Fiverr কি?: ফাইভার থেকে টাকা আয় করার উপায়

Fiverr কি এখান থেকে কিভাবে আয় করা যায় এটা নিয়ে কি কোন সময় ভেবেছেন। অনলাইনে আয় করার অসংখ্য উপায় রয়েছে তার মধ্যে এটি ও কিন্তু অন্যতম একটি উপায়। 

Fiverr হচ্ছে অনলাইন থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায় এবং আপনি এটি ব্যবহার করে খুব সহজেই সীমাহীন টাকা আয় করতে পারবেন।

ফাইবার হচ্ছে অনলাইনে আয় করার এমন একটি মাধ্যম এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে আপনি সেখানে বিভিন্ন কাজ করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

ফাইবারে অসংখ্য কাজ রয়েছে যে কাজগুলো করার মাধ্যমে অনেকের সেখান থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করে নিচ্ছে ।

আমাদের দেশে এমন অসংখ্য ফাইবার ব্যবহারকারী রয়েছে যারা শুধুমাত্র কোন কাজ না করে অনলাইনের মাধ্যমে এই ফাইবার এর মাধ্যমে ইনকাম করছে।

আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে Fiverr কি সেই সম্পর্কে বলবো এবং ফাইবার থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন এই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ফাইভার থেকে টাকা আয়
ফাইভার থেকে টাকা আয়

Fiverr কি?(What is Fiverr)

ফাইবার হচ্ছে সাধারণত এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে। 

ফাইবার কে ব্যবহার করে অনেক ফ্রিল্যান্সার তাদেরকে ক্লায়েন্ট খুঁজে থাকেন বা এখান থেকে তারা কাজের সন্ধান করে থাকেন। 

আবার অনেক ক্লায়েন্ট ফাইবার থেকে তাদের কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে থাকেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস ও কাজ বেচাকেনা হয়ে থাকে। 

তাই অবশ্যই ফাইবার একাউন্ট টি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে একজন ফ্রীল্যান্সার হতে হবে নতুবা একজন গ্রাহক হতে হবে যারা ফ্রিল্যান্সার নিয়ে থাকে তাদের কাজের জন্য।

ফাইবারে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং আরো অনেক ধরনের কাজ এখানে পেয়ে যাবেন। 

তাহলে অবশ্যই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন যে ফাইবার মার্কেটপ্লেস বা Fivverr কি। অনেকেই এই ফাইবার কে কাজে লাগিয়ে এখান থেকে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করে চলেছে।

আরও আপনার জন্য: 

Fiverr কিভাবে কাজ করে? (How does Fiverr work?)

অনেকে এই প্রশ্নটা করে থাকেন যে ফাইবার কিভাবে কাজ করে থাকে। আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি ফাইবার হচ্ছে এমন একটি অনলাইন পোর্টাল যেটা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস পোশাক কেনা হয়ে থাকে। 

যারা প্রশ্ন করে থাকেন ফাইবার কিভাবে কাজ করে তাদের জন্য আমি নিচে বিস্তারিত এই সম্পর্কে আলোচনা করছি।

১. যারা ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য প্রথমে এই ফাইবারে রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন।

২. তারপরে ধরুন আপনি ফাইবারে কাজের জন্য গিয়েছেন আপনি যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষ তাহলে আপনি সেই বিষয়টির ওপর ফাইবারে একটি গিগ তৈরি করবেন। এর ফলে ফাইবারে থাকা অন্যান্য গ্রাহক আপনার কাজের বিষয়ে জানতে পারবে। আর আপনি ফাইবারের যে গিগটি তৈরি করছেন তাকে বলা হয়ে থাকে ফাইবার গিগ।

৩. ফাইবারে যারা কাজ বিক্রি করে থাকেন তাদেরকে বলা হয়ে থাকে এককথায় ফাইবার সেলার।

৪. আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে ফাইবারের যদি আপনার গিগ তৈরি করা হয়ে যায় এবার বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির লোক আপনার গিগ দেখে আপনার সাথে কন্টাক্ট করবে এবং আপনি এর মাধ্যমে কাজ পেয়ে যাবেন । 

৫. ফাইবারে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় গ্রাহক যে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দিবে তার অভিজ্ঞতা দেখে এবং সে কতটি কাজ করেছে এর আগে সে সকল বিষয়গুলো দেখে থাকে।

কোনো গ্রাহকের যদি আপনার কাজের বিবরণ দেখে আপনার সাথে কাজ করাতে হয় তাহলে অবশ্যই তাকে নির্ধারিত মূল্য আগে পরিশোধ করতে হবে তারপর কাজের অর্ডার করতে হবে। 

তারপরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনি যদি আপনার ক্লায়েন্টকে কাজটি সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে পারেন তাহলে ফাইবার থেকে আপনি আপনার কাজের টাকা খুব সহজেই নিয়ে নিতে পারবেন। তাহলে আপনারা অবশ্যই এতক্ষণে বুঝতে পারছেন যে ফাইবার কিভাবে কাজ করে থাকে। 

ফাইবারে সেলার করে কিভাবে ইনকাম করবেন?

ফাইবার থেকে আয় করার পথটা ততটা সহজ না। তবে অনেকেই এই পথ অবলম্বন করে ফাইবার থেকে মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করে চলেছে। 

ফাইবার থেকে আয় করতে হলে আপনাদের অবশ্যই কিছু দক্ষতা থাকা লাগবে। যেমন আপনাকে ওয়েব ডেভলপমেন্টে দক্ষ হতে হবে অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইনারের উপর দক্ষ হতে হবে অর্থাৎ ফাইবারে এমন অসংখ্য কাজ রয়েছে যে সকল কাজগুলো সম্পর্কে আপনাকে কমবেশি জানতে হবে। 

পরবর্তীতে আপনি এই কাজগুলোর জন্য ফাইবারে গিগ তৈরি করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। অথবা আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন সেই বিষয়ের উপর কোর্স তৈরি করে সেখানে বিক্রি করে সেখান থেকেও একজন ছেলের হিসেবে ইনকাম করতে পারবেন। 

Fiverr কি এতক্ষণে তো আপনারা জেনে গিয়েছেন এবার আমি আপনাদেরকে বলবো ফাইবার থেকে টাকা কিভাবে আয় করবেন সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কে। যেমনঃ

১. আপনি যেই কাজটার ওপর খুবই দক্ষ বা যে কাজটি ভালো করতে পারেন সেই কাজটির ওপর  খুবই ভালো করে ভেবে নিন।

২. তারপরে আপনি ফাইবার এর মাধ্যমে একটি সেলার একাউন্ট তৈরি করে ফেলুন।  

৩. অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে এবার সেটিং অপশনে গিয়ে নিজের কাজের বিষয় সম্পর্কে পোর্টফলিওতে আপনি সুন্দর করে উল্লেখ করুন।

৪. তারপর আপনি নিজের কাজের বিষয়ে একটি ফাইবারে গিগ তৈরি করুন এই গিগটি হচ্ছে মূলত আপনি যে কাজটি পারেন যে কাজটি আপনি ফাইবারে বিক্রি করতে চান সেটি । 

৫. এবার কোন কোম্পানি বা কোন ব্যক্তি আপনার দিক অনুযায়ী আপনাকে হয়তো কিছু কাজ দিবে আর সেই কাজগুলো আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করে তাদেরকে ডেলিভারি দিতে হবে। 

৬. তারপরে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পর আপনি ফাইবার থেকে সেই টাকাটা বুঝে নিতে পারবেন আপনার একাউন্টে। 

আপনারা চাইলেই এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে ফাইবার একাউন্ট খুলে একজন সেলার হিসাবে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অনেকে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ফাইবার থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করে নিচ্ছে। 

ফাইবারে কি কি কাজ রয়েছে?

যারা ফ্রিল্যান্সার তারা অনেকেই এই ফাইবার প্লাটফর্মটিকে বেছে নিয়ে থাকেন তাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের জন্য। ফাইবারে কি কি কাজ রয়েছে এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া খুবই মুশকিল। কেননা এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ বিভিন্ন সময় দেওয়া হয়ে থাকে। 

কেউ ফাইবার এর মাধ্যমে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করিয়ে থাকে, কেউ বা ফাইবার এর মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ করিয়ে থাকে আবার কেউবা এর মাধ্যমে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করে থাকে। 

একেক জন একেক ভাবে এই ফাইবার প্লাটফর্মটিকে ব্যবহার করে থাকে তাদের কাজ করানোর জন্য। এতক্ষণে আপনি হয়তো জেনে গিয়েছেন যে একজন ফ্রিল্যান্সার হতে হলে কি কি কাজে লাগে।

ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে সব ধরনের কাজ শেখার কোনো প্রয়োজন নেই যে কোন একটি বিষয়ে আপনি দক্ষতা সম্পন্ন হলেই সেই কাজের বিষয়ে ফাইবারের প্রচার করার মাধ্যমেই আপনি সেখান থেকে কাজ পেয়ে যেতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সাররা ফাইবারে যে সকল কাজ করে থাকে তার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু কাজের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমনঃ

  • ওয়েব ডিজাইনের কাজ 
  • কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ 
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ 
  • গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ 
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ 
  • অ্যাপস তৈরির কাজ 

যারা ফাইবারে কাজ করতে চান তারা চাইলে খুব সহজেই এই জনপ্রিয় কাজের মধ্যে থেকে যেকোনো কাজ সিলেক্ট করে দক্ষতা অনুযায়ী ফাইবারে কাজ করতে পারেন। ফাইবারের এই সকল কাজের জন্য হাজার হাজার কাস্টমার আপনি পেয়ে যাবেন।

আরও দেখুন: 

ফাইবার থেকে কত টাকা আয় করা সম্ভব (How much money can be made from fiber)

Fiverr কি এটা তো আপনারা এতক্ষণে অবশ্যই জেনে গিয়েছেন। অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে ফাইবার থেকে কত টাকা আয় করা যায়? ফাইবার থেকে আপনি ইচ্ছা বা দক্ষতা অনুযায়ী চাইলে হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারবেন।

ফাইবার থেকে কত টাকা আয় করা যাবে এর কোন নির্দিষ্ট সীমানা নেই। কেউ এখান থেকে মাসে ৩০০ ডলার আয় করে থাকে আবার কেউ এখান থেকে মাসে ৩০০০ ডলার আয় করে থাকে।

আপনার কাজের স্কিল এবং দক্ষতা দেখে ক্লায়েন্ট আপনাকে টাকা দিবে। সে যদি আপনার কাজ দেখে খুশি হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তীতে আপনার সাথে আবার সেদিন করবে এবং আপনি যত বেশি ডিল সম্পূর্ণ করতে পারবেন এর মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। 

আর যারা সঠিক দক্ষতা সম্পন্ন একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তারা ফাইবার থেকে মাসে খুব সহজেই হাজার ডলার আয় করে নিতে পারেন। 

তাহলে যাদের প্রশ্ন ছিল ফাইবার থেকে আয় করার উপায় বা ফাইবার থেকে কত আয় করা যায় তাদের প্রশ্নের উত্তরটা হয়তো এতক্ষণে পেয়ে গিয়েছেন। 

ফাইবারে কাজ করার কোনো ঝুঁকি রয়েছে কিনা

ফাইবারের যারা কাজ করে তাদের কাজ নিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি রয়েছে কিনা বা তাদের পেমেন্ট নিয়ে কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় কিনা এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন।

দীর্ঘদিন ধরে এই প্ল্যাটফর্মটিতে সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ কাজ করে আসছে এবং এটার মাধ্যমে কাজ করে তারা প্রতি মাসে পেমেন্ট দিচ্ছে। 

ফাইবার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমান  টাকা হয়ে গেলে আপনি খুব সহজেই সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যাংকে টান্সফার করে নিতে পারবেন।

ফাইবার একাউন্ট অনেকের বিভিন্ন কারনে সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে কিন্তু কোন সময় ফাইবার পেমেন্ট করতে কোনো ধরনের ঝামেলা করে না। 

তাই যারা ফাইবার ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান তারা নির্ভয় এখানে কাজ শুরু করতে পারেন আপনারা এখানে কোন ধরনের ঝুঁকির মধ্যে করবেন না। এটি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য খুবই বিশ্বস্ত একটি ওয়েবসাইট। 

ফাইবারে কাজ করে কি ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব 

ফাইবারের যারা কাজ করে থাকে তারা সবাই অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সার। আর যারা কাজ দিয়ে থাকে তারা হচ্ছে বায়ার। তো আমাদের দেশে এমন অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা ফাইবারে কাজ করার মাধ্যমে এখান থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করছে। যা কিনা কোন চাকরিজীবীর বেতন থেকে দুই থেকে পাঁচ গুণ বেশি।তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে ফাইবারে কাজ করার মাধ্যমে কি পরিমাণ আয় করা সম্ভব।

যারা খুবই দক্ষতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সার তাড়াশে ফাইবার একাউন্ট টিকে ব্যবহার করে মাসে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা আয় করছে।যা কোন চাকরিজীবী হয়তো এক মাসে করতে পারবে না।

তাহলে অবশ্যই এতক্ষণে বুঝে গিয়েছেন যে ফাইবারে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার মাধ্যমে ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব নাকি সম্ভব না।

আপনি যদি একজন সঠিক দক্ষতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ফাইবারে কাজ করার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব। 

আমাদের শেষ কথা,

ফাইবার হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে দীর্ঘদিন ধরে অসংখ্য ফ্রিল্যান্সার কাজ করে আসছে। অনেকেই প্লাটফর্মটিকে ব্যবহার করে এখান থেকে হাজার হাজার টাকা আয় করে চলেছে।

সঠিক কাজ জানলে এই প্ল্যাটফর্মটিতে কাজের কোন অভাব নেই।আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে Fiverr কি এবং কিভাবে এখান থেকে আয় করবেন এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। 

তারপরেও যদি এই নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদেরকে সরাসরি কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন আর যদি পোস্টটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top