অনলাইনে ইনকাম ২০২৪ – ২৬টি সেরা উপায় অনলাইন আয় করার

অনলাইন ইনকাম ২০২৪: বর্তমান সময়ে অনলাইনে আয় একটি জনপ্রিয় আয়ের উৎস হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা।

উদাহরণস্বরূপ যদি বলি একটি চাকরির একটি নির্দিষ্ট বেতন থাকে হয়তোবা ভালো কাজ করলে  দুই এক হাজার টাকা বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু অনলাইনে ব্যাপারটা এমন নয়।

অনলাইনে আয় এর কোন লিমিট নেই। অনলাইনে আপনি আপনার স্ক্রিল অনুযায়ী বিশাল পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। যা একটি চাকরি তুলনায় রাত আর দিন।

অনলাইনে একটি কাজে যত দহ্মতা অর্জন করা যায় ইনকাম তত বাড়তে থাকে।

আজকের এই পোস্টে আমি আপনাকে অনলাইন ইনকামের মাধ্যমসহ অনলাইনের কোন কাজটি করলে আপনি দ্রুত সফলতা পাবেন এবং দীর্ঘস্থায়ী ও ভালো পরিমাণ অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন তার দিক-নির্দেশনা দেব।

অনলাইনে ইনকাম
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

আর্টিকেলে যা যা আছেঃ

অনলাইন ইনকাম কারা করতে পারবে?

হ্যাঁ, এই প্রশ্নটির উত্তর  অনেকের কাছে অনেক কঠিন মনে হলেও আমার কাছে কিন্তু খুবই সহজ! যে কেউ এসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবে না আমি নিশ্চিত।

কেননা অনলাইন ইনকাম করতে চাইলে প্রচুর পরিশ্রম করার মন মানসিকতা থাকতে হবে। আর যেহেতু অনলাইনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নগদ অর্থ পাওয়া যায় না, সে জন্য অনেকেই খুব দ্রুত হাল ছেড়ে দেয়, যা একটি বড় কারণ অনলাইনে সফলতা না পাওয়ার।

সোজাসুজি বলতে গেলে অনলাইনে সফলতা পাওয়ার জন্য শুরুতে মাংনা খাটতে হয় এবং নিজের স্কিল ডেভলপ করতে হয়। কেউ যদি একবার নিজের স্কিল ডেভেলপ করে অনলাইন হতে ইনকাম শুরু করে, তাহলে আমার মতে মনে হয় তার আর পেছনের দিকে তাকাতে হবে না।

অনলাইন ইনকাম ২০২৪ – Online Income

আমরা এই পোস্টে মোট ২৬ টি অনলাইন ইনকামের মাধ্যম শেয়ার করেছি। আপনি এই কাজগুলি থেকে যেকোনো একটিকে নির্বাচন করে ভালোভাবে সেটিকে শিখে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইন ইনকাম সাইট (Online Income Site)

আমি আপনাদের সাথে এই পোস্টে অনলাইন ইনকামের উপায় শেয়ার করার পাশাপাশি কয়েকটি অনলাইনে ইনকাম করার বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট শেয়ার করব। সেই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যদিও শুরুতে আপনার কাছে একটু কঠিন মনে হতে পারে। তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে তো আর হলো না। ধৈর্য ধরে একবার যদি ইনকাম শুরু করতে পারেন, ওই সকল ওয়েবসাইট থেকে, তাহলে একটা সময়ে গিয়ে আপনি ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে আয় ২০২৪ (Online Income 2024)

আর আপনার কাছে আমার আগে থেকেই একটা অনুরোধ রইল পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন এবং আপনার কাছে যদি পোস্টটি ভাল লাগে, তাহলে পোস্টটি আপনার পরিচিত অনলাইনে ইনকামের আগ্রহী ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে এই পোষ্টটি পড়ে তারা অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন, এবং সঠিক কাজটি নির্বাচন করতে পারেন অনলাইনে ইনকাম করার জন্য।

অবশ্যই পড়বেন: 


১. ওয়েবসাইট তৈরি করে/ ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম 2024

ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম বা ব্লগিং করে অনলাইনে আয় একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আমার পরিচিত অনেকেই ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন হতে ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করছে। তার মধ্যে আবার কয়েকজনের প্রতিমাসে কয়েক লহ্ম পর্যন্ত ইনকাম আছে। যা একজন সাধরন মানুষের পহ্মে বিশ্বাস করা সম্ভবনয়।

সর্বপ্রথম আমি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করাটা কে আপনার জন্য রিকমেন্ড করব। কেননা এখান থেকে আপনি ভালো পরিমান [ বর্তমান বাজারে চাকরির তুলনায় ] ও পার্মানেন্ট ইনকামের পথ তৈরী করতে পারবেন।

একটা ওয়েবসাইট বানানো খুবই সহজ। একটি ওয়েবসাইট বানানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ওয়েব-হোস্টিং ও ডোমেইন। তাছাড়াও ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। কিন্তু সেটি আমি আপনার জন্য রিকমেন্ড করব না কেননা সেটিতে পরবর্তী সময়ে আপনি বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন।

ওয়েবসাইট থেকে যেভাবে টাকা ইনকাম করবেন

একটি ওয়েবসাইট থেকে সাধারণত আপনি তিন ভাবে টাকা আয় করতে পারবেন।

  1. গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে।
  2. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে।
  3. স্পনসর লিংক ব্যবহার করে।

গুগল এডসেন্স  ব্যবহার করে অনলাইনে আয়

আপনার ওয়েবসাইটে যখন ভিজিটর আসবে তখন সেই ভিজিটরের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর রা যখন গুগল এডসেন্সের এড দেখবে বা এডে ক্লিক করবে তার মাধ্যমে আপনার এডসেন্স একাউন্টে $ ডলার যোগ হবে, মানে আপনার ইনকাম হবে।

তবে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যা গুগোল তাদের ব্লগে গুগল এডসেন্স এর নিয়ম নীতি শেয়ার করেছে। আপনি চাইলে সেই সকল নিয়ম-নীতি গুগল এডসেন্সের ব্লগ থেকে পড়ে আসতে পারেন।

গুগল এডসেন্স এর জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে যখন আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আসা আসা শুরু করবে। আমার মতে, যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন অর্গানিক ১০০-২০০ ভিজিটর আসা শুরু করবে,তখনই গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করা উচিত।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম

২০২৪ সালে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম করার অন্যতম সেরা উপায় হচ্ছে এফিলিয়েট লিংক। এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট লাগবে যে ওয়েবসাইটে আপনি অন্য এফিলিয়েট ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করবেন।

আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহারকৃত এফিলিয়েট লিংক দিয়ে যে সকল ভিজিটর এফিলিয়েট ওয়েবসাইটে গিয়ে কোন পণ্য বা জিনিস কিনবে, সেটার নির্দিষ্ট পরিমাণ রেভিনিউ অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট আপনার সাথে শেয়ার করবে।এভাবে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।

এফিলিয়েট লিংক পাওয়ার জন্য আপনাকে এফিলিয়েট ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার ওয়েবসাইট দেখিয়ে আবেদন করতে হবে। এফিলিয়েট লিংক এর জন্য আবেদন করার পর, তারা আপনার ওয়েবসাইট রিভিউ করে দেখবে, যে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইট এফিলিয়েট লিংক ব্যবহারের উপযোগী কিনা।

যদি আপনার ওয়েবসাইট উপযোগী হয় তাহলে আপনাকে তারা এই এফিলিয়েট লিংকটিকে অনুমোদন দিয়ে দিবে। তখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার বা এফিলিয়েট মার্কেটিং নিজস্ব ওয়েবসাইট ছাড়াও করা যায়। আপনি ইচ্ছা করলে সোশ্যাল মিডিয়া বা কিছু ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরীর প্ল্যাটফর্ম কেউ ব্যবহার করতে পারেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য। তবে নিজের ওয়েবসাইটে করা ভালো।

স্পন্সর লিংক দিয়ে অনলাইনে ইনকাম

ওয়েবসাইট স্পনসর লিঙ্ক হচ্ছে, কোন ওয়েবসাইটের লিংক আপনি চুক্তিবদ্ধ হয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করবেন। সেই লিংকটি হতে পারে ইমেজ লিংক, ডিরেক্ট লিংক, বা আরও অন্যকোন ভাবে। ওই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ওই ওয়েবসাইটের মালিকের কাছ থেকে টাকা পাবেন মাসিক, ক্লিক বা ইমপ্রেশনের উপর নির্ভর করে।

২. ইউটিউব থেকে আয়

আমার জানা মতে অনলাইনে যত ইনকামের পথ রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউব থেকে আয় অনেক সহজ এবং দীর্ঘস্থায়ী। আপনি চাইলে ইউটিউব ব্যবহার করে খুব সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

যদিও ২০১৮ সালে এসে ইউটিউব অনেক কঠিন হয়ে গেছে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য। ২০১৮ সালের পূর্বে ইউটিউবে অনেক খুব সহজেই মনিটাইজেশন পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে ইউটিউব মনিটাইজেশন পাওয়া একটু কঠিন ব্যাপার।

কেননা একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার পূর্বে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয় যা শুধুমাত্র কঠিন পরিশ্রমের ও ধৈর্য এর মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।

ইউটিউব মনিটাইজেশন মানেই ইউটিউবে এডসেন্স। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যখন মনিটাইজেশন থাকবে তখন আপনার ইউটিউব ভিডিওতে এড দেখাবে। আপনার ইউটিউব ভিডিও তে এড দেখানোর মাধ্যমে আপনি টাকা পাবেন।

তবে আপনার ইউটিউব ভিডিওতে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

শর্তগুলো হচ্ছে:

  • গত এক বছরে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ৪,০০০ ঘন্টা দেখতে হবে ও ১,০০০ হাজার সাবস্কাইব অর্জন করতে হবে।
  • আপনার ইউটিউব ভিডিও গুগল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ফ্রেন্ডলি হতে হবে।

৩. ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুক হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যোসিয়াল মিডিয়া। পৃথিবী মানবের একটি বিশাল অংশ ফেসবুকের সাথে যুক্ত হয়ে আছে। প্রত্যেক সেকেন্ডে গড়ে ০৫টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে থাকে।

প্রতিমাসে ২.৫ বিলিয়ন একটিভ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে।  প্রতিদিন ১.৪৫ বিলিয়ন লোক তাদের ফেসবুক একাউন্টে লগিন করে।

ফেসবুক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য উইকিপিডিয়া হতে জানতে জানতে পারেন: ফেসবুক সর্ম্পকে বিস্তারিত 

আপনি কিন্তু এই বিশাল সোশ্যাল মিডিয়াকে অনলাইনে ইনকামের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্য ফেসবুক থেকে ইনকাম করাটা একটু কঠিন। তবে ধৈর্য ধরে সঠিক গাইডলাইনে এগুতে থাকলো খুব দ্রুত ফেসবুক থেকে ইনকাম করা সম্ভব।

ফেসবুক থেকে অনেকভাবে ইনকাম করা যায়। তবে আমি জনপ্রিয় কয়েকটি মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করব। যেগুলো আপনি ব্যবহার করে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন।

ফেসবুক পেজ থেকে আয়

ইউটিউব এর মত ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড দেওয়ার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়। এটি সাধারণত ভিডিওতে এড দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম হয়। তবে ফেসবুক পেজের ভিডিওতে অ্যাড আসার পূর্বে ফেসবুক পেজের কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

  • একটা ফেসবুক পেজ থাকতে হবে।
  • ফেসবুক পেজে এর ফলোয়ার সংখ্যা ১০,০০০ বা এর বেশি হওয়া লাগবে।
  • পেজটির ভিডিওগুলোতে বিগত ৬০ দিনে কমপক্ষে (১ মিনিটের বেশি সময় ধরে দেখা হয়েছে এমন) ৩০,০০০ ভিউ থাকতে হবে। যেসকল ভিডিও ৩ মিনিটের বেশি সময়ের, শুধুমাত্র সেগুলোই এক্ষেত্রে হিসাবের ভেতরে পড়বে।

ফেসবুকের এই শর্তগুলো পূরণ করার করার পর আপনার ফেসবুক পেইজের ভিডিওতে এড আসার উপযোগী হবে। তারপর আপনার ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন এর জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে।

তারা আপনার ফেসবুক পেজটি রিভিউ করে দেখবে যদি তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন এর উপযুক্ত হয়, তাহলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার ভিডিওতে এড দেবে। আর আপনার ভিডিও গুলোতে এড দেখানোর মাধ্যমে আপনি ফেসবুকে পেজ দ্বারা অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম

ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করা সম্ভব। আমি অনলাইনে অনেক ফেসবুক গ্রুপ দেখেছি, যেগুলিতে কোন ওয়েবসাইটের লিংক বা কোন এড দেওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়।

যেমন বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। যেগুলোতে বাংলাদেশের অনেক চাকরির ওয়েবসাইট এর মালিকরা তাদের ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করে। এবং লিংক শেয়ার করার জন্যে ঐ ফেসবুক গ্রুপ গুলির মালিকদের মাসিক টাকা দিতে হয়।

তবে একটা ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা ইনকাম করতে গেলে সেই গ্রুপে প্রচুর পরিমাণে একটিভ সদস্য প্রয়োজন। যা কয়েকজন মিলে লম্বা সময় ধরে কাজ করলে সম্ভব।

একা একটি ফেসবুক গ্রুপকে টাকা ইনকামের পর্যায়ে নিয়ে যেতে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই আপনার কাছের কয়েকজন বন্ধু বান্ধব মিলে টাকা ইনকামের জন্য একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে পারেন।

৪. ব্লগে/ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে আয়

আপনি যদি ওয়েবসাইটের এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারেন, তাহলে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইন হতে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে শুরুতে একজন নতুন লুকের এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা অনেক কঠিন। তবে আপনি যদি এটা নিয়ে ঘাটা-ঘাটি করেন, তাহলে খুব দ্রুত এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট পোস্ট লেখা রপ্ত করতে পারবেন।

আপনি কনটেন্ট রাইটার হিসেবে অনলাইনে বড় বড় মার্কেট প্লেসে কাজ করতে পারবেন। যেমন: আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার এই অনলাইন মার্কেট গুলোতে অনেক বড় একটি ক্যাটাগরি রয়েছে, কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর।

আপনি যদি এস ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট পোস্ট লিখতে পারেন, বা শিখতে পারেন, তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন।

আমরা কিছুদিনের ভিতর এই অপশনটি আমাদের ওয়েবসাইটে যোগ করে দেব। যারা আমাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট দিবে, তাদেরকে পোস্টের মান অনুযায়ি আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেবো।

৫. গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়

গ্রাফিক্স যাকে বলা হয় “অঙ্কন বিষয়ক জ্ঞান” গ্রাফিক্স ডিজাইন হল এমনি একটি সদৃশ মাধ্যম যার দ্বারা কোন পৃষ্ঠার উপরে (যেমন, একটি ক্যানভাসের উপর, একটি পর্দার উপর, একটি কাগজের উপর, কিংবা একটি ওয়ালের উপর) ছবি বা নকশা আঁকাকে বুঝায়।  যা একটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে এবং তা আমাদেরকে কোন ভাবার্থ বা বিনোদন অথবা স্বচিত্রক ভাব প্রকাশ করে ।

আপনি যদি একজন ভাল মানের গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারেন, তাহলে আপনি প্রতিমাসে হাজার ডলার তারওে বেশি আয় করতে পারবেন।

আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন  গুগলে সার্চ করে বা ইউটিউবে সার্চ করে টিটোরিয়াল দেখে শিখতে পারবেন। যদি আপনার এই কাজ শিখার প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকে। তাছাড়া আপনি ইচ্ছা করলে কোন বিশ্বস্ত আইটি কোম্পানির অধীনে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপরে কোর্স করতে পারেন।

  •  গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? | গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার সহজ উপায়!!

৬. ওয়েব ডিজাইন

ওয়েব ডিজাইনিং হল ওয়েব সাইটের জন্য লেআউট, কনটেন্ট প্রোডাকশন, ওয়েবপেইজ ইত্যাদি ডিজাইন করে দেওয়া। ওয়েব ডিজাইনিং এর অনেক মূল্য বর্তমান বাজারে অনেক।

 যতগুলি ওয়েবসাইট আছে প্রত্যেক ওয়েবসাইটে একটি ওয়েব ডিজাইনার প্রয়োজন হয়।

যদি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট কেউ করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই একজন ওয়েব ডিজাইনার এর সাহায্য নিতে হবে।

ভালো মানের ওয়েব ডিজাইনারের ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস অনেক মূল্য। কাজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের রেটও অনেক বেশি হয়ে থাকে।

যদি ভালোভাবে ডিজাইন শিখতে পারেন অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। এবং যা হবে আপনার জন্য দীর্ঘস্থায়ী অনলাইন ইনকামের পথ।

যদি আপনার এই কাজ শিখার প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি ওয়েব ডিজাইন  গুগলে সার্চ করে বা ইউটিউবে সার্চ করে টিটোরিয়াল দেখে শিখতে পারবেন।

আর আপনি ইচ্ছা করলে কোন বিশ্বস্ত আইটি কোম্পানির অধীনে ওয়েব ডিজাইন এর উপরে কোর্স করতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন শেখার সেরা ফ্রি ওয়েবসাইট হচ্ছে: www.w3schools.com

  •  ওয়েব ডিজাইন কি? | ওয়েব ডিজাইন শেখার পূনার্ঙ্গ গাইডলাইন

৭. প্রোগ্রামিং

প্রোগ্রামিং এর সংজ্ঞায় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিকশনারি অনুসারে,

“প্রোগ্রামিং হল কম্পিউটার প্রোগ্রাম লেখার জন্য করা ক্রিয়াকলাপ।”

কম্পিউটার কত রকমের কাজ করে। ছবি ভিডিও সেভ করা থেকে এক্সেল শিট এর হিসাব রাখা এসব কাজই কম্পিউটার করতে পারে। কিন্তু কম্পিউটার কি এসব নিজে থেকে করতে পারে?

না, কম্পিউটার অবশ্যই এসব নিজে থেকে করে না। এজন্য তার মধ্যে অবশ্যই এই প্রোগ্রাম গুলো সেট করে দিতে হবে।

মানুষ যেমন একে অপরের সাথে কথা বলার জন্য ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে, কম্পিউটার কেও ঠিক নির্দেশনা দেবার জন্য সুনির্দিষ্ট ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করতে হয়। C++, Python এরকম কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যার সাহায্যে কম্পিউটার কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার কম্পিউটার কে এমন ভাবে নির্দেশনা দিবে যার ফলে কম্পিউটার বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং এপ্লিকেশন কে কাজ করাতে পারবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সবচেয়ে উচুদরের কাজগুলো র মধ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং অন্যতম। একজন প্রোগ্রামার অনেক সময় ধরে এসব প্রোগ্রামিং এর কাজ শিখে কম্পিউটার কে নির্দেশনা দিতে পারে কোন এপ্লিকেশন রান করাবার।

আপনি যদি একাডেমিক ভাবে প্রোগ্রামিং শিখতে চান তাহলে আপনি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এ পড়তে পারেন। এই ডিপার্টমেন্টে আপনি সার্টিফিকেট পাবার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে ও জানতে পারবেন।

তাছাড়া ইউটিউব ঘাটা-ঘাটি করে আপনি শিখতে পারেন। আর যদি অনলাইন কোন কোর্স করতে চান তাহলে আমি Udemy, Udacity, coursera এই ৩ টি ওয়েবসাইট রিকমেন্ড করব।

প্রোগ্রামিং এর কাজ শেখা সময়সাধ্য হলেও আপনি প্রোগ্রামিং এর কাজ ভালভাবে শিখলে আপনার জন্য খুলে যাবে অবারিত সুযোগ। তখন আপনি প্রোগ্রামিং করেই ভালো পরিমানে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।

৮. ডিজিটাল মার্কেটিং

অনলাইনে বিখ্যাত চাকরির ওয়েবসাইট লিংকড ইন এর কথা আপনারা অবশ্যই সবাই শুনেছেন।  এই ওয়েবসাইটে সবচাইতে বেশি যে চাকরির জন্য চাওয়া হয়েছে তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এক কথায় সংজ্ঞা দেওয়া কঠিন। তবে আমি আপনাদেরকে উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পোস্ট করে পণ্যের প্রচারণা, ইমেইল মার্কেটিং, ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দিয়ে পন্যের প্রচার করা এবং এসব স্ট্র‍্যাটেজি প্রণয়ন করা সম্পর্কিত বিষয় হল ডিজিটাল মার্কেটিং। 

আপনি যদি ডিজিটাল ডিজিটাল মার্কেটিং সাইটে আসতে চান তবে প্রথম দিকে আপনার একটু স্ট্রাগল অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সুখবর হচ্ছে আপনি যত বেশি ডিজিটাল মার্কেটিং এ অভিজ্ঞ হবেন আপনার কাজের মূল্য তত বাড়বে।

  •  ডিজিটাল মার্কেটিং কি? | কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন?

৯. ট্রান্সলেশন

ট্রানসলেশন অনলাইনে বিভিন্ন রকম ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে ট্রান্সলেশন এর জন্য অনেক বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। 

আমি প্রথমেই বলেছিলাম কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য এখানে বিশেষ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় বলা থাকবে।

তাদের জন্য অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে সহজ হল -কওমি মাদ্রাসার দুটি ভাষা সাধারণত পড়ানো হয় বাংলা ভাষার সাথে। 

আরবি এবং উর্দু। উর্দু সব জায়গায় পড়ানো না হলেও আরবি ভাষা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রায় সবাই জানে।

কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এই আরবী থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ অথবা আরবী থেকে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করে খুব সহজে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারে। 

পাশাপাশি যাদের অন্য কোন ভাষায় দক্ষতা আছে যেমন জার্মান চাইনিজ জাপানি ভাষা থেকে তারা বিভিন্ন রকম ডকুমেন্ট অনুবাদ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারে অনেক টাকা। 

ট্রানসলেশন অনলাইন থেকে ইনকাম এর একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।

আপনি যদি ভাষা জানেন তবে মোবাইলে ই ট্রান্সলেশন করতে পারবেন । ল্যাপটপ বা পিসির দরকার পড়বে না। এভাবে ট্রান্সলেশন এর মাধ্যমে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

সহজ একটি সহজ মাধ্যম বললাম এই কারণে যে আপনি যদি ইংরেজি বাংলা এবং পাশাপাশি অন্য একটি ভাষা জানেন তাহলে আপনি খুব সহজেই ট্রান্সলেশন এর কোন কাজ পেয়ে যাবেন।

১০. ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হল এমন ধরণের কাজ যা একজন এসিস্ট্যান্ট এর কাজের মতই কিন্তু পার্থক্য হল ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ ঘরে বসেই করা যায়। ঘরে বসে চাকরি করা যায় ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে।

একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর যোগ্যতা তত বেশি হবে যত বেশি তার মাল্টিটাস্কিং ক্ষমতা হবে।

একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট কে যা জানতেই হবে তা হলঃ

  • ই-মেইলের ব্যবহার।
  • যোগাযোগ করার দক্ষতা।
  • বেসিক ডাটা এন্ট্রি স্কিল।
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল।

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ এর ক্ষেত্র ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত।

একটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর মালিকের কথাই চিন্তা করুন না। প্রতিদিন ক্লায়েন্ট দের কত মেইল, ফোন, অভিযোগ তাকে শুনতে হয়। একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এসব বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করতে পারে।

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হবার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে আবেদন করা যায়।

যত বেশি কম্পিউটার এ দক্ষ কেউ হবে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে তার নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। কারণ, কাজটি পুরোটা কম্পিউটার নির্ভর।

তাই ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হতে চাইলে যত বেশি সম্ভব স্কিল শিখুন। যেমন আপনি যদি টাইপিং এর কাজ খুব ভাল পারেন, তাহলে ফটোশপ এর কাজও শিখুন পাশাপাশি। 

প্রথমেই বলেছিলাম ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ হল মাল্টিটাস্কিং। কাজেই ক্লায়েন্ট এমন কোন কাজ দিয়েই দিতে পারে যেটা তার জব কন্ডিশন এ সে উল্লেখ করে নাই।

তখন যদি আপনি কাজটি না জানেন তখন আপনাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে। তাই যত বেশি কম্পিউটার এর বিভিন্ন সফটওয়্যার সম্পর্কে জানবেন আপনার কাজ পাবার সম্ভাবনা তত বেশি বাড়বে।

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট ও একটি ফ্রিল্যান্সিং জব। আপনি বাংলাদেশে বসেই আমেরিকার কোন ক্লায়েন্ট এর ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হতে পারবেন।

এভাবে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হয়ে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন সহজেই।

১১. ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন অনলাইন থেকে আয় এর আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম।

ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে আপনার কাছে যত জন গ্রাহকের ইমেইল থাকবে আপনি ততজন গ্রাহককে আপনার নতুন কোন পণ্য আসলে বা বিভিন্ন লেখা ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে আপনার প্রতিষ্ঠান এর সাথে তাদের জুড়ে রাখবেন। 

ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার ফলে তারা আপনার নতুন পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে।

শুধু পন্যের বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য যে তাদেরকে ইমেইল পাঠাতে হবে এমন না। আপনি তাদেরকে ছোটখাটো গল্প, ব্লগ ইত্যাদিও পাঠাতে পারেন আপনার পাঠকদেরকে আকর্ষণ করার জন্য। 

তাহলে তারা একদিকে যেমন বিরক্ত হবে না পাশাপাশি আপনার ইমেইল আসার পর তারা তা খুলে দেখতে উৎসাহিত হবে।

আপনার সংগ্রহীত ইমেইল গুলি আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন ইমেইল বিক্রির ওয়েবসাইট, তাহলে অনেক সাইট পাবেন যেগুলোতে আপনার ইমেইল গুলো বিক্রি করতে পারবেন।আরো বিভিন্নভাবে ইমেইলের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করা যায়।

১২. ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন আয় ২০২৪

টাকা আয় করতে চাই তো সবাই।

অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় যদি থাকে তা হল ফ্রিল্যান্সিং। 

ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে আপনারা আপনাদের আশপাশে এরকম পরিচিত মানুষ দেখেছেন।

আপনারা আমার লেখাটি যারা যারা পড়ছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করেন।

ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং প্রোগ্রামিং এসবই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের উদাহরণ। এই কাজ গুলি ভালো করে শিখে আপনি  ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করে অনলাইন আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সার দের সাথে অন্যান্য দের কাজের মূল পার্থক্য হলে ফ্রিল্যান্সার রা প্রচলিত ১০-৫ টার মত অফিস করেন না।

যেমন ধরুন একজন ওয়েব ডিজাইনার একটা ওয়েব পেজ ডিজাইন এর জন্য অর্ডার পেল। সে বলল ক্লায়েন্টকে যে সে আগামি ৩ দিনের মধ্যে কাজটি করে দিবে।

এই ওয়েব ডিজাইনার ৩ দিনের মধ্যে দিনে বা রাতে যখন খুশি কাজ করে ক্লায়েন্ট কে জমা দিলেই হল। এটাই হল ফ্রিল্যান্সার দের কাজের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

আমি আপনাদের এখানে ফ্রীলান্সিং সম্পর্কে কিছু বেসিক ধারণা দিব এবং কিছু টিপস দিব এবং আপনারা যারা জানেন না তাদের উপকার হবার পাশা যারা জানেন তাদের ও উপকার হবে। 

যারা একদমই নতুন এবং আমার লেখা পড়ে যারা চিন্তা করছেন যে তারা ফ্রিল্যান্সার হবেন তাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে তারা ফ্রিল্যান্সিং কোথা থেকে শিখবেন। 

আপনি যদি একাডেমিক ভাবে শিখতে চান তাহলে আপনাকে আমি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এসব ডিপার্টমেন্ট এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরামর্শ দিব।

আর অনেক বিষয়ের মত ইউটিউবে আপনি অনলাইনে কাজ শিখতে পারবেন। ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সম্পর্কিত অনেক বিস্তারিত ভিডিও আছে। সেখান থেকে আপনি শিখতে পারেন।

তবে আপনি যদি অনলাইনে টাকা দিয়ে কোর্স করতে চান তবে সে ক্ষেত্রে আমি আপনাকে Udemy, udacity, coursera এর মত ওয়েবসাইট গুলো রিকমেন্ড করব।

এখানে যারা ক্লাস নেন তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক্সপার্ট এবং ক্লাস গুলো খুবই বাস্তবসম্মত হয়ে থাকে এবং খুবই ভালো করে বোঝানো হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সরকারের এলইডিপি নামে একটি প্রোগ্রাম আছে যেখানে তারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিস ফ্রিতে শিখিয়ে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে ল্যাপটপ প্রথম। আপনার থাকতেই হবে ল্যাপটপ  আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এবং প্রোগ্রামিং এর কাজ গুলো করতে চান।

কনটেন্ট রাইটিং ট্রান্সলেশন এর জন্য ল্যাপটপ না থাকলেও চলবে।

আপনি যদি কোনো বড় ভাই এর কাছ থেকে শিখতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে দেখতে হবে সে কি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কিনা এবং ফ্রিল্যান্সিং থেকে সে আয় করে কিনা। 

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ আপনি যেভাবে পাবেন

যারা একদম নতুন তাদেরকে আমি বলব আগে বাংলাদেশের বাজারে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য।

এজন্য তারা সংশ্লিষ্ট ফেসবুক গ্রুপের পোস্ট গুলা ফলো করতে পারে.। যেমন আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার এক্সপার্ট হন তবে আপনি এই সম্পর্কিত ফেসবুক গ্রুপে এড হবেন।

এখানে আপনি কাজ করে দেয় অভিজ্ঞ হবার পাশাপাশি এগুলো গ্রুপে অনেকে চাকরির জন্য অথবা ছোটখাট কাজের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। 

যত আপনি এরকম কাজ করবেন তত অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আপনি ছোটখাটো অংকের টাকা বিকাশের মাধ্যমে রিসিভ করতে পারেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে অনেকগুলো ওয়েব সাইট আছে যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে থাকেন। সবচাইতে বিখ্যাত ওয়েবসাইট হচ্ছে fiverr তারপর আছে upwork, guru ইত্যাদি ওয়েবসাইট। 

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য পেপাল একাউন্ট থাকলে আপনার সবচাইতে ভালো হয়।

তবে আপনি যদি পেপাল একাউন্ট এর ব্যবস্থা না করতে পারেন তবে payoneer একাউন্ট খুলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

এজন্য আপনাকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি কিছু কাগজপত্র লাগবে যার ফলে তারা আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করবে এবং আপনি বিদেশ থেকে ফিলান্সিং করে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। 

fiverr এর গিগ ইমেজঃ

আমরা আগেই বলেছি অনলাইন থেকে এর জন্য ফাইবার ওয়েবসাইটটি সবচাইতে বিখ্যাত।

বিখ্যাত এই ওয়েবসাইটে অনলাইন থেকে কাস্টোমার আকৃষ্ট করার জন্য ইমেজ তৈরি করা হয়। 

এই ইমেজ তৈরি তে অনেকে এক্সপার্ট হন না।  যেমন একজন কনটেন্ট রাইটার এক্সপার্ট হচ্ছে লেখালেখি নিয়ে। তিনি সবসময় এরকম গিগ ইমেজ তৈরিতে এক্সপার্ট হবেন না। 

ফাইবার এর গিগ ইমেজ এর জন্য অনলাইনে আলাদা মার্কেট আছে। আপনি ফাইবারে গিগ ইমেজ তৈরী করে আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

১৩. ই-কমার্স ওয়েবসাইট দ্বারা ইন্টারনেটে আয়

বিভিন্ন রকম ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন দারাজ, অ্যামাজন এগুলো ওয়েবসাইটে আপনি আপনার নাম এবং পণ্যের রেজিস্ট্রেশন করে পণ্য বিক্রি করে সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করে পারেন।

বোঝার সুবিধার্থে ই-কমার্স ওয়েবসাইট কে আমরা দুই প্রকার ভাগে ভাগ করব।

প্রথম প্রকার ই-কমার্স সাইট হল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ই-কমার্স সাইট যেমন দারাজ ইভ্যালি।

আর দ্বিতীয় প্রকার ওয়েবসাইট হলো আন্তর্জাতিক ওয়েব সাইট যেমন আমাজন, ইবেই।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন দারাজ ইভ্যালিতে ইত্যাদিতে ব্যবসা করা তুলনামূলক ভাবে অনেক সহজ আন্তর্জাতিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোর তুলনায়। 

রেজিস্ট্রেশন পণ্যের ছবি আপলোড, পণ্যের বিবরণ প্রদান এবং পেমেন্ট মেথড যোগ করে বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই দারাজ ইভ্যালিতে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন।

কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দারাজ ইভ্যালির বাজার অনেক প্রতিযোগিতা পূর্ণ।

এবং এখানে প্রোডাক্ট নিয়ে আছে তুমুল প্রতিযোগিতা। তবুও আপনি যদি আপনার প্রোডাক্টের গুণগতমান অব্যাহত রাখতে পারেন, তাহলে কাস্টোমার রাই আপনার হয়ে কথা বলবে এবং আপনাকে ভালো ভালো রিভিউ দিবে যা আপনার প্রোডাক্ট বিক্রিতে খুবই সহায়ক হবে।

দেশের অভ্যন্তরে ই-কমার্স ব্যবসা করা তুলনামূলকভাবে অল্প লাভজনক হলেও ঝামেলা অত্যন্ত কম এখানে।

কোন শপিংমলে দোকান ভাড়া নিতে গেলে আপনার জামানত দেবার পাশাপাশি মাসে মাসে কয়েক হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে এরকম ঝামেলা নাই।

আপনি যদি ভালোভাবে আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে পারেন তবে আপনি ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো থেকে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকার বিক্রি করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন অত্যন্ত সহজে।

এবার আসি আন্তর্জাতিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোর ক্ষেত্রে।

বিশ্বের সবচাইতে বহুল প্রচলিত অনলাইনের পেমেন্ট মেথড paypal বাংলাদেশের সাপোর্ট করে না। 

এটাই হল বড় বড় ওয়েবসাইটগুলো থেকে পণ্য লেনদেন করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান বাধা।

কিন্তু আপনি যদি বিদেশে কোন ব্যবসায়ীক পার্টনার অথবা আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে paypal অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন তবে এই ধাপটি আপনি সহজেই উতরে যাবেন।

এছাড়াও আপনি payoneer একাউন্টের মাধ্যমে আপনিও ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। তবে পায়োনিয়ার একাউন্টে গ্রাহকের সংখ্যা পেপাল একাউন্টে গ্রাহকের সংখ্যা থেকে অনেক কম।

তাই আপনি যদি বিজনেস বড় করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই paypal একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করতে হবে।

কিছু কিছু আন্তর্জাতিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন আমাজন যা সবচেয়ে বিখ্যাত ই-কমার্স ওয়েবসাইট তা বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অনুমোদন করে না।

সে ক্ষেত্রে আপনি যা করতে পারেন তাহলো বিদেশে আপনি কারো সাথে অংশীদারিত্বে ব্যবসা করতে পারবেন যেখানে সে বিদেশে একাউন্ট খুলবে এবং আপনি বাংলাদেশ থেকে তাকে পণ্য পাঠাবেন এবং এভাবে ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা করা যাবে।

কিন্তু এই পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে অনেক ঝামেলার পদ্ধতি। আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা তে নতুন হন তবে আমি আপনাকে এই পদ্ধতিতে অনুসরণ না করার পরামর্শ দিব।

আপনি প্রথম প্রথম আন্তর্জাতিক ওই ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যবসা করুন যেখানে ব্যবসা বাংলাদেশ থেকে করা যায়।

আপনাকে ই কমার্স ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। 

  • আপনার প্রোডাক্ট  যেন সময় মত কাস্টমারের কাছে পৌঁছে তা খেয়াল রাখতে হবে। 
  • আপনার প্রোডাক্ট এর গুণগত মান ভালো হতে হবে।
  • প্রোডাক্ট সম্পর্কে সত্যিকারের ধারণা আপনি কাস্টমারকে দেওয়ার চেষ্টা করুন। প্রোডাক্ট সম্পর্কে অতিরঞ্জিত কথা বলবেন না।
  • ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে বিশেষত আপনি যদি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যবসা করতে চান তাহলে বেশিরভাগ ই কমার্স ওয়েবসাইট গুলো এই সুবিধা দেয় যে কাস্টমার যদি কোন প্রোডাক্ট পছন্দ না করে তবে সে সে প্রোডাক্ট বিক্রেতাকে ফেরত দিতে পারে।

এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা অত্যন্ত কম হলেও ব্যবসা করার সময় আপনাকে এই সংক্রান্ত হিসাব মাথায় রাখতে অবশ্যই হবে।

১৪. ইন্সটাগ্রাম

শুধু ছবি আপলোডের জন্য বর্তমানে সবচাইতে বিখ্যাত সাইট হল ইন্সটাগ্রাম ।বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেকেই বর্তমানে ফেসবুকের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে।

ছবির পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ এর বিশেষত্ব হল হ্যাশ ট্যাগ। হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে আপনি আপনার পণ্য সম্পর্কে  সবাইকে জানিয়ে দিতে পারবেন এবং অন্য কেউ যদি এই পণ্য খুজে তবে আপনার এই হ্যাশট্যাগ থেকে আপনার পণ্যটি খুঁজে পাবে।

“Rashed’s Departmental store” অথবা এই রকম নাম দিয়ে আপনি ফেসবুকে কোন পার্সোনাল একাউন্ট খুলতে পারবেন না।

ফেসবুক পলিসির বিরুদ্ধে এরকম নাম দিয়ে পার্সোনাল একাউন্ট খোলা। আপনাকে এরকম নাম দিয়ে বিজনেস স্টোর খুলতে হলে পেজ খুলতে হবে ফেসবুকে। 

কিন্তু ইনস্টাগ্রামে এই সমস্যা নাই। ইনস্টাগ্রামে আপনি আপনার পছন্দ মত নাম দিয়ে বিজনেস শপ খুলতে পারবেন। 

যেমনঃ Butterfly gadgets, sahara Electronics এরকম নাম আপনি ইন্সটাগ্রাম এ ব্যবহার করতে পারবেন সহজেই।

ইন্সটাগ্রাম পুরোটাই ছবির উপর নির্ভরশীল। তাই ছবি দেখেই যেন মানুষ আপনার পণ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে পারে এ বিষয়ে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।

আবার পন্যের ছবি দেবার পাশাপাশি আপনাকে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে পন্যের নামের। 

যেমন আপনি জামাকাপড় বিক্রি করলে হ্যাশট্যাগ দিতে পারেন #clothes #winter_clothes #beautiful_clothes, এভাবে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। 

ইন্সটাগ্রামে অনেকেই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে পন্য খুঁজে তাই এই হ্যাশট্যাগ এর ব্যবহার করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 

ইনস্টাগ্রামে র মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম বৃদ্ধি করার জন্য কিছু টিপসঃ

  • canva নামের একটি অ্যাপ আছে যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত বিভিন্ন রকম ডিজাইন করতে পারবেন ফ্রিতে। অ্যাপটিতে বিভিন্ন ধরনের free-tremplate থাকে। সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ মত ইন্সটাগ্রাম এর জন্য প্রয়োজনীয় টেমপ্লেট সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার পাশাপাশি আপনার পণ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ছবি বানাতে পারবেন।
  • আপনার ছবি যদি চার্ট আকারে অথবা ইনফোগ্রাফিক্স আকারে প্রকাশ করতে চান তাহলে এখানে আগে থেকে অনেক টেমপ্লেট থাকে যেখান থেকে আপনি খুব সহজে আপনার জন্য প্রয়োজনীয় ছবিটি ফ্রিতে তৈরি করতে পারবেন। 
  • ইন্সটাগ্রাম এর জন্য ছবি তোলার সময় ছবিগুলোর রেজোলিউশন যাতে উচুমানের হয় এবং ভাল ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয় সেদিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • ছবির সাথে আপনাকে সংশ্লিষ্ট এবং কাছাকাছি হ্যাশট্যাগ বের করতে হবে এবং কয়েকটি হ্যাশট্যাগ দিতে হবে।
  • ইনস্টাগ্রামে আপনার পরিচিত মানুষজনকে আপনার বিজনেস আইডি থেকে ফলো করুন ফলে আপনার ফলোয়ার বাড়ার পাশাপাশি আপনার পন্য সম্পর্কে প্রচারণা ও হবে।

১৫. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার

আপনাদের এখানে আমার লেখাটি পড়ছেন এমন অনেকে আছে যাদের ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে আছে হাজার হাজার ফলোয়ার। আপনারা আপনাদের এই সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার ব্যবহার করেই মাসে অনায়াসে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন হাজার হাজার টাকা।

ইউটিউব এ বিভিন্ন রকম ভিডিও দেখার সময় আপনারা খেয়াল করেছেন যে ইউটিউবাররা প্রায়ই বিভিন্ন রকম পণ্যের প্রচারণা করে।

যেমন কেউ বলে তার ভিডিওটা শুট করা হয়েছে এই ক্যামেরা দিয়ে তো আরেকজন বলে এই ভিডিওটার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত অর্থ স্পন্সর করেছে অমুক কোম্পানি।

ঠিক একই রকম কাজটি আপনি ও আপনার ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করতে পারেন।

যেমন আমার এক বন্ধুর ইনস্টাগ্রামে 13 হাজার ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও সে তার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে কোনরকম ইনফ্লুয়েন্সিং মার্কেটিং করে না। সে আসলে বিষয়টি সম্পর্কে যথেষ্ট জানে না।

যেমন ধরুন আপনি কোন টি শার্টের ছবি তুলে ফেসবুকে বা ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করলেন তারপর লিখে দিলেন যে হচ্ছে এই টি-শার্ট বানানো হয়েছে অমুক কোম্পানি থেকে।

এই যে আপনি যে বলবেন আপনার টি শার্ট অমুক কোম্পানি থেকে নেয়া নেওয়া হয়েছে আর তার ফলে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের এবং আপনার সমস্ত ফলোয়ার জানবে যে অমুক কোম্পানিটির শার্টের ডিজাইন এরকম।

তার ফলে তারব ওই কোম্পানির টি শার্ট কিনতে উৎসাহিত হবে আর এটার জন্য ওই কোম্পানি আপনাকে কিছু অর্থ দিবে এভাবে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। 

সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সিয়াল বহির্বিশ্বে অনেক দাম আছে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশের এর ব্যবহার অত্যন্ত কম।

এর মূল কারণ হলো সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে না জানা।

সবাই যেন জানতে পারে যে আপনি একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার আর এটার জন্য আপনি যা করতে পারেন:

  • আপনার ফেইসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের বায়োডাটা তে আপনি লিখে রাখতে পারেন যে হচ্ছে আপনি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার।
  • আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সিং যে করেন সে সম্পর্কিত পোস্ট এবং ফটো অবশ্যই আপলোড দিবেন। 

১৬. অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আয়

অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা হয়। বিভিন্ন সংস্থা বা পত্রিকা এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।

আপনার যে বিষয়ে দক্ষতা আছে যেমন আপনার যদি ভাষা বিষয়ে দক্ষতা থাকে তবে আপনি ভাষা বিষয়ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।

আবার আপনার যদি ধাঁধা গণিত এসব বিষয়ে আগ্রহ থাকে তবে আপনি ধাধা, গণিত বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।

যেসব ওয়েবসাইটে এ ধরনের প্রতিযোগিতা হয় হয় আপনার সেই সকল ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে হবে যেন তারা কোন প্রতিযোগিতা ঘোষণা করার সাথে সাথে আপনি তাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

এ সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনি সহজেই করতে পারেন অনলাইন থেকে ইনকাম।

১৭. সার্ভে তে অংশগ্রহণ করে আয়

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে অনলাইনের ৪২ ভাগ সময়ই মানুষজন ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন রকম লেখা পড়ে আর বাকি সময় অন্যান্য কাজ যেমন ছবি দেখা, ভিডিও দেখা ইত্যাদি করে।

এই যে আমি আপনাদেরকে একটি সমীক্ষার কথা জানালাম এই সমীক্ষা একদল মানুষের ওপর প্রয়োগ করে প্রাপ্ত ডাটা থেকে এই ফলাফল নেওয়া হয়েছে।

তাদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে অনলাইনে মানুষ বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন রকম লেখা পড়ে কাটায়।

এই যে বিভিন্ন রকম সার্ভের কথা আপনি শুনে থাকেন এরকম সার্ভেতে আপনি অংশগ্রহণ করতে পারেন। 

এরকম সার্ভের ওয়েবসাইট মূলত দুই ধরনের আছে।

প্রথম ধরণের হলো যেখানে আপনাকে ভলান্টারি কাজ করতে হবে অর্থাৎ আপনি আপনার উত্তর দেওয়ার বিনিময়ে কোন টাকা পয়সা পাবেন না।

আবার one poll, Branded surveys এর মতন কিছু ওয়েব সাইট আছে যেখান থেকে আপনি সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে করে পেতে পারেন অর্থ। এগুলো সবই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট। 

তবে এটা যেহেতু আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট সেহেতু এখান থেকে অর্থ গ্রহণ করার জন্য আপনার পেপাল অ্যাকাউন্ট থাকা লাগবে।

সার্ভে গুলোতে আপনি সব সময় সত্য বলার চেষ্টা করবেন। আপনার দেওয়া উত্তরের উপর ভিত্তি করেই তারা আপনাকে পরবর্তী প্রশ্ন গুলো করবে।

তবে আমি আপনাকে বলব আপনার যদি অন্যান্য কাজ থাকে তবে সার্ভেতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে টাকা উপার্জন না করতে। কারণ হল এটা যেমন সময় সাপেক্ষ কাজ সেরকম এতে প্রচুর পরিমাণ পরিশ্রম হয়।

কিন্তু আপনার হাতে যদি একদমই কোন কাজ না থাকে অথবা ফ্রি সময় থাকে তবে আপনি সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে এভাবে অনলাইনে আয় করতে পারেন।

১৮. ড্রপশিপিং করে অনলাইন আয়

ড্রপ শিপিং অনলাইনে ইনকামের এক অদ্ভুত উপায় যেখানে আপনি কোন পণ্য না কিনেও আপনি অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে পণ্য নামিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। শপিফাই ড্রপশিপিং এর জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত।

ড্রপ শিপিং এর জন্য শপিফাই এক নাম্বার ওয়েবসাইট এর কথা বলেই আমরা বিষয়টা আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ। 

শপিফাই আপনি ১৪ দিনের দিনের জন্য ট্রায়াল বেসিস এ ফ্রী একাউন্ট খুলতে পারবেন তারপর আপনাকে 30 ডলার থেকে 130 ডলার পর্যন্ত এই প্যাকেজ এর মধ্যে যেকোনো একটা প্যাকেজ বেছে নিতে হবে।

মাসে মাসে এই পরিমাণ অর্থ আপনার শপিফাই কে দেওয়া লাগবে। বিনিময় শপিফাই তার ওয়েবসাইটে আপনার প্রোডাক্ট শো করবে।

আপনি কোন পণ্য না কিনেও অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে খুব সহজে আপনার ওয়েব পেজে পণ্যগুলি দেখাতে পারবেন এবং বিক্রি করতে পারবেন।

শপিফাই একাউন্ট খোলার পর আপনাকে Oberlo এক্সটেনশন ইন্সটল করতে হবে। আপনি আলিবাবা আলী এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন অনলাইন শপিং স্টোর থেকে আপনার পণ্যগুলো সবই আপনার শপিফাই স্টোরে সংগ্রহ করতে পারবেন।

পণ্যগুলো আপনার শপিফাই স্টোরে এড করার পর আপনি পণ্যগুলোতে আপনার সুবিধামতো দাম বসিয়ে। 

প্রডাক্টগুলো ডেসক্রিপশন দিবেন যাতে কাস্টমাররা কিবোর্ড দিয়ে সার্চ দিলে সহজেই খুঁজে পায়। 

এভাবেই কোন রকম পণ্য উৎপাদনের সাথে যুক্ত না হয়েও ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন হাজার হাজার ডলার।

১৯. ডোমেইন কেনাবেচাঃ

ডোমেইন কেনা বেচা করে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন পারবেন।

অনলাইনে কিছু কিছু ওয়েবসাইটে ঢুকলে আপনি দেখবেন যে এখানে ওয়েবসাইটগুলোতে কোন কন্টেন্ট নাই এবং ওয়েবসাইট এর উপরে অথবা মাঝখানে লেখা আছে যে “ওয়েবসাইটস নেম ইজ ফর সেল”।

মূলত এটাই হলো ডোমেইন কেনা বেচা যেখানে আপনি কোন বিখ্যাত নাম দিয়ে ধারণা করবেন যে এই নাম দিয়ে ওয়েবসাইট খুলতে পারে। 

আপনি তারপর আগে থেকে ডোমেইন নেম এবং ডোমেইন এক্সটেনশন কিনে রাখবেন তারপর এই নামে যখন কেউ ওয়েবসাইট খুলতে যাবে আপনি আপনার পছন্দ মত দাম হেকে তার তার কাছে ওয়েবসাইটটি বিক্রি করে দিয়ে অনলাইন থেকে উপার্জন করতে পারেন সহজেই।

২০. ছবি ও ভিডিও বিক্রি

অনলাইনে অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত ট্রাভেল ব্লগার আছে। তো আমি এরকম প্রায়ই ট্রাভেল ব্লগারদের ভিডিও দেখে থাকি তো।

ট্রাভেল ব্লগারদের ভিডিও দেখার সময় একজন ট্রাভেল ব্লগার বর্ণনা করেছিল যে সে কিভাবে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার মত অর্থ উপার্জন করে।

সে বলছিল যে তার অর্থ উপার্জনের মূল সোর্স গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সে তার ছবি এবং ভিডিও গুলো বিক্রি করে টাকা উপার্জন করে। 

তখন আমি বিষয়টা বুঝতে না পারলেও এখন আমি বিষয়টা বুঝতে পারি। সেটা হচ্ছে আপনি অনলাইন থেকে ছবি এবং ভিডিও বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন অনেক টাকা।

istockphoto, shutterstock এর মতন কিছু ওয়েব সাইট আছে যেখান থেকে আপনি আপনার ছবি এবং ভিডিও বিক্রি করতে পারেন এবং অনলাইন থেকে এই পদ্ধতিতে আপনি আয় করতে পারেন অনেক টাকা।

২১. পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রি করে আয়

আপনার বাসায় এমন কিছু জিনিসপত্র আছে যা আপনি ফেলে দিতে চান যেগুলো আপনার কোন কাজে লাগে না যেমন ধরুন কোনো পুরাতন ওয়্যারড্রব।

এখন ওয়ারড্রব টিকে আপনি যদি দোকানদারের কাছে নিয়ে বিক্রি করতে চান তবে সে আপনার কাছ থেকে খুবই অল্প দাম দিয়ে তা কিনে নিবে। 

তবে এই জিনিস যদি আপনি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি অনেক দামে বিক্রি করতে পারবেন।

আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলি, আমার বইগুলো আমি অনলাইনে বিক্রি করেছি। অথচ দোকানে যদি আমি পুরাতন বই গুলা বিক্রি করতে যায় যেতাম তাহলে আমাকে বই গুলো বিক্রি করতে হতো কেজি প্রতি ১০ টাকা দরে যেখানে আমি প্রতিটি প্রায় ৩২ টাকা দরে বিক্রি করেছি।

পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম করার বাংলাদশি সাইট হল bikroy.com। 

এছাড়াও আপনি সংশ্লিষ্ট ফেসবুক গ্রুপ গুলোতে পুরাতন জিনিস বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

যেমন আপনি যদি ল্যাপটপ বিক্রি করতে চান বা মোবাইল বিক্রি করতে চান তাহলে এরকম অনেক ফেসবুক গ্রুপ আছে যে ল্যাপটপ এবং মোবাইল সেল এরকম নাম দিয়ে যেখানে পুরাতন ল্যাপটপ মোবাইল ইত্যাদি কেনাবেচা করা হয়।

সেখানে আপনি আপনার সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপ বা মোবাইল অথবা আপনার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পণ্যের পোস্ট দিয়ে আপনি আপনার পণ্য এভাবে অনলাইনে বিক্রি করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন।

২২. টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

আপনার মোবাইলে আপনি অনেকগুলো অ্যাপস বর্তমানে ইন্সটল করে রেখেছেন। 

কোনটা হয়তো খবর শোনার জন্য, কোনটা গেম খেলার জন্য আর কোনটা ভিডিও দেখার জন্য।

এই যে অ্যাপগুলো আপনি বিভিন্ন সময়ে ইন্সটল করেন এই অ্যাপ ইন্সটল করার ফলে ডেভলপাররা গুগল সহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করে। আপনিও এভাবে অ্যাপ ডেভেলপ করে অনলাইন থেকে প্রচুর ইনকাম করতে পারেন। 

ডেভেলপমেন্টের জন্য আপনার যা লাগবে তা হচ্ছে আপনার একটি ইউনিক আইডিয়া।

এমন অ্যাপ আছে যেখানে বিভিন্ন রকম সার্ভিস যেমন পুলিশ হাসপাতাল ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি সার্ভিসের নাম এবং মোবাইল নাম্বার এবং তাদের ঠিকানা ইত্যাদি লিখে তা প্রকাশ করে এবং এর মাধ্যমে অ্যাপ ডেভলপার অনেক টাকা ইনকাম করে।

অনলাইনে মানুষজন অনেক বিষয়ে আগ্রহী কিন্তু তারা এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য খুজে পান না। আপনি যদি এ সম্পর্কিত অ্যাপ তৈরি করতে পারেন তবে সহজেই আপনি অ্যাপ তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন অনলাইন থেকে অনেক টাকা।

 অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য আপনাকে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে না। আপনি শুধু আইডিয়া দেবেন এবং এই সম্পর্কিত প্রস্তাবনা তৈরি করবেন। 

তারপর যদি খুব অল্প টাকা দিয়ে অনেক অ্যাপ ডেভলপার আছে তাদের কাছ থেকে অ্যাপ ডেভেলপ করে নিতে পারবেন।

তাহলে আপনার অ্যাপ টি পরিণত হবে টাকা আয় করার apps এ।

টাকা ইনকাম করার অ্যাপস এ সম্পর্কিত আমাদের ওয়েবসাইটে একটি পোস্ট করা হয়েছে। টাকা আয় করার অ্যাপস

২৩. ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ রিভিউ করে আয়

কোন অ্যাপ ব্যবহার করার পর বা কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে মতামত কি বা আপনি ওয়েবসাইটের কি কি বিষয়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে বা খারাপ লেগেছে এই সম্পর্কিত মতবাদ প্রকাশ করে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

এটার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেখানে তারা এ সম্পর্কিত মতামত নেয় এবং আপনার মতামত যদি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় তবে এটার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন।

২৪. Kindle থেকে বই প্রকাশ করে আয়

Kindle থেকে আপনি কোন রকম টাকা পয়সা ছাড়া একটি বই প্রকাশ করে আয় করতে পারেন। আপনার এ জন্য যা করতে হবে সেটা হচ্ছে একটি ই-বুক লিখতে হবে। তারপর আপনার সংশ্লিষ্ট কাজে যেমন আপনার নাম, ইনকাম ট্যাক্স বিবরণ জমা দিয়ে আপনার বইটি পাবলিশ করতে হবে। তারপর যারা যারা বইটি অনলাইন থেকে কিনবে তাদের মাধ্যমে আপনি টাকা পেয়ে যাবেন।

এভাবে অনেকেই বই পাবলিশ করে অনেক টাকা উপার্জন করেছেন অনলাইন থেকে। ইনভেস্ট ছাড়া ইনকাম এর এটি একটি অন্যতম পন্থা। 

Kindle এর একজন সফল বই বিক্রেতা হবার জন্য আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার বইয়ের ব্যাপক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করতে হবে। তাহলে মানুষজন আপনার বই সম্পর্কে জানবে এবং কিনতে আগ্রহী হবে।

২৫. GTP থেকে আয়

GTP মানে হল Get paid to। অনলাইনে বিভিন্ন অফার অথবা এক্টিভিটি করলেই ইনবক্স পাতোলার মতো বিভিন্ন ওয়েবসাইট নগদ অর্থ দিয়ে থাকে। এটাই হল GPT থেকে অনলাইনে আয়।

২৬. Captcha সলভ করে আয়

ফেসবুক বা গুগল এ সাইন আপ করার সময় আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে যে আপনারা কিছু বিদঘুটে অদ্ভুত দর্শন ইংরেজি অক্ষর যেগুলো একটু ভিন্নভাবে লেখা সেগুলো আপনাদেরকে ফেসবুক গুগল লিখতে বলেছিল। 

আপনারা রোবট নাকি মানুষ তা পরীক্ষা করতে এটা করা হয়েছিল। এগুলো হলো ক্যাপচা। অনলাইনে এরকম ক্যাপচা সলভ করে আপনি আয় করতে পারেন অনেক টাকা। Mega typer, Captcha club এমনই কিছু ওয়েবসাইট যেখানে থেকে captcha সলভ করে আপনি আয় করতে পারেন।

#অনলাইনে স্ক্যাম সর্তক হন

নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা বলি।

আমি তখন প্রথম প্রথম কনটেন্ট রাইটিং শুরু করেছি। তো হঠাৎ আমার কাছে একদিন একজন ফোন করলে ফোন করে বলল যে সে আমাকে আট হাজার টাকা বেতনের একটা চাকরি দিবে কিন্তু তার আগে আমাকে 2000 টাকা দিয়ে একটা কোর্স করতে হবে।

তারপরে সে আট হাজার টাকা বেতনের চাকরি টা আমাকে দিবে। এই যে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার নিয়ম এর কথা যারা বলে তারা হলে একধরণের অনলাইন ফ্রড বা স্ক্যামার।

অনলাইনে এরকম বহু স্ক্যামার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আপনাকে একটা সহজ সূত্র মনে রাখতে হবে এসব স্ক্যানার স্ক্যানার চেনার জন্য। সেটা হচ্ছে তারা আপনাকে বড় বড় কাজের লোভ দেখাবে কিন্তু বলবে যে  এসব কাজের জন্য আপনাকে কিছু টাকা দিতে হবে।

 এদের থেকে আপনি সতর্ক থাকবেন এবং মনে রাখবেন অনলাইনে কাজ দেয়ার বিনিময়ে টাকা চাওয়া হয় না এবং যদি কেউ চায় তবে তাকে  হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে ব্লক লিস্টে পাঠিয়ে দিন।

অনলাইন থেকে আয় করার এই লেখাটা লিখতে আমাকে অনেক রিসার্চ করতে হয়েছে, অনেক ওয়েবসাইট, ব্লগের লেখা ঘাটতে হয়েছে।

আপনাদের যদি লেখাটি উপকারে এসে  থাকে তবে লাইক কমেন্ট শেয়ার করুন।

আর আপনি কোন পদ্ধতিতে 2024 সালে অনলাইন ইনকাম করতে ব্যবহার করতে চান বা অনলাইনে আয় ২০২৪ সম্পর্কিত আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে পোস্টের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top