ফেসবুক মার্কেটিং কি?: কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হয়?

আপনার যদি নিজস্ব কোনও পণ্য থাকে, ব্যবসা থাকে, বা করতে ইচ্ছুক হন, কিংবা ব্যবসাক্ষেত্র আরো অনেকদূর বিস্তৃত করতে চান- তবে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্যই। এখানে আমরা ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং থেকে শুরু করে- ফেসবুক মার্কেটিং কি? কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করা যায়? ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার হতে পারে? ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন? ইত্যাদি সব বিষয় নিয়েই আলোকপাত করবো।

আর্টিকেলে যা যা আছেঃ

ফেসবুক মার্কেটিং কি?:ফেসবুক মার্কেটিং করার নিয়ম

ইন্টারনেটের এই ঝলমলে দুনিয়ায় যখন এসেই পড়েছেন, তখন আপনাক নতুন করে ফেসবুক চিনিয়ে দেবার কোনো মানে হয় না। আমাদের অনেকের কাছেই নেট সার্ফিং করা মানেই ফেসবুক! আসলে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় প্রত্যেক দেশের জনগণের কাছেই ইন্টারনেট মানেই ফেসবুক। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক লোক-ই তাই বিশ্বাস করি আমরা। আমাদের কাজে কর্মেও তাই প্রতিফলিত হয়। উহু, এটি আমার কথা নয়; পরিসংখ্যান বলে। এছাড়াও আপনি জানেন কি ফেসবুকে ২০২১ সালে মোট ইউজারের সংখ্যা কত? প্রায় ২.৮ বিলিয়ন! এবং, প্রতিমাসে এর সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যাটাও নেহায়েত কম নয়- প্রায় ১.৮৪ বিলিয়ন!

সম্প্রতি একটি সার্ভেতে দেখা গিয়েছে যে, একটা মানুষ প্রতিদিন খুব কম করে হলেও গড়ে ৩০ মিনিট সময় ফেসবুকে ব্যয় করবেই করবে! এখন কথা হচ্ছে, আমরা সবাই কি শুধুমাত্র বিনোদন বা অলস সময় পার করার জন্যই ফেসবুকে আসি? এর কি আর কোন প্রোডাক্টিভ ব্যবহার নেই? এক কথায় বলতে গেলে- এই ফেসবুক হচ্ছে ডিজিটাল দুনিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী একটি মার্কেটপ্লেস। যার উদাহরণ আমরা ফেসবুক সার্ফিং করতে গেলেই টের পাই। কখনও কিছু স্পনসরড পেজ সামনে আসে, কখনও ভিডিও দেখতে গেলে বিভিন্ন কোম্পানী বা ব্যক্তির এড আমাদের চোখে পড়ে। আরো চোখে পড়ে বিভিন্ন গ্রুপ, যাদের কাজকর্মের ব্যাপ্তি দেশ ছাড়িয়েও বহুদুর। আসুন তবে, আর দেরি না করে শুরু করা যাক।

মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং (Marketing And Digital Marketing) কি?


ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং কেন- এটি জানার আগের আমাদের মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ছোট একটু ধারণা থাকাটা বেশ কাজের।

সোজা কথায়, মার্কেটিং হচ্ছে আপনার কোনও পণ্য বা লাভজনক সেবা বা প্রতিষ্ঠানকে তার যথাযোগ্য কাস্টোমার বা ক্রেতা বা সুবিধাভোগীদের কাছে পৌছানোর একটা কলাকৌশল। ভাবুন, আপনি একটা পণ্য বা সেবা দিতে চাচ্ছেন, কিন্তু প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না- তাহলে কি আপনার ব্যবসা চলবে? আরো একটা কথা বলে রাখা ভালো- মার্কেটিং সব সময় শুধু পণ্যের হবে, তা কিন্তু নয়, এর বিস্তৃতি অনেক দিকে।

একটা সময় আমরা মার্কেটিং বলতে শুধু আমরা কি দেখতাম? পাড়ায় মহল্লায়, দোকানে, বাজারে, এলাকায় লিফলেট বিতরণ, পোস্টার সাঁটানো, মাইকিং, টিভিতে-নিউজপেপারে বিজ্ঞাপন, ইত্যাদি এরকম-ই তাই তো? কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অনেককিছু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ইন্টারনেট মোটামুটি সহজলভ্য হবার পর থেকে। এখন ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটা মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করেই প্রায় সকল ধরনের প্রচারণা ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলোতে অতি সহজেই করা যায়। এই ধরনের প্রচারণা বা মার্কেটিং কলাকৌশলকেই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

আর পোস্ট আপনার জন্য: 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing – SMM) কি?


বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যেমন- Facebook, Twitter, Instagram, LinkedIn, Pinterest, Snapchat, TikTok, Quora, YouTube, ইত্যাদি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে কোনও প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, পণ্য বা ব্যবসার প্রচারণা বা মার্কেটিং করার কৌশলকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing) বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক মার্কেটিং বলে। বাংলাদেশ বা ভারতে সকল ধরনের সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম নিঃসন্দেহে সব থেকে ভাল ও শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এবং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনান্য সকল ধাপগুলোর থেকে সব বেশি কার্যকরী। কারণ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে হাই স্কিল্ড প্রোফেশনালদেরও এখানে অগাধ পদচারণা।

ফেসবুক মার্কেটিং কি? (Facebook Marketing)

আমার মনে হচ্ছে এটাকে আর নতুন করে ফুলিয়ে ফাপিয়ে প্যাঁচ লাগানোর আর কিছু নেই। এক কথায়- এটি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং যেটি মূলত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর আওতায় পড়ে। আর এই ফেসবুককে ঘিরে বা ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের মার্কেটিং-কে ফেসবুক মার্কেটিং বলে।

অনেকেই আবার জানতে চান, ইমেইল (Email Marketing) মার্কেটিং কি? বা, ইন্সটাগ্রাম (Instagram Marketing) মার্কেটিং কি? বা ইউটিউব (YouTube Marketing) মার্কেটিং কি? তাদের উত্তর আমার এই উপরের ছোট জবাবেই লুকিয়ে আছে।

আর যারা জানতে চান, ফেসবুক মার্কেটিং সরাসরি কোন ক্যাটাগরিতে পড়ে? তাদের উত্তরটিও কিন্তু একদম প্রথমেই দিয়ে দিয়েছি। মানে, এটি সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর আওতায় পড়ে, সংক্ষেপে SMM.

যাইহোক, এই ফেসবুক মার্কেটিং হতে পারে বিভিন্ন উপায়ে এবং পদ্ধতি অবলম্বন করে, সেগুলো আমরা নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করব। পুরো লেখাটি শেষ করে আপনি এমনিতেই বুঝে যাবেন কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করব এবং ফেসবুক মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়।

ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন?

সেই শুরুতেই আপনাকে পরিসংখ্যন হাতে ধরিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি এটা কত বড় মার্কেটপ্লেস হতে পারে আপনার জন্য। এত এত এক্টিভ ইউজার আপনি আর কোথায় এত সহজে ফ্রিতে পাবেন? বাংলাদেশের ১৬ থেকে ৩০ বয়সী লোকজনের প্রায় ৮০% লোক ফেসবুকে নিয়মিত এক ঘন্টা সময় ব্যয় করে।

ভারতেও মোটামুটি তাই। বাংল্লাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০% এর বেশি লোক ফেসবুক ব্যবহার করেন। বুঝতেই পারছেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশেই আপনি লক্ষ লক্ষ ইউজার পেয়ে যাচ্ছেন অতি সহজে, যারা আপনার সম্ভাব্য ক্রেতf হতে পারে।

# ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি আপনার নিজস্ব ব্লগ, ওয়েবসাইটের ট্রাফিক-ও বাড়াতে পারেন।

#আপনি যেকোন শহর, দেশ, বয়েস, লিঙ্গ হিসেবে সার্চ করেও আপনার কাস্টোমার এখানে টার্গেট করতে পারবেন।

#অনান্য মার্কেটিং এর তুলনায় এটি খুব দ্রুত কার্যকরী ও খরচ কম।

#খুব অল্প সময়েই আপনি আপনার পেজ বা কোম্পানির ব্রান্ডিং করতে পারবেন এখানে।

#খুব সহজে কাঙ্খিত গ্রাহক খুঁজে পাওয়া যায়।

#আপনার পেজ্‌, গ্রুপ, আইডিতে অধিক ফলোয়ার থাকার মানে হচ্ছে আপনার গ্রাহক পাওয়ার চান্স অনেক বেশি। আর এই ফ্রেন্ড বা ফলোয়ার এত সহজে অন্য কোন সোশ্যাল প্লাটফর্মে পাওয়া সম্ভব নয়।

ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার?

এতোক্ষণে আপনি জেনে গিয়েছেন ফেসবুক মার্কেটিং কি। এখন কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করব বা, ফেসবুক মার্কেটিং করার নিয়ম বা পদ্ধতি জানার আগে যেটা জানা উচিত সেটা হচ্ছে- ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার?

ফেসবুক মার্কেটিং-কে আমরা দুই ভাগে ভাগ করতে পারি বা দেখতে পারি।

ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং (Free Facebook Marketing)

আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি ছোট হয়ে থাকে, বা টাকা ইনভেস্ট কম করতে চান কিন্তু Organic Traffic বা আসল ক্রেতা চান আপনার পণ্য বা ব্যবসার জন্য, তবে ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং অত্যন্ত চমৎকার পদ্ধতি। মানে হচ্ছে, ফেসবুক কতৃপক্ষকে কোন প্রকার টাকা বা ডলার না দিয়ে ফেসবুক প্লাটফর্মের এই বিস্তীর্ণ এলাকায় আপনি নিজস্ব উপায়ে বা বুদ্ধি দিয়ে যে ধরনের বিপণন বা প্রচারণা চালাবেন, তাকেই সহজ কথায় ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং বলে।

আপনার যদি প্রচুর ফ্যান ফলোয়ার সমৃদ্ধ একটি নিজস্ব প্রোফাইল বা পেজ থাকে, তবে ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং আপনার জন্য অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। এটি আপনি করতে পারেন ফেসবুক মেসেঞ্জার বা গ্রুপের মাধ্যমেও। তবে অবশ্যই আপনার একটা প্রফেশনাল ফেসবুক প্রোফাইল এবং পণ্য বা ব্যবসা সম্পর্কিত একটা পেজ থাকা উচিত। এতে করে ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুকের সর্বোচ্চ সুবিধা আদায় করে নিতে পারবেন।

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং (Paid Facebook Marketing)

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং হচ্ছে ফেসবুক কতৃপক্ষকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে আপনি যে ধরনের ফেসবুক মার্কেটিং করবেন, সেটাই পেইড ফেসবুক মার্কেটিং। তবে মনে রাখবেন পেইড মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই একটা ফেসবুক পেজ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত প্রোফাইল ব্যবহার করে আপনি প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর সব থেকে বড় সুবিধাটি হল আপনি অল্প সময়েই আপনার কাঙ্খিত কাস্টোমারের কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন। তবে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল সেইসব ক্রেতাকে ধরে রাখা, আকৃষ্ট করে রাখা। পেইড প্রমোশনগুলো সাধারণত আমরা Sponsored পোস্ট হিসেবে আমাদের নিউজ ফিডে দেখতে পাই। এছাড়াও আমাদের নিউজ ফিডের ডান অংশে বা নিউজ ফিড স্ক্রল করতে করতে কিছু সময় পর পর বিভিন্ন পণ্যের ছবি বা এক ধরনের Offer হিসেবে দেখতে পেয়ে থাকি।

কিভাবে একটি ফেসবুক পেজ (Facebook Page) তৈরি করবেন খুব সুন্দর করে?

আপনারা অনেকেই জানেন, কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করবেন নিজের জন্য বা নিজের ব্যবসার প্রসারের জন্য। তবু শুরু থেকে একটু করে আলোচনা করে নিয়ে একদম সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কিছু বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরব আমরা। কারণ এই ছোট ছোট বিষয়গুলোকে আমরা প্রায় সময়ই গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যায়, এবং পরবর্তীতে এটি আমাদের বিপণন ও প্রচারণায় নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। এছাড়াও মনে রাখা দরকার, ফেসবুক এলগরিদম ও ম্যানুয়াল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই প্রতিনিয়ত আমাদের এই আপডেটগুলো ও পরিবর্তনগুলো জেনে রাখা উচিত।

আসুন দেখি, এই ২০২১ সালে কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে পারি আমরা খুব ভাল করে-

প্রথমে অবশ্যই এজন্য আপনার একটা ফেসবুক আইডি থাকতে হবে। এবার আপনার প্রোফাইলের হোম পেজে চলে যান।

এবার আপনার প্রোফাইলের একদম উপরের ডানদিকে ‘+’ বা Create বাটনটিতে ক্লিক করুন।

এখন নিচে মানে ড্রপ ডাউন মেনুবারে ‘Page’ অপশনটিতে ক্লিক করুন।

পেজের জন্য একটি প্রোফাইল পিকচার এড করুন। এটি হতে হবে কমপক্ষে 720 x 720 pixels সাইজের। তারমানে মোটামুটি একটি মিডিয়াম মানের ছবি। পেজের জন্য ডিপি হিসেবে একটা লগো ব্যবহার করা ভাল। এতে আপনার বিজন্যাস ব্রান্ডিং এ সুবিধে হবে।

তারপর একটি সুন্দর দেখে কাভার ফটো সিলেক্ট করুন। কাভার ফটোর সব থেকে উপকারী দিক হচ্ছে এর ভেতর চাইলে আপনি আপনার Contact Details-ও দিয়ে দিতে পারবেন। ব্যবসার উদ্দেশ্যে পেজটি তৈরি হলে, আপনার পণ্য বা ব্যবসার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি কাভার ফটো ব্যবহার করা উচিত।

এই কাজগুলো করতে করতে যদি “Set Up Your Facebook Page” পপ আপ করে উঠে, তবে আমি বলি কি আপাতত ইগ্নোর করুন। এটি আপনি পরেও ঠিক করেত পারবেন।

নতুন তৈরি হওয়া পেজের ডানদিকে তিনটে ডট দেয়া (Share বাটনের ডানে) জায়গায় ক্লিক করে কিছু অপশন পাবেন। সেখান থেকে অবশ্যই Description, Category, Phone Number, Website (যদি থাকে), Email, Business Location, Hours Your Business Is Open এগুলো ঠিকঠাক পূরণ করুন। এতে আপনি বিশ্বস্ততার সাথে দীর্ঘমেয়াদী ফেসবুকে আপনার কাঙ্ক্ষিত ক্রেতাদের সাথে ব্যবসা করতে পারবেন।

এবং, পেজের About Us সেকশনটি দ্রুত পূরণ করে ফেলুন। এতে করে ক্রেতা এসে অতি দ্রুতই আপনার অফার করা সেবা বা পণ্য ও আপনার/আপনাদের ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবে।

এরপর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সেটিং হচ্ছে Call To Action (CTA) যুক্ত করা। একটু কঠিন লাগছে কথাটি? আচ্ছা, সহজ করে দেই। একটা ফেসবুক পেজের নিচের দিকে সাধারণত কিছু অপশন থাকে-

Contact Us
Shop Now
Send Message
Book Now
Sign Up
Watch Video
Play Games

আপনার প্রয়োজন ও ব্যবসার সাথে খাপে খাপ মিলে যায় এমন একটা বাটন চুজ করুন যাতে ক্রেতারা খুব সহজেই আপনার সাথে যোগাযোগ বা সম্পৃক্ত হতে পারে। এই ধরনের বাটনগুলোকেই ফেসবুক পেজের কল টু একশন বাটন বা কাস্টমাইজ ট্যাব বলে। এতে করে আপনি আপনার পণ্যের চাহিদা, ক্রেতাদের সম্পৃতা (Organic Traffic) নিয়েও জানতে পারবেন খুব সহজেই।

ফেসবুক পেজের URL-টি সহজবোধ্য করে সিলেক্ট করুন। যদি আপনার ওয়েবসাইট থাকে, তার সাথে মিল রেখে ইউআররএল নির্বাচন করুন। নতুবা, আপনার বিজন্যাস ক্যাটাগরি বা ব্যাবসায়িক নামের সাথে মিল রেখে।
ভবিষ্যেতের কথা মাথায় রেখে সেটিংস বা About Page থেকে নিজেকে একজন “টিম মেম্বার” হিসেবে সিলেক্ট করুন। এতে করে আপনার সামনে অনেকগুলো অপশন চলে আসবে-

Admin
Editor
Moderator
Advertiser
Analyst

এগুলো অদূর ভবিষ্যতে আপনাকে টিম হিসেবে কাজ করতে অনেক সাহায্য করবে।

মোটামুটি একটি ভাল মানের ফেসবুক পেজ তৈরি করা থেকে শুরু করে দরকারি সব সেটিংস নিয়ে আলোচনা শেষ। এখন আপনি যা করতে পারেন, তা হচ্ছে অতি দ্রুত একটা পোস্ট করা পেজ থেকে, কিছু সুন্দর সুন্দর ইমেজ ও ভিডিও আপলোড করা, ফেসবুক বন্ধুদের ইনভাইট করা পেজটি ‘লাইক’ করার জন্য। এরপর বাকি সব পেজের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ আস্তে ধীরে বুঝেশুনে নিজেই করতে পারবেন আশা করি। আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ ভ্যারিভায়েড করে নিতে পারেন পরবর্তীতে, যেমন অনেক নামি দামি ব্রান্ডগুলো করে ঠাকে।

এখন যদি আপনি এরপরও নিজে একটা আকর্ষণীয় ফেসবুক পেজ বানাতে না পারেন, সেক্ষেত্রে যে ভাল করে করতে পারে তাকে হায়ার করতে পারেন যেকোন বিনিময় প্রথার মাধ্যমে। জি, এটিও অনলাইনে আয় করার জন্য আরেকটি মাধ্যম। এই ব্যাপারটি সামনে আরও ধীরেধীরে খোলাসা হবে, যখন আমরা আরো এডভান্স কিছু নিয়ে কথা বলব।

আর দেখতে পারেন: 

কিভাবে একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করব? কিভাবে একটি ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করব? এবং কেন?


ফেসবুক গ্রুপ কিংবা, একটা ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করা খুব কঠিন কিছু নয়। আমরা অনেকেই সেটা জানি। তাছাড়া একটু উপরেই যেখানে আমি ‘কিভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করবেন’ নিয়ে আলোচনা করলাম, সেখানেই মূল জিনিসটা বলে দিয়েছি। পৃথিবীর প্রায় ১.৪ বিলিয়ন লোক বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত আছে। এবং, ২০ মিলিয়নের উপরে মানুষজন শুধুমাত্র ফেসবুক মেসেঞ্জারেই তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, বাড়িয়ে যাচ্ছে। তবে আপনি পিছিয়ে থাকবেন কেন?

আপনার ব্যক্তিগত আইডির হোম পেজের একদম উপরে ডানদিকে ‘+’ বা ‘Create’ বাটনটিতে ক্লিক করলেই ফেসবুক গ্রুপ ও মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করার অপশন পেয়ে যাবেন।

ফেসবুক গ্রুপটি আপনার পেজটির মত করেই যত্ন সহকারে একটু সময় নিয়ে সাজিয়ে ফেলুন। এখানে প্রাইভেসি ‘Public’ করে দেয়াই উচিত। যাতে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের যে কেউ এখানে যুক্ত হতে পারে। আপনার ফেসবুক বন্ধুদের এখানে যুক্ত করুন, এবং তাদেরকেও তাদের বন্ধুদের এখানে যুক্ত করতে বলে গ্রুপের পরিধি আরও বাড়িয়ে ফেলুন।

ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করলে সেটার একটা সুন্দর নাম দিতে পারেন। অথবা, যে নামে বা হিসেবে বিপণন করতে চাইছেন, সেরকম একটা নাম দিয়ে ফেলুন।

গ্রুপ ও চ্যাটবক্স খোলার সুবিধে হচ্ছে-

এখানে এডমিন ছাড়াও অন্যরা খুব সহজে তাদের পোস্ট করতে পারবে। এজন্য আপনার সাথে তাদের একটা সরাসরি ও গভীর একটা সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

আপনার সেই বিজনেসের জন্য পেজটি বা ব্যক্তিগত প্রোফাইলটির একটি Forum হিসেবে এই ফেসবুক গ্রুপ ও চ্যাট গ্রুপ কাজ করবে।

কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করবেন?

এই যে উপরে এত এত কথা বলে, উত্তর দিতে দিতে আসলাম- তা কি এমনি এমনি? এতোক্ষণে আমি আপনাদের ফেসবুক মার্কেটিং কি, কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করবেন, কিভাবে সেট আপ করবেন, ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার, ইত্যাদি এসব ধারণা দেবার মূল বিষয়-ই হল যেন এই অংশটি ঠিকঠাক আত্মস্থ করতে পারেন। কারণ, ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং ও পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর কলাকৌশলে বিশাল কোনও পার্থক্য নেই। মূল স্ট্রাটেজি মোটামুটি একই। ফেসবুক মার্কেটিং করার আগে কিছু জিনিস মাথায় রাখা উচিত। সেগুলো নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

ফেসবুক মার্কেটিং স্ট্রাটেজি

টার্গেট অডিয়েন্সঃ প্রথমে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স খুজে বের করুন। কারা আপনার ক্রেতা? তাদের লিঙ্গ বা বয়েস বা নির্দিষ্ট এলাকা? তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষা, রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস, ফেসবুক ইউজ করার ক্ষমতা, ফেসবুক ইউজের সময়, ইত্যাদি নিয়ে রিসার্চ করুন। লিড জেনারেট করুন।

কন্টেন্ট প্লানিংঃ আপনার নিজস্ব টাইমলাইনে এবং পেজে, গ্রুপে নির্দিষ্ট সময় পর পর পোস্ট করুন। সেটি সব সময় আপনার কোম্পানি কেন্দ্রিক বা ব্যবসাকেন্দ্রিক হবে তা নয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে কন্টেন্ট প্লানিং করুন যাতে আপনার ফলোয়ার, ইউজার বা ক্রেতারা তা উপভোগ করতে পারে। তাদের কমেন্ট করার সুযোগ দিন।

প্লানিং মিক্সড কন্টেন্টঃ যখন আপনার মোটামুটি একটা অডিয়েন্স তৈরি হয়ে যাবে পোস্টের মাধ্যমে। তখন আপনি একটা কন্টেন্ট প্লানিং বানাতে পারেন বা ফলো করতে পারেন। আমি আপনাকে বিখ্যাত “৮০-২০ রুল”-এর কথাই বলবো। ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এর মানে হচ্ছে ‘৮০ ভাগ পোস্ট হবে ইনফরমেটিভ, অন্য বিষয়ে (অবশ্যই আপনার কাজের সাথে রিলেটেড) জ্ঞান দেয়া, আনন্দ দেয়ার জন্য। আর ২০ ভাগ পোস্ট হবে সরাসরি আপনার পণ্য বা ব্রান্ডকে প্রোমোট করার জন্য’। এই পদ্ধতি প্রথম অবস্থায় আপনার খুব কাজে আসবে। তারপর পসার বাড়ার সাথে সাথে পরিবেশ বুঝে নিজ বিচক্ষণতাকে কাজে লাগিয়ে এর বাইরে অন্য পদ্ধতি আপনি এপ্লাই করতেই পারেন।

পেজ এংগেজমেন্ট বৃদ্ধি করাঃ সব সময় টেক্সট আকারে পোস্ট না করে, কখনও একটা ভিডিও আপলোড করুন, লাইভে যান, পেজের কাভার ইমেজ অপ্টিমাইজ করুন। মানে, সব সময় বিভিন্ন উপায়ে আপনার অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ করতেই থাকুন।

ফেসবুক টুল ব্যবহার করাঃ আপনি ফ্রিতেই অনেক ফেসবুক টুল পেয়ে যাবেন, যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বিপণন প্রক্রিয়া কতখানি কার্যকর হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি Facebook Business Manager, Facebook Analytics Tools- এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার ফেসবুক গ্রুপ বা মেসেঞ্জার পেজে “মেসেজ অপশন” এর ব্যবহার করে সরাসরি ক্রেতাদের ইন্টেন্সিটিও বুঝতে পারবেন। এজন্য আপনার Facebook Messenger Bot ঠিকভাবে সেট আপ করা জানতে হবে।

এই যে এত কিছু নিয়ে কথা বললাম, এর সবকিছুই কিন্তু আপনি ফেসবুকে ফ্রি’তেই করতে পারেন আপনার বিজন্যাস প্রসারের জন্য। এতে করে আপনার অর্গানিক কাস্টোমার বাড়বে। তবে ব্যাপারটা একটু সময়সাপেক্ষ। যদি তারপর আপনার কাঙ্খিত ফল না আসে, সেক্ষেত্রে সরাসরি পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এ চলে যেতে পারেন। অথবা, খুব তাড়াতাড়ি ফল পেতে চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রেও পেইড ফেসবুক মার্কেটিং খুব ফলপ্রসূ।

কিভাবে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং করবেন?

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং কি এটি নিয়ে আমরা আগেই জেনেছি। এটি করার জন্য মানুষ ৫ ডলার থেকে শুরু করে হাজার হাজার ডলার ইনভেস্ট করে, তা তো এমনি এমনিই নয়। আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স, আপনার চাহিদা ও সামর্থ্যের উপর এই মার্কেটিং কস্ট-টি নির্ভর করে। বহুল পরিচিত দু;টি শব্দ হচ্ছে বুস্টিং করা, এড ক্যাম্পেইন করা। আসুন এ সম্পর্কে আপনাদের একটু ধারণা দিয়ে যাই। তাহলে পরের পদক্ষেপ নিজে নিজেই নিতে পারবেন।

পোস্ট বা বিজ্ঞাপন বুস্ট করেঃ এক্ষত্রে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স যথাযথভাবে ঠিক করে দেয়া দরকার। তাদের দেশ, লোকেশন, বয়েস, লিঙ্গ, ইত্যাদি। এই সব অপসন আপনি আপনার পেজে গিয়ে পোস্ট করা কন্টেন্টের নিচেই দেখতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আমি বলবো সরাসরি আপনার প্রোডাক্ট সম্বলিত পোস্ট বুস্টিং করুন। সেটা একটা ইমেজ হতে পারে, টেক্সট সহ ইমেজ হতে পারে, একটা ভিডিও-ও হতে পারে। ফেসবুককে পে করতে হলে এজন্য আপনার একটি ক্রেডিট কার্ড, মাস্টার কার্ড, বা পেপাল থাকা প্রয়োজন। এরপর Boosting Now অপশনে ক্লিক করলেই কিছুক্ষণ পর থেকেই আপনার এড ফেসবুক আপনার পরিশোধকৃত টাকার অনুপাতে ও সেটিংস হিসেবে শো করতে থাকবে।

এড ম্যানেজার ব্যবহার করেঃ মোটামুটি একই জিনিস। আপনার আইডি থেকে পেজে লগ ইন করে ফেলুন। হাতের কাছে যেকোন ধরনের ক্রেডিট কার্ড বা অপশন রাখুন, যার মাধ্যমে ফেসবুককে পে করতে পারবেন। পেজে ঢুকে Ad Center এ চলে যান। সেখান থেকে All Ad এ ক্লিক করলে আপনি Ad Manager অপশনটি পেয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে এই সেটিংস নিয়ে ‘কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করবেন’ সেখানে আলোচনা করে ফেলেছি। এখন Ad Manager এ গিয়ে আপনার আইডি সিলেক্ট করে Create অপশনে ক্লিক করে Ad Campaign করতে পারবেন। Category তে গিয়ে ক্যাম্পেইনের একটি নাম দিয়ে বাদবাকি সেটিংস ঠিক উপরে বলা বুস্টিং পোস্টের মত করে চুজ করুন। ক্রেডিট কার্ড বা পেপাল সিলেক্ট করে ডলারের এমাউন্ট দিয়ে Publish করে দিন। এরপর ফেসবুক এড ম্যানেজার আপনার এডটি প্রচার করতে থাকবে।

একটি উদাহরণ দিলে এই ফেসবুক মার্কেটিং বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ধরুন, আপনি অনলাইনে বা ফেসবুকে হোম মেড কেক ডেলিভারি করবেন। সেজন্য আপনার একটি ফেসবুক আইডি ও পেজ থাকা আবশ্যক। এখন ফেসবুকে সবাই তো আপনার ক্রেতা নয়। এজন্য কারা আপনার কেক কিনতে পারে সেটা আগে ভাল করে জানতে হবে। আপনাকে বুঝতে হবে আপনার সম্ভাব্য ক্রেতারা ফেসবুকে আছে কি নেই? আর থাকলেও তারা কোন বয়সের, কোন লোকেশনের, বা কোন লিঙ্গের? এছাড়াও জানতে হবে মানুষ এখন কোন কোন অনুষ্ঠানের জন্য আপনার কেকটি নিতে পারে?

এটাকেই আমি টার্গেট অডিয়েন্স বলেছি এতক্ষণ ধরে।

তারপর সেই অনু্যায়ী তাদেরকে আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইল বা পেজ, গ্রুপে নিমন্ত্রণ জানান, যুক্ত করুন। তাদের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করুন।

এই সকল জিনিস আপনাকে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং-এও প্রচুর কাজে দেবে।

এখন তবে উপরে বলা সব ফেসবুক মার্কেটিং এর নিয়ম বা স্ট্রাটেজি ফলো করে আপনার নিজস্ব মার্কেটিং পলিসি নিয়ে এগিয়ে যান। সফলতা আসবেই আসবে। একটু ধৈয ধরতে হবে হয়ত এই যা। আর খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে বা কোম্পানিকে প্রচার করতে চাইলে পেইড মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তো আপনার জান থাকলোই।

কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন আরো ভালো করে?

আপনি চাইলে কিন্তু গুগল সার্চ করে ফেসবুক মার্কেটিং বই pdf ফাইল আকারে নামাতে পারেন। ইউটিউবে গিয়ে ফ্রি’তে ফেসবুক মার্কেটিং সংক্রান্ত পরিপূর্ণ কোর্স করতে পারেন। ইউটিঊবে এখন ফেসবুক মার্কেটিং বাংলা টিউটরিয়াল খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। আর গুগল তো রইলো-ই আপনার আর সব প্রশ্নের উত্তর ও রিসোর্স খুঁজে দেবার জন্য।

পরিশেষে…
এতোক্ষণ ফেসবুক মার্কেটিং এর অনেক খুঁটিনাটি বিষয় থেকে শুরু করে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত আমি আলোচনা করে ফেলেছি। আপনার যদি অনলাইন ব্যবসা থাকে, অনলাইনে আয় করার ইচ্ছা থাকে- তবে ফেসবুক মার্কেটিং কি, কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করবেন, কোন উপায়ে করলে ফল ভাল পাবেন, ইত্যাদি নিয়ে সম্যক ধারণা থাকা খুব জরুরি। ইন্টারনেটের এই বিশাল ডিজিটাল দুনিয়া ব্যবসা প্রসারের জন্য অনেক পথ-ই খুলে দিয়েছে। যার মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং উরফ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অন্যতম। আর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ফেসবুক মার্কেটিং এর জুড়ি মেলা ভার। তবে ফেসবুক নিয়মিত তার ইন্টারফেসে পরিবর্তন আনছে। তাই এজন্য প্রতিওনিয়ত ফেসবুক নিয়ে আপডেট থাকাটা খুব দরকার।

নিজে নিজে ফেসবুক মার্কেটিং এ সমস্যা থাকলে, প্রফেশনাল একজনকে হায়ার করাই উত্তম।

এত আলোচনার পরও যদি আপনার ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে, তবে আমাদের জানান। আপনি যদি নতুন কোনও বিষয়ে জানতে চান সেটাও আমাদের জানিয়ে দিন। সময় করে আপনাদের উত্তর বা নতুন আরো পোস্ট নিয়ে খুব শ্রীঘ্রই হাজির হয়ে যাব। ধন্যবাদ আপনাদের।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top