এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (পূনার্ঙ্গ গাইডলাইন)

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম: বর্তমানে তরুণদের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অনলাইন পেশা হচ্ছে ব্লগিং। সকলেই লেখালেখি করে আয় করতে চায়। কিন্তু শুধু লেখেলেখি করলেই কি আয় হয়? তার সোজা উত্তর হলো “না”।

লেখালেখি করার বা আর্টিকেল লেখার কতগুলো সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে। যে নিয়ম গুলো মেনে আর্টিকেল লিখলে আপনার লেখার মান ভালো হবে তবেই আপনার আর্টিকেল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

একটু চিন্তা করুন তো আপনি আপনার নানা প্রয়োজনে গুগোল থেকে নানা আর্টিকেল সার্চ করে পড়েন কিন্তু গুগোলে যখন সার্চ করেন তখন তো অনেক ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল আসে আপনি কোন আর্টিকেলটি পড়েন? যেই আর্টিকেল পড়ে আপনার বিরক্ত লাগে না যে আর্টিকেল খুব সাজানো গোছানো এবং তথ্যবহুল সেই আর্টিকেলটিই আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

একজন পাঠকের মনের মতো একটি আর্টিকেল লেখার জন্য একজন লেখককে কিছু নিয়ম মেনে আর্টিকেল লিখতে হয়।

আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে সেই আর্টিকেল লেখার নিয়ম  নিয়েই আলোচনা করব।

আজকের এই পোস্টটি যদি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আমি বিশ্বাস করি আপনিও একটি উন্নত মানের আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

আরও দেখুন: 

কাদের জন্য এই পোস্টটি? 

আপনি যদি ব্লগিং প্রোফেশনে আসতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার প্রোফেশনকে অন্য একটা লেভেলে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

আর যদি আপনি একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ারকে দাড় করাতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই ইফেক্টিভ এবং তথ্যবহুল হবে। 

আপনি যদি মনে করেন এই পোস্টটি পড়ে আপনি একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হয়ে যাবেন তাহলে আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল কারন আপনার দক্ষতা আপনার প্রেকটিসের উপর নির্ভর করে।

আপনি যত বেশ প্রেকটিস করবেন এই বিষয়ে যত বেশি জ্ঞান নিবেন আপনি আস্তে আস্তে তত বেশি দক্ষ হয়ে উঠবেন কিন্তু এই পোস্টটি আপনাকে একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হওয়ার সঠিক গাইডলাইন দিবে।

আর আপনি যদি এই পোস্ট পড়ে একদিনেই কন্টেন্ট লিখে নিজের ব্লগ থেকে হাজার হাজর ডলার আয় করার স্বপ্ন দেখেন তাহলে হয়ত আপনি পোস্টটি পড়ে আশাহত হবেন কারণ একদিনে হাজার ডলার আয় সংক্রান্ত কোন তথ্য আমরা এই পোস্টে দিতে পারিনি হয়ত পৃথিবীর কেউই পারেনি।

তবে এই পোস্টের সকল গাইডলাইন মেনে আর্টিকেল লিখলে একদিন আপনিও আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে হাজার ডলার আয় করতে পারবেন। 

আর্টিকেল লেখার নিয়ম 

আপনার লিখাকে প্রানবন্ত করে তুলুন 

লিখাকে করতে হবে প্রানবন্ত। যাতে পাঠক লিখাটি পড়তে বিরক্ত বোধ না করে। এখন হয়ত আপনার মনে হবে লিখাকে কেমনে প্রানবন্ত করা যায়?? চলুন উদাহরণ দিয়ে বুঝি প্রাণবন্ত লিখা আর রোবটিক লিখার মধ্যে পার্থক্য। 

প্রানবন্ত লিখাঃ- আপনি কি জানেন আর্টিকেল লিখার ও অনেক নিয়ম আছে। চলুন জেনে আসি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে। 

রোবটিক লিখাঃ- এই পোস্টে আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে বলা হয়েছে। নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো।

বুঝতেই পারছেন দুটি লিখার মধ্যে পার্থক্য কতখানি।

প্রানবন্ত লিখা বলতে আপনি আপনার সামনে বসা একজনের সামনে যেমন করে কথা বলেন তেমন করে কথা লিখা। এভাবে লিখলে পাঠকের লেখা পড়ার প্রতি বিরক্ত কমে আসে বলে আমি মনে করি। আপনিও এই টিপসটি ফলো করতে পারেন।

যতটা লিখবেন তার চেয়েও বেশি পড়বেন

আর্টিকেল লিখতে গিয়ে আপনি অবশ্যঅবশ্যই প্রথমে একটি টপিক সিলেক্ট করবেন। আপনি যেই টপিকটা সিলেক্ট করবেন সেটি সম্পর্কে আগে অনেক বেশি আর্টিকেল পড়ে নিবেন।

মনে রাখবেন একটি বিষয় নিয়ে আপনার যত বেশি সচ্ছ ধারণা থাকবে আপনি তত বেশি অন্যকে ধারণা দিতে পারবেন।

তাই লিখার আগে ঐ বিষয় নিয়ে পড়াটা খুব জরুরি। যদি কোন বিষয়ের উপর আপনার যথেষ্ট জ্ঞান না থাকে তাহলে কখনো আপনি ঐ বিষয়ের উপর ভালো আর্টিকেল লেখতে পারবেন না।

তাই আর্টিকেল লেখার চেয়েও আর্টিকেল পড়ার জন্য বেশি সময় দিবেন এই স্বভাবটি আপনাকে করে তুলবে আরো দক্ষ।

আর একটি কোয়ালিটি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনার মধ্যে সেল্ফ কনফিডেন্স খুবই বেশি দরকার আর কোন বিষয়ে আপনি যত বেশি আর্টিকেল পড়বেন তত বেশি আপনার জ্ঞান বাড়বে এবং যেটি আপনার সেল্ফ কনফিডেন্স বাড়াতে অনেক ভূমিকা পালন করবে।

আর দেখতে পারেন: 

পাঠকের প্রয়োজন বুঝুন

একজন পাঠকের কাছে যদি একটি ভালো লেখকের সজ্ঞা জানতে চান তাহলে হয়ত বেশিরভাগই বলবে যে লেখক পাঠকদের প্রয়োজন বুঝতে পারে সেই এই ভালো লেখক।

একটা উদাহারন দিই যদি আপনি hp laptop নিয়ে জানতে চান তাহলে আপনি সেটা নিয়ে গুগলে সার্চ করবেন, তখন অনেক আর্টিকেলই আসবে যেখানে hp laptop নিয়ে বলবে, কিন্তু এমন একটি আর্টিকেল আছে যেটিতে hp laptop এর বিষয়ে বলার পাশাপাশি hp laptop কেন কেনা দরকার কোথায় কোথায়  এই ল্যাপটপটি পাওয়া যাবে কত দামে পাওয়া যাবে এই দামে এর চেয়ে ভালো কোন ল্যাপটপ আঝে কিনা ইত্যাদি সকল তথ্য দেওয়া থাকে তাহলে হয়ত সেই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগবে।

কারণ আপনি hp laptop নিয়ে জানতে চাচ্ছেন তার মানে আপনার ঐ ল্যাপটপটা কেনার ইচ্ছা আছে তাই এই লেখক আপনার প্রয়োজনকে বুঝে hp laptop কেনা সম্পর্কিত কিছু তথ্যও আপনাকে দিল যেটি আপনার উপকারে এসেছে।

তাই যদি আপনি একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার হতে চান তাহলে আপনাকেও এমন পাঠকের প্রয়োজন বুঝতে হবে।এমন সকল তথ্য দিতে হবে যা আপনার পাঠকের প্রয়োজন। 

আপনার জন্য: অন পেজ এসইও কি? On-Page SEO করার গাইডলাইন

রিসার্চ করা 

আমরা পৃথিবীর সব বিষয়েই যে জ্ঞানী তা কিন্তু না। এমন এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো সম্পর্কে আপনার জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও আপনকে লিখতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ঐ বিষয়ে রিসার্চ করে প্রচুর তথ্য এবং উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে।

কিন্তু আপনি যেই জায়গা থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করবেন সেটি অবশ্যই বিশ্বস্ত হতে হবে। আর্টিকেল পড়া আর রিসার্চ করা দুটি ব্যাপার সম্পূর্ণ আলাদা একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝায়।

আপনি গরু নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখবেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গরু সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়ে বুঝতে হবে গরু সম্পর্কিত আর্টিকেল কেমনে লিখে কোন কোন বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

তারপর আপনি গরু নিয়ে রিসার্চ করে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করবেন। এখন আপনি জানেন কি কি বিষয় নিয়ে আর্টিকেলে আলোচনা করতে হবে এবং ঐ আলোচনায় কোন কোন তথ্য দিতে হবে। কখনো আর্টিকেল পড়েই বলতে পারবেন না আপনার রিসার্চ ও শেষ।

কারন বিশ্ব প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে তার সাথে তথ্যও আপনি যে আর্টিকেল পড়েছেন তার মধ্যে হয়ত পুরানো বা ভুল তথ্যও থাকতে পারে তাই আপনাকে আবার রিসার্চে করে নিতে হবে। পৃথিবীতে তথ্যের জন্য সবচেয়ে বিশ্বস্ত সাইট হলো উইকিপিডিয়া। 

সূচিপত্র তৈরি করা 

সূচিপত্র বলতে আপনি কি কি বিষয়ে আপনার আর্টিকেলে লিখবেন তা সম্পর্কিত একটি লিস্ট তৈরি করা। যেমন আপনি আর্টিকেল লিখবেন “বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম ” নিয়ে তাহলে এর ভিতরে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায় তা অন্য সব আর্টিকেল পড়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যেমন এই টপিকের সূচিপত্র হবে:-

  • আর্টিকেল কি?
  • আর্টিকেল কয় প্রকার 
  • আর্টিকেল লেখে আয় করা। 
  • কনটেন্ট রাইটিং টিপস।
  • আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো। 
  • উপসংহার। 

আমি এখানে “বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে একটি ছোট সূচিপত্র বানিয়েছি। এই সূচিপত্রটি আপনাকে আর্টিকেল লেখার আগে থেকেই তৈরি করে ফেলতে হবে।

এটি হবে আপনার আর্টিকেলের নকশা বিল্ডিং বানাতে যেমন আগে থেকে নকশা তৈরি করতে হয় তেমনি আর্টিকেল লিখতেও আগে থেকে সূচিপত্রটা তৈরি করে রাখতে হবে।

তারপরে এই সূচিপত্রের প্রতিটা টপিক নিয়ে আপনি রিসার্চ করে করে আর্টিকেল লিখতে পারবেন যেটি আপনার আর্টিকেলকে সাজানো গোছানো করতে সাহায্য করবে। এছাড়া আর্টিকেলের শুরুতে যদি আপনি এই সূচিপত্র যোগ করেন তাহলে তা আপনার পাঠকের চোখেও ভালো লাগবে।

এভাবে সূচিপত্র যোগ করবেন আর্টিকেলে

আকর্ষণীয় ভূমিকা লেখা

ভূমিকা বলতে একটি আর্টিকেলের প্রথম ২০০-৩০০ শব্দকে বুঝায়। এই ২০০-৩০০ শব্দের মধ্যে আপনাকে এমন কিছু একটা লিখতে হবে যেটি আপনার পুরো আর্টিকেলকে প্রেজেন্ট করে।

অর্থাৎ পুরো আর্টিকেলের একটি সারসংক্ষেপ বলা চলে এটিকে। এমন ভাবে লিখতে হবে যেটি দর্শনকে পুরো আর্টিকেল পড়ার জন্য আগ্রহী করে তুলে।

আর যদি আপনার আর্টিকেলের ভূমিকা সুন্দর না হয় তাহলে পাঠক পুরো আর্টিকেল পড়বে না তাই চেষ্টা করবেন ভূমিকাকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করতে। পুরো আর্টিকেলে কি কি রয়েছে তা ভূমিকায় উল্লেখ করবেন।

আর আপনার জন্য:

ছোট ছোট paragraph এ ভাগ করুন

একজন ভালো লেখক হতে হলে আপনাকে আগে পাঠকের সাইকলোজি বুঝতে হবে। আপনার সামনে যদি বিশাল একটি ২-৩ হাজার ওয়ার্ডের আর্টিকেল দেওয়া হয় আপনি সেটি পড়তে বিরক্তবোধ করবেন কারন অনেক লিখা একসাথে পড়া অনেক ধৈর্য সাপেক্ষ ব্যাপার।

তাই চেষ্টা করুন আপনার সম্পূর্ণ আর্টিকেলকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ছোট ছোট paragraph হিসেবে লিখতে। এমনটা করলে আপনার আর্টিকেলকে অনেক শব্দের হিজিবিজি কোন আর্টিকেল মনে হবে না এবং যেটি আপনার লেখার প্রতি পাঠককে আরো আগ্রহী করে তুলবে।

এটি একটি ভালো কন্টেন্টের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। তাই চেষ্টা করুন এটি ফলো করার। আপনি বিশ্বের যত বড় বড় ব্লগ সাইট দেখবেন সবাই এই নিয়ম ফলো করে।

হেডিং ব্যবহার করা 

প্রত্যেক ছোট ছোট paragraph এর শুরুতে একটি করে হেডিং ব্যবহার করুন। হেডিং হলো শিরোনাম যেটি আপনার paragraph এর মধ্যে কি নিয়ো আলোচনা হয়েছে তা সংক্ষেপে বলে।

হেডিং এর জন্য h1,h2, h3 ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। এই হেডিং গুলো একটি আর্টিকেলের জন্য খুব বেশি দরকার যেটি পাঠককে আর্টিকেলের প্রতি আকর্ষিত করে এবং এটি on-page SEO’র মধ্যে বিরাট একটি প্রভাব ফেলে।

তাই যথেষ্ট হেডিং ব্যবহার করবেন আপনার আর্টিকেলের মান উন্নত করতে।

আর্টিকেল সম্পর্কিত ছবি যুক্ত করুন 

কথায় আছে ওয়েব পোস্টের একটি ছবি ১০০০ শব্দের সমান। আপনার আর্টিকেলকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করতে আর্টিকেলে নানা প্রকার ছবি ব্যবহার করুন।

কিন্তু অবশ্যই অবশ্যই আপনার আর্টিকেল এর টপিক সম্পর্কিত ছবি যুক্ত করবেন। যেটি আপনার আর্টিকেলের বিভিন্ন পয়েন্ট পাঠকদের বুঝতে সাহায্য করবে।

ছবিতে অবশ্যই Alt text এবং ক্যাপশন যুক্ত করবেন যেখানে আপনার টার্গেটেড কি-ওয়ার্ড থাকবে এটি এসইও’র ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।

এভাবে ছবি যুক্ত করুন

নম্বর বা বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করা

আর্টিকেলে নম্বর বা বুলেট পয়েন্টের ব্যবহার আর্টিকেলকে পাঠকদের কাছে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলে। 

এভাবে নম্বর বা বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করবেন

আপনার আর্টিকেল পাঠকদের কাছে যত বেশ সহজবোধ্য হবে তত বেশি আর্টিকেলকে মানসম্মত বলা যাবে।তাই বিভিন্ন বিষয়কে সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্য নম্বর বা বুলেট পয়েন্টের ব্যবহার করবেন।

আর দেখুন: 

প্রয়োজনীয় উৎস দিন

আপনার লেখা যেন পাঠাকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয় তাই কোন তথ্য শেয়ার করলে তার সাথে প্রয়োজনীয় উৎসের লিংক যুক্ত করুন এটিকে এসইও’র ভাষায় এক্সটার্নাল লিংকিং বলা হয়। এটি আপনার আর্টিকেলের অন পেইজ এসইও’র জন্যও প্রভাব ফেলে।

এভাবে এক্সটার্নাল লিংক যুক্ত করবেন

সম্পর্কিত পোস্টের লিংক করুন

আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটের পোর্ট লিখবেন, তখন আপনার ওয়েবসাইটের ওই পোস্ট সম্পর্কিত পোস্টে ইন্টারনাল লিংক করবেন। ইন্টারনাল লিংক হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে ভেতরের এক পেজ থেকে অন্য পেজে লিংক করা।

যে লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটের অন্য একটি পোস্টে যাবে।

আপনার ওয়েবসাইটের ইন্টার্নাল লিংকে ভিজিটর ক্লিক করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিনের রেংক উন্নয়নে  ভালো ভূমিকা রাখবে।

সঠিক ব্যাকরণ 

একজন প্রোফেশনাল কন্টেন্ট রাইটারকে যে ভুলটি সব সময় এড়িয়ে চলতে হয় সেটি হলো ব্যাকরণ জনিত ভুল।

আপনি বাংলা কিংবা ইংরেজি যেই ভাষায় লিখুন না কেন আপনাকে ব্যাকরণ জনিত ভুলগুলোকে সবসময় এড়িয়ে যেতে হবে।আর ব্যাকরণের ভুল এমন আর্টিকেল পড়তে পাঠকও অনেক বিরক্ত হয় এবং আস্থা হারিয়ে ফেলে লেখকের উপর তাই আপনাকে সব সময় শুদ্ধ ব্যাকরণে আর্টিকেল লিখতে হবে।

যদিও বাংলা আর্টিকেলে আমাদের ব্যাকরণ জনিত ভুল খুব কম হয় কারণ আমরা বাঙালি যদি আপনি ইংরেজিতে কন্টেন্ট লিখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

যদি আপনি ফ্রিলান্সার হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে আগে ভালোভাবে ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করতে হবে কারন ক্লায়েন্টরা কখনো একটি কন্টেন্টের ব্যাকরণ জনিত ভুল গ্রহন করবে না।

সহজ সরল ভাষা

একটি আর্টিকেলের মূল উদ্দেশ্যই হলো পাঠকের উপকার করা। পাঠক যেন এই আর্টিকেল পড়ে কিছু জানতে পারে কিন্তু যদি আপনার আর্টিকেলের ভাষা এমন হয় যে যা পাঠক বুঝতেই পারছেনা তাহলে কি সেটা ভালো মানেন আর্টিকেলের কাতারে পড়বে? অবশ্যই না!

তাই চেষ্টা করুন সহজ সাবলীল ভাষায় আর্টিকেল লিখতে। নিজের ব্যাকরণ-গত ত্রুটি শোধরাতে গিয়ে নিজের ভাষাকে জটিল করে ফেলবেন না। সুতরাং চেষ্টা করুন এমন ভাষায় আর্টিকেল লিখতে যেটি সকলেই সহজে বুঝতে পারবে। সিম্পল ভাষায় সব বুঝানোর চেষ্টা করুন। 

বড় নয় কোয়ালিটি আর্টিকেল লিখুন

একটি আর্টিকেলের মান কখনো আর্টিকেলের সাইজ দেখে করা হয় না আর্টিকেলটি পড়তে পাঠক কতটা কমফোর্ট ফিল করছে তা দেখে করা হয়। হাবিজাবি কথা লেখে আর্টিকেল বড় করার চেয়েও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আর্টিকেল লিখুন এতে আপনার আর্টিকেলের কোয়ালিটি অনেক বাড়বে।

আর দেখুন: 

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর আর্টিকেল লিখুন

আর্টিকেল বিষয়টি হলো সৃজনশীলতা। কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিংবা খিটখিটে মেজাজ নিয়ে কখনো আপনি একটি ভালো আর্টিকেল লিখতে পারবেন না।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর মানুষের মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি শান্ত থাকে। তাই নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে যদি আর্টিকেল লিখতে চান সকালে ঘুম থেকে উঠার পরই হবে আপনার আর্টিকেল লেখার সর্বোত্তম সময়।

শান্ত পরিবেশে আর্টিকেল লিখুন

যখন আপনি আর্টিকেল লিখতে বসবেন তখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হবে আপনার চিন্তা শক্তি। যদি আপনি আগেও আর্টিকেল লিখে থাকেন তাহলে হয়ত খেয়াল করে থাকবেন কিছু কিছু সময় লেখার জন্য আমাদের মাথায় কিছুই আসে না।

অনেক চেষ্টা করেও কোন লাভ হয় না। এটির একমাত্র কারণ হলো আপনার আশেপাশের পরিবেশ। যদি আপনি একটি কোলাহলময় পরিবেশে আর্টিকেল লিখতে বসেন তখন আপনার মনোযোগ আশেপাশের নানা বিষয়ের উপর চলে যায়।

যার ফলে আপনি আর্টিকেল লেখায় ফোকাস করতে পারেন না মাথায় লেখার কোন আইডিয়া আসে না। তাই চেষ্টা করুন একটি শান্ত পরিবেশে আর্টিকেল লেখা যেখানে আপনি লেখার উপর ফোকাস দিতে পারবেন।

একটানা আর্টিকেল লিখবেন না

আগেই বলেছি আর্টিকেল লেখার সময় আমাদেন সৃজনশীলতা এবং চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগাতে হয়। এবং তার জন্য দরকার প্রবল মনোযোগ।

কিন্তু মানুষ একটি বিষয়ের উপর বেশিক্ষণ মনোযোগ দিতে পারে না। তাই চেষ্টা করুন বিরতি দিয়ে দিয়ে আর্টিকেল লেখার। সময় বেশি লাগলেও এতে আপনার কন্টেন্টের মান বৃদ্ধি পাবে। কখনো জোর করে এক বসায় সম্পূর্ণ লেখা শেষ করতে যাবেন না।

মনোযোগ নষ্ট হয় এমন জিনিস থেকে দূরে থাকুন

আর্টিকেল লেখার সময় লেখার উপর খুব মনোযোগী হতে হয় কিন্তু আপনার আশেপাশে যদি এমন কিছু থাকে যেটি আপনার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে তাহলে আপনি হাজার চাইলেও মনোযোগী হতে পারবেন না।

বর্তমানে আমাদের মনোযোগ নষ্ট করে এমন একটি জিনিস হলো সোশ্যাল মিডিয়া। তাই লেখার সময় মোবাইল বা কম্পিউটারের ডাটা কানেকশন বন্ধ রাখবেন অথবা সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ রাখবেন।

যদি কোন তথ্য সংগ্রহ করার থাকে তাহলে আগে থেকেই তা সংগ্রহ করে ফেলুন। 

আগে লিখুন তারপরে সংশোধন 

লেখার সময় মনোযোগী হয়ে লিখতে থাকুন ২ লাইন লিখে আবার প্রথম লাইন ঠিক করতে যাবেন না করণ 

এরপরে আপনি আর ৩য় লাইন লেখতে পারবেন না। তাই লেখার সময় শুধু লেখতেই থাকবেন। 

Proof রিডিং

এতক্ষণ তো আপনি ছিলেন একজন লেখক এখন পাঠক হয়ে যান। একজন পাঠক হিসেবে নিজের পুরো আর্টিকেলটি আবার পড়ুন এবং যতক্ষণ আমনি একজন পাঠক হিসেবে সন্তুষ্ট হবেন না ততক্ষণ আপনার লেখাকে সংশোধন করে যান।

{note:- Passage article লেখার নিয়ম আলাদা নেই উপরোক্ত নিয়ম ফলো করলেই হবে}

শেষ কথা

উল্লেখিত সকল নিয়ম মেনে যদি আপনি আর্টিকেল লেখেন তাহলে আমি বিশ্বাস করি একদিন আপনি একজন প্রোফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন।

কিন্তু সব কিছুর পরে প্রোফেশনাল কথাটির পিছনে লুকিয়ে থাকে প্রেকটিস।

তাহলে দেরি কেন? আজ থেকে সকল নিয়ম মেনে শুরু করে দিন কন্টেন্ট রাইটিং।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার কন্টেন্ট রাইটিং জারনিকে করবে আরো সহজ। ধন্যবাদ এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে এই পোস্টটি পড়ার জন্য৷ কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top