ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় বিস্তারিত – YoutTube Earnings

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়: আমরা যারা ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চাই বা আমরা অনেকেই ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে। আর থাকবে না কেন, আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তারা প্রতিনিয়ত ইউটিউব এ ভিডিও দেখে থাকি। আমরা অনেকেই রয়েছি যারা ইউটিউবে ভিডিও না দেখলে পেটের ভাত হজম হয় না।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়
ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে পরিষ্কার ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করব ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়। (How much money can be earned from YouTube per month?)

আপনি যদি ইউটিউবে ইনকাম করতে চান বা ইউটিউব ইনকাম সম্পর্কিত বিস্তারিত ধারণা পেতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে আমাদের এই ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় পোস্টটি পড়বেন।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় এই বিষয়ে জানার আগে আপনাকে জানতে হবে ইউটিউব থেকে কিভাবে ইনকাম হয়। তো চলুন আগে জেনে নেই ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।

অবশ্যই এই আর্টিকেলগুলো পড়বেন:



ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি

একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপনি বিভিন্ন ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে টাকা ইনকাম করার পূর্বে আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার প্রধানত ০৪টি মাধ্যম রয়েছে। মাধ্যম ০৪টি হচ্ছে:

  1. ইউটিউব মনিটাইজেশন (YouTube Monetization)
  2. স্পন্সর শীপ (Sponsorship)
  3. প্রোডাক্ট প্রমোট (Product Promote)
  4. এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

এখন আমি আপনাকে এ প্রধান চারটি মাধ্যম সম্পর্কে একটু বেসিক ধারণা দিব।

ইউটিউব মনিটাইজেশন (YouTube Monetization)

ইউটিউব মনিটাইজেশন হচ্ছে ইউটিউব ভিডিওতে অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে যে ইনকাম হয়ে থাকে। আমরা যখন ইউটিউব ভিডিও দেখি তখন মাঝে মধ্যে ইউটিউব ভিডিওর মধ্যে যে অ্যাড এসে পড়ে, সেই এর মাধ্যমে যে ইনকামটা হয় এটি হচ্ছে ইউটিউব মনিটাইজেশনের ইনকাম।

ইউটিউব মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে প্রত্যেকটি ইউটিউব চ্যানেলের। তা না হলে ইউটিউব ভিডিওতে অ্যাড আসবে না। ইউটিউব মনিটাইজেশনের শর্তগুলো হল:

  1. গত এক বছরে আপনার এক হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
  2. গত এক বছরের মধ্যে আপনার 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
  3. কোন কপিরাইট থাকা যাবে না।
  4. ইউটিউবের রুলস অনুযায়ী ইউটিউব মনিটাইজেশন পাওয়ার যোগ্য থাকতে হবে।

এই নিয়ম গুলো ঠিকঠাক থাকলে একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। আর মনিটাইজেশন পাওয়ার পরে ইউটিউব ভিডিওতে অ্যাড আসবে এই এড থেকে ইনকাম হবে।

স্পন্সর শীপ (Sponsorship)

স্পন্সর শীপ (Sponsorship) বিষয়টা হচ্ছে আপনার ভিডিওতে কোন কোম্পানির প্রচার করা। আপনি যদি বাংলাদেশের জনপ্রিয় কয়েকটি মোবাইল রিভিউ ইউটিউব চ্যানেল দেখে থাকেন, তাহলে সেখানে দেখবেন মোবাইল রিভিউ করার সময় অনেক সময় বলে থাকে অমুক কোম্পানি এই ভিডিওটি স্পন্স করেছে।

বাংলাদেশ জনপ্রিয় টেক রিভিউ ইউটিউব চ্যানেল গুলো স্পনসর শিবের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে থাকে। ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে স্পন্সর শীপ।

প্রোডাক্ট প্রমোট (Product Promote)

প্রোডাক্ট প্রমোট হচ্ছে ইউটিউব ভিডিওতে কোন পণ্যের প্রচার করা। আপনি যদি বিদেশি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল গুলো দেখেন তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যে বিভিন্ন সময় তারা বিভিন্ন প্রোডাক্ট ভিডিওর ভিতরে প্রচার করে থাকে। এই প্রচারের মাধ্যমে যে কোম্পানির পণ্যটি প্রচার করা হয় সেই কোম্পানি থেকে টাকা দিয়ে থাকে। এটি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার।

এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

আমরা অনেকেই ভাবি শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। বিষয়টা কিন্তু একদমই ঠিক না। বর্তমানে আমার দেখা অনেকেই ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এফিলেট মার্কেটিং করে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতেছে।

এফিলিয়েট মার্কেটিংটা হচ্ছে আপনার ভিডিওর মধ্যে কোন প্রোডাক্ট এর লিংক ব্যবহার করা যে লিংক ব্যবহার করে কেউ প্রোডাক্ট কিনলে আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইউটিউব থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়

ইউটিউব থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায় এই বিষয়টা ভালোভাবে বুঝতে, আপনাকে আরেকটি বিষয় জানতে হবে। সেটি হচ্ছে যে আপনার যে ইউটিউব চ্যানেলের ইনকামটা আপনি হিসাব করবেন সেই ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ কোন দেশ থেকে হয় এটা আপনাকে জানতে হবে।

অর্থাৎ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও যদি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি উন্নত দেশ থেকে হয় তাহলে কিন্তু ইনকাম তুলনামূলক বাংলাদেশের চাইতে কয়েক গুণ বেশি হবে।

আর যদি বাংলাদেশী ভিউ হয় ইউটিউব চ্যানেল হিসাব করেন, তাহলে কিন্তু উল্লেখিত দেশের চাইতে ইনকাম কয়েক গুণ কম হবে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, কমপক্ষে ১০ গুণ ব্যবধান হবে বাংলাদেশ ও উন্নত দেশের ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ ইনকাম হিসাব করলে।

কেননা উন্নত দেশের ভিডিওতে যে অ্যাড গুলো আসে এর CPC অনেক হাই থাকে। যার কারণে ইনকাম অনেক বেশি হয়। আর বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেলে যে ভিডিওতে অ্যাড আসে সে এডগুলো CPC অনেক কম। যার কারনে বাংলাদেশী ভিউ ইউটিউব চ্যানেলে ইনকাম অনেক কম হয়।


আমাদের ওয়েবসাইটে একটি পোস্ট রয়েছে ইউটিউব কত ভিউতে কত টাকা দেয়। আপনি যদি আমাদের ওই পোস্টটি পড়েন, তাহলে আপনি ইউটিউব কত বিরুদ্ধে কত টাকা দেয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনাকে আমি পড়ার জন্য সাজেশন করছি।


এবার আসে আসল কথায়, আমরা ইউটিউব ভিউ হিসাব করে ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় এর হিসাব বের করব। ইউটিউব ভিউ হিসাব করলে খুব সহজেই আপনি এই হিসাবটি বের করতে পারবেন।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আমি ইউটিউব চ্যানেল থেকে বাংলাদেশী এক মিলিয়ন ভিউয়ে ২০০ ডলারের মতো পেয়ে থাকি।

আমরা যদি এই হিসাব করে হিসাব করি তাহলে কিন্তু আমরা খুব সহজেই একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় তা বের করতে পারব।

ধরেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মাসে ২ মিলিয়ন ভিউ হয়ে থাকে। তাহলে আপনি দুই মিলিয়ন ভিউয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ ডলারের মতো ইনকাম করতে পারবেন। এই হিসাব করে আপনি খুব সহজে একটি ইউটিউব চ্যানেলের ইনকাম বের করতে পারবেন যদি ইউটিউব চ্যানেলটির বাংলাদেশের ভিউ হয়ে থাকে।

একটি ইউটিউব চ্যানেল ইনকাম নির্ভর করে ইউটিউব চ্যানেলের বিষয় কি, ভিউ কেউ কোন দেশ থেকে হয়। আপনার চ্যানেলে যদি টেকনোলজি, অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত হয়। তাহলে কিন্তু আপনার ইনকাম তুলনামূলক একটু বেশি হবে। কারণ এই বিষয়গুলোর সিপিসি একটু বেশি হয়। অর্থাৎ হাই সিপিসি কি ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে ইনকাম তুলনামূলক বেশি হবে।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় শেষ কথা,

আশা করি আপনি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছি একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়। তারপরও আপনার যদি এই আর্টিকেলটি বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে, বা কোন কিছুতে আপনার মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে আমাকে জানাতে পারেন।

আপনি যদি নিয়মিত টেকনোলজির সম্পর্কিত বা অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত বিষয়ে জানতে চান, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনার ওয়েব ব্রাউজারে বুকমারকে সেভ করে রাখতে পারেন। যাতে পরবর্তী সময় আপনি খুব সহজে আমাদের ওয়েব সাইটে এসে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত বা টেকনোলজি সম্পর্কিত বিষয়ে জানতে পারেন।

আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি, টেকনোলজি সম্পর্কে নতুন নতুন পোস্ট করে থাকি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top