ব্যাকলিংক কি? কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন? বিস্তারিত

আমরা যারা এসইও নিয়ে কাজ করি বা জীবনে কোন দিন কাজ করতে চেয়েছি বা করেছি তারা সবাই একটি বিষয়ের সাথে পরিচিত সেটি হলো ব্যাকলিংক।

এসইও’র জগতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন কঠিন একটি কাজের নাম হলো ব্যাকলিংক। এই ব্যাকলিংক একটি ওয়েবসাইটের রেংকিংয়ে অনেক অনেক বেশি ভূমিকা রাখে।

কিন্তু ব্যাকলিংক নিয়ে অনেক ভুল ধারণা অনেকের মধ্যেই রয়েছে। অনেকের কাছে ব্যাকলিংক অন্য ওয়েবসাইটে গিয়ে শুধু নিজের ওয়েবসাইটের লিংক বসানোর মতোই সহজ আবার অনেকের কাছে এটি অসম্ভব এবং কঠিন একটি ব্যাপার।

আজকের এই পোস্টে আমি চেষ্টা করব আপনাদের ব্যাকলিংক কি?  ব্যাকলিংক কেন দরকার?  ব্যাকলিংক কিভাবে করবেন এই সকল ব্যাংকলিংক সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ব্যাকলিংক নিয়ে আপনাদের একটি স্পষ্ট ধারনা দিতে।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

ব্যাকলিংক কি?
ব্যাকলিংক কি? কেন করতে হয়? কিভাবে করবেন?

ব্যাকলিংক কি? (What is Backlink?)

ব্যাকলিংক হলো একটি ওয়েবসাইটের সাথে আরেকটি ওয়েবসাইটের লিংক। যেমন মনে করুন একটি ওয়েবসাইট A আরেকটি ওয়েবসাইট B। এখন A ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট বা পেজে B ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হয়েছে তাহলে B ওয়েবসাইটটি A হতে একটি ব্যাকলিংক পেয়েছে।

সার্চ ইঞ্জিনগুলো ব্যাকলিংককে এক একটি ভোট হিসিবে কাউন্ট করে। মানে যে ওয়েবসাইট একটি ব্যাকলিংক পেয়েছে সে তার পক্ষে একটি ভোট পেয়েছে। এভাবে ব্যাকলিংক যত বাড়বে তত অর্গানিক রেংক বৃদ্ধি পাবে। 

ব্যাকলিংক কেন দরকার? (Why do you need backlinks?)

এসইও’র জগতে থাকা মানুষগুলো ব্যাকলিংকের গুরুত্ব সম্পর্কে খুবই ভালোভাবেই জানে তাও যারা জানে না বা নতুন যারা তাদের জন্য সংক্ষেপে বলে নিই।

একটু আগেই বলেছিলাম ব্যাকলিংকে সার্চ ইঞ্জিন এক একটি ভোট হিসেবে কাউন্ট করে। যার ব্যাকলিংক যত বেশি তার ভোট তত বেশি। এই ভোট গুলো সার্চ ইঞ্জিনকে উক্ত কন্টেন্টের মান এবং উপকারীতা নির্দেশ করে। যার ব্যাকলিংক বেশি সার্চ ইঞ্জিন মনে করে তার কন্টেন্টের মান ভালো।

এসইও’র জন্য ব্যাকলিংক অনেক আগে থেকেই করা হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ব্যাকলিংকের ধরণের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গুগলের রেংকিং অ্যালগোরিদমের মধ্যে একটি হলো Pagerank যেখানে ব্যাকলিংকের কথা অনেক আগে থেকেই ছিল কিন্তু সময়ের সাথে এই অ্যালগোরিদমটির মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এছাড়াও গুগল তাদের টপ তিনটি রেংকিং ফেক্টরের মধ্যে ব্যাকলিংক একটি বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। 

সুতরাং বুঝতেই পারছেন ব্যাকলিংকের গুরুত্ব কতখানি। চলুন জেনে আসি ব্যাকলিংক আপনার কি উপকার গুলো করবেন বা কি জন্য আপনার ব্যাকলিংক করা উচিত। 

অর্গানিক রেংঙ্কিং (Rank)

মনে করুন আপনি গেলেন একটি মার্কেটে মোবাইল কিনতে এখন আপনি জানেন না কোন দোকান থেকে মোবাইল নিলে ভালো হয়। আপনি আশে পাশের মানুষ থেকে জিজ্ঞাসা করলেন কোন দোকান থেকে মোবাইল নিলে ভালো হয় তাদের বেশিরভাগ “রহিম টেলিকম” এর নাম বলল আপনি তাহলে রহিম টেলিকমেই যাবেন মোবাইল কিনতে।

ঠিক তেমনি সার্চ ইঞ্জিন কোন পোস্ট রেংক করানোর আগে যখন বিবেচনা করে কোন ওয়েবসাইটকে অন্য ওয়েবসাইট বেশি পরিমান লিংক দিয়েছে। যাকে অন্যরা বেশি লিংক দিয়েছে সার্চ ইঞ্জিন সেই ওয়েবসাইটকেই রেংক করাবে এভাবে ব্যাকলিংকের মাধ্যমে আপনার অর্গানিক রেংকিং বৃদ্ধি পাবে।

ফাস্ট ইনডেক্সিং 

আপনি কন্টেন্ট লেখার পর সেটি যদি সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্সই না হয় তাহলে আপনি কোন এসইও করেও লাভ হবে না। বর্তমানে অনেকেই এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো ব্যাকলিংক। যদি কোন পোস্ট করার সাথে সাথেই ব্যাকলিংক করা শুরু করে তাহলে সার্চ ইঞ্জিন দ্রুত সেই পোস্টকে ইনডেক্স করে ফেলে। 

ডিএ এবং পিএ বৃদ্ধি

ডিএ মানে হলো ডোমেইন অথরিটি এবং পিএ মানে হলো পেজ অথরিটি। পরে এগুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে। এখন এতটুকুই জেনে রাখি ব্যাকলিংকের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ডিএ এবং পিএ বৃদ্ধি পায় আর যত ডিএ পিএ বৃদ্ধি পাবে আপনার ওয়েবসাইট তত দ্রুত রেংক করবে। 

অর্গানিক ট্রাফিক 

আপনার ওয়েবসাইটে যখন ব্যাকলিংক করবেন তখন আপনার অর্গানিক রেংকিং বৃদ্ধি পাবে, অথরিটি বৃদ্ধি পাবে যার ফলে আপনি হিউজ পরিমাণ অর্গানিক ট্রাফিক পেতে পারবেন।

এই অর্গানিক ট্রাফিককে আপনি খুব সহজেই টাকায় রূপান্তর করতে পারবেন। মানে যখন আপনার অর্গানিক ট্রাফিক আসা শুরু হবে তখন আপনার সকল ইনকাম সোর্স খুলে যাবে।

আপনার জন্য আরও আর্টিকেল: 



কোন ব্যাকলিংক গুলো উপকারী? (Which backlinks are useful?)

আমাকে যদি বলা হয় এখন কোন সাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরী করতে তাহলে আমি হয়ত একদিনেই ১০০ ব্যাকলিংক করে ফেলতে পারব।

কিন্তু এই ১০০ ব্যাকলিংক কি আমার জন্য উপকারী? তার সোজা উত্তর হলো “না”।

সব ধরনের ব্যাকলিংকই একটি সাইটের এসইও’র জন্য উপকারী না। বরং কিছু কিছু ব্যাকলিংক উপকারতো করেই না অপকার করে।

চলুন এখন জেনে আসি উপকারী ব্যাকলিংকগুলোর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি। 

  • ট্রাস্টেড ওয়েবসাইট থেকে আসতে হবে

মনে করুন এমন একটি সাইট থেকে আপনি লিংক পেয়েছেন যেটি সার্চ ইঞ্জিনের চোখে ইতিমধ্যেই খারাপ। অর্থাৎ যে ওয়েবসাইটটি স্প্যাম বিষয় শেয়ার করে বা যার স্প্যাম স্কোর অনেক বেশি।

তাহলে কি সার্চ ইঞ্জিন কখনো আপনাকে রেংকিং দিবে? না। আর পক্ষান্তরে আপনি চিন্তা করুন এমন কোন ওয়েবসাইট থেকে লিংক পেয়েছেন যেটি অলরেডি গুগলে রেংক করছে। ভালো বিষয় শেয়ার করছে ভালো ট্রাফিক পাচ্ছে। তাহলে সেই ওয়েবসাইট হতে পাওয়া আপনার লিংকটিকে অবশ্যঅবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন ভালো চোখে দেখবে। এবং আপনি নিজেও অনেক বেনিফিটস পাবেন।

  • টার্গেটেড anchor ব্যবহার করা 

anchor হলো একটি লিংক যে টেক্সট দিয়ে কাভার করা থাকে। অনেকেই জানেন যে anchor ব্যবহার টা এসইওতে খুব বেশি দরকার।

স্বভাবত সবাই চায় তার টার্গেটেড কি-ওয়ার্ড দিয়ে anchor এ দিয়ে ব্যাকলিংক তৈরি করতে। এবং একটি রিসার্চে দেখা গিয়েছে anchor এ টার্গেটেড কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা রেংকিং এ সত্যিই অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন যদি কোন কি-ওয়ার্ডে রেংক করার উদ্দেশ্যে অনবরত সেই কি-ওয়ার্ড দিয়ে ব্যাকলিংক করা শুরু করেন তাহলে সেটা ব্ল্যাক হেট এসইও হয়ে যাবে। এটির মাধ্যমে আপনি সাময়িক রেংঙ্কিং পেলেও কিছুদিন পর আপনার সাইটই ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যাবে।

  • লিংক দেওয়া ওয়েবসাইটটি আপনার নিশ রিলেভেন্ট হতে হবে

আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে খেলাধুলা নিয়ে কিন্তু আপনি ব্যাকলিংক পেলেন টেকনোলজি রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট থেকে যেহেতু আপনার ওয়েবসাইটের সাথে ঐ ওয়েবসাইটের নিশ রিলেভেন্ট না তাই ব্যাকলিংকটি তেমন উপকারী হবে না।

অন্যদিকে আপনার খেলাধুলা রিলেটেড ওয়েবসাইটে যদি আপনি ক্রিকেট রিলেটেড কোন ওয়েবসাইট থেকে লিংক নেন তাহলে সেটি আপনার জন্য বেশি ইফেক্টিভ হবে। 

  • লিংক অবশ্যই ডু ফলো হতে হবে

একটি ওয়েবসাইটে যখন লিংক দেওয়া হয় তখন লিংকটি দুই রকম থাকে পারে হয় ডু-ফলো না হয় নো-ফলো। একটি লিংক ডুফলো নাকি নোফলো সেটি সেই লিংকের কোড দেখলেই বুঝতে পারবেন।

সার্চ ইঞ্জিন নো-ফলো লিংক গুলোকে কোন লিংক হিসেবে কাউন্ট করে না। তাই নো-ফলো লিংক গুলো করেও আপনার তেমন কোন লাভ হবে না।

মজার ব্যাপার হলো বেশির ভাগ লিংকই ডু-ফলো শুধু স্পেসিফিক কিছু ( ব্লগ কমেন্টিং, পেইড এড ইত্যাদি) ছাড়া। তাই লিংক তৈরির সময় নিশ্চিত হয়ে নিবেন ডু-ফলো নাকি নো-ফলো।

  • একটি ডোমেইন থেকে একটি লিংকই নেওয়াঃ-

আপনি একটি ডোমেইন থেকে আজকে একটি ব্যাকলিংক নিলেন সেটি আপনার খুব উপকার করল কিন্তু আপনি যখন দ্বিতীয় বার সেইম ডোমেইন থেকে লিংক নিতে যাবেন তখন আপনার আর আগের মতো উপকার হবে না কারন একটি ডোমেইন থেকে লিংক সার্চ ইঞ্জিন একবারই কাউন্ট করে।

তাই এক ডোমেইন থেকে বার বার লিংক না নিয়ে বিভিন্ন ডোমেইন থেকে লিংক নেওয়ার চেষ্টা করুন। 

কাদের থেকে ব্যাকলিংক নেওয়া উচিত? 

একটু আগে দেখলাম কোন কোন বিষয়গুলোর উপর লক্ষ্য রেখে আমরা বুঝতে পারব একটা ব্যাকলিংক উপকারী নাকি অপকারী।

এখন আমরা দেখব কাদের থেকে ব্যাকলিংক নিতে পারব। অর্থাৎ আমরা যখন কোন ডোমেইন বা ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক নিতে যাব তখন আমাদের ঐ ওয়েবসাইটের কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে।

আমরা যদি সব ওয়েবসাইট থেকেই ব্যাকলিংক নেওয়া শুরু করি তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের এসইওতে খারাপ প্রভাব ফেলবে। তাই আপনাকে ব্যাকলিংক তৈরির আগে অবশ্যই নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে খেয়াল রখাতে হবে। 

ডোমেইন অথরিটি

ডোমেইন অথরিটি হলো মোজ কর্তৃক দেওয়া ডোমেইনকে একটি নম্বর। এই নম্বরটি যত বেশি সেই ডোমেইনের এসইও তত স্ট্রোং এবং কন্টেন্ট কোয়ালিটি তত ভালো।

মোটকথা হাই ডোমেইন অথরিটির ওয়েবসাইট গুলো সার্চ ইঞ্জিনের দৃষ্টিতে ভালো। তাই যখন আপনি ব্যাকলিংক করতে যাবেন চেষ্টা করবেন হাই অথরিটি সাইট থেকে ব্যাকলিংক নিতে। কারন যখন একটি ভালো সাইট থেকে আপনাকে ভোট বা লিংক দিবে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন আপনাকেও ভালো মনে করবে।

আমি বলছিনা অনেক অনেক হাই অথরিটি সাইট ছাড়া ব্যাকলিংক করা যাবে না। অনেক অথরিটির সাইট গুলো থেকে সহজে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে ১৫-৪০ ডোমেইন অথরিটি ওয়েবসাইট গুলোতেও আপনি লিংক বিল্ডিং করতে পারবেন।

স্প্যাম স্কোর

ডোমেইন অথরিটি বা ডিএ যেমন নির্দেশ করে কোন ওয়েবসাইট কতটা ভালো তেমনি স্প্যাম স্কোর নির্দেশ করে কোন ওয়েবসাইট কতটা খারাপ৷ স্প্যাম স্কোর নাম শুনেই সেটা বুঝতে পারছেন। যে ডোমেইনের একটিভিটিস সার্চ ইঞ্জিনের কাছে স্প্যাম মনে হয় তার স্প্যাম স্কোর বাড়তে থাকে।

আপনি অবশ্যই অবশ্যই ব্যাকলিংক নেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেই ডোমেইন থেকে ব্যাকলিংক নিচ্ছেন তার স্প্যাম স্কোর যেন ০-১ এর মধ্যে হয়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি আপনি হাই স্প্যাম স্কোর কোন ওয়েবসাইট থেকে লিংক নেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটেরও স্প্যাম স্কোর বাড়তে পারে। তাই এটি খুবই সেনসেটিভ বিষয়। 

ব্যাকলিংক নেওয়ার আগে অবশ্যই স্প্যাম স্কোর চেক করে নিবেন। 

রিলেভেন্ট নিশ 

একটু আগে উন্নত মানের ব্যাকলিংকের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বলেছিলাম আপনার নিশের সাথে রিলেভেন্ট এমন কোন নিশের ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক আপনার জন্য বেশি উপকারী।

তাই ব্যাকলিংক তৈরির সময় চেষ্টা করবেন ঐ সব নিশের ওয়েবসাইটে লিংক তৈরি করতে যেসব ওয়েবসাইটের নিশ আপনার নিশের সাথে রিলেভেন্ট।

এটিতে দুটি উপকার হয় প্রথমত আপনি সার্চ ইঞ্জিনের দৃষ্টিতে ভালো হতে পারবেন। দ্বিতীয়ত ঐ ওয়েবসাইট থেকে কিছু ট্রাফিক আপনিও পেতে পারেন। কিভাবে? যেমনঃ- আমার ওয়েবসাইট হলো কম্পিউটার রিলেটেড এন্ড আমি একটা টেকনোলজি সাইটে লিংক বিল্ডিং করলাম। এখন সেই টেকনোলজি সাইটে আসা ট্রাফিক নিশ্চয়ই কম্পিউটার নিয়েও ইন্টারেস্টেড হতে পারে যখন সে দেখবে আরেকটা কম্পিউটার রিলেটেড সাইট সে সেটা ভিজিট করে আসবে।

এভাবেই রিলেভেন্ট সাইট গুলো থেকে ট্রাফিক পাওয়া যায়। 

ভিজিটরস 

একটা ওয়েবসাইটে যত বেশি অর্গানিক ভিজিটর থাকবে সেই ওয়েবসাইট তত বেশি সার্চ ইঞ্জিনের প্রিয় হয় উঠবে। তাই চেষ্টা করবেন ভালো ভিজিটর আছে এমন ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক নিতে। এতে আপনি নিজেও ভালো ট্রাফিক পাবেন।

কিন্তু আপনাকে অবশ্যই চেক করে নিতে হবে ট্রাফিক গুলোর সোর্স কি। যদি কোন ভালো সোর্স থেকে আসে ট্রাফিক তাহলে নিশ্চিন্তে ব্যাকলিংক করতে পারেন আবার যদি সন্দেহজনক বা অপরিচিত কোন ট্রাফিক সোর্স দেখেন তাহলে দূরে থাকাটাই ভালো। 

আরও দেখতে পারেন: 



কোথায় ব্যাকলিংক করবেন? (Where to do backlinks?)

আচ্ছা এতক্ষণ তো অনেক ব্যাকলিংক ব্যাকলিংক করেছি বাট ব্যাকলিংককে যে লিংকটা দিব সেটা কোনটা? আপনার মনে কি এমন প্রশ্ন আসছে না? একটা ওয়েবসাইটে তো অনেক লিংক থাকে কোন লিংকটা দিয়ে ব্যাকলিংক বানাবেন?  

আসলে ওয়েবসাইটে প্রধানত দুই জায়গায় ব্যাকলিংক করা হয় একটি হলো রুট ডোমেইনে অপরটি হলো কন্টেন্টে। চলুন এই ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জেনে নিই। 

রুট ডোমেইনে ব্যাকলিংক 

রুট ডোমেইন মানে হলো প্রধান ডোমেইনটি। যেমনঃ- আমাদের এই ওয়েবসাইটের রুট ডোমেইন হলো onlineincomebd.net।

আমরা একটু আগে বলে এসেছি ডোমেইন অথরিটি বা ডিএ এর কথা। একটা ওয়েবসাইটে যত বেশি কোয়ালিটি ব্যাকলিংক করা হয় তার ডিএ তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

কিন্তু ডিএ বৃদ্ধির আরেকটি শর্ত হচ্ছে ব্যাকলিংকটি অবশ্যই রুট ডোমেইনে হতে হবে। আর যখন আপনার ওয়েবসাইটের ডিএ বাড়বে তখন পুরো ওয়েবসাইটের রেংকিং উন্নত হবে। তাই আপনাকে রুট ডোমেইনের উপর ব্যাকলিংক তৈরি করে ডিএ বৃদ্ধি করতে হবে। 

কন্টেন্টে ব্যাকলিংক 

কোন ওয়েবসাইটের পেজ, পোস্ট বা ছবি গুলোই হলো ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট। এসব কন্টেন্টের স্পেসিফিক লিংক থাকে যেমনঃ- আমাদের সাইটে অফপেজ এসইও নিয়ে লেখা পোস্টের ইউআরএল হলো onlineincomebd.net/off-page-seo/ সুতরাং এটি হলো একটি কন্টেন্টের লিংক।

আমরা যখন এই লিংককে দিয়ে কোন ব্যাকলিংক বানাবো তখন সেটিকে কন্টেন্টের ব্যাকলিংক বলা হবে। একটি ওয়েবসাইটে যখন কন্টেন্টে ব্যাকলিংক তৈরি করা হয় তখন তার পেজ অথরিটি বা পিএ বৃদ্ধি পাবে। এটিও ডিএ’র মতো তবে এটি শুধু ওয়েবসাইটের পেজ গুলোকে কেন্দ্র করে তাই এর নাম পেজ অথরিটি।

কোন ওয়েবসাইটে পেজ অথরিটি যত বেশি হবে তার কন্টেন্ট গুলো রেংক করার প্রবণতা তত বাড়বে। তাই আমাদের রুট ডোমেইনে ব্যাকলিংক করে ডিএ বাড়ানোর পাশাপাশি কন্টেন্টে ব্যাকলিংক করে পিএও বাড়াতে হবে। 

কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন? (How to do backlink?) 

এতক্ষণ তো কথা বললাম ব্যাকলিংক কি, কেন ব্যাকলিংক করবেন কোন ধরণের ব্যাকলিংক করবেন। এখন আমরা আসল বিষয় নিয়ে কথা বলব সেটি হলো কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন? আসলে ব্যাকলিংক করাটা যেমন কঠিন ব্যাপার তেমনটাই সহজ।

আপনি যদি কোয়ালিটি আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন এমন কিছু অডিয়েন্সকে দিতে পারেন যেটা সত্যিই উপকারে আসবে তাহলে আপনিও ভালো ব্যাকলিংক পাবেন আবার আপনি স্প্যাম করেও অনেক ব্যাকলিংক করতে পারবেন কিন্তু তা আপনাকে ক্ষনিকের উপকার করলে দীর্ঘস্থায়ী কিছু হবে না।

তাহলে চলুন জেনে আসি ব্যাকলিংক করার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে।

লিংকএবল এসেট তৈরি করুন 

লিংকএবল এসেট মানে হলো এমন কোন কন্টেন্ট যেই কন্টেন্টে সবাই ব্যাকলিংক দিতে চাইবে। যেমন হতে পারে আপনি কোন একটি বিষয় নিয়ে রিসার্চ করে তার রিপোর্ট দিলেন, হতে পারে কোন সিক্রেট টিপস দিলেন, কোন সফটওয়্যার ইত্যাদি যেকোন কিছু। যখন মানুষ আপনার এই এসেটটি ব্যবহার করবে তখন তারা আপনাকে ক্রেডিট দিবে।

যেমন আপনি ব্যাকলিংক নিয়ে আর্টিকেল লেখার আগে সময় নিয়ে রিসার্চ করে ২০ টি ব্যাকলিংক বিল্ডিং এর টিপস বের করলেন যা আগে কেউ করে নি। তারপরে অন্যান্য ওয়েবসাইট গুলো থেকে যখন আপনার এই রিসার্চ ভালো লাগবে তারা সেটি ব্যবহার করে আপনাকে ক্রেডিট দিবে। এভাবে এমন কিছু তৈরি করুন যেটা ব্যবহার করে মানুষ আপনাকে ক্রেডিট দিবে। 

The moving man method 

জনপ্রিয় ওয়েবসাইট backlinkco থেকে নেওয়া হয়েছে এই ম্যাথোডটি। এই ম্যাথোডটির ৩ টি ধাপ চলুন দেখে আসি ধাপ গুলোঃ- 

  • আপনি যে টপিকে আর্টিকেল লিখবেন সে টপিকের উপর গুগলে আছে এমন কোন পুরনো আর্টিকেল বের করুন। 
  • তারপরে কোন একটি ব্যাকলিংক চেকার টুল দিয়ে দেখুন ঐ পুরোনো আর্টিকেলে কারা কারা লিংক দিয়েছেন। যারা লিংক দিয়েছে তাদের লিংক গুলো সংগ্রহ করে রাখুন। 
  • এবার আপনি নিজে একটি আর্টিকেল লিখুন যেটায় সম্পূর্ণ নতুন সব তথ্য থাকবে। তারপরে ঐ ওয়েবসাইট গুলোকে মেইল করুন যারা পুরনো আর্টিকেলে লিংক দিয়েছিল৷ তাদের বলুন আপনার আর্টিকেল সেই পুরোনো আর্টিকেল থেকে বেশি ইনফরমেটিভ এবং আপডেট। 

এই পদ্বতি ফলো করলে আপনি বেশ কিছু ব্যাকলিংক পেতে পরেন। কারন প্রতিটা ওয়েবসাইটই চাই তাদের এমন কারো সাথে লিংক থাকুক যাদের তথ্য সঠিক এবং নতুন। 

Broken link building 

একটু আগে যে ম্যাথোডটি শেয়ার করে এসেছি এটি তার মতোই শুধু কিছুটা ব্যাতিক্রম আছে এর মধ্যে। আমরা দ্যা মুভিং ম্যান ম্যাথোড এপ্লাই করেছি তখন আমরা খুজেছি ঐ সব ওয়েবসাইটকে যারা পুরনো আর্টিকেলকে লিংক দিয়েছেন কিন্তু এবার আমরা খুজবো কোন ওয়েবসাইটের এইসব পেজ যেগুলোতে 404 error রয়েছে।

প্রথমেই আপনাকে আপনার নিশ রিলেভেন্ট একটি সাইট খুজে নিতে হবে যেখান থেকে আপনি ব্যাকলিংক নিতে চান। তারপরে কোন টুলসোর মাধ্যমে তার ব্রোকেন লিংক গুলোকে খুজে বের করুন।

তারপরে ওয়েবসাইটে এডমিনকে মেইল করে ব্রোকেন লিংক গুলো পাঠান এবং বলুন যে আপনারও একটি ওয়েবসাইট আছে যদি তার ভালো লাগে তাহলে কোন একটি পেজে আপনার লিংক শেয়ার করতে। যদি আপনার থেকে কোন ওয়েবসাইট এডমিন উপকৃত হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই ব্যাকলিংক দিবে। 

গেস্ট পোস্টিং 

গেস্ট পোস্টিং অনেক পুরোনো একটি লিংক বিল্ডিং ম্যাথোড কিন্তু এখনো এটি চমৎকার কাজ করে।

গেস্ট পোস্টিং মানে হলো আপনি কারো জন্য একটি পোস্ট লিখে দিবেন বিনিময়ে সে আপনাকে একটি লিংক দিবে ঐ পোস্টে। এমন অনেক অনেক গেস্ট পোস্টিং সাইট রয়েছে তাছাড়া আপনি ওয়েবসাইট এডমিনকে সরাসরি মেইল করেও গেস্ট পোস্টের জন্য বলতে পারেন।

গেস্ট পোস্টের ক্ষেত্রে অনেকের একটি ভুল ধারণা থাকে সেটি হলো আমি তো এই পোস্টটি অন্য ওয়েবসাইটের জন্য লিখছি কোন ভাবে লিখলেই চলবে।

আসলে ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভুল কারন আপনাকে ঐ ওয়েবসাইট এডমিন এই পোস্টেই লিংক দিবে তাহলে আপনার পোস্টটি যত ভালো পারফরম্যান্স করবে আপনার লিংকের ভ্যালু তত বাড়তে থাকবে।

কিন্তু আপনার পোস্ট যদি ভালো পারফরম্যান্স করতে না পারে তাহলে আপনার লিংক ভ্যালুলেস। তাই জেনুইন পদ্ধতিতে সৎ ভাবে গেস্ট পোস্টিং করার চেষ্টা করুন অন্যের উপকার করার চেষ্টা করুন নিজে উপকৃত হবেন। 

ব্লগ কমেন্টিং

ব্লগ কমেন্টিং মানেই আপনি কি বুঝেন? বেশিরভাগই বুঝে অন্য একটি ব্লগ পোস্টের কমেন্টে গিয়ে নিজের লিংক বসিয়ে দিয়ে আসা। কষ্টকর হলেও সত্য এভাবে লিংক বসানোর কোন উপকারীতা নেই।

আমরা সবাই প্রশংসা পেতে চাই। আমাদের কেউ প্রশংসা করলে আমাদের ভালো লাগে তাদের সাথে ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি করতে চায় আমরা। আপনি যেহেতু এই ব্লগিং বা এসইও ফিল্ডে আছেন আপনাকেও এই ফিল্ডের মানুষ গুলোর সাথে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে।

তাই আপনি নিয়মিত সবার পোস্ট পড়বেন এবং সেসব পোস্টে আপনার মতামত জানাবেন এতে করে আপনার সাথে ওয়েবসাইট এডমিনের একটি ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে এবং তখন আপনি তাকে একটি লিংক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাব দিলে সে হয়ত সেটি প্রত্যাখান করবে না।

আর নিয়মিত কমেন্ট করার কারনে মানুষও আপনাকে চিনবে আপনার ওয়েবসাইটের সম্পর্কে জানবে৷ এভাবে আপনার এবং ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে। 

ব্লগার রিভিউ 

এই মেথডটি কাজ করবে যারা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করে তাদের জন্য।

অথবা ক্ষেত্র বিশেষে নরমাল ব্লগ পোস্টেও আপনি এই মেথড এপ্লাই করতে পারেন।

আপনি আপনার নিশ রিলেটেড সব চেয়ে সেরা ব্লগারদের খুজে তাদের ইমেল করে বলুন যে আপনি তাদের এই পণ্যটি উপহার দিতে চান।

তারপরে যদি তারা আপনাকে এড্রেস দেয় তাহলে আপনি পণ্যটি তাদের পাঠিয়ে দিবেন এবং একটি চিঠিতে লিখে দিবেন যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট নিয়ে একটি রিভিউ দিতে তার ব্লগে।

এভাবে বেশিরভাগ ই-কমার্সরাই নিজেদের ব্র্যান্ডিং করে থাকে। এটাকে আমরা স্পনসর করাও বলি।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসকে পারে কিভাবে নরমাল ব্লগে এই মেথডটি এপ্লাই করা যায়? মনে করুন আপনি পোস্ট করলেন “কিভাবে ঘরে সাবান তৈরি করা যায় ” এই টপিক নিয়ে।

তারপরে আমাকে আপনি নিজের তৈরি করা একটি সাবান উপহার দিলেন। আমার যদি ভালো লাগে এই সাবান আমি আমার ব্লগে বলব আসা অডিয়েন্সকে বলব “অমুক ওয়েবসাইটে একটি সাবান বানানোর প্রক্রিয়া আছে যেটি দিয়ে খুব ভালো সাবান তৈরি করা যায় আপনারা দেখতে পারেন” এভাবেই ঐ ওয়েবসাইট ইনফরমেটিভ আর্টিকেল দিয়েই ভালো লিংক পেয়ে গেল।

আবার আমি কারো ওয়েবসাইটের জন্য বিনামূল্যে লিংক বিল্ডিং করে দিলাম একই ভাবে সেই ওয়েবসাইট এডমিনও তার অডিয়েন্সকে বলবে অমুক ভালো লিংক বিল্ডিং করতে পারে আপনারা যদি চান তার মতো লিংক বিল্ডিং করতে তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন এভাবে আমি আমার ব্যাকলিংক রিলেটেড কোন পোস্টে লিংক পেতে পারি।

এভাবেই এই পদ্ধতিটি আপনি কোন ইনফরমেশনাল কন্টেন্টেও ব্যবহার করতে পারবেন। 

Link Reclamation

আমরা অনেক সময় দেখি অনেক জায়গায় আমাদের ওয়েবসাইটের নাম মেনশন করা থাকে কিন্তু কোন লিংক দেওয়া থাকে না। তখন আমরা আফসোস করি “ইস..! যদি এখানে নামের সাথে লিংকটি যুক্ত থাকতো”

কিন্তু এই আফসোস করে আমাদের তেমন কোন লাভ হয় না। link Reclamation হলো এমনি একটি লিংক বিল্ডিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি যেসব জায়গায় আপনার নাম মেনশন করা সত্ত্বেও লিংক পান নি ঐ সব জায়গা থেকে লিংক নিতে পারবেন।

তার জন্য প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কারা আপনাকে মেনশন করেছে?  চলে যান mention.com এ এখান থেকে আপনি সহজেই বের করতে পারবেন কোন কোন ওয়েবসাইট আপনার নাম ব্যবহার করেছে। তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের সাথে কনটাক্ট করে তাদের বলুন আপনার নামের সাথে লিংক এড করে দিতে যাতে তাে অডিয়েন্স সহজে আপনাকে খুজে পায়। এভাবে আপনি পেয়ে যেতো পারেন কিছু ব্যাকলিংক। 

HARO 

HARO একটি ওয়েবসাইটের নাম যেখানে বিভিন্ন রিপোর্টার বিভিন্ন তথ্য জানতে আসে। আপনি যদি এই ওয়েবসাইটে আপনার ইমেইল দিয়ে রাখেন তখন কোন রিপোর্টার কোন বিষয় নিয়ে জানতে আসলে আপনি একটি মেইল পাবেন।

যদি দেখেন কোন রিপোর্টার এমন কিছু নিয়ে জানতে চাচ্ছে যা আপনার ওয়েবসাইটের নিশ রিলেটেড তাহলে আপনি তাকে সাহায্য করুন এবং বিনিময়ে সে হয়তো তার রিপোর্টে আপনাকে মেনশন দিবে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেক বড় বড় সাইট থেকে ব্যাকলিংক পাওয়া যায়। আপনিও ফলো করে দেখতে পারেন। 

QNA সাইট 

এটি নিয়ে বর্তমানে সবাই জানে৷ Quora, reddit এর মতো প্রশ্ন উত্তর সাইট গুলোতে মানুষকে নানা রকম প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সাহায্য করার মাধ্যমে আপনি ব্যাকলিংক এবং ট্রাফিক দুটিই পাবেন।

তবে আপনাকে এসব সাইটে কাজ করার সময় ন্যাচারালি কাজ করতে হবে যদি অনবরত আপনার লিংক দিতে থাকেন সবাইকে তাহলে আপনার একাউন্ট ব্যান হয়ে যাবে। 

Social Media 

ফেসবুক, টুইটার, মিডিয়াম ইত্যাদি ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত লিংক গুলোও ভালো ব্যাকলিংক হিসেবে কাজ করে।

এছাড়াও আপনাকে এসব সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে একটিভ থাকা উচিত এতে আপনার সোশ্যাল সিগনাল বৃদ্ধি পাবে এবং রেংকিং ইমপ্রুভ হবে।

তবে এখানে আপনি শুধু আপনার প্রোফাইলেই লিংক শেয়ার করবেন। অন্য কারো কমেন্টে বা ইনবক্সে লিংক দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। নতুনরা বেশি করে এই ভুল। 

Competitor analysis 

অনেক সময় আমরা খুজে পায় না কোথায় ব্যাকলিংক করব কোথায় গেস্ট পোস্টিং করব। তখন আমরা আমাদের কম্পিটিটরসদের ওয়েবসাইট গুলো কোন টুলসের মাধ্যমে এনালাইসিস করতে পারি।

ব্যাকলিংক এনালাইসিস করতে গেলে আমরা দেখতে পাব কম্পিটিটরসরা কোথা থেকে লিংক নিয়েছে এবং কোথায় গেস্ট পোস্ট করেছে আমরাও সেসব সাইটে লিংক বিল্ডিং করতে পারি। 

শেষ কথা,

এই পুরো আর্টিকেল জুরেই আমার প্রচেষ্টা ছিল আপনাদের নতুন কিছু জানানো। ব্যাকলিংক তৈরির আরো অনেক প্রসেস আছে যেগুলো প্রায় সবাই জানে সেগুলো না দিয়ে আমি আপনাদের নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। জানি না কতটুকু পেরেছি, কমেন্ট করে জানাতে পারেন আপনার কাছে কেমন লাগল বা  কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top