ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম (বিস্তারিত এখানে)

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন এর বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। অনেকের মাঝে এই প্রশ্নটি রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কি?

আজকের এই প্রশ্নের আদ্যপ্রান্ত বুঝানোর চেষ্টা করব আপনাকে। আশা করি আপনি শেষ পর্যন্ত আমার সাথেই থাকবেন এবং এ আর্টিকেলটি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং বিস্তারিত জেনে নিবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং
ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পন্ন পোস্টটি না পড়েন, তাহলে কিন্তু আপনি অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় মিস করবেন যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান। সেজন্য আমি শুরুতেই আপনাকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে দিলাম। ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং জানার আগে তো আগে জানি যে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা কি?

অবশ্যই দেখবেন:



ফ্রিল্যান্সিং কি? (What Is Freelancing?)

যে সকল অনলাইন কাজের মাধ্যমে নিজের জায়গায় বসে অন্যের কাজ করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। আরো সহজে বলতে গেলে, অনলাইনে অন্যের কাজ করে দিয়ে যে অর্থ উপার্জন করা হয় তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। আশা করি আপনি ফ্রিল্যান্সিং কি বিষয়টা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তো চলুন এখন জানি ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? (What Is Digital Marketing?)

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে খুব সহজে বলতে গেলে, অনলাইনে বা ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোন পণ্যের বা সার্ভিসের মার্কেটিং করার প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। ডিজিটাল মার্কেটিং টা শুধু অনলাইনে বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে হয়ে থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কি? (What Is Digital Marketing Freelancing?)

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন সার্ভিস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং বলে। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করাই ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং।

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি কাজ খুব ভালোভাবে শিখতে হবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক কাজ রয়েছে। কিন্তু আপনাকে এমন একটি কাজ শিখতে হবে যেটার বর্তমানে এবং অদূর ভবিষ্যতে ভালো পরিমাণ চাহিদা থাকবে।

চিন্তা করবেন না আমি এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ নিয়ে আলোচনা করব। যে কাজগুলো আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং খুব ভালোভাবে করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আমি এই প্রশ্নের মধ্যে যে কাজগুলো উল্লেখ করবো এ কাজগুলোর চাহিদা বর্তমানেও ভালো রয়েছে এবং ওদের ভবিষ্যৎ ভালো থাকবে ইনশাল্লাহ।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে ভালো একটি কাজ শিখুন

এখন আমি আপনার সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু জনপ্রিয় এবং ভালো মানের কাজ উল্লেখ করব। এ কাজগুলো আপনি শিখে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।

১. এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

আমার দৃষ্টিকোণ থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সবচাইতে ভালো চাহিদা রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এসইওতে।

এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের মত করে একটি ওয়েবসাইটে কাজ করে সেই ওয়েবসাইটকে সার্চিং দিনে ভালো পজিশনে নিয়ে আসা। এ সার্চ ইঞ্জিনে ভালো পজিশনে নিয়ে আসার পুরা প্রক্রিয়াকে এসইও বলে।

আপনি যদি ভালো করে এসইও শিখতে পারেন তাহলে আপনি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও এসইও কাজে স্থায়ী চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

তবে স্থায়ী চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং আপনার ক্লায়েন্টের মন জয় করতে হবে।

আমাদের ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও নিয়ে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল রয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে আর্টিকেলটি পরেও এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

২. ফেসবুক মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিংয়ে ফেসবুক মার্কেটিং একটি অন্যতম কাজ। ফেসবুক মার্কেটিং করে বাংলাদেশের হাজারো ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আসছে।

ফেসবুক মার্কেটিং টা হচ্ছে ফেসবুকে কোন পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং করাকে বোঝানো হয়। অর্থাৎ আপনার ক্লায়েন্টের কোন সার্ভিস বা পন্যকে ফেসবুকে মার্কেটিং করতে হবে। সেটা হতে পারে ফ্রি মার্কেটিং বা পেইড মার্কেটিং।

ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে ফ্রি ও পেইড উভয় ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। কারণ দুইটা পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

৩. ইউটিউব মার্কেটিং

ফেসবুক মার্কেটিং এর মতই ইউটিউব মার্কেটিং এ কোন পণ্য বা সার্ভিস এর মার্কেটিং করাকে ইউটিউব মার্কেটিং বলে। ইউটিউবে দুই ধরনের মার্কেটিং করা যায়। একটি হচ্ছে পেইড মার্কেটিং আরেকটি হচ্ছে ফ্রি মার্কেটিং।

আপনাকে ইউটিউবের ক্ষেত্রেও পেইড ও ফ্রি মার্কেটিং দুটোই ভালো করে জানতে হবে। ইউটিউবে পেইড মার্কেটিং ও ফ্রি মার্কেটিং দুটো করে অর্থ উপার্জন করা যায়।

৪. ইমেইল মার্কেটিং

আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ইমেইল ব্যবহার করে থাকি। ইমেইল এর মাধ্যমে যে মার্কেটিং টি করা হয় এই মার্কেটিং কে ইমেইল মার্কেটিং বলে থাকে।

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ইমেল মার্কেটিং একটি অন্যতম ফ্রিল্যান্সিং কাজ। আমাদের কাছে কাজটি সহজ মনে হলো কিন্তু, হাজার লোক ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে থাকে।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্স মার্কেট গুলোতে একজন ইমেইল মার্কেটারের কাজ করার রেট দেখান তাহলে আপনি অবশ্যই অবাক হয়ে যাবেন। বিশ্বাস না হলে আপনি ফ্রিল্যান্স মার্কেট গুলোতে ইমেইল মার্কেটিং টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সারদের কাজের রেট দেখতে পারেন।

৫. ভিডিও মার্কেটিং

ভিডিওর মাধ্যমে যে মার্কেটিং টি করা হয় এ প্রক্রিয়াকে ভিডিও মার্কেটিং বলে। বর্তমান সময়ের ভিডিও মার্কেটিং খুবই কার্যকরী একটি পদ্ধতির মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে। ভিডিও মার্কেটিং এ কনভারসেশন রেট অনেক হাই থাকে। তাই বর্তমানে সবাই ভিডিও মার্কেটিং এর প্রতি বেশি ঝুঁকে যাচ্ছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং এর ভিডিও মার্কেটিং একটি অন্যতম কাজ। ভিডিও মার্কেটিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের হাজারো ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে ফ্রিল্যান্সিং করো অর্থ উপার্জন করতেছে। ভিডিও মার্কেটিং সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়াতে ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে করা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে নিজের একাউন্ট তৈরি করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ জানার পর আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আপনাকে ক্লাইন্টের কাজ জোগাড় করতে হবে।

আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আপনার অ্যাকাউন্ট বা প্রোফাইল অবশ্যই প্রফেশনাল হতে হবে। কারণ প্রফেশনাল প্রোফাইল ব্যতীত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে কার জোগাড় করা খুবই কঠিন ব্যাপার।

কারণ এমনিতে নতুন যারা কাজ করে তাদেরকে কাজ ক্লায়েন্টরা দিতে চায় না। আরো যদি প্রোফাইল প্রফেশনাল না দেখায় তাহলে তো আরো সমস্যা। এজন্য আপনাকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে আপনার প্রোফাইলটি প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করতে হবে।

প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারেন। ইউটিউবে এ অনেকগুলো বাংলা ভিডিও রয়েছে যেগুলোর মধ্যে প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি করার বিস্তারিত আলোচনা করেছে।

আপনার কাজের পোস্টে আবেদন করুন

আপনার যখন ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি করা হয়ে যাবে। তারপর আপনার ফিডে আপনার কাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন পোস্ট দেখতে পাবেন। এখন আপনাকে এই পোস্টগুলোতে তাদের জন্য আবেদন করতে হবে যে আপনি এ কাজটি করার জন্য আগ্রহী।

আপনি যখন কাজে আবেদন করবেন তখন খুব সুন্দর ভাবে ছোট করে গুছিয়ে লিখবেন। আপনি এই কাজে কতটুকু দক্ষতা অর্জন করেছেন, আপনি কিভাবে সুন্দর ভাবে কাজটি করবেন, আপনি কত টাকা চার্জ নিবেন, ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তোলার নিয়ম

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা আপনি খুব সহজেই নিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে যে অর্থ উপার্জন করবেন সেটা আপনি সরাসরি ব্যাংকে উত্তোলন করতে পারবেন।

এছাড়াও অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার কর আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা হাতে নিতে পারেন। যেমন: পেপাল, পেওনিয়ার, স্কিলার, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ইত্যাদি।

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং শেষ কথা,

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে ২০২৩ সালে আপনি অর্থ উপার্জন করবেন। আশা করি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং বিষয় বিস্তারিত জেনে গেছেন।

এখনো যদি আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে, তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন।

এছাড়াও নিয়মিত বাংলাতে প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল পড়তে বা অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসতে পারেন। আমরা নিয়মিত প্রযুক্তি বিষয়ক ও অনলাইন ইনকাম বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশ করি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top