অন পেজ এসইও কি? On-Page SEO করার গাইডলাইন

একটি ওয়েবসাইটের জন্য অন পেজ এসইও (On-Page SEO) খুবই গুরত্বপূর্ণ। ২০২১ সালের এই ব্লগিং প্রতিযোগীতার দিনে আমার দৃষ্টিকোন থেকে মনে হয়, সঠিকভাবে অন পেজ এসইও করা ছাড়া একটি ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইন্জিন বা অন্যান্য সার্চ ইন্জিনের সার্চ রেজাল্টে রেঙ্ক এ (Rank) আসা সম্ভব না।

বলে রাখি, তরকারিতে যেমন লবণের দরকার, ঠিক তেমনি ২০২১ সালে একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইন্জিনে রেঙ্ক করতে চাইলে দরকার সঠিক অন পেজ এসইও।

বর্তমান সময়ে সঠিকভাবে অন পেজ এসইও করতে পারলে অফপেজ এসইও (Off-Page SEO) তে ঘাটতি থাকলেও সার্চ ইন্জিনে রেঙ্ক (Rank) করা সম্ভব।

মনে রাখবেন অন পেজ এসইও এর সঠিক জ্ঞান ছাড়া আপনি কখনো আপনার ব্লগিং কিংবা এসইও ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন না। বলা যায় এসইও এর অর্ধেক জ্ঞানই আছে অন পেজ এসইওতে। ক্ষেত্র বিশেষে এমনও দেখা গিয়েছে শুধু মাত্র অন পেজ এসইও করেই সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করে ফেলে ওয়েবসাইট। 

এই পোস্টে আপনি অন পেজ এসইও আসলে কি এবং কিভাবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সঠিকভাবে অন পেজ এসইও করবেন তা জানতে পারবেন।

আর পোস্টের শেষ দিকে কয়েকটি অন পেজ এসইও টুলস উল্লেখ করেছি। যা আপনার ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে অন পেজ এসইও করতে সাহায্য করবে।

তো আসুন সবার আগে জানি অন পেজ এসইও কি?

অনপেজে এসইও কি? অনপেজ এসইও করার নিয়ম
অন পেজে এসইও কি? অন পেজ এসইও করার নিয়ম

অন পেজ এসইও কি (What is On-Page SEO Bangla)

অন পেজ এসইও হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের ভেতরের কাজ। অর্থাৎ ওয়েবসাইট এর ভেতরে যে কাজগুলো করলে সার্চ ইঞ্জিন সার্চ রেজাল্টের উপরে নিয়ে আসে তাকে অন পেজ এসইও বলে।

অন পেজ এসইও করা হয় সার্চ ইঞ্জিন ও ব্যবহারকারী (Visitors) কে ঘিরে। এটি একটি ওয়েবসাইটের এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এসইও কি? (What is SEO)

এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটের যে কাজগুলো (ভিতরে ও বাহিরে) করা হয় সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে উপরে আসার জন্য তাকে এসইও বলে।

এটি হতে পারে নিজের ওয়েবসাইট দ্বারা বা অন্যের ওয়েবসাইট দ্বারা। যেমন ওয়েব সাইটের ব্যাকলিংক করা হয় অন্যের ওয়েবসাইটে কিন্তু সেটা ওয়েবসাইট রেঙ্ক করার জন্য। এটিও এসইও কাজ এর অন্তর্ভুক্ত।

একটু সহজ করে বোঝায়।আসলে গুগলে প্রতিদিন মানুষ হাজার হাজার প্রশ্ন বা টপিক লিখে সার্চ করে। এবং মানুষকে এসব প্রশ্নের উত্তর এবং টপিক গুলো নিয়ে ধারানা দিতেও রয়েছে হাজার হাজার আর্টিকেল। কিন্তু গুগল চাই তার অডিয়েন্সকে সবচেয়ে সেরা এবং উন্নত আর্টিকেলটি দেখাতে। তাই আপনাকে গুগলকে বোঝাতে হবে যে আপনার আর্টিকেলটিই সবচেয়ে সেরা। 

কিছু বিষয়ের উপর কেন্দ্র করে গুগল বুঝতে পারে কোন আর্টিকেলটি সেরা। আর আপনি যখন সেই বিষয় গুলোকে মেনে আপনার ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজড করেন সেটিই হলো এসইও করা। চলুন একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝি ব্যাপারটি। 

মনে করুন আমি একটি আর্টিকেল লিখছি এসইও নিয়ে। আমি চাই যখন কেউ গুগলে “এসইও কি?” “অন পেজ এসইও কি?” এসব লিখে সার্চ করবে আমার আর্টিকেল প্রথমে দেখবে। তার জন্য আমাকে এসইও করতে হবে। এসইও এর মধ্যে আবার কয়েকটি টার্ম আছে। 

  • অন পেজ এসইও 
  • অফপেজ এসইও 
  • টেকনিক্যাল এসইও 

এই তিনটিই করা প্রয়োজন। কিন্ত আগে তো বলেছিলামই ক্ষেত্র বিশেষে শুধু অন পেজ এসইও দিয়েই ভালো রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব। 

আপনার জন্য আরও পোস্ট: 



অন পেজ এসইও এবং অফপেজ এসইও এর পার্থক্য

অন পেজ এসইও হচ্ছে, ওয়েবসাইটের ভেতরের কাজ আর অফপেজ এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইটের বাইরের কাজ। দুটি কাজে করা হয় একটি ওয়েবসাইটে রেঙ্কিয়ে এ আসার জন্য। তবে দুটি কাজেই একে অপরের বিপরীত।

যেমন আপনার ওয়েবসাইট এর ভিতরে ইন্টারনাল লিংক করা হচ্ছে অন পেজ এসইও । আর আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অন্য একটি ওয়েবসাইটে লিংক তৈরি করা হচ্ছে অফপেজ এসইও। অফপেজ এসইও বিষয়টি মূলত মার্কেটিং এর সাথে জড়িত।

অন পেজ এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ (On-Page SEO Bangla)

বর্তমান সময়ে গুগল সহ প্রায় সকল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীকে (ভিজিটরের চাহিদা) প্রাধান্য দিয়ে থাকে। ওয়েবসাইটের পেজ (কনটেন্ট) অপটিমাইজেশন করার দ্বারা ব্যবহারকারীকে সঠিক তথ্য বা প্রয়োজনীয় জিনিস দেয়া সম্ভব। আর এটি অন পেজ এসইও ভেতর অন্তর্ভুক্ত। একটি ওয়েবসাইটের জন্য  অন পেজ এসইও এর প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা যাবে না।

সঠিকভাবে অন পেজ এসইও দ্বারা খুব দ্রুত একটি ওয়েবসাইট রেঙ্ক করা সম্ভব।সঠিকভাবে অন পেজ এসইও করতে না পারলে, অফ পেজ এসইও রেঙ্কি এর জন্য কাজে আসবেনা।শুধুমাত্র অন পেজ এসইও দ্বারা একটি ওয়েবসাইট রেঙ্ক করা সম্ভব কিন্তু শুধুমাত্র অফপেজ এসইও দ্বারা রেঙ্ক করা সম্ভব না।

উদাহরণ হিসেবে যদি দেখি, একটি কনফেকশনারী দোকান যদি সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো-গোছানো না থাকে,  তাহলে সে দোকানের উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? অবশ্যই সেই দোকানটি দ্বারা ভবিষ্যৎ সময় উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

যেহেতু আমরা খুব সহজেই বলতে পারি, তার দোকানের ভেতর সঠিক কাস্টমাইজেশন না করার কারনে ভবিষ্যৎ সময় উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

তদ্রুপ, আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন ও কনটেন্ট ( ওয়েব পোস্ট বা পেজ) ব্যবহারকারী ও সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি না হয়। তাহলে আপনারও ওয়েবসাইটের উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে নেই বললেই চলে।

ওয়েবসাইটের ডিজাইন ও কনটেন্ট ( ওয়েব পোস্ট বা পেজ) ব্যবহারকারী ও সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলির যে কাজ গুলো করা হয় তাহলো অনপেইজ এসইও এর কাজ।

আর আগেই বলেছি আপনাদের সার্চ ইঞ্জিন গুলো চাই এখন তাদের অডিয়েন্সকে সব থেকে বেস্ট রেজাল্টটি দিতে।আর তাই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট এবং কন্টেন্ট অডিয়েন্সের জন্য বেস্ট হয় এমন ভাবে তৈরি করতে হবে। শুধু বেস্ট ভাবে তৈরি করলেই হবে না সার্চ ইঞ্জিনকে বুঝাতে হবে আপনার কন্টেন্টই বেস্ট আর তার জন্যই দরকার অন পেজ এসইও।

একটা সময় অন পেজ এসইও মানে ছিল ঘন ঘন কি-ওয়ার্ড বসানো। যে যত বেশি কি-ওয়ার্ড প্লেস করতে পারবে আর্টিকেলে তার আর্টিকেল তত ভালো রেংক করত৷ কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সেই দিন এখন আর নেই৷ এখন সার্চ ইঞ্জিন গুলোর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বেড়েছে। তারা বুঝতে পারে কোন আর্টিকেলটি ভালো আর কোন আর্টিকেলে ইনফরমেশন না দিয়েই শুধু কি-ওয়ার্ড প্লেস করেছে। 

এমনকি সার্চ ইঞ্জিন এখন এটাও এনালাইস করতে পারে কোন আর্টিকেলটি মানুষের পছন্দ হচ্ছে কোনটি হচ্ছে না। তাই এখন সবাইকেই অন পেজ এসইও নিয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস হতে হবে৷ কি-ওয়ার্ড বসিয়ে রেংক করার দিন আর নেই। অনেকে এখনও অন পেজ এসইও বিষয়টাকে হালকা ভাবে নেই। অন পেজ এসইও? এটি কোন বিষয়ই না শুধূ কি-ওয়ার্ড বসালেই হবে, এমনটা মনে করে। তারা কিন্তু এমন ভুল ধারনা নিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে লং টাইম করতে পারবে না।

বুঝতেই পারছেন অন পেজ এসইও অবহেলার বিষয় নয়। এটি খুবই সেনসেটিভ একটি বিষয়। চলুন এবার জেনে আসি কিভাবে অন  পেজ এসইও করবেন। 

কিভাবে অন পেজ এসইও করবেন?

এতহ্মন On-Page SEO সম্পর্কে জানলাম। এখন কথা হচ্ছে, কিভাবে অন পেজ এসইও করবেন? তার আগে বলে রাখি, একটি ওয়েবসাইটের অন পেজ এসইও এর অনেক কাজ রয়েছে। তার মধ্যে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানে অন পেজ এসইও এর ওই কাজগুলো করা ছাড়া একটি ওয়েবসাইটকে রেঙ্কে (Rank) নিয়ে আসা সম্ভব নয়।

আবার আবার কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো এডভান্স লেভেলের। অ্যাডভান্স লেভেলের অন পেজ এসইও আপনি কাজ করতে করতে জেনে যাবেন। তাছাড়াও আপনি অ্যাডভান্স লেভেলের অন পেজ এসইও জানতে বিভিন্ন জনপ্রিয় ইংরেজি এসইও ব্লগ পড়তে পারেন।

একটি পোষ্টের ভেতরে On-Page এসইও লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা এই পোষ্টের ভেতরে অন পেজ এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। যেগুলো একটি ওয়েবসাইটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে রেঙ্ক করার জন্য।

অনুসন্ধানকারীকে বুঝুন

আপনাকে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার আগে বা একটি পোষ্ট লেখার আগে ওই ওয়েবসাইট বা পোস্ট লেখার টপিক নিয়ে রিসার্চ করতে হবে।

অর্থাৎ আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ওয়েবসাইটটিকে বা আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টটিকে মানুষ কিভাবে সার্চ ইঞ্জিনে খুজতেছে মানে ওয়েবসাইট বা পোস্টটি দেখার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে কি লিখে সার্চ করতেছে।

যেমন: আমার এই ওয়েবসাইটের পোস্টটি হচ্ছে অন পেজ এসইও নিয়ে। এটি গুগলে ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে লোকেরা বিভিন্নভাবে কিওয়ার্ড দিয়ে খুজতেছে। যেমন:

অন পেজ এসইও কি?

On-Page SEO Bangla Tutorial

কিভাবে অন পেজ এসইও করতে হয়?

ওয়েবসাইট অন পেজ এসইও করার নিয়ম, ইত্যাদি।

এই তথ্যগুলো পাওয়ার পর আমি আমার পোষ্টের ভেতরে এই কিওয়ার্ডগুলো রেখে ও এই বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে আমার পোস্টটি তৈরি করেছি। এতে খুব সহজেই লোকেদের চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিন ও খুব সহজে বুঝতে পারবে আমার পোস্টটি কি বিষয় নিয়ে লেখা বা কাদের জন্য লেখা।

কিওর্য়াড রিসার্চ

এসইওতে সফল হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। ব্লগিংয়ের এই প্রতিযোগিতার সময়ে আপনি যদি সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন না করতে পারেন তাহলে আপনার ব্লগিং সফল হওয়ার হার অনেকাংশে কমে যাবে।

কিওর্য়াড কি?

কিওয়ার্ড হলো মানুষ সার্চ ইঞ্জিনের যা লিখে সার্চ করে তাই হল “কিওয়ার্ড”। কিওয়ার্ড একটি শব্দ বা একাধিক শব্দ হতে পারে এরকম লিমিটেশন নেই। অন পেজ এসইও শুরু হয় কিওয়ার্ড রিসার্চ দিয়ে। তাই কিওয়ার্ড রিসার্চে আপনাকে বেশি সময় ব্যয় করা উচিত।

কিভাবে কীওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?

একটি ওয়েবসাইটের অন পেজ এসইও করার সময় আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যত ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন, তত দ্রুত কিওয়ার্ড রেঙ্কে এ আসার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। নিচে দেখুন যে বিষয়গুলো কিওয়ার্ড রিসার্চ গুরুত্বপূর্ণ।

  • কীওয়ার্ড কম্পিটিশনঃ-

একটা কি-ওয়র্ডে রেংক করা কতটা কঠিন আরেকভাবে বলতে গেলে এই কি-ওয়ার্ডে ইতিমধ্যে যে ওয়েবসাইট গুলো রেংকে আছে তাদেরকে রেংক থেকে সরানো কতটা কঠিন সেটিই মূলত কীওয়ার্ড কম্পিটিশন৷ প্রাথমিক অবস্থায় চেষ্টা করেন লো কম্পিটিশন কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে।

  • সার্চ ভলিউমঃ-

আপনার কিওয়ার্ডটি মান্থলি কতজন সার্চ করে সেটিই হলো সার্চ ভলিউম। দেখা যায় বেশিরভাগ হাই সার্চ ভলিউম কিওয়ার্ড গুলোর কম্পিটিশন হাই হয়। তাই প্রথমে লো কিংবা মিডিয়াম সার্চ ভলিউম কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা ভালো। 

  • লং টেইল কীওয়ার্ডঃ-

লং টেইল কীওয়ার্ড মানে হলো একটা কীওয়ার্ডকে বড় করা বা স্পেসিফিক করা। একটা উদাহারন দিয়ে বুঝি মনে করুন আপনি সার্চ দিলেন “best mobile phone” তাহলে দেখবেন এই কীওয়ার্ডের অনেক সার্চ ভলিউম।

কিন্তু কম্পিটিশনও অনেক হাই। আবার যদি সার্চ দেন “best Samsung mobile under 20,000 tk ” এখন আমরা কিওয়ার্ডকে বড় করেছি এবং আরো বেশি স্পেসিফিক করেছি তাদের জন্য যারা Samsung mobile চায় এবং ২০০০০ টাকার নিচে। এই কিওয়ার্ডে সার্চ ভলিউম কম এবং কম্পিটিশনও কম কিন্তু যদি এই কীওয়ার্ডে রেংক করতে পারি তাহলে best mobile কিওয়ার্ডেও আস্তে আস্তে রেংক করা সম্ভব। তাই আপনিও লং টেইল কীওয়ার্ড সিলেক্ট করে সেই কীওয়ার্ডে রেংক করার চেষ্টা করুন৷ 

  • কিওয়ার্ড সার্চ লোকেশনঃ-

best mobile in USA কিওয়ার্ডটির সার্চ ভলিউম হলো USA ভিত্তিক। আপনি যদি বাংলাদেশে (বাংলা কন্টেন্টে) এই কিওয়ার্ডে রেংক করেন তাহলে কোন লাভ হবে? না। তাই আপনার কিওয়ার্ডটি কোন দেশে বেশি সার্চ হয় সেটি রিসার্চ করে নিন তারপরেই কন্টেন্ট বা এসইওর কাজ শুরু করুন৷ 

  • LSI কীওয়ার্ডঃ- 

LSI এর পূর্ণরূপ হলো Latent semantic indexing। সহজ ভাবে বলতে গেলে যেসব টার্মস বা phrases আপনার কিওয়ার্ডের সাথে মিল আঝে এবং সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ হয় সেগুলোকে LSI কীওয়ার্ড বলে। মেইন কিওয়ার্ডের পাশাপাশি LSI কিওয়ার্ডও ব্যবহার করা উচিত আর্টিকেলে। কোন কিওয়ার্ড লিখে গুগোলে সার্চ দেওয়ার পরে স্ক্রল করে নিচে গেলে LSI কিওয়ার্ড গুলো পাবেন।

যেমনঃ- মনে করুন আমি এই আর্টিকেলটি লিখছি অন পেজ এসইও নিয়ে। যদি আমি শুধু “অন পেজ এসইও” এই কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করি তাহলে হবে না। আমাকে এটির সাথে অন্যান্য কি-ওয়ার্ড অন পেইজ এসইও কি?, এসইও কি?, অন পেজ এসইও টিউটোরিয়াল  ব্যবহার করতে হবে।

এগুলো হলো “অন পেজ এসইও” এই কি-ওয়ার্ডের LSI কি-ওয়ার্ড। আবার যদি আমি শুধু “অন পেজ এসইও” এই কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করি তাহলে কি-ওয়ার্ড স্টাফিং হবে। সেক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন আমাদেরকে সাময়িক রেংকিং দিলেও ভবিষ্যতে রেংক হারানো এমনকি ওয়েবসাইটকে পেনাল্টি দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। 

আরও দেখুন:

টাইটেল অপটিমাইজ

ওয়েবসাইটের পোস্ট অন পেজ অপটিমাইজেশন করে লেখার হ্মেত্রে সঠিকভাবে টাইটেল অপটিমাইজেশন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আমরা যখন গুগলসহ ও অন্যান্য সার্চ- ইন্জিনে কিছু সার্চ করি কোন কিছু জানার জন্য, তখন আমরা কিন্তু সেই রেজাল্টেই ক্লিক করি যেটার টাইটেল আমাদের কাছে ভালো লাগে। 

আসলে টাইটেল হলো এমন একটি বিষয় যেটা আপনার পুরো আর্টিকেলকে সংক্ষেপে প্রেজেন্ট করে অডিয়েন্স এর কাছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় ৪০% ভিজিটরস টাইটেল এর উপর নির্ভর করে৷ সব সময় চেষ্টা করতে হবে পোষ্টের সাথে মিলিয়ে আর্কষণীয় টাইটেল ব্যবহার করতে।

 শুধু আকর্ষণীয় হলে হবে না আপনার টাইটেলে থাকতে হবে আপনার ফোকাস কি-ওয়ার্ড। এবং কি-ওয়ার্ডটি ন্যাচারালি বসাতে হবে জোর করে বসিয়ে দেওয়া যাবে না৷ মনে রাখবেন আপনার টাইটেল যত ভালো হবে আপনার CTR তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

পোষ্ট টাইটেল কমপক্ষে ৫০-৬০ অক্ষরের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। আবার অনেকেই এসইওর জন্য টাইটেলে মেইন কি-ওয়ার্ড একবারের বেশি ব্যবহার করে। এমনটা করলে কিন্তু নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মেইন কি-ওয়ার্ড ন্যাচারালি একবারই ব্যবহার করবেন টাইটেলে। টাইটেলকে আকর্ষণীয় করতে টাইটেলকে মডিফাই করুন।

টাইটেল মডিফাই করা

জনপ্রিয় এসইও এক্সপার্ট Brian Dean টাইটেল মডিফাই সম্পর্কে বলেছেন। টাইটেল মডিফাই হলো মূলত টাইটেলকে এমনভাবে আর্কষণীয় করে লিখা যেনো অডিয়েন্সের টাইটেল দেখে পোস্টটি পড়তে ইচ্ছা করে।

এক্ষেত্রে টাইটেলে কিছু শব্দ যেমনঃ- best, top, complete guide, review, year ইত্যাদি যুক্ত করা। এসব শব্দ যুক্ত করলে মানুষের পোস্টটির প্রতি আগ্রহ জন্মায়। আপনার কন্টেন্টের সাথে রিলেভেন্ট, এমন শব্দ ব্যবহার করেই টাইটেল মডিফাই করবেন আবার টাইটেল মডিফাই করতে গিয়ে কন্টেন্ট আর টাইটেলের রিলেভেন্সি হারিয়ে ফেলা যাবে না।

পারমালিংক অপটিমাইজ

আপনার পোস্টের লিংকটি রেংকিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে৷ তাই চেষ্টা করবেন আপনার লিংকটিকে এমনভাবে অপটিমাইজড করতে যেন লিংকের মধ্যে আপনার মেইন কি-ওয়ার্ডটি থাকে। যেহেতু আপনি আপনার টাইটেলেও মেইন কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন টাইটেলটিই পারমালিংক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

ওয়ার্ডপ্রেসে পারমালিংক সেটিংসে গিয়ে পোস্ট নেম অপশন সিলেক্ট করে দিলেই আপনার পোস্টের টাইটেল অনুসারে পারমালিংক হয়ে যাবে৷বিশেষ প্রয়োজনে আপনি নিজের মতো পারমালিংক ইডিট করতে পারবেন৷

আর যদি অন্য কোন সিএমএস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে মেনুয়ানি লিংক এডিট করতে হয়। যেমন ব্লগারে পোস্ট করার সময় ডান পাশের সেটিংস বারে পারমালিংক নামক একটি অপশন পাবেন। সেখানে গিয়ে আপনার লিংক এডিট করে নিতে পারেন৷ আপনার লিংক কেমন হবে তার একটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো৷ 

অনপেজ এসইও

এখানে দেখতে পাচ্ছেন পোস্টটি লেখা হয়েছে ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল নিয়ে৷ এবং টাইটেলে ফোকাস কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।

শুরুতে টার্গেট কিওর্য়াড ব্যবহার

কোন পোস্ট শুরু করার আগে প্রথমেই আপনাকে পোস্ট ইন্ট্রোডাকশন দিতে হবে। আপনার পোস্টের ইন্ট্রোডাকশন এর প্রথম ১০০ ওয়ার্ড এর ভেতরে আপনার টার্গেট কিওয়ার্ডটি রাখুন। এতে সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেটেড কিওয়ার্ড বুঝানোর পাশাপাশি আপনার টার্গেটেড ভিজিটর কেউ আকর্ষিত করতে সহায়তা করবে। 

সঠিকভাবে পোস্টে হিডিং ট্যাগ ব্যবহার

হিডিং ট্যাগ একটি আর্টিকেলের খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এসইওতেও এটি প্রভাব ফেলে। আপনার পোস্টটিকে বিভিন্ন প্যারায় ভাগ করে প্রত্যেক প্যারার জন্য একটি করে হেডিং ব্যবহার করুন।

বিশেষ বিশেষ প্যারা গুলোতে H2 হেডিং ব্যবহার করুন। চেষ্টা করবেন H2 হেডিংয়ের মধ্যে আপনার টার্গেটেড কি-ওয়ার্ড রাখতে। কিন্তু পুরো আর্টিকেলে সব গুলো হিডিংয়ের মিশ্রন রাখুন। 

Use Internal Link

ইন্টারনাল লিংক কথাটির বাংলা হলো অভ্যন্তরিন লিংক। অর্থাৎ আপনার পোস্টের ভিতরে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করাই হলো ইন্টারনাল লিংক।

ইন্টারনাল লিংক ব্যবহারে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের বাকি পোস্ট বা পেজেও ট্রাফিক পাবেন এবং আপনার রেংকিংও ভালো হবে। ইন্টারনাল লিংকিং করলে আর্টিকেল পেজ গুলো থেকে এসইও Juice pass হতে থাকে এবং ইন্টারনাল ব্যাকলিংক তৈরি হয়।

আপনারা যদি অফপেজ এসইও এর পোস্টটি পড়েন তাহলে বুঝতেই পারবেন ব্যাকলিংক কত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। তাই আর্টিকেলের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্ট বা পেজের লিংক ব্যবহার করুন। কিন্তু আপনার পোস্টের সাথে মিল আছে এমন পোস্টের লিংক যুক্ত করুন। অযথা লিংক যুক্ত করা থেকে বিরত থাকুন৷

যেমন এটা অন পেজ এসইও এর একটি পোস্ট এখানে অফ পেজ এসইও বা টেকনিক্যাল এসইও পোস্টের লিংক যুক্ত করা যাবে। কিন্তু যদি আমি এখানে ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল নিয়ে করা পোস্ট যুক্ত করি তাহলে তা উচিত হবে না। তাই মনে রাখবেন রিলেটেড পোস্ট গুলোই লিংক করানোর চেষ্টা করতে হবে।

Use External Link

এক্সটার্নাল লিংক মানে হলো বহিরাগত লিংক৷ অর্থাৎ অন্য ওয়েবসাইটের লিংক আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করাকেই এক্সটার্নাল লিংক বলে৷ আপনার আর্টিকেলে ইন্টারনাল লিংকের পাশাপাশি এক্সটার্নাল লিংকের ব্যবহার করুন। তবে ইন্টারনাল লিংক থেকে এক্সটার্নাল লিংক কম ব্যবহার করবেন৷ এখানেও একটি ব্যাপার আছে অযথা লিংক যুক্ত করলেই হবে না। মরে করুন আমি কোন একটি তথ্য শেয়ার করলা অন্য ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে আমি চাইলে সোর্স হিসেবে সেই ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করতে পারি আবার আমি আপনাদের কোন একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করার পরামর্শ দিচ্ছি তখনও আমি সেই ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করতে পারব। আপনি যদি অযথা লিংক যুক্ত করতে থাকেন আপনার রেংকিং এর অবনতি ছাড়া কিছুই হবে না৷ মনে রাখবেন প্রাসঙ্গিক ভাবেই লিংক যুক্ত করতে হবে৷ অপ্রাসঙ্গিক কারনে লিংক যুক্ত করা থেকে বিরত থাকুন। 

Image Optimization

একটি আর্টিকেলে ব্যবহৃত ছবিও সেই আর্টিকেলের অংশ। তাই যদি আপনার পোস্ট বা আর্টিকেলেকে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে চান অবশ্যই আর্টকেলে ব্যবহার করা ছবিকে অপটিমাইজড করতে হবে।

ছবির ক্যাপশনে এবং alt tag-এ আপনার ফোকাস কি-ওয়ার্ড যুক্ত করুন। ছবিকে কমপ্রেসড করে ছবির সাইজ কমিয়ে ফেলুন( সাইজ মানে ছবিট কত স্টোরেজ নিবে সেটির কথা বলছি) এতে আপনার পোস্ট লোড হতে সহজ হবে। এছাড়া ছবিকে আর্কষণীয় করে তুলুন।

গুগলের মধ্যে উপরে ইমেজ নামক একটি ফিচার আছে যেখানে সব ইমেজ গুলো থাকে। যদি আপনি সঠিক ভাবে ইমেজ অপটিমাইজড করতে পারেন তাহলে আপনার পোস্টের ইমেজ গুলো রেংক করবে। আর সেখান থেকে প্রচুর ভিজিটরস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ইমেজ অপটিমাইজেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

Meta description 

একটি পোস্টের টাইটেলের পরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মেটা ডেসক্রিপশন। আপনি যখন কোন পোস্ট সার্চ করেন গুগলে তখন দেখবেন ওয়েবসাইটের টাইটেলের নিচে ছোট ডেসক্রিপশন থাকে একটি সেটিই মেটা ডেসক্রিপশন।

এই মেটা ডেসক্রিপশন এসইও তে অনেক প্রভাব ফেলে। ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা সহজেই Yoast SEO প্লাগইন ব্যবহার করে মেটা ডেসক্রিপশন দিতে পারেন।

আবার যারা ব্লগার ব্যবহার করেন তারা সেটিংস থেকে মেটা ডেসক্রিপশনের অপশনটি অন করলে পোস্টের ডান পাশে মেটা ডেসক্রিপশন দেওয়ার ঘর পাবেন।

মেটা ডেসক্রিপশন খুবই সেনসেটিভ একটি বিষয়। অতিরিক্ত বড় কিংবা অতিরিক্ত ছোট মেটা ডেসক্রিপশন দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

১৫৫-১৬০ ক্যারেকটারের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন মেটা ডেসক্রিপশন। ন্যাচারাল ভাবে কি-ওয়ার্ড প্লেসমেন্ট করুন। শুধু মেইন কি-ওয়ার্ড রাখলেই হবে না পাশাপাশি রিলেটেড কি-ওয়ার্ড গুলোও রাখুন।

আবার কি-ওয়ার্ড রাখার চিন্তায় এমন কোন ডেসক্রিপশন দিয়ে দিয়েন না যেটা আপনার আর্টিকেলের সাথে রিলেটেড না। মনে মেটা ডেসক্রিপশন মূলত আপনার পুরো আর্টিকেলের একটি সারাংশ। এটিকে সঠিক কি-ওয়ার্ড এর মাধ্যমে গুছিয়ে লিখতে হবে। যাতে ভিজিটররা ক্লিক দিতে আগ্রহী হয়।

কিওয়ার্ড ডেনসিটি

আপনার আর্টিকেলে মেইন কি-ওয়ার্ড কত বার ব্যবহার করা হয়েছে সেটাকে কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি বলা হয়ে থাকে।

আমি যে এই অন পেজ এসইও নিয়ে পোস্ট লিখেছি, এটিতে প্রতি ১০০ শব্দে যতবার এই পোস্টে অন পেজ এসইও লেখাটি উল্লেখ করেছি, সেটি হল আমার এই পোস্টের কিওয়ার্ড ডেনসিটির হিসাব।

যদি পোস্টটি সর্বমোট ৩,০০০ শব্দের হয়, আর আমি যদি ৩০ বার উল্লেখ করি, তাহলে কিওয়ার্ড ডেনসিটি হবে ১%। কারন আমি প্রতি ১০০ শব্দে ০১ বার করে আমার মেইন কি ওয়ার্ড উল্লেখ করেছি।

বর্তমানে বড় বড় মার্কেটাররা মনে করেন কি-ওয়ার্ড ডেনসিটির দিকে ফোকাস না করে ন্যাচারালি আর্টিকেল লিখতে। কোন কি-ওয়ার্ড আর্টিকেলে জোর করে না বসিয়ে ন্যাচারালি বসালে রেংকিংয়ে ভালো প্রভাব হয়৷ কিন্তু যদি জোর করে বসান কি-ওয়ার্ড তাহলে কিন্তু নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। চেষ্টা করবেন ন্যাচারালি সর্বোচ্চ সংখ্যক কি-ওয়ার্ড প্লেস করতে।

কোয়ালিটি কন্টেন্ট পাবলিশ

আমরা অনেকেই মনে করি শুধু আর্টিকেলই হলো কন্টেন্ট কিন্তু কন্টেন্ট বলতে বোঝানো হয় পুরো আর্টিকেলের মধ্যে থাকা সমস্ত বিষয় (যেমনঃ- ছবি, ভিডিও ইত্যাদি)। আপনি কোন কন্টেন্টকে কোয়ালিটি কন্টেন্ট বলবেন? আপনারটা আমি জানি না কিন্তু আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কোয়ালিটি কন্টেন্ট কি আমি বলব যে কন্টেন্ট তার অডিয়েন্সের প্রয়োজন পূরণ করতে পারে সেটিই কোয়ালিটি কন্টেন্ট।

যেমন আপনারা অন পেজ এসইও নিয়ে জানতে এই পোস্টটি পড়ছেন যদি এই পোস্টটি অন পেজ এসইও নিয়ে আপনাদের সঠিক ধারণা দিতে পারে তাহলে এই পোস্টটি একটি কোয়ালিটি পোস্ট। তাই আপনিও চেষ্টা করবেন আপনার অডিয়েন্সের প্রয়োজন পূরন করতে এবং অন পেজ এসইও’র সব বিষয় মেনে আপনার পোস্টকে আরো বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি করতে। তারপর আপনার পোস্টও কোয়ালিটি পোস্ট হবে।

চলুন জেনে আসি একটি কোয়ালিটি কন্টেন্টে কি কি থাকা প্রয়োজন। 

  1. ১০০% ইউনিক কন্টেন্ট হতে হবে। যদি কপি কন্টেন্ট হয় সেটি কখনো রেংক করবে না৷ 
  2. আর্টিকেলের প্রথম প্যারাতেই বলে দেওয়া উচিত পুরো পোস্টের মধ্যে কি নিয়ে আলোচনা হবে। তার জন্য শুরুতে Table of content ও ব্যবহার করতে পারেন। যাতে ইউজার ওয়েবসাইটে ডুকেই বুঝতে পারে এই কন্টেন্টটি তার সমস্যার সমাধান দিতে পারবে কিনা৷ এবং পুরো আর্টিকেল পড়ারও একটা অনুপ্রেরণা পায় ইউজার।
  3. ইউজার ইন্টেন্ট ফিল আপ করতে পারতে হবে। এটি নিয়ে শুরুতেই আলোচনা করেছি। ধরুন আপনি অন পেজ এসইও জানতে এই পোস্টটি পড়ছেন তাহলে এমনভাবে পোস্টটি লিখতে হবে যেনো আসলেই আপনি এই পোস্ট পড়ে অন পেজ এসইও সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারনা পান।
  4. প্রয়োজন অনুযায়ী ইমেজ ব্যবহার করা এতে পোস্ট পড়তে ভালো লাগে। 
  5. পুরো পোস্টকে ছোট ছোট প্যারায় ভাগ করে লিখা৷ এতে পোস্ট পড়তে ইউজারের বিরক্ত লাগে না। 
  6. রোবটিক টাইপের পোস্ট সাধারণত অডিয়েন্স পড়তে বিরক্ত হয়। একটি কোয়ালিটি কন্টেন্ট এমন হওয়া উচিত যেটা পড়ে মানুষের যেনো মনে হয় সামনা সামনি কেউ কথা বলছে। অর্থাৎ পোস্টের কথা ন্যাচারাল এবং সহজ সরল হওয়া উচিত।

Website Speed Optimization

যদি কেউ আপনার পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইটে আসল কিন্তু আপনার পেজ লোড হতে দেরি হচ্ছে তাহলে আপনার পোস্ট যতই ভালো হোক না কেন ইউজার চলে যাবে অন্য ওয়েবসাইটে। তাই আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড ভালো রাখতে হবে। স্পিড অপটিমাইজেশন নিয়ে বিস্তারিত টেকনিক্যাল এসইও পোস্টে আলোচনা করেছি। 

আমি প্রথমেই বলেছিলাম সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে কোন আর্টিকেল মানুষের পছন্দ এবং কোনটি পছন্দ না। এটা সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে কোন ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট দেখে। যদি আপনার ওয়েবসাইটে মানুষ বেশিক্ষণ না থাকে তাহলে আপনার বাউন্স রেট বাড়বে এবং সার্চ ইঞ্জিন বুঝবে আপনার আর্টিকেল অডিয়েন্সের পছন্দ না।

কিন্তু যখন ওয়েবসাইটের স্পিড স্লো থাকে তখন অডিয়েন্স আর্টিকেল না পড়েই বিরক্ত হয়ে চলে যায়৷ যার ফলে আপনি ভালো আর্টিকেল লেখা শর্তেও সেটি রেংকিং হারাবে। 

বেশিরভাগ বাংলাদেশী ব্লগাররাই স্পিড অপটিমাইজেশন নিয়ে সচেতন না। কিন্তু এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই প্রথমেই আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড চেক করে নিবেন৷ স্পিড চেক করার জন্য GTmetrix নামক ওয়েবসাইট রয়েছে। এছাড়াও google website speed checker রয়েছে।

যদি আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড ৩ সেকেন্ডের কম হয় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যদি এর বেশি হয় আপনাকে স্পিড অপটিমাইজেশন করতে হবে। 

অনপেজ এসইও

ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়ানোর উপায়

ওয়েবসাইট স্পিড আসলে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সেসব বিষয় নিয়ে একটু সচেতন হলেই আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়বে। চলুন জেনে নিই সেসব বিষয় নিয়ে। 

  • হোস্টিংঃ-হোস্টিং এর ব্যান্ডউইথ এর উপর ওয়েবসাইটের স্পিড নির্ভর করে। চেষ্টা করবেন হাই ব্যান্ডউইথের হোস্টিং ব্যবহার করতে। কিন্তু কিছু কিছু হোস্টিং প্রোভাইডার বেশি ব্যান্ডউইথ দিবে বলে কিন্তু দেই না তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকবেন। বিশ্বস্ত কোন কোম্পানি থেকে হোস্টিং নিবেন৷ আবার যদি আপনার ওয়েবসাইটে অনেক কন্টেন্ট এবং ভিজিটরস আছে কিন্তু হোস্টিং এর স্টোরেজ কম তাহলেও সাইট স্লো করবে।যদি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরস বেশি হয় তাহলে হোস্টিং স্টোরেজ বাড়ান।
  • ওয়েবসাইট কন্টেন্টঃ- ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবি এবং ভিডিও গুলো যদি অনেক বেশি স্টোরেজ নেয় তাহলে সাইট স্লো করে।তাই কোন ইমেজ ব্যবহার করার আগে compressjpeg.com এই ওয়েবসাইট থেকে কম্প্রেস্ট করে নিন। 50 কেবি থেকে বেশি সাইজের কোন ছবি ব্যবহার করা উচিত না। 
  • ওয়েবসাইট থিম এন্ড প্লাগইনঃ- অনেক হেভি ওয়েটের থিম ব্যবহার করলেও ওয়েবসাইট স্লো করে৷ তাই চেষ্টা করুন খুব সিম্পল কোন থিম ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের ডিজাইন সিম্পল রাখতে৷ আবার অনেকে অনেক রকমের প্লাগইন ইউস করে এক্সট্রা ফিচারের জন্য৷ ওয়েবসাইটের ফিচার যত বাড়বে ওয়েবসাইট তত স্লো হবে। তাই যদি চান স্পিড বাড়াতে ওয়েবসাইটের তাহলে ফিচার কম রাখবেন৷ প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্লাগইন রিমুভ করে দিন। যদি ওয়ার্ডপ্রেস ইউজার হযে থাকেন তাহলে “wp-rocket”, “wp super cache” এ ধরনের প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন স্পিড বাড়ানোর জন্য।

উপরোক্ত বিষয় গুলো মেনে চললেই আসা করা যায় আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড অনেক ইমপ্রুভ হবে।

Website Design

আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে। যদি এমন ফন্ট বা কালার ইউস করেন যেটায় আর্টিকেল পড়তে ইউজারের সমস্যা হয় তাহলে আপনার আর্টিকেল যতই ভালো হোক না কেন ইউজার সেটি পড়বে না। তাই সুন্দর এবং সিম্পল ডিজাইন করুন ওয়েবসাইটের। যাতে ওয়েবসাইটটি ভিজিটর এর কাছে ব্যবহারে জন্য সহজলভ্য হয়।

নিয়মিত নতুন পোস্ট প্রকাশ

ওয়েবসাইটের রেংকিং ডেভেলপ করার আরেকটি টিপস হলো নিয়মিত নতুন পোস্ট প্রকাশ। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের নিয়মিত পোস্ট প্রকাশ করেন, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে একটি পজিটিভ সাইন থাকবে আপনার ওয়েবসাইটকে রেঙ্কিং দেওয়ার জন্য।

এতে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। সেইসাথে আপনার টার্গেটেড ভিজিটরের আপনার ওয়েবসাইটে ব্যাক করার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যাবে।

গুগোল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট সাবমিট করা

আপনি অন পেজ এসইও, অফপেজ এসইও সব করলেন কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন জানলই না আপনার ওয়েবসাইটের সম্পর্কে তাহলে তো আপনি কখনোই রেংক পাবেন না। তাই আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন এবং আপনার ওয়েবসাইটের পরিচয করিয়ে দিতে হবে৷ তার জন্য আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চ কনসোলে জমা দিতে হবে।

জমা দেওয়ার পরে তারা ভেরিফাই করতে চাইবে সঠিকভাবে ভেরিফাই করে আপনার ওয়েবসাইটের সাইটম্যাপ সার্চ কনসোলে সাবমিট করুন। তারপরে কিছু দিনের মধ্যেই আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে সঠিকভাবে ইনডেক্স হয়ে যাবে। আপনার ওয়েবসাইটের রেঙ্কিং এর সকল তথ্য আপনি সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ করে দেখতে পারবেন।

অন পেজ এসইও টুলস

অন পেজ এসইও’র জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং উপকারী হলো Yoast SEO প্লাগইন। অন পেজ এসইও’র প্রায় অর্ধেক কাজই এই প্লাগইন দিয়ে করা যায়। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন ফ্রীতেই এই প্লাগইন ব্যবহার করতে পারবেন। ফ্রী ভার্সনই যথেষ্ট অন পেজ এসইও জন্য।

এছাড়াও কি-ওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য গুগলের কি-ওয়ার্ড প্ল্যানার এবং Ubersuggst ব্যবহার করতে পারেন। যদি পেইড টুল নিতে চান তাহলে Ahref নিতে পারেন। 

????Yoast SEO

????Ahref

????GTmetrix

????Google site speed cheaker 

????Ubersuggest 

শেষকথা,

এই পোস্টে অন পেজ এসইও নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমি আশাবাদী আপনি উপকৃত হয়েছেন পোস্টটি থেকে। যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top