এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবেন?

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এফিলিয়েট মার্কেটিং করার গাইডলাইন: অনলাইনে আয় এর যত মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম সেরা। অনেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং কে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছে আবার অনেকে নিয়েছে বাড়তি আয়ের পথ হিসেবে। 

আজকের এই অনলাইন ইনকাম বিডি এর পোস্ট এ আমরা আলোচনা করব এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে এবং  সেইসাথে কিভাবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর দ্বারা অনলাইনে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কেও। চলুন তার আগে জেনে নেই এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবেন?
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবেন?

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় আপনারা প্রায় দেখে থাকবেন যে ইউটিউবাররা বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট এর লিংক দিয়ে থাকে অথবা বলে থাকে যে এই ভিডিওটা অমুক চ্যানেল স্পন্সর করেছে।

আপনারা যদি অমুক চ্যানেল থেকে এই কোডটি ব্যবহার করে প্রোডাক্ট টি কিনেন অথবা এই লিংক থেকে কিনেন তাহলে আপনারা পাবেন ৫%  ডিসকাউন্ট। আচ্ছা এভাবে পন্যের প্রচার করে তাদের লাভ কি?

এর সহজ উত্তর হল তারা এরকম ভাবে লিংক অথবা কোড দেয়ার ফলে প্রতিটি কোড অথবা লিংক থেকে যদি কেউ কোন জিনিস কিনে তবে তারা এটা থেকে নির্দিষ্ট কমিশন পেয়ে থাকে আর এই বিষয়টি হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এর জবাবে আমরা বলতে পারি যে এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে মার্কেটিংয়ের সেই ধারা যার মাধ্যমে কোন পণ্য কেনা ছাড়াই কেউ বিক্রেতা বা উৎপাদনকারীর পন্য রেফার করার মাধ্যমে এবং ওই পন্যটি কেউ কিনলে তা থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকে তাই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

অবশ্যই পড়ুন: 

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সম্ভাবনাঃ

প্রথাগত ৯ টা থেকে টার চাকরি আপনার ভালো লাগে না আবার বিসিএস এর মতন চাকরির জন্য প্রিপারেশন নেওয়া আপনার কাছে অনেক পরিশ্রমের এবং সময়সাপেক্ষ মনে হয়।

অথবা আপনি চাকরি বা ব্যবসা করেন পাশাপাশি আপনি নতুন ইনকামের সোর্স চান যেখান থেকে আপনি মাসে মাসে অল্প পরিশ্রমে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আবার বিজনেস করার জন্য কোন প্রোডাক্ট আপনার হাতে নেই এক্ষেত্রে আপনার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে আদর্শ মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্র। অথবা আপনি চাকরি বা ব্যবসা করেন পাশাপাশি আপনি কোন ইনকামের সোর্স চান যেখান থেকে আপনি মাসে মাসে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন।

কারণ এখানে আপনার কাছে কোন পণ্য না থাকা সত্ত্বেও আপনি শুধু রেফারিংয়ের মাধ্যমেই এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আপনি অল্প পরিশ্রমে অনেক সাফল্য পেতে পারেন।

আপনার ওয়েবসাইটে যদি অনেক ট্রাফিক জেনারেট করে তবে আপনার ওয়েবসাইটে ৬ মাস পুরাতন একটি প্রোডাক্ট এর রিভিউ থেকেও আপনি ছয় মাস পরেও এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর গাইডলাইন এবং কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায় তার সমস্ত উপায় আমাদের এই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা ইনশা আল্লাহ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করেঃ

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে মূলত তিন ধরনের মানুষ যুক্ত থাকে তার মধ্যে।
তাদের মধ্যে প্রথম হল তারা যারা পণ্যের উৎপাদন কারী বা বিক্রেতা যারা তাদের পন্য বিক্র‍য় বা উৎপাদন করে।

তারপর আছে এফিলিয়েট প্রোগ্রামাররা। তারা বিক্রেতা বা পণ্য উৎপাদনকারীদের পণ্যটি বিক্রয়ে সহায়তা করেন এবং এর বিনিময়ে একটি সুনির্দিষ্ট কমিশন পেয়ে থাকেন।

এর পরের ধাপে আছে ক্রেতারা যারা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামারদের পণ্যটি রেফার করার মাধ্যমে তা দেখে থাকেন। পণ্যটি সম্পর্কে এর ফলে তারা পণ্যটি কেনার আগেই পূর্ব ধারণা লাভ করে থাকেন।

পাশাপাশি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে তারা কোড ব্যবহার করে কখনো কখনো ডিসকাউন্ট পেয়ে থাকে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এ যে পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কোন পণ্য রেফার করার মাধ্যমে অথবা কোন পণ্যের কোড ব্যবহার করার মাধ্যমে।

এই পদ্ধতিতে একজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামার এর রেফার করা লিংকের মাধ্যমে অথবা কোড ব্যবহার করে যতবার ওই বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রেতা ওই পণ্যটি কিনবে ততবার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন এফিলিয়েট প্রোগ্রামার পাবে।

কমিশনের পরিমাণ হতে পারে সাধারণত এক থেকে দশ শতাংশ।
এফিলিয়েট প্রোগ্রামের আরেকটা ধরণ হল ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অথবা ব্লগে অথবা ইউটিউব চ্যানেলে বিক্রেতার পন্য রেফারিং করবেন এবং এর ফলে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।

আবার এই পদ্ধতিটি অসুবিধা হলো এ পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকতে হয়।
যেমন বিক্রি যদি অনেক বেশি ও হয় তবুও আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থই পাবেন।

আর তৃতীয় যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং এ তা হচ্ছে প্রতিটি ক্লিকের মাধ্যমে টাকা অর্থাৎ আপনার ব্যবহার করা লিংকের মাধ্যমে যতজন ওই বিক্রেতার ওয়েবসাইটে ঢুকবে এফিলিয়েট প্রোগ্রামার প্রতিটি ক্লিক এ তত টাকা পাবে।
এই তিনটি পদ্ধতির মধ্যে প্রথম পদ্ধতিটি অর্থাৎ রেফার কোড ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা এই পদ্ধতিটি সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে।

আর দেখুন: 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কথা বলতে গেলে সবচেয়ে কমন যে প্রশ্নটা আসে তা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব।
এক্ষেত্রে আমি বলব যে আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য কোন ওয়েবসাইট ব্লগ ইউটিউব চ্যানেল থাকা সব চাইতে ভালো।

এছাড়া আপনি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন তবে তা ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলের মত ততটা ইফেক্টিভ হবে না।

আন্তর্জাতিকভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন না। শুধু দেশীয় বাজারে টুকটাক এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রাম এর সাহায্যে।

তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার প্রথমে একটি ওয়েবসাইট, ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল খোলা সবচেয়ে ভাল।
তারপর আপনার ভিজিটর যত বাড়বে আপনি ততবেশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটে।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট আবেদন করার টেকনিক এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে এবং এফিলিয়েট প্রোগ্রামিং করার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে আমরা আমাদের এই ব্লগে এফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন পাবেন ইনশা আল্লাহ।

আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কথা যদি বলতেই হয় তবে অ্যামাজনের এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের কথা না বললে আমার মনে হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের আলোচনাটা একদমই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
সারাবিশ্বে এফিলিয়েট মার্কেটিং এতটা বেশি জনপ্রিয় করে তোলার পিছনে অ্যামাজনের ভূমিকা অনেক। অ্যামাজন হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স ওয়েবসাইট।

এক হিসাবে দেখা গেছে যে, বিশ্বে যত ই-কমার্স কেনাকাটা হয় আন্তর্জাতিক তার প্রায় ৪৯% অ্যামাজন এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা সবচাইতে বেশি।

অ্যামাজন তার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামার দের অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং অ্যামাজনের বড় একটা অংশের পন্য বিক্রি এই এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

পাশাপাশি এখানে প্রায় সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায় এবং বিশ্বের সবচাইতে বেশি যে আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটের মানুষ পণ্য কিনতে আসে তা হল অ্যামাজন

আবার আরেক বিখ্যাত ই-কমার্স ওয়েবসাইট আলিবাবার অসুবিধা হলো আলিবাবা হলো চাইনিজ ভাষার ই-কমার্স ওয়েবসাইট।

কিন্তু অ্যামাজনে এই সমস্যা নাই। অ্যামাজন একটি ইংরেজি ভাষার ই-কমার্স ওয়েবসাইট।
ইংরেজি ভাষায় আপনার যদি দক্ষতা থাকে তবে আপনি সহজে পণ্যগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এখানে।

তার ফলে ইংরেজি তে লিখে আপনি এখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন যেখানে আলিবাবা র মত কয়েকটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট যা বিখ্যাত হলেও ওই গুলো অন্য ভাষায় হওয়ার ফলে বেশিরভাগ পন্য সম্পর্কে আপনাকে জানতে হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনাকে ওই ভাষা জানতে হবে কারণ পন্যের বিবরণ ওই ভাষায় দেওয়া থাকে।

অ্যামাজনের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর ওয়েবসাইটটিতে আপনি অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েটের জন্য আবেদন করুন।
এ আবেদন করার জন্য আপনার অবশ্যই যা থাকতে হবে তা হল আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য।

পাশাপাশি আপনার কোন ওয়েবসাইট, ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল থাকা লাগবে যেখান থেকে আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।

তারপর অ্যামাজন আপনার আবেদন যাচাই-বাছাই করবে এবং যাচাই-বাছাই করার পর তারা আপনাকে যদি এমাজন এর এফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে যোগ্য মনে করে তবে এমাজন আপনাকে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য প্রোডাক্টের সুনির্দিষ্ট লিংক দিবে।

এখন মনে রাখতে হবে এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য অ্যামাজন আপনার ওয়েব সাইটের ভিজিটর কত তা অবশ্যই যাচাই করবে।

কাজেই আপনি যদি নতুন নতুন ওয়েবসাইট করে থাকেন তবে আমি আপনাকে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য আবেদন না করার পরামর্শ দিব।

কারন অ্যামাজন যদি তাদের যাচাই-বাছাই করার পর দেখে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর নেই তাহলে তারা তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য আপনাকে বাছাই করবে না।

সুতরাং আমি বলব আপনার ওয়েবসাইটটি কমপক্ষে দুই তিন মাস পুরাতন হওয়ার পর এবং অনেক ভিজিটর হবার পরেই আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য আবেদন করুন।

আর দেখতে পারেন: 

ইবে তে এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

ইবে অ্যামাজন এর মতন একটি বিখ্যাত ওয়েবসাইট যেখানে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হয় এবং সেখানে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সুযোগ আছে।

আপনাকে এর জন্য যা করতে হবে তা হচ্ছে আপনাকে এখানে ebay-এর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদনটি দেয়ার পর তারা তা যাচাই বাছাই করবে।

আপনার আবেদন যাচাই বাছাই বাছাই করার পর আপনার যোগ্যতা যদি তাদের স্ট্যান্ডার্ডের সাথে মিট করে তারপর তারা আপনাকে তাদের প্রোডাক্ট এর জন্য সুনির্দিষ্ট একটি লিংক দিবে যার মাধ্যমে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

অ্যামাজন ইবের কথা বললাম আলাদাভাবে কারণ এই দুটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে সবচাইতে বিখ্যাত।

এমাজন, ইবে ছাড়াও ছাড়াও অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে যেমন ফ্লিপকার্ট, ওয়ালমার্ট যেখানে আপনি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য আবেদন করে তা থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

ওয়েবসাইট, ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল থাকলে আপনার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো।
আন্তর্জাতিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো তে যেমন কেনাকাটা অনেক বেশি হয় পাশাপাশি এখান থেকে যে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর অর্থ পাওয়া যায় তার পরিমাণও দেশে বিভিন্ন এই কমার্স ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত অর্থের থেকে অনেক বেশি।

এখানে আপনি অল্প পরিশ্রমে অনেক টাকা পেতে পারেন। এটার জন্য আমি বলব আপনার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বিদেশের বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যোগ দেওয়া।

ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা ওয়েবসাইট বা ইউটিউব এর থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে তার তুলনায় অনেক কম।

কিন্তু এখানেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম থেকে যেভাব এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয় তা আমি উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দিচ্ছি।

ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে অনেকের ফলোয়ার,ফ্রেন্ডস থাকে।
তারা দেশীয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো থেকে কোন পণ্যের লিংক বা কোড নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারে।

ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে আপনি আকর্ষণীয় ছোট ছোট পোস্ট দিতে পারেন। যেখান থেকে আপনার পণ্য ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হবে।
তারপর পোস্ট এর শেষে কমেন্ট আকারে পন্যের লিংক বা কোড দিতে পারেন। এভাবে আপনি ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম এ এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

ইউটিউব থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

ইউটিউব থেকে বিভিন্ন ভাবে আয় করার উপায় সম্পর্কে আমাদের চ্যানেলে একটি বিস্তারিত গাইড লাইন মূলক ভিডিও আছে।

তারপর ইউটিউব থেকে আপনারা মনিটাইজেশন স্পনসরশিপ সহ বিভিন্ন ভাবে আয় করতে পারেন।
তার মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং ইউটিউব থেকে আয় করার একটি অন্যতম মাধ্যম।

ইউটিউবের মনিটাইজেশন থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আয় করা সহজ এখন। কারণ ইউটিউব মনিটাইজেশন থেকে আয় করা বর্তমানে গুগল বেশ কঠিন করে দিয়েছে।

সেই তুলনায় যদি আপনার কিছু ভিজিটর থাকে আর সেই ভিজিটররা যদি আপনার ইউটিউব পেজে নিয়মিত ভিজিট করে তখন সেখান থেকে আপনি এফিলিয়েট প্রোগ্রামিং করতে পারেন।

ইউটিউবে কোন পণ্যের লিংক দিয়ে অথবা কোন কোড দিলে আর তা থেকে কেউ কিনলে আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ইউটিউবে আপনাকে কিছু স্ট্র‍্যাটেজি অবলম্বন করতে হবে।
যেমন আপনার অ্যাফিলিয়েট পণ্যগুলোর প্রচারণা খুব টেকনিক্যালি হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অন্যতম শর্ত হচ্ছে পণ্য বিক্রি হওয়া। যত বেশি পণ্য বিক্রি হবে তত বেশি আপনি কমিশন পাবেন।
সুতরাং আপনাকে এমন ভাবে মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ঠিক করতে হবে যেন আপনার ইউটিউব এর পন্যটি অনেক বেশি বিক্রি হয়।

আমরা জানি ইউটিউব ভিডিওর জন্য বিখ্যাত।
সুতরাং আমরা যদি ইউটিউবে কোন ভিডিও দিতে চাই তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ছবিটি যেন অবশ্যই মানসম্মত হয় এবং ভাল কোয়ালিটির হয়।

এইচডি ভিডিও করা সবচেয়ে ভাল। এইচডি ভিডিও না করতে পারলেও যদি ভিডিও ডাউনলোড করা হয় তবে অনেক ভালো ভালো ভিডিও যেমন 720p ভিডিও পাওয়া যায় সহজেই।

সুতরাং ভিডিও ডাউনলোড করলেও ভাল কোয়ালিটির ভিড়িও ডাউনলোড করা উচিত।
পাশাপাশি ভিডিও ডাউনলোড করার সাথে সাথে আপনারা পন্যের বিষয়টি যখন বর্ণনা দিবেন তখন তার সাউন্ড কোয়ালিটি ও যেন ভালো হয়।

তাহলে দর্শক আপনার কথা বুঝতে পারবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভিডিও এডিটিং।

ভিডিও এডিটিং হল ভিডিও এর বিভিন্ন অংশ কে একসাথে জোড়া লাগানো এবং তার সাথে বিভিন্ন কালারিং ইত্যাদি সংযুক্ত করা।

ভিডিও এর সাথে সাবটাইটেল যুক্ত করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে অনেকেই ভিডিও টা অন্য ভাষায় দেখতে চাইলেও তা বুঝতে পারবেন।

যেমন আপনার ইউটিউব এর ভিডিও যদি বাংলা ভাষায় হয় আর আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় সাবটাইটেল যুক্ত করেন তাহলে ইংরেজি ভাষাতেও তা অনেকে বুঝতে পারবে।

আপনি যখন ইউটিউবে ভিডিও দেবেন তবে কথা যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করবেন।

প্রথমেই যেন ভিডিওটি আকর্ষণীয় হয় এরকম একটি স্টার্টিং দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

তাহলে ভিডিওটির প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরো বাড়বে। পাশাপাশি আপনার নিজের ব্যবহারের অভিজ্ঞতা যদি এফিলিয়েট পন্যটি সম্পর্কে দিতে পারেন তাহলে অসাধারণ হয়।

এভাবে আপনি ইউটিউব এ এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

দারাজ এর এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

আমরা জানি দারাজ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স ওয়েবসাইট। দারাজ বাংলাদেশের ই কমার্স ইন্ডাস্ট্রির একটি জায়ান্ট।

দারাজ এ প্রায় সব রকম পন্যই পাওয়া যায়। দারাজ এর এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে যেমন কিছু সুবিধা আছে তেমনি এটা থেকে আমরা যদি অ্যামাজনের মতন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের টাকা আশা করি তবে তা হবে আমাদের ঠিক হবে না।

কারণ দারাজ এ বিক্রিত পন্যগুলোর গড় দাম আমাজন এর থেকে অনেক কম। এমাজন মার্কেটিং এর কৌশল ও আয়ত্ত করা বেশ কঠিন দারাজ এর তুলনায়।

কিন্তু দারাজ এ এফিলিয়েট মার্কেটিং করা তুলনামূলকভাবে সহজ। এর মূল কারণ, দারাজ বাংলাদেশেএ যেসব পন্য বিক্রিত হয় তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার পরিচিত পন্য।

দারাজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে দারাজের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামের সাথে রেজিস্টার করতে হবে।

তারপর আপনার নাম এবং আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ঠিকানা এবং আপনার ওয়েবসাইটের নাম অথবা ইউটিউব একাউন্ট ইত্যাদি দিয়ে আপনি খুব সহজেই দারাজ এব্র এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে রেজিস্টার করতে পারবেন।

তারপর আপনার পছন্দের পণ্যটি বেছে নিয়ে দারাজ এর কাছ থেকে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য পণ্য এর স্পেশাল লিংক নিয়ে অথবা কোড ব্যবহার করে আপনি দারাজে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।

দারাজ এ এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সুবিধা তাদের যারা ইংরেজিতে একটি তুলনামূলক ভাবে দুর্বল অথবা যারা ইংরেজিতে বড় বড় ব্লগ বা আর্টিকেল লিখে অভ্যস্ত না।

কিন্তু ইংরেজিতে লিখতে সমস্যা হলেও এমন অনেকে বাংলায় খুব স্বাচ্ছন্দ্যে অনেক বড় বড় লেখা লিখতে পারে। তাদের জন্য দারাজের এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে প্রথম পছন্দ।

পাশাপাশি এখানে যেগুলো প্রোডাক্ট বিক্রি করা হয় সেগুলো প্রোডাক্ট আপনি খুব সহজেই চিনতে পারবেন। কারণ আপনি বাংলাদেশে বসবাস করার সুবাদে এগুলো প্রোডাক্ট নিজে ব্যবহার করেছেন বা কাউকে ব্যবহার করতে দেখেছেন।

কিন্তু বিদেশের কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ আপনাকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানার জন্য প্রচুর স্টাডি করা লাগবে। দারাজ আফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি এসব সুবিধা টা পাবেন।

কোন পন্যটি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ভালঃ

এখন আমরা সুনির্দিষ্ট আলোচনা করব এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য পন্য নির্বাচন এবং পণ্যের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় বিবেচনায় রাখবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আমরা এখন অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কথা বলব।

অ্যামাজনে যেমন বিশ্বের বেশিরভাগ এফিলিয়েট মার্কেটিং হয় তাই আপনি যদি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি যদি আপনি ধরতে পারেন তবে অন্যান্য মার্কেটিং হিসেবে যেমন ইবে বা দারাজ এর মত ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোর এফিলিয়েট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি আপনার কাছে সহজ মনে হবে।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট স্টাডিজের কিছু সহজ কমন পয়েন্ট আমরা আলোচনা করব।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনি দেখতে পারেন কোন পন্যটি অ্যামাজন থেকে এমাজন’স চয়েস এর খেতাব পেয়েছে। এমাজন চয়েস হলো এমন পন্যসমূহ যেটা অ্যামাজনের ব্যবহার কারী দের কাছ থেকে ভাল রেটিং পেয়েছে এবং অনেক বিক্রি হয়েছে পন্যটি।

তাই আপনি যদি নতুন নতুন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেন তাহলে অ্যামাজন চয়েজ এর পণ্যগুলো নির্বাচন করা উত্তম কারণ পণ্যগুলো ইতিমধ্যেই যথেষ্ট পরিমাণ খ্যাতি লাভ করেছে তার সার্ভিসের জন্য।

আর নতুন ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য সবচাইতে ভালো এরকম যেসব পণ্য অ্যামাজনস চয়েস এর মত বেশি বেশি বিক্রি হয়েছে সেগুলো অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য ব্যবহার করা।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আপনি এরপর যে বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন তা হচ্ছে পণ্যের ব্র্যান্ড।
যেমন ধরুন আপনি ল্যাপটপ এর জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান।

এখন আপনি এইচপি ল্যাপটপ, ডেল ল্যাপটপ, এসাস ল্যাপটপ এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য নির্বাচন করেন যেগুলো সুবিখ্যাত ব্র্যান্ডের পণ্য এবং যেগুলোর খ্যাতি ইতিমধ্যে বাজারে প্রতিষ্ঠিত এরকম পন্য এর এফিলিয়েট প্রোগ্রামিং করেন তাহলে আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

পাশাপাশি আপনি আরেকটি কাজ করতে পারেন তাহলো সিজনাল বা মৌসুমী প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা।

যেমন ধরুন শীতকালে জ্যাকেট এর চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তখন আপনি নামিদামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জ্যাকেটের জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
এভাবে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য প্রোডাক্ট চয়েজ করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিসার্চঃ


আপনাদের অনেকের মনেই হয়তো এই প্রশ্ন এসেছে যে ঠিক আছে আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য প্রোডাক্ট পছন্দ করলাম। কিন্তু ফিচার, ডেসক্রিপশন বা রিভিউ কিভাবে লিখব?

প্রোডাক্টের জন্য রিভিউ বা ডেসক্রিপশন ফিচার ইত্যাদি লেখার পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ।

প্রথমে আপনি যে কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন সেই কোম্পানির ওয়েব সাইটে যেয়ে প্রোডাক্টটি সম্পর্কে জেনে আসার চেষ্টা করবেন।

যেমন ধরুন আপনি একটি শাওমি ফোনের জন্য রিভিউ লিখবেন। এখন সবচাইতে ভালো হয় যদি আপনি শাওমি ফোনের ওয়েব সাইটে শাওমি ফোনের সুনির্দিষ্ট ব্র্যান্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যাদি জেনে আসতে পারেন।

তারপর আপনি বিশ্বের বিখ্যাত বিখ্যাত ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন অ্যামাজন, ইবে তে প্রোডাক্ট এর বিবরণ পড়তে পারেন

আপনি এসকল তথ্য গুলো আলাদা করে নোট করে রাখতে পারেন এবং পরে আপনার নিজের মতন করে এসব লিখতে পারেন।

কিন্তু কখনোই অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে হুবহু কপি করে লিখবেন না। গুগলের অ্যালগরিদম যদি কপি ধরতে পারে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের রিচ কমিয়ে দিবে।

এভাবে আপনি আফিলিয়েট মার্কেটিং এর পন্যটি সম্পর্কে সহজেই রিভিউ লিখতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালালঃ

অনেকের মনেই এই প্রশ্নটি আগে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে আমি একটি দোকানের সাথে তুলনা করবো যেমন ধরুন কোন দোকানে যেখানে সাবান-শ্যাম্পু ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি হয় অথবা বিক্রি হয় টেক জাতীয় জিনিস যেমন ল্যাপটপ, মোবাইল।

আবার এমন দোকানও আছে যেখানে বিক্রি হয় মদ এবং অন্যান্য হারাম জাতীয় দ্রব্যাদি।

যে দোকানদার তার দোকানে সাবান শ্যাম্পু অথবা টেক জাতীয় জিনিসপত্র যেমন ল্যাপটপ মোবাইল রেখে হালালভাবে ব্যবসা করছে তার ব্যবসা যেমন হালাল।

ঠিক তেমনই আপনি যদি হালাল পণ্যের এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তবে তাতেও কোন সমস্যা নাই।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কোথা থেকে শিখবেনঃ

বাংলা ভাষাতে অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যেখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য বহুল আলোচনা করা হয়েছে। আপনি এখান থেকে ফ্রিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে শিখতে পারেন।

বাংলা ভাষার পাশাপাশি এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স ইত্যাদি ইউটিউবে ইংরেজি ভাষায় অনেক আছে।
আপনি যদি ইংরেজি ভাষা ভাল বুঝেন তবে আমি আপনাকে ইংরেজি ভাষাতে ইউটিউবে ভিডিও গুলো দেখা রিকমেন্ড করব।

পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর অনেক ফ্রি ইবুক আছে যেগুলো এফিলিয়েট মার্কেটিং pdf হিসেবে পাওয়া যায়।

আর আপনি হাতে-কলমে যদি কারো কাছে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখেন তবে আপনি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে সে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে কিনা। আর আপনি যদি পেইড অনলাইনে কোর্স করতে চান তবে আমি আপনাকে udemy, udacity এবং courseera এই তিনটি প্রতিষ্ঠান এর নাম রিকমেন্ড করব।

বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

বাংলাদেশ এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট এর জন্য আদর্শ হতে পারে দারাজ, ইভ্যালি এর মতন ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো।

এগুলোর এফিলিয়েট মার্কেটিং পদ্ধতি আমি দারাজ আফিলিয়েট মার্কেটিং সেকশনে উপরে আলোচনা করে এসেছি।
বাংলাদেশ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের বর্তমানে যা হচ্ছে খুব সহজেই এর থেকে কয়েক গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

বড় বড় ব্যবসায়ীদের নিজেদের পন্য বিক্রির জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং এগিয়ে আসা উচিত।

কারণ এর মাধ্যমে তারা যেমন তাদের পণ্য কোনরকম আলাদা ফি ছাড়াই পণ্যের প্রচারণা করতে পারবে পাশাপাশি তাদের পন্য বিক্রি বাড়বে ইনশা আল্লাহ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কিছু কমন টিপসঃ


ধরুন আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য একটি ব্লগ আছে। আপনার উচিত প্রতি সপ্তাহে এ নতুন নতুন অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট এর জন্য লেখা আপনার ব্লগে এড করা।

একদম যেগুলো পণ্যের খুবই অল্প দাম এবং অত টা বিখ্যাত না পন্যটি সেগুলো পণ্যের এফিলিয়েট মার্কেটিং না করা। কারণ এই ধরনের পণ্য যদি আপনার অনেকগুলো বিক্রি হয় তবু আপনার এখান থেকে কমিশনের পরিমাণ হবে অত্যন্ত কম।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সময় আপনার সেই দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা মাথায় রাখতে হবে।

যেমন আপনি যদি আমেরিকার মানুষের জন্য কোন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লেখা লিখেন তবে এখানে আপনি আইফোন সহ অন্যান্য দামি ফোনের পণ্যের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশে এরকম বিলাসবহুল পণ্যের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং না করাই ভালো। কারণ এখানে পণ্যের ক্রেতা অনেক কম।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সময় আপনার ওই দেশের মানুষের পছন্দ মাথায় রাখতে হবে।

ইংরেজি ভাষায় যদি আপনি ওয়েবসাইট বা ব্লগ লেখেন পরিচালনা করেন তবে আপনার টার্গেট শুধু আমেরিকান নয় বরং আরও কয়েকটি ইংলিশ স্পিকিং দেশ যেমন ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া এসব দেশের মানুষকে লক্ষ্য করে লেখা উচিত।

তাহলে আপনি একটা লেখা দিয়েই আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পন্যটি র বিক্রি বাড়াতে পারবেন।

সর্বশেষ,

এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি দারুণ সম্ভাবনার জায়গা।

আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে নিজের একটি ওয়েবসাইট, ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তবে এখান থেকেই আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনার যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে অন্য কোন প্রশ্ন থাকে তবে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।
আর লেখাটা ভালো লেগে থাকলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে পাশে থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top