইট স্পিড। আপনার ওয়েবসাইট কত দ্রুত লোড হচ্ছে সেটিই হলো মূলত আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড। ওয়েবসাইট স্পিড যদি কম হয় তাহলে এসইওতে খারাপ প্রভাব পড়ে কারন কোন সার্চ ইঞ্জিনই স্লো ওয়েবসাইট পছন্দ করে না।

ওয়েবসাইট স্লো হওয়ার কিছু কারন আছে। একটি কারন হলো হোস্টিং। আপনার হোস্টিং বেন্ডউইথ কম থাকলে ওয়েবসাইট স্লো হবে আবার যদি আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর কন্টেন্ট এবং প্রচুর ভিজিটরস কিন্তু আপনার হোস্টিং স্টোরেজ কম সেক্ষেত্রেও সাইট স্লো করবে।

তাই হোস্টিং কেনার সময় ভালো কোম্পানি থেকে নেওয়া উচিত যাদের ব্যান্ডউইথ ভালো। যদি নতুন ওয়েবসাইট হয় তাহলে ৫ জিবি স্টোরেজ যথেষ্ট কিন্তু কন্টেন্ট এবং ভিজিটরস বাড়লে স্টোরেজও বাড়াতে হবে।

ওয়েবসাইট স্লো হওয়ার আরেকটি কারন হলো ওয়েবসাইটের ডিজাইন। সাধারণত সিম্পল এবং খুব সাদামাটা ডিজাইনের ওয়েবসাইট গুলোর স্পিড ভালো থাকে। কিন্তু যদি অনেক বেশি ডিজাইন করা হয় এবং অনেক ফিচার যুক্ত করা হয় তাহলে ওয়েবসাইট স্পিড কমে যায়।

কোন কোন এসইও এক্সপার্ট মনে করেন ওয়েবসাইট স্পিডটা অতটাও বড় কোন বিষয় না যদি আপনি এসইও’র বাকি কাজ গুলো সঠিক ভাবে করেন। অর্থাৎ আপনি যদি চান আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ফিচার যুক্ত করতে এবং অনেক হেভি থিম ইউস করতে সেক্ষেত্রে আপনাকে এসইও’র বাকি প্রোসেস গুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে শুধু তাই না আপনার প্রচুর পরিমাণ কোয়ালিটি ব্যাকলিংক থাকতে হবে তবেই ওয়েবসাইট স্পিডের ব্যাপারটি কোন প্রভাব পড়বে না।

কিন্তু ওয়েবসাইট মোটামুটি স্পিড থাকতেই হবে কিছু কিছু ওয়েবসাইট লোড হতে ৩০-৫০ সেকেন্ড লেগে যায়। এসব ক্ষেত্রে আপনাকে স্পিডের দিকে আরো নজর দিতে হবে। ওয়েবসাইট স্পিড ১-২ সেকেন্ড হওয়া সবচেয়ে ভালো কিন্তু ৫-৬ সেকেন্ড পর্যন্ত হতে পারে।

যাই হোক এখন সিদ্ধান্ত আপনার আপনি কি কম ডিজাইন এবং ফিচারের স্পিড ওয়েবসাইট তৈরি করবেন নাকি অনেক ডিজাইন এবং ফিচারের স্লো ওয়েবসাইট।

যদি ওয়েবসাইট স্লো হয় তাহলে ভালো ব্যাকলিংক দরকার হবে যা সম্পর্কে আমরা অফ পেজ এসইও পোস্টে আলোচনা করেছি। কিন্তু একেবারে বেশি স্লো ওয়েবসাইট রেংক না করার সম্ভাবনাই বেশি। এখন জেনে আসি কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়াবেন। 

  • Simple design 

যা নিয়ে একটু আগেই আলোচনা করেছি। ডিজাইন যত সিম্পল রাখা যাবে ওয়েবসাইটের স্পিড তত বাড়বে। যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন তাহলে চেষ্টা করবেন একটা সিম্পল এবং ভালো থিম নিতে। এক্ষেত্রে এসট্রা থিমটি বেশ জনপ্রিয়। 

  • Reduce web page size 

যদি ওয়েবসাইটের ডিজাইন সিম্পল হয় তাহলে এমনিতেই ওয়েব পেজের সাইজ কম থাকবে কিন্তু এখানে ওয়েবসাইটে ব্যাবহার করা ছবি, ভিডিও ইত্যাদিকে কম্প্রেস্ট করে সাইজ কমিয়ে তবে ব্যবহার করা উচিত তাহলে ওয়েব পেজের সাইজ কম থাকবে এবং স্পিডও ভালো হবে। 

  • Remove 3rd Party Script 

ওয়েবসাইটে আমরা অনেক সময় অনেক ধরনের থার্ড পার্টি স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করি যেগুলো আমাদের সাইটের স্পিড নষ্ট করে। তাই প্রয়োজন ছাড়া যত থার্ড পার্টি স্ক্রিপ্ট আছে সব রিমুভ করা উচিত। 

  • Choose a best Hosting 

এটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। চেষ্টা করুন কোন নামকরা কোম্পানি থেকে হোস্টিং নিতে। অল্প দামের লোভে যদি কোন হোস্টিং কিনে ফেলেন তাহলে আপনি প্রতারিত হবেন তাই দাম বেশি দিয়ে হলেও ভালো কোম্পানির ভালো হোস্টিং কিনুন এতে আপনার সাইট নিরাপদে থাকবে। 

Check your dead links 

ডেড লিংক বা ব্রোকেন লিংক হলো আমাদের সাইটের ঐ সকল পেজের লিংক যেখানে আহে কন্টেন্ট ছিল কিন্তু এখন ডিলিট হয়ে গিয়েছে। সাধারণত এসব লিংক গুলো 404 error দেখায়। ডেড লিংক বা ব্রোকেন লিংক আসলে আমাদের এসইও তে কোন প্রভাব ফেলে না।

তাহলে কেন এই ডেড লিংক গুলো রিমুভ করা টেকনিক্যাল এসইও’র মধ্যে আনা হয়েছে?  তার কারন হলো ডেড লিংক আমাদের ওয়েবসাইট ক্রলিং করতে সমস্যা তৈরি করে যার ফলে সার্চ ইঞ্জিন ভালোভাবে ক্রল করতে পারেনা।

আর যদি ভালোভাবে ক্রলিং করতে না পারে তাহলে রেংকিং এ সমস্যা হবে। তাই বলা যায় ডেড লিংক ডিরেকলি এসইওতে প্রভাব না ফেললেও ইনডিরেকলি এসইওতে প্রভাব ফেলে তাই টেকনিক্যাল এসইও’র আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এই ডেড লিংক গুলোকে খুজে বের করে সেগুলো রিমুভ করা বা নন ইনডেক্স করে ফেলা।

সাধারণত Smrush, Ahref এসব টুল দিয়ে খুব ভালোভাবে আপনার ওয়েবসাইটের ডেড লিংক গুলো খুজে বের করতে পারবেন। 

Noindex tag and category pages 

যদি আপনার সাইট ওয়ার্ডপ্রেসে রান হয় তাহলে হয়ত সাইটে কিছু টেগ এন্ড ক্যাটাগরি পেজ থাকবে। সেগুলোকে সার্চ ইঞ্জিন থেকে নন ইনডেক্স করে ফেলুন। কারন সেগুলো অপ্রয়োজনীয় কিছু পেজ এবং অনেক সময় এসব পেজ ডুপ্লিকেট কন্টেন্টের মধ্যেও পড়ে। তাই এসব পেজ গুলোকে সার্চ ইঞ্জিন থেকে রিমুভ করে ফেলা উচিত। 

Validate Xml sitemaps 

যদি আপনার ওয়েবসাইট অনেক বড় হয় অনেক অনেক পেজ থাকে তখন হয়ত সাইটম্যাপের মধ্যে অনো ব্রোকেন লিংক থেকে যেতে পারে। আর যদি সেই সাইটম্যাপ আপনি সার্চ কনসোলে আপলোড করেন তাহলে ব্রোকেন লিংক সহ ইনডেক্স হয়ে যাবে। তাই উচিত সাইটম্যাপটিকে চেক করে নেওয়া। সাইটম্যাপ চেক করার জন্য Map broker XML sitemaps validator এই টুলটি ব্যাবহার করুন। 

Check Mobile usability issues 

বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেশিরভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই মোবাইল থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে। সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের বেশিরভাগ ট্রাফিকই আসবে মোবাইল থেকে। আর যদি আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল অপটিমাইজড না হয় তাহলে ইউজাররা ওয়েবসাইটে থাকবেনা বেশিক্ষন। যার ফলে বাউন্স রেট বেড়ে আপনার এসইওতে খারাপ প্রভাব পড়বে।

তাই অবশ্যই মোবাইল অপটিমাইজড হতে হবে ওয়েবসাইটকে। গুগল সার্চ কনসোলে মোবাইল ইউজএবেলিটি চেকের জন্য একটি ফিচার আছে। সেখানে গেলেই আপনি দেখতে পারবেন আপনার কোন পেজের মোবাইল ইউজএবেলটি নিয়ে কি কি ইস্যু আছে। সেসব ইস্যু ফিক্স করলেই আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল অপটিমাইজড হয়ে যাবে।

Structure Data

Structure data অনেক এডভান্স এসইও মেথড। আমরা যখন কোন প্রশ্ন করি তখন দেখি সেই প্রশ্নের উত্তর সার্পের প্রথমেই চলে আসে।

এটি কেন হলো? এটি মূলত হলো structure data মাধ্যমে।

structure data হলো মূলত এক ধরনের কোড যা আপনার কন্টেন্টে যুক্ত করার পরে সার্চ ইঞ্জিন কন্টেন্ট গুলোকে আরো ডিটেইলসে বুঝতে পারবে।

একটু আগে বলেছিলাম প্রশ্নের কথা এই প্রশ্নের উত্তরও সার্চ ইঞ্জিন কোন এক ওয়েবসাইট থেকেই নিয়ে এসেছে। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট থেকে সার্চ ইঞ্জিন এসব প্রশ্নের উত্তর বা তথ্য গুলো তখনই নিতে পারবে যখন আপনি এই structure data আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করবেন।

যদিও structure data এসইও তে কোন প্রকার প্রভাব ফেলে না। তবে আমাদের এসইও করার মূল উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য একটাই তা হলো অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়া আর structure data ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা ভালো অর্গানিক ভিজিটর পেতে পারি। 

টেকনিক্যাল এসইও চেকলিস্ট

আপনাদের সুবিধার জন্য টেকনিক্যাল এসইও তে কি কি করতে হবে তার একটি চেকলিস্ট নিচে দেওয়া হলোঃ- 

  • একটি সাজানো গোছানো সাইট স্ট্রাকচার মেইনটেইন করুন। 
  • আপনার ইআরএল স্ট্রাকচার ঠিক করুন। 
  • ইনডেক্সিং ইস্যু ঠিক করুন। 
  • ডুপলিকেট কন্টেন্ট খুজে বের করে নোইনডেক্স করুন। 
  • সাইটের স্পিড অপটিমাইজড করুন। 
  • ডেড লিংক রিমুভ করুন। 
  • ক্যাটাগরি এবং ট্যাগ পেজকে নোইনডেক্স করুন। 
  • সাইটম্যাপ চেক করে ডেড লিংক বের করুন।  
  • মোবাইল ইউজএবেলিটি চেক করুন। 

টেকনিক্যাল এসইও টুলস 

টেকনিক্যাল এসইও’র জন্য কি কি টুলস দরকার হবে তা নিচে দেওয়া হলোঃ- 

Find indexing issue:- Google search console, ahref, Screaming Frog

Identify duplicate content:- ahref, Copyscape. 

XML sitemap validator :- Map Broker

XML Sitemap Validator

Website speed Checker :- Google speed checker 

শেষ কিছু কথা,

টেকনিক্যাল এসইও’র যাবতীয় বিষয় নিয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই টেকনিকাল এসইও আর্টিকেল এর মধ্যেমে। আশা করি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে এখন পর্যন্ত পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনি টেকনিক্যাল এসইওর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তারপরও যদি আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে টেকনিক্যাল এসইও বিষয় নিয়ে, তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় আমাদেরকে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এই আর্টিকেলটি আমাদের ওয়েব সাইটে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top