২০২৪ সালের সেরা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর তালিকা (Freelancing sites 2023)

ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট ২০২৪: ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম শুরু করার জন্য প্রথমেই ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা প্রয়োজন। কোন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের পলিসি কেমন – তা না জানা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করা মুশকিল হয়ে পড়বে।

এই আর্টিকেলে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলার পর কাজ শুরু করার জন্য কোন প্লাটফর্মটি বেছে নিতে হবে – তা নিয়ে আপনার মনে বিন্দুমাত্র দ্বিধা থাকবে না।

কিন্তু তার আগে আমাদের জানা প্রয়োজন, ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এবং আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট এর মাঝে পার্থক্য কোথায় কিংবা আদৌ কোনো পার্থক্য আছে কিনা। কেননা, এই দুইটি শব্দ নতুনদের জন্য সব সময়ই বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর তালিকা

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট কি একই?

কোনো বাধ্যবাধকতা ছাড়াই স্বাধীনতাভাবে কাজ করে টাকা ইনকাম করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। আর যারা ফ্রিল্যান্সিং করে, তাদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।

অন্যদিকে, আউটসোর্সিং হলো চাকরীতে নিযুক্ত না করেই নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কোনো ফ্রিল্যান্সারকে দিয়ে কোনো কাজ করিয়ে নেওয়া।

বুঝতেই পারছেন, ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর সংজ্ঞা ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু, এদের উভয়ের প্লাটফর্মই অভিন্ন। কারণ, একজন ফ্রিল্যান্স্যার যে স্থানে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কাজ খুঁজবে, সেই একই স্থানেই একজন আউটসোর্স ঠিকাদার বা ক্লায়েন্ট নিজের কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজবে।

মোটকথা, আমরা এই আলোচনায় যে সকল ওয়েবসাইটের নাম বলব, সেগুলো একইসাথে একেকটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এবং আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট।

অবশ্যই পড়বেন: 

ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলো কিভাবে কাজ করে?

ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর কাজ করার পদ্ধতি খুবই সহজ সরল। সহজভাবে বললে, এসব সাইটে সাধারণ দোকানের মতো দুইটি পক্ষ থাকে – ক্রেতা পক্ষ এবং বিক্রেতা পক্ষ। ক্রেতা পক্ষ হলো ক্লায়েন্ট এবং বিক্রেতা পক্ষ আমার আপনার মতো ফ্রিল্যান্সার।

এসব ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলো ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে যোগসূত্র তৈরি করে। এখানে ক্লায়েন্টরা তাদের কি ধরণের সাহায্য প্রয়োজন এবং সেটার জন্য কত খরচ করতে পারবে তা লিখে পোস্ট করে। ফ্রিল্যান্সাররা ঐ পোস্টটি দেখে যদি সেই কাজটি করতে আগ্রহ বোধ করে, তবে ক্লায়েন্টকে জানিয়ে দেয়।

একই কাজ করে দেয়ার জন্য একাধিক ফ্রিল্যান্সার ইচ্ছা পোষণ করলে ক্লায়েন্ট তার পছন্দমতো কোনো একজনকে সেই কাজটা করার অনুমতি প্রদান করে।

কাজ সম্পন্ন করলে ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটকে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে এবং ফ্রিল্যান্সিং সাইট কিছু টাকা নিজে রেখে বাকিটা ঐ ফ্রিল্যান্সারের এ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে দেয়।

এটাই একটি ফ্রিল্যান্সিং অথবা আউটসোর্সিং সাইট এর সাধারণ চিত্র। কিছু ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সাররাও ক্লায়েন্টদের মতো নিজের স্কিলগুলো অফার আকারে পাবলিশ করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলো কতটা বিশ্বস্ত?

এখানে যেসব সাইটের নাম বলা হবে, সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের একেকটি প্লাটফর্ম। লক্ষ লক্ষ মানুষ এসব সাইটে কাজ করছে। তাই এগুলো ওয়েবসাইটের বিষয়ে মনে সন্দেহ রাখা নিতান্তই অমূলক।

কিন্তু সব ফ্রিল্যান্সিং সাইটকেই এক পাল্লায় মাপা উচিৎ হবে না। কিছু সাইট আছে, যেগুলো ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। নতুন যেকোনো সাইটে কাজ করার আগে সেই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। মনে রাখবেন, একেক সাইটের পলিসি ও নিয়মকানুন একেক রকম। কিছু কিছু সাইটের পলিসি আবার অন্যান্য সাইটের সাথে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক বলে মনে হতে পারে।

আর দেখুন: 

জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর তালিকা ২০২৪ ( Freelancing sites 2024 bangla)

এখানে পর্যায়ক্রমে সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো প্রতিটি সাইটই হাজার হতে লক্ষাধিক সদস্যবিশিষ্ট এবং এলেক্সা র‍্যাংকিং এ সামনের সারিতে অবস্থানকৃত।

১) Upwork.Com – Best Freelancing Website

Upwork বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর একটি। এখানকার জব পোস্টিং ফিড অনেক দ্রুত আপডেট হয়। ছোট ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী প্রতিনিয়তই আপওয়ার্কে এসে ফ্রিল্যান্সারদের খোঁজ করে এবং কাজ করিয়ে ন্যায্য মূল্য প্রদান করে।

২০১৫ সালের আগে Upwork এর নাম ছিল “OdeX”। ২০১৫ তে এসে OdeX আরো একটি নামকরা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট Elance সাথে মিলিত হয়ে নতুন এবং বিস্তৃত একটি প্লাটফর্মের আবির্ভাব ঘটায়, যার নাম দেয়া হয় Upwork।

Upwork সবচেয়ে বিস্তৃত প্লাটফর্ম হওয়ায়, আপনি যে কাজেই দক্ষ হয়ে থাকুন না কেন, এখানে কাজ খুঁজে পাওয়া অন্য যেকোনো সাইটের তুলনায় অনেক বেশি সহজ হতে চলেছে।

এখানকার প্রতিটি সেক্টরেই কমবেশি কাজের সুযোগ থাকলেও অন্যান্য ওয়েবসাইটের মতোই আপওয়ার্কে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কাস্টমার সাপোর্ট, ফ্রিল্যান্স রাইটিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজমেন্টের মতো কাজগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি চাহিদাসম্পন্ন।

আপওয়ার্কে ফিক্সড এবং ঘন্টা ভিত্তিক উভয় রেটেই কাজ পাওয়া যায়। এখানকার পেমেন্ট পদ্ধতি পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার কেন্দ্রিক।

Visit : Upwork.com

২) Fiverr.Com – Freelance Services Marketplace

২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করা Fiverr অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর তুলনায় বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে। নতুন অবস্থায়, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষেরা প্রত্যেকেই আমাকে Fiverr দিয়ে আউটসোর্সিং এর ক্যারিয়ার শুরু করতে বলেছিল। কারণ, এটি নতুনদের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী এবং সহজ।

আপনি যদি আউটসোর্সিং এ একদম নতুন হয়ে থাকেন এবং কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আউটসোর্সিং শুরু করবেন, তা বুঝে উঠতে না পারেন, তবে নিশ্চিন্তে ফাইবারে এ্যাকাউন্ট খুলে কাজ শুরু করে দিন।

ফাইভারে সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে শুরু করে মোটামুটি ভালো পরিমাণ টাকার কাজ পোস্ট করা হয়। এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অনুবাদ, অডিও ও ভিডিও ইডিটিং এর মতো কাজগুলোর চাহিদা ব্যাপক।

এখানে প্রতিটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করার জন্য ক্লায়েন্ট আপনাকে যত টাকা দেবে, তার ২০% কেটে রাখবে ফাইবার। অন্যান্য প্লাটফর্মের মতো ঘন্টাভিত্তিক কোনো কাজ এখনো এখানে চালু হয়নি, এখানে শুধু ফিক্সড রেটের কাজই পাওয়া যাবে।

পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতিতে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ফাইবার থেকে আয় করা টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

Visit : Fiverr.com

আর পড়ুন: 

৩) Freelancer.Com – Hire the best freelancers for any job, online

Freelancer অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোর তুলনায় বেশ পুরাতন এবং জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৬ মিলিয়ন।

এই প্লাটফর্মের ঠিকানা শুধুমাত্র অনলাইনেই সীমাবদ্ধ নয়, বাস্তব জীবনেও এর রয়েছে সদর দপ্তর, অফিস এবং ব্রাঞ্চ। ফ্রিল্যান্সার ডট কমের সদর দপ্তর অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত।

অধিক ব্যবহারকারী থাকায় এখানে কাজের সুযোগ এবং প্রতিযোগিতা দুটোই সমানুপাতিক হারে বেশি। এখানে ঘন্টাভিত্তিক এবং ফিক্সড প্রাইজ – উভয় রেটেই কাজ পাওয়া যায়।

নতুনদের কাছে এই ওয়েবসাইটটিতে কাজ করা একটু কঠিন মনে হতে পারে। কারণ প্রথম অবস্থায় প্রজেক্ট শেষ করার পর এখানে অতিরিক্ত কিছু ভাতা প্রদান করতে হয়। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য উপার্জিত অর্থের ১০ থেকে ২০% টাকা কোম্পানী নিজে নিয়ে থাকে।

ফ্রিল্যান্সার ডট কম থেকে উপার্জিত অর্থ পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফারের মাধ্যমে উত্তোলন করা যায়।

Visit: Freelancer.Com

৪) Guru.Com – Get A Suitable Freelance Job

১.৫ মিলিয়ন সদস্যবিশিষ্ট অন্যতম জনপ্রিয় আরো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম হলো Guru। এখানে ফিক্সড প্রাইজ এবং ঘন্টাভিত্তিক – উভয় রকমের কাজই পোস্ট করা হয়। পোস্ট করা কাজগুলোর বাজেট সাধারণত ১০ থেকে ২০০ ডলারের ভেতর হয়ে থাকে।

প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্ট প্রদত্ত টাকার ৪.৯৫% হতে ৮.৯৫% টাকা প্লাটফর্মটি কেটে নেয়। তাই অন্যান্য সাইটের তুলনায় এই সাইটে কাজ করা একটু বেশিই লাভজনক।

এখানে প্রতিযোগিতা খুবই বেশি এবং পেমেন্ট পদ্ধতি সম্পন্ন করা যায় পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্র্যান্সফারের মতো প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে।

Visit: Guru.com

৫) PeoplePerHour.Com – Best Outsourcing Website

লন্ডন ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটি জনপ্রিয় আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম পিপল পার আওয়ার। নাম দেখেই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, এখানে ঘন্টা ভিত্তিক রেটে কাজ পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে ঘন্টাভিত্তিক পদ্ধতির পাশাপাশি এখানে ফিক্সড রেটের কাজের সুযোগও তৈরী করা হয়েছে।

এই প্লাটফর্মে প্রতিযোগিতা খুব বেশি। প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য সর্বনিম্ন ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। আয় করা টাকার ১৫ থেকে ২০% প্লাটফর্মটি নিযে রেখে দেয়।

পিপল পার আওয়ার ওয়েবসাইটটির পেমেন্ট পদ্ধতি পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফারকেন্দ্রিক।

Visit: PeoplePerHour.Com

৬) 99Designs.Com – Freelance Website For Designers

যারা ডিজাইন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চায়, তাদের কাছে ৯৯ডিজাইনস খুবই প্রিয় একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটি অনলাইন ডিজাইনের জন্য জনপ্রিয় যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্র্যানসিস্কোকেন্দ্রিক গড়ে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীনির্ভর।

এখানে ডিজাইন কিনতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা তাদের কেমন ডিজাইন লাগবে, তা বিস্তারিতভাবে লিখে একটি কনটেস্টের আয়োজন করে। ডিজাইনাররা ক্লায়েন্টের প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য সেই অনুযায়ী ডিজাইন সাবমিট করে। ক্লায়েন্ট তার পছন্দসই ডিজাইনটি কিনে নেয় এবং ডিজাইন মেকারকে পূর্বনির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদান করে।

এখানে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা এবং আয়ের পরিমাণ উভয়ই অত্যন্ত বেশি। প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য এভারেজ ১৯৯ ডলার ইনকাম করা যায়। পেমেন্ট পদ্ধতি পেওনিয়ার এবং পেপালকেন্দ্রিক।

Visit: 99Designs.Com

আর দেখুন: 

৭) IFreelance.Com – One Of The Best Freelancing Site

আপনি যদি এ্যাকাউন্টিং, মার্কেটিং, ডিজাইনিং, প্রোগ্রামিং এবং কনটেন্ট রাইটিং এর মতো ক্যাটাগরিতে কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তবে Ifreelance ওয়েবসাইটটিতে এ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

এখানে প্রোফাইল খুলে আপনি কি কি সেবা দিতে পারবেন, সেটা লিখে অফার আকারে প্রদর্শন করার মাধ্যমে প্রজেক্টের অর্ডার পাওয়া যায়। অথবা ক্লায়েন্টের পোস্ট করা কাজে বিডিং এর মাধ্যমেও অর্ডার পাওয়া যেতে পারে।

সমস্যা হলো, Ifreelance সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করা অন্যান্য সাইটের মতো ফ্রি নয়। এখানে যুক্ত হতে হলে আপনাকে পেইড মেম্বারশীপ প্যাকেজ কিনতে হবে। তবে অন্যান্য সাইটের মতো এই সাইটটি প্রতিটি কাজের জন্য আপনার প্রাপ্ত মুনাফায় ভাগ বসাবে না। ক্লায়েন্ট যা দেবে, পুরোটা আপনি একাই পাবেন।

Visit: IFreelance.Com

৮) SimplyHired.Com – Get A Online Job

আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে কাজের বৈচিত্র‍্যের বিষয়ে তুলনা করলে SimplyHired এর প্রতিদ্বন্দ্বী আর কেউ নেই। এখানে প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ঘর বাড়ি তৈরীর ইঞ্জিনিয়ারের কাজ পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে। এই ওয়েবসাইটটির কাজগুলো শুধুই অনলাইনে সীমাবদ্ধ থাকে না। অফলাইনেও কাজ করার অনেক অফার এখানে পাওয়া যায় এখানে।

প্রায় ২৪ টি দেশের মানুষেরা এই ওয়েবসাইটে সক্রিয়ভাবে কাজের অফার দিচ্ছে কিংবা কাজ খুঁজছে। তাই এর সাইটের ব্যপ্তি অনেক বেশি।

SimplyHired প্লাটফর্মটি সবময়ই মানসম্মত অথোরিটি মেইনটেইন করার চেষ্টা করে। এখানে কাজের অফারের পাশাপাশি এই প্লাটফর্মের বিভিন্ন ব্যক্তির সফলতা ব্যর্থতার গল্প, ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ ইত্যাদী আর্টিকেল আকারে প্রকাশ করে।

Visit: SimplyHired.Com

৯) Toptal – Best Professional Freelancing Website

আউটসোর্সিংকে যদি আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে নেন এবং ভবিষ্যতের বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে চান, তবে টপটালের বিকল্প প্লাটফর্ম আর হতেই পারে না। কেননা, টপটাল আপনাকে দেবে প্রচুর আয়ের সুযোগ এবং অনেক সুযোগ সুবিধা, যা অন্য কোনো প্লাটফর্ম দিতে পারবে না।

টপটালে কাজ করাটা অনেকটাই অফিসে বসে কাজ করার মতো। এখানে যুক্ত হওয়ার জন্য আপনাকে কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এমনকি অনলাইনে সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে।

এসব পরীক্ষায় টিকে এখানে যুক্ত হতে পারলে অনেক বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ পাবেন, যা আপনাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

বলে রাখা ভালো, এই ওয়েবসাইটটি শুধুমাত্র তাদের জন্যই, যারা টেকনোলজি নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করে এবং আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষতা খুবই উচ্চমানের। ব্যাকগ্রাউন্ডে ইঞ্জিনিয়ারিং থাকলে এটা একটা প্লাস পয়েন্ট।

Visit: TopTal.Com

আমাদের শেষ কথা – Freelancing Sites list in Bangla

এই আর্টিকেলের Freelancing Sites List এ উল্লেখিত প্রতিটি সাইটই সমানভাবে বিশ্বস্ত। আপনি এখানে উল্লেখিত যেকোনো সাইটে নিশ্চিন্তে এ্যাকাউন্ট খুলে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

অনেকের প্রশ্ন থাকে, শুধু একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট এ সক্রিয় থাকব, নাকি একাধিক সাইটে এ্যাকাউন্ট খুলে কাজ খুঁজবো।

এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো, একাধিক সাইটে এ্যাকাউন্ট খুলে রাখুন। তাহলে দ্রুত কাজ পাবেন। প্রথম অবস্থায় শুধু একটি সাইটের উপর নির্ভর করে বসে থাকলে কাজ পাওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পরিশেষে বলব, এই লেখাটি আপনার উপকারে এলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং নিয়মিত এমন লেখা পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top