গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? | বর্তমান এর চাহিদা ও চাকরির সুযোগ

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার উপায়: Onlineincomebd.net এর গ্রাফিক্স ডিজাইন পোস্টে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইন আসলে কি ও কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। সেইসাথে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনের কতটা চাহিদা আছে অনলাইনে ও অফলাইনে সেটাও জানব।

আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? বর্তমান এর চাহিদা ও চাকরির সুযোগ
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? বর্তমান এর চাহিদা ও চাকরির সুযোগ

আর্টিকেলে যা যা আছেঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?

ফেসবুকে অথবা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অথবা পত্র-পত্রিকায় আমরা প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের এড দেখে থাকি।

যেমন একটি স্মার্টফোন কোম্পানির এড এর কথা চিন্তা করুন। এই অ্যাডগুলোতে সাধারণত স্মার্টফোনের ছবি এবং এই স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে আপনি কি কি আলাদা সুবিধা পাবে তা সুন্দর করে একটি ছবির মধ্যে সব বর্ণনা করে লেখা থাকে।

ছবির মধ্যে ক্যামেরার বর্ণনা, কয়টি ক্যামেরা আছে, ক্যামেরার মেগাপিক্সেল, ব্যাটারি, র‍্যাম, রম, প্রসেসর ইত্যাদির কথা খুব সুন্দর করে আলাদা ভাবে লেখা থাকে।

ছবির মধ্যে চোখ বুলালেই এই বৈশিষ্ট্যগুলো আলাদা করে চোখে পড়ে।
এই যে এই ধরনের ফিচার গুলো সুন্দর করে আলাদা করে ছবির মধ্যে হাইলাইট করে মোবাইল কোম্পানিগুলো গ্রাহকের কাছে তাদের বার্তা পাঠাচ্ছে।

তাদের মোবাইল কিনলে গ্রাহকের কি কি সুবিধা পাবে সুন্দর করে একটি ছবির মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। এই যে এতগুলো কথা ছবির মাধ্যমে আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরেছে গ্রাফিক্স ডিজাইনারা।

সুতরাং গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এর জবাবে আমরা বলতে পারি যে গ্রাফিক্স ডিজাইন হল ছবি, বার্তা বা ভিডিও ব্যবহার করে সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে কোন বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজটিই হল গ্রাফিক্স ডিজাইন।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের মধ্যে থাকে স্কেচ, টাইপোগ্রাফি, কালার, অ্যালাইনমেন্ট কনট্রাস্ট এবং এসব কিছুর সমন্বয় ঘটিয়ে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজ তৈরি করে থাকেন।।

বর্তমানে অনেক চাহিদা আছে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এও ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করা যায়।

অবশ্যই পড়বেন:

গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখবঃ

আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখব? গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কি করা যায়?

আমি এখানে সংক্ষিপ্তভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ফলে লাভটা কী তা তুলে ধরার চেষ্টা করব। যেন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার প্রতি আপনাদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

আপনার ভিজিট করা একটি ওয়েবসাইট এর কথা চিন্তা করুন।

ওয়েবসাইটটির যে সুন্দর ভাবে এডিট করা ছবিগুলো দেখবেন যেখানে ওয়েবসাইট অথবা এর পন্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বর্ণনা থাকবে, বা বিখ্যাত বিখ্যাত কোম্পানির ফিচার গুলো যেগুলো ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করা- এই সবগুলো কাজই এই গ্রাফিক্স ডিজাইনারের করে থাকে।

পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের সুবিধা হল গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজে আপনি ঘরে বসে থেকে করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার যে নির্দেশদাতা তার থেকে নির্দেশ গ্রহণ করে আপনি আপনার কাজ সম্পাদনা করতে পারবেন।

এখানে আপনার সব সময় সেই ছকবদ্ধ ৯ টা থেকে ৫ টা অফিস না করলেও চলবে। পাশাপাশি এমন অনেক কাজ আছে গ্রাফিক্স ডিজাইন এ যা আপনি খুব অল্প সময়ে করেও আপনি অনেক আয় করতে পারবেন।

গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ে আপনি দুই থেকে তিন ঘণ্টা কাজ করেই যে যে পরিমাণ অর্থ পেতে পারেন তা অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং পেশা যেমন হচ্ছে ডাটা কালেকশন ইত্যাদিতে ৮ ঘণ্টা কাজ করেও অনেকে পায় না। মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কিল নির্ভর কাজ।

আপনি যত স্কিলড হবেন গ্রাফিক্স ডিজাইনুং এ কাজের সুযোগ তত বাড়বে। পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে প্রাপ্ত অর্থ ও অনেক বেশি হবে ইনশা আল্লাহ।

চাকরির সহজলভ্যতা আছে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের। আমরা বাংলাদেশে যারা থাকি তারা তো সকলেই জানি যে বাংলাদেশের চাকরির বাজার কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।

এখানে অনেক ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়েও বর্তমানে চাকরি পাচ্ছে না এরকম অনেক হাজার হাজার উদাহরণ আছে।

কিন্তু আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন তাহলে আপনার চাকরি নিয়ে টেনশন করতে হবে না ইনশাল্লাহ। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের প্রায় প্রতিটা ওয়েবসাইট তৈরিতে দরকার।

পাশাপাশি ত বিভিন্ন রকম ছবি, বই, ম্যাগাজিন কার্টুন এসব জিনিস করতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের দরকার হয়।
কাজেই আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবে আপনার ইনশাল্লাহ চাকরি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য যা লাগবেঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনার দুটি জিনিস অত্যাবশ্যকীয়।
তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে একটি ল্যাপটপ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইন্টারনেট কানেকশন।
ল্যাপটপ বলতে পার্সোনাল কম্পিউটার বা খুব উঁচু কনফিগারেশনের ক্রোমবুক দিয়েও গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর কাজ করা যায়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের জন্য আপনার ল্যাপটপের কনফিগারেশন যত ভালো হবে ততো দ্রুততার সাথে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন।

আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য ল্যাপটপ কিনতে চান তবে আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো ইন্টেল কোর আই সেভেন অথবা এর সমতুল্য এমডি রাইজেন এর কনফিগারেশন সমৃদ্ধ ল্যাপটপ বা পিসি কিনতে।

তাহলে এই উন্নত কনফিগারেশন এর ল্যাপটপ বা পিসি দিয়ে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজগুলো খুব দ্রুত করতে পারবেন।

কারণ প্রসেসর যত উন্নত হবে ততো দ্রুত যেমন আপনি কাজগুলো করতে সক্ষম হবেন ঠিক তেমনি ল্যাপটপ বা পিসি হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে।

কিন্তু আপনি যদি তুলনামূলক কম শক্তিশালী যেমন ইন্টেল কোর আই থ্রি অথবা এরকম কোন প্রসেসর যেগুলো সেগুলো দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করতে চান তবে সম্ভবনা আছে যে আপনার ল্যাপটপ হ্যাং হয়ে যেতে পারে বা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ খুব আস্তে করতে পারবেন।

এরকম কম শক্তিশালী প্রসেসর দিয়ে কাজ করাও বিরক্তিকর। তাই নিখুঁত ভাবে কাজ করতে চাইলে আপনার কমপক্ষে প্রসেসর কোর আই ফাইভ থেকে শুরু করা উচিত।

আপনি ৩৫-৪৫ হাজার টাকার মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য ভাল পিসি এবং ৫৫-৭০ হাজার টাকার মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য ভাল ল্যাপটপ পাবেন।

আর দেখুন: 

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রকারভেদঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। আমরা এখন এর মধ্যে কয়েকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকারের যায় যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা দেখে থাকি সেগুলো জানবো ইনশা আল্লাহ।

পাবলিকেশন গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ

বিভিন্ন রকম প্রকাশনা তাদের বইয়ের প্রচ্ছদ বিভিন্ন কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক কাজ করে থাকে। কোম্পানির লোগো থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে এই ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা কাজ করে থাকে।

এ ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা বই, ম্যাগাজিন এর পেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাদের ডিজাইন প্রণয়ন করে থাকে।

ইউজাত এক্সপেরিয়েন্স গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ

আপনি যে কোন একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন তথ্য গুলো জানার জন্য ওয়েবসাইটের টাইপোগ্রাফি, কালার এলাইনমেন্ট সহ বিভিন্ন বিষয়ে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ঠিক করে থাকেন।

এ ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনার দের অনেক সময় ওয়েব ডিজাইনার ও বলা হয়ে থাকে তবে ওয়েব ডিজাইনারদের সাথে এধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের পার্থক্য আছে কিছুটা।

ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এ বিশেষজ্ঞ গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ব্যবহারকারীরা তাদের তথ্যগুলো সহজে খুঁজে পেতে পারেন এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকে।

ব্যবহারকারীরা যেন ওয়েবসাইটে ভিজিট করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিষয়ে খুঁজে পেতে পারে এই বিষয়ে লক্ষ্য করা এই গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের মূল কাজ।

মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন গুলোর মধ্যে আমি বলব এখন সবচাইতে বেশি বাজারে চাহিদা মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনার দের। বাংলাদেশে মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর ব্যাপক ব্যবহার যোগাযোগ প্রযুক্তি তে বিপ্লবের সূচনা করতে পারে।

অ্যানিমেশন বা কার্টুন যা আপনাত টিভি বা কম্পিউটার এ দেখে থাকেন এই সকল অ্যানিমেশন ও কার্টুন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা তৈরি করে থাকেন। এই ধরনের বিশেষ গ্রাফিক্স ডিজাইনকে বলা হয় মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের বাজারে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এককথায় অনন্য। কারণ এ ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সাহায্যে কোন রকম মানুষের পর্দায় উপস্থিতি ছাড়া এখন কার্টুনের সাহায্যে গল্প, উপন্যাস, নাটক তুলে ধরা হচ্ছে।

কোন মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা তাদের কল্পনা শক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে বিভিন্ন বার্তা কার্টুন এর মাধ্যমে সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

মার্কেটিং এন্ড পাবলিকেশন্স গ্রাফিক্স ডিজাইনিংঃ

এই লেখার একদম শুরুতে আমি একটি উদাহরণ দিয়েছিলাম যে মোবাইল কোম্পানি তাদের স্মার্টফোন বিক্রি করার জন্য যেভাবে একটি মোবাইল ফোনের ছবি দিয়ে তার মধ্যে সুন্দর করে বিভিন্ন রকম ফিচার দিয়ে থাকে।

যেমন স্মার্টফোনের টাচ স্ক্রিন কেমন, গ্যারান্টি, ব্যাটারি, মোবাইলের ক্যামেরা কত মেগাপিক্সেলের ইত্যাদি দিয়ে থাকে যাতে গ্রাহকরা তাদের কোম্পানির স্মার্টফোন এর দিকে আকৃষ্ট হয়।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর যে শাখার মধ্যে এই কাজ অন্তর্ভুক্ত তা হল মার্কেটিং এন্ড পাবলিকেশন্স গ্রাফিক্স ডিজাইন।

এ ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনারের সাহায্যে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্ল্যাটফর্মের দিকে মানুষকে আকৃষ্ট করে থাকে।
এর জন্য তারা মার্কেটিং এবং অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের মূল কাজ থাকে যে তারা যেন কোম্পানির বিভিন্ন সুবিধাগুলো মানুষের কাছে সহজে তুলে ধরতে পারে।

যেমন ধরুন বিশ্বের সবচাইতে বিখ্যাত ই-কমার্স প্লাটফর্ম অ্যামাজনের কথাই বলি।
অ্যামাজনে আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট কিনতে যান তখন দেখবেন যে বেশিরভাগ প্রোডাক্টের সাথে ডেসক্রিপশন ফিচার লেখা থাকে।

আর বড় বড় যেগুলো কোম্পানি আমাজনে বিক্রি করে সেগুলোতে প্রোডাক্ট ডেসস্ক্রিপশন এর সাথে সুন্দর করে তীর চিহ্ন দিয়ে অথবা পয়েন্ট করে আলাদা করে ছবির মধ্যে কি কি সুবিধা আলাদা ভাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার রা এভাবে মার্কেটিং এন্ড এডভার্টাইজমেন্ট এর কাজ করে থাকে।

এগুলো ছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর আরো কতগুলো ভাগ আছে যেমন এনভায়রনমেন্টাল গ্রাফিক্স ডিজাইনিং যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর সাহায্যে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

পাশাপাশি পরিবেশের জন্য কি কি ক্ষতিকর এবং পরিবেশের সুরক্ষার জন্য আমাদের কি কি করা উচিত তা তুলে ধরা হয়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং একটি বিশেষ শিল্প যার অনেক গুলো ভাগ সম্পর্কে আমরা এখন জানলাম।

গ্রাফিক্স ডিজাইন আমি তাদের জন্য বিশেষভাবে প্রেফার করব যারা আঁকাআঁকিতে খুব ভালো অথবা যাদের রং, লেখার স্টাইল এসব নিয়ে ভাল ধারণা আছে।

এ ধরনের সৃষ্টিশীল মানুষেরা গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ে ভালো করার একটি সম্ভাবনা বেশি কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর একটি বড় অংশ হল ডিজাইন।

আর যারা আগে থেকে আকা আকি করে তারা এই বিশেষ সুবিধা পাবে যখন তারা ডিজাইন করবে এবং তাদের কল্পনা শক্তি ডিজাইনিং এর ক্ষেত্রে অন্যান্য দের থেকে ভাল হয়।

তাহলে এখন বুঝতে পারলাম যে আমরা দৈনন্দিন কাজ দৈনন্দিন জীবনে অনেক ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনিং দেখে থাকি তা কার্টুন হোক বা বিভিন্ন ভিডিও হোক বা কোন কোম্পানির বই।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার দের কর্মক্ষেত্র অনেক অনেক বিশাল তা আমরা সহজেই বুঝতে পারছি।
এখন আমরা জানবো আমরা কোথা থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারি।

আর দেখতে পারেন: 

গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব?

আশা করি আমার উপরে লেখা পড়ে আপনাদের মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রতি ক্যারিয়ার গড়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনি কিভাবে শিখতে পারেন তা সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনি যদি এসএসসি ও এইচএসসি লেভেলে পড়েন এবং এখনও বিশ্ববিদ্যালয় না উঠে থাকেন তবে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই সাবজেক্ট টি পছন্দ করতে পারেন।

এই সাবজেক্টে আপনাকে একাডেমিক ভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখানো হবে।

এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর পাশাপাশি আপনাকে ওয়েব ডিজাইনিং, কোডিং ইত্যাদি বিষয়ও শিখানো হিবে এবং এখানে আপনি একাডেমিকভাবে যেমন শিখতে পারবেন তেমনভাবে এই সম্পর্কিত বিষয়ে আপনি একাডেমিক ভাবে বিশেষজ্ঞ হতে পারবেন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি আপনার লক্ষ্য হয় তবে পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সিএসসি ডিপার্টমেন্ট আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত। আর যদি আপনি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন তবে আপনাকে দেখতে হবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই ডিপার্টমেন্ট কেমন।

শিক্ষকদের ফ্যাকাল্টি অর্থাৎ যারা যারা সিএসই ডিপার্টমেন্ট থেকে এ ক্লাস নেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের সম্পর্কে আপনি জেনে আসতে পারেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এবং তা আপনাকে ওই ওয়েবসাইট এর সিএসই ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে যথার্থ ধারণা দিবে।

আমি এখানে চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রিকমেন্ড করব যেখান কার সিএসই ডিপার্টমেন্ট এর ফ্যাকাল্টি দুর্দান্ত।

সরকারি চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হল বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট এবং চুয়েট। বেসরকারি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় হল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ব্র‍্যাক ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

এগুলো খুবই স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো ছাড়াওঅন্যান্য সরকারি এবং বেসরকারি ইউনিভার্সিটি আছে যেখানে অনেক ভালো করে সিএসই পড়ানো হয় যেখান থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন।

তবে আপনি যেখানেই ভর্তি হন না কেন অবশ্যই খোঁজখবর নিয়ে ভর্তি হবেন কারণ মনে রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এই চারটি বছর আপনার জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৪ টি বছর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই ডিপার্টমেন্টে পড়ে তাদের এমন অনেক ছাত্র আছে যারা দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় বর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বা কোডিং বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে যায় এবং তারা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় করতে শুরু করে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রশিক্ষণ

বাংলাদেশ সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্প আছে যেখানে ফ্রি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়।

এলইডিপি নামের এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিনামূল্যে চালু করেছে।
এলইডিপি থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর প্রশিক্ষণ নিয়ে মাধ্যমে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সম্পর্কে অনেক কিছু স্বল্প সময়ে এবং বিনামূল্যে জানতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর বিশেষজ্ঞ রা এখানে ক্লাস নেন। আমার নিজের একজন বন্ধু এই প্রকল্প দ্বারা গ্রাফিক্স শিখেছে এবং বর্তমানে সে খুব ভালোই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে।

যারা বিনা পয়সায় এবং অল্প সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান তাদের জন্য এই এলইডি প্রকল্প টি একটি অসাধারণ প্রকল্প আমি বলব।

ইউটিউব থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা

ইউটিউব থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং আপনি শিখতে পারেন। ইউটিউব থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য আমি যদি আপনাকে রিকমেন্ড করব আপনি যদি ইংরেজি জানেন তবে ইংরেজি ভাষার চ্যানেল গুলো দেখতে।

কারণ ইংরেজি ভাষার চ্যানেল গুলো তে অনেক বিস্তারিত ভাবে এবং সুন্দর করে বুঝানো হয়।
পাশাপাশি আমি একটি চ্যানেলের কথা বিশেষভাবে রিকমেন্ড করব যা আমি নিচে আলোচনা করছি।

বাংলাদেশের অনেকেই উর্দু হিন্দি ভাষা বুঝেন। যারা যারা উর্দু হিন্দি ভাষা বোঝেন তাদের জন্য GFX Mentor নামে একটি উর্দু ভাষা তে চ্যানেল আছে সেই চ্যানেলে আপনার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনিং খুব সুন্দর করে উর্দু ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সম্পর্কে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সম্পর্কে ইউটিউবে আপনি ইংরেজি ভিডিও দেখার পাশাপাশি অনেক সুন্দর করব বুঝানো গ্রাফিক্স ডিজাইন বাংলা টিউটোরিয়াল আছে।

ইউটিউবের গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিডিও টিউটোরিয়াল থেকে আপনি এভানে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন।

ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় আপনার মনে রাখতে হবে আপনি প্রায় সবকিছুই পাবেন তবে এর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং ইউটিউবে ভিডিও দেখার সাথে সাথে আপনার ল্যাপটপ বা পিসি তে গ্রাফিক্স ডিজাইন টি প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন না হলে আপনি বিষয়টি ভুলে যেতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য অফলাইন কোর্স

এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য বিভিন্ন অফলাইন কোর্স পাওয়া যায়।


যেমন আপনি অনেক বিজ্ঞাপন দেখে থাকবেন যেখানে বলা হয় যে হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শিখে আয় করুন হাজার হাজার টাকা।

আপনি যদি এরকম অফলাইন কোর্সে ভর্তি হন তবে আপনি অবশ্যই দেখবেন যে এসব অফলাইন কোর্সে কারা ক্লাস নিচ্ছেন।

যারা ক্লাস নিচ্ছেন তারা কি যোগ্য কিনা এবং তারা কি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারছে কিনা তা যাচাই করে নিবেন।

কারণ বর্তমানে অফলাইনে অনেক ধরনের ফ্রড তৈরি হয়েছে যারা এরকম টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে তাদের ফাঁদে ফেলে।

সুতরাং আপনাকে অবশ্যই অফলাইনে কোন ক্লাস করার আগে যাচাই করে নিতে হবে যে বা যারা এই ক্লাস করাচ্ছে তারা এই কোর্স করানোর যোগ্য কি না।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স

অনলাইন কোর্স এর জন্য আমি বলব অনলাইন পেইড কোর্স গুলোর কথা আমি এখানে আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ।

বিশেষ করে এগুলো পেইড অনলাইন কোর্স কে আমি পেইড অফলাইন কোর্স এর থেকেও ভালো বলব।
কারণ অনলাইনে পেইড কোর্স যারাকরছে আপনি এমন এমন শিক্ষক পাবেন যারা এই বিষয় বিশেষভাবে বিশেষজ্ঞ এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনিং নিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার আছে।

আমি এখন তিনটি ওয়েবসাইটের নাম বলব udemy, udacity এবং coursera. তিনটি ওয়েবসাইটে আপনি অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর কোর্স খুব অল্প দামে করতে পারবেন।

বলাবাহুল্য এই তিনটি ওয়েবসাইট udemy, udacity এবং চউরসেরা এর কোর্সগুলো পেইড কোর্স।

তবে udemy, udacity এবং coursera এর মধ্যে coursera ওয়েবসাইটে আপনার যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেইল আইডি থাকে তবে এই ওয়েবসাইটটি থেকে আপনি ফ্রিতে কিছু কিছু কোর্স করতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর।

তিনটি ওয়েবসাইটের থেকে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের অনেকগুলো কোর্স পাবেন এর মধ্যে থেকে যদি আপনি বাছাই করেন তবে অবশ্যই সেই কোর্সগুলা বাছাই করবেন যেগুলো সবচাইতে বেশি হাই রিভিউ এবং রেটিং পেয়েছে।

এই কোর্সগুলো আপনি করতে পারবেন যদি আপনার ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড থাকে আপনি নিজের অথবা অন্যের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এই কোর্সগুলো করতে পারবেন।

আপনি যদি অর্থ খরচ করে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান তবে এই তিনটি ওয়েবসাইট সর্বশ্রেষ্ঠ জায়গা হতে পারে আপনার শেখার জন্য।

আর দেখুন: 

গ্রাফিক্স ডিজাইন বই

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য একটি বড় মাধ্যম বইপত্র।

ইউটিউব অথবা অন্যান্য যেগুলো ভিডিও পাওয়া যায় গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর তার সাথে আপনি একটি ক্লাস লেকচার এর তুলনা করুন।

লেকচার আপনার শিক্ষক যত ভালোই হোন না কেন তিনি তার সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে শুধু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো তুলে ধরবেন।

কোন ছাত্র হয়তো শিক্ষকের কথা শুনে পরীক্ষায় মোটামুটি পাস করতে পারবে। কিন্তু যদি সে পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পেতে চায় তবে তাকে অবশ্যই বই পড়তে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর ক্ষেত্রেও কথাটা ঠিক এমনিভাবে খাটে। ইউটিউব অথবা অন্যান্য ভিডিও দেখে হয়তো গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সম্পর্কে অনেক ভালো জানবে শিখতে পারবে কিন্তু এ বিষয়ে যদি আপনি এক্সপার্ট হতে চান এবং সেরা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চান তবে আপনার অবশ্যই বই পড়া উচিত।

নীলক্ষেতে আপনি নতুন পুরাতন অনেক ধরনের বই পাবেন যেখান থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য আপনি বিস্তৃত ধারণা নিতে পারেন।

অথবা অ্যামাজন এর মাধ্যমে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর বই কিনতে পারেন এবং যেই বইগুলো খুবই হাই রেটেড এবং বিখ্যাত। বই পড়ে আপনি সম্পূর্ণ গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর অনেক খুঁটিনাটি পাবেন যা আপনি ভিডিও দেখে পাবেন না।

কাজে গ্রাফিক ডিজাইন শেখার অন্যতম একটি মাধ্যম আমি হল বই।

গ্রাফিক্স ডিজাইন pdf book free

অনেকে হয়তো ঢাকার বাইরে থাকেন অথবা নীলক্ষেতে কিভাবে বই খুজতে হবে তা সম্পর্কে জানেন না।

তাদের জন্য আমি বলব গ্রাফিক্স ডিজাইন বই pdf সংগ্রহ বা গ্রাফিক্স ডিজাইন বুক পিডিএফ এরকম ভাবে সার্চ দিলে আপনি গুগল এ অনেক অপশন পাবেন যেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ মতন বইটির পিডিএফ নামিয়ে নিতে পারবেন।

ইন্টারনেট ফ্রি পিডিএফ হিসেবে পাওয়া যায় যেগুলো আপনি পড়ে আপনার জ্ঞানকে যেমন সমৃদ্ধ করতে পারেন ঠিক তেমনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর খুঁটিনাটি ও আপনি জানতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য পিডিএফ এর বই আমি তাদের জন্য বিশেষভাবে রিকমেন্ড করব যারা প্রথমেই গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শেখার জন্য আলাদাভাবে অর্থ খরচ করতে চান না কিন্তু তারা বই পড়তে চান।
তার গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে ফ্রী পিডিএফ বই গুলো পড়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সম্পর্কে জানতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য অনেক ফ্রি এবং বলাবাহুল্য অনেক পেইড সফটওয়্যার পাওয়া যায়। আপনি এই গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার সংগ্রহ করতে পারেন।

একটি ফ্রী সফটওয়্যার যেখানে আপনি ছোটখাটো অনেক গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করতে পারবেন তাহল canva। canva তে আপনি অনেক free-tremplate পাবেন এবং অনেক ধরনের ডিজাইন পাবেন যা দিয়ে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর ছোটখাটো কাজ সহজেই করতে পারবেন।

এছাড়াও পেইড সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে আছে স্কেচবুক, এডোবে ইলাস্ট্রেটর, এডোবে ফটোশপ অনেক সফটওয়্যার আছে যেগুলো দিয়ে আপনার অর্থ দিয়ে যেগুলো কিনতে হবে।

এগুলো নিয়ে দুর্দান্ত অসাধারণ সব গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করা যায়। তবে আমি আপনাকে বলব আপনি যদি বিগিনার হয়ে থাকেন হয়ে থাকেন তবে আপনার canva দিয়ে শুরু করা উচিত।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের অনেক কর্মক্ষেত্র আছে graphic-designer এর কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে আমরা শুরুতে হালকা আলোচনা করেছিলাম এখন আমরা তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ।

গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ফাইবার আপওয়ার্ক অথবা গুরুর মত ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ খুঁজতে পারেন। এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য অনেক ধরনের কাজ পাওয়ার সুযোগ আছে।

এই ওয়েবসাইট গুলো থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশে বসে বসে তারা বিদেশ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

ফাইবারে কাজের উদাহরণ দিলে আপনি বিষয়টি বুঝতে পারবেন যেমন ধরুন বলা হলো যে একটি অ্যানিমেশন কার্টুন তৈরি করে দিতে হবে।

অথবা কোন বিজনেস ওয়েবসাইট এর জন্য সুন্দর করে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজ ফিচার সহ লিখে দিতে হবে এরকম কাজগুলো ফাইবার, আপওয়ার্ক এর মত নেটওয়ার্ক এ পাওয়া যায়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার দের রিমোট জব

রিমোট জব সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন। রিমোট জব হলো এমন ধরনের জব যেখানে আপনি বিশ্বের যেকোনো জায়গায় বসে থেকে আপনি অফিসের কাজের মত কাজ করতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য অনেক রিমোট জব পাওয়া যায়।
রিমোট জব এর উদারতা হল যেমন ধরুন আপনি বাংলাদেশে আছেন। কিন্তু আপনি নিউজিল্যান্ডের কোন কোম্পানির হয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করছেন খুব সহজে আপনার ল্যাপটপ এর সাহায্যে। এটি হল রিমোট জবের একটি একটি উদাহরণ।

রিমোট জবের সবচাইতে বড় সুবিধা হলো এখানে আপনি ঘরে বসে কাজ করলেও আপনি ওই দেশের কারেন্সি তে টাকা পাবেন।

যেমন ধরুন আমেরিকার কোন কোম্পানিতে চাকরি করে আপনি যদি মাসে খুব কম করে হলেও ৪ হাজার ডলার আয় করতে পারবেন যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার সমান!

গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাকরি

যায় বাংলাদেশে বর্তমানে অনেকে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং অনেক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আছে যাদের গ্রাফিক ডিজাইনার দের বিশেষ দরকার হয়। যেমন এডভার্টাইজিং এন্ড মার্কেটিং এর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের দরকার হয়।

আপনি এসকল কোম্পানিগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার দের পার্ট টাইম জব

পার্টটাইম জব হলো আপনি একটি কোম্পানিতে করার সপ্তাহে অথবা মাসে কয়েক ঘণ্টার জন্য চাকরি করবেন।

এই কয়েক ঘণ্টার চাকরি করার জন্য যেমন তারা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিবে। এই পার্ট টাইম জব মূলত তাদের জন্য যারা বিশ্ববিদ্যালয় সিএসই ডিপার্টমেন্টে পটে অথবা ফুল টাইম জব করার পাশাপাশি পার্টটাইম জবও অনেকেই করে থাকে।

শেষকথা,

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এ নিয়ে অনেক আলোচনায় আমরা করলাম। শুধু আমিই শেষে কথা বলতে চাই যদি আপনার বা আপনার পরিচিত কারো ল্যাপটপ বা পিসি থাকে তবে আজই আপনি শুরু করতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শেখা।

আপনি মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ভিডিওগুলো দেখে আপনার ল্যাপটপ বা পিসি তে আপনি তা প্রয়োগ করলেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে আয় করে অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। তাই আপনিও শুরু করতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং।

আপনার যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সম্পর্কিত যে কোন প্রশ্ন থাকে তবে আপনি আমাদের কমেন্ট বক্সে করতে পারেন আর যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই লাইক কমেন্ট শেয়ার করে আমাদের জানান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top